নওগাঁয় আইজিপি ড. বেনজির আহম্মেদের নামে হােয়াটসঅ্যাপ খুলে প্রতারনার অভিযােগে যুবক-আটক
তৌফিক তাপস, নওগাঁ : বাংলাদশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজির আহম্মেদ সহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণের পরিচয় ও ছবি ব্যবহার করে হােয়াটসআ্যাপ খুলে প্রতারনার অভিযােগে নওগাঁয় আমিরুল ইসলাম নামে এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে নওগাঁ সদর উপজেলার খাগড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আমিরুল ওই গ্রামের আফছার আলীর ছেলে।
রাবিবার (২২ আগষ্ট)বেলা ৪টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মানান মিয়া বিপিএম।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির সরকারি নাম্বারে হােয়াটসঅ্যাপ আইডিতে বেনজির আহম্মেদ ইউনিফর্ম পরিহিত ছবিযুক্ত করে হােয়াটসঅ্যাপ থেকে মেসেজ আসে। পরে ডিআইজির মােবাইলে সেভ থাকা আইজিপির নাম্বারের কােন মিল না থাকায় সন্দেহ হলে ডিআইজি নিশ্চিত হওয়ার জন্য উক্ত হােয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে কল দিলে কেউ ফােন রিভিস করেনা। পরে বিষয়টি আইজিপিকে জানালে আইজিপি তাৎক্ষনিক উক্ত হােয়াটসঅ্যাপ নাম্বার ব্যবহারকারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলে পুলিশ হেডকােয়ার্টার্স থেকে আমাকে অবহিত করলে সাইবার টিমের সদস্যরা উক্ত হােয়াটসঅ্যাপ ব্যাবহারকারির পরিচয় শনাক্ত করে তাকে আটক করে ও ব্যবহারকৃত মােবাইল ফােনটি জব্দ করা হয়।
পুলিশ সুপার আরাে বলেন, আটকের পর প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে আসামি এসব ম্যাসেজের স্ক্রীনশট দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে বলে তার সাথে বড় বড় অফিসারদের সম্পর্ক আছে এবং পুলিশ অফিসারদের ছবি ব্যাবহার করে সহজে সরল মানুষের সাথে প্রতারণা ও এলাকায় অধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করতাে। তার বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ও আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম মামুন খাঁন চিশতী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) নওগাঁ সাবরিনা ইয়াসমিন, সহকারী পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) সুরাইয়া সুইটি, ডি আই ও১ মোবারক হোসেন, ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ডিবি কে এম শামসুদ্দিন, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জুয়েল সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।