Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf


বাগমারায় জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত-১,আহত ১৫
মোঃ সাইফুল ইসলাম (রাজশাহী) বাগমারাঃ  রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের মাধাইমুড়ি গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় হাবিল উদ্দিন কাজী (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। ওই ঘটনায় নিহতের পরিবারের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে । আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৫ জনকে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, নিহতের পিতা আজিমুদ্দীন কাজী (৬৫), চাচা আব্দুর রাজ্জাক (৫০), ছেলে সৈকত (১৬), প্রতিবেশী আব্দুস সাত্তারের ছেলে জুয়েল রানা (২৫), মুনছুর রহমান (৪৬) । এছাড়াও নিহতের ছোট ভাই হাফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজনকে বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, নিহতের পিতা আজিমুদ্দীন কাজী ১৯৭৩-৭৪ সালে একই গ্রামের মৃত আসতুল্লাহর কাছ থেকে জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছিল। অন্যদিকে তার বোন ছবেজানের নিকট থেকে ১৯৮৩ সালে আবারও জমি ক্রয় করেন আজিমুদ্দীন কাজী। সেই জমির অংশীদার দাবী করে তা ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হন আসতুল্লাহ। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে আদালত আজিমুদ্দীন কাজীর নামে রায় দেয় ।

এর মধ্যে আসতুল্লাহ মৃত্যুবরণ করলে ২০১৯ সাল থেকে ছেলেরা এবং তারই ভাই সেফাতুল্লাহসহ তার ছেলে একটি ভূয়া দলিল করে জমিটি নিজেদের বলে দাবী করে। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ সহ স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এরই মাঝে তারা বিভিন্ন সময় আজিমুদ্দীনসহ তার পরিবারের কারো না কারো লাশ ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২২এপ্রিল) নিহত হাবিল কাজী এবং তার একমাত্র ছেলে সৈকত বিকেলে পান বরজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন এমন সময় তাদের পথ আটকিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ মৃত আসতুল্লাহর ছেলেসহ সেফাতুল্লাহ ও তার ছেলে এবং তাদের পরিবারের নারী সদস্যরা। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিষয়টি তখন থেমে যায়। পরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাবিল কাজী সন্ধ্যার পর যখন বাড়ি থেকে বের হয় আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা অবস্থায় লাঠিসোটা, লোহার রড, হাসুয়া, কোদালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেফাতুল্লাহ এর নেতৃত্বে হামলা চালায় তার উপরে। সেই সময় তাকে একা পেয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা । পরে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে হাবিল মারা যায় বলে জানা গেছে।

এসময় হাবিলের উপর হামলার খবর পেয়ে হাবিলের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে তাদের উপরেও হামলা করে তারা। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয় বলে জানা যায়। তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পৌঁছায় বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোস্তাক আহমেদ  । এছাড়াও ঘটনাস্থলে আসেন রাজশাহী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব। এদিকে দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাইকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। অন্যদিকে যারা এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত তারা সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, নিহতের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলেই আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা

ময়মনসিংহের ফুলপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু।

তাপস কর,ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ জেলার  ফুলপুরে পুকুরে পড়ে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত শিশুটি উপজেলার রুপসী ইউনিয়নের পাগলা গ্রামের রাজিবের পুত্র। শিশুর মৃত্যুতে বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে । তার পিতা-মাতা বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন।

এব‍্যাপারে জানা যায়,আজ বৃহস্পতিবার সকালে আড়াই বছরের শিশু জাওয়াত ইসলাম খেলার ছলে বাড়ির বাহিরে উঠানে চলে আসে এবং সেখানে খেলা করছিল। এরপর তাকে না পেয়ে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে পিতা রাজিব বাড়ির পাশে পুকুরে শিশু জাওয়াতের লাশ পানির উপর ভেসে থাকতে দেখে। সাথে সাথে তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবার ও স্থানীয়দের ধারনা শিশু জাওয়াত খেলার ছলে হয়ত বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায়। আর পানিতে ডুবে সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে। সংবাদটি পৌছলে পরিবারের সদস‍্যগন সহ এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।


আজ নওগাঁ গণহত্যা দিবস
তৌফিক আহম্মেদ (তাপস) নওগাঁ : আজ নওগাঁ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল পকিস্তানি ২৫ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের দুটি দল রেলপথ সড়ক পথে রাজশাহী থেকে তৎকালীন নওগাঁ মহকুমায় অতর্কিত  আক্রমণ করে।

সান্তহার থেকে দলটি ধামকুড়ি হয়ে নওগাঁ শহরে প্রবেশ করে। নওগাঁ শহরে তান্ডব চালিয়ে হাজারো মানুষকে হত্যা করে। পাকিস্তানি সেনারা রজাকপুর, পারবোযালিয়া, খাগড়কুড়ি, শেখপুরা. তাজ সিনেমা হল, ব্রিজের মোড়, মিষ্টি পট্টি, ডাব পট্টি. আলু পট্টি, আরজি- নওগাঁ, পার-নওগাঁ, হাট নওগাঁ, খাস-নওগাঁ, উকিলপাড়া, চকদেবপাড়াসহ নওগাঁ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ধংসযজ্ঞ চালায়।  অসংখ্য বাড়ি-ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়ে দেয়। ধামকুড়িতে এক পরিবারের আট জন সদস্যসহ ১১ জনকে হত্যা করে। এছাড়াও নওগাঁ শহরে যাকে যেখানে পেয়েছে তাকে সেখানেই হত্যা করেছে।

২২ এপ্রিল সড়ক পথের দলটি কালিকাপুর ঘাট থেকে বলিহারে এসে নিরীহ মানুষদের ওপর গুলি চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে। কয়েক বছর ধরে একুশে পরিষদ নওগাঁ আজকের (২২ এপ্রিল)দিনটিকে নওগাঁ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে  শহিদদের।

করোনাভাইরাস সংক্রমণে এবার ঘরে বসেই নওগাঁ গণহত্যা দিবস পালন করার আহবান জানিয়েছে

একুশে পরিষদ নওগাঁ।

বাগমারায় জনগনের আস্থার প্রতিক ও মানবিক পুলিশ ওসি  মোস্তাক আহমেদ
 মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারা  : দেশের মানুষের এক সময় ধারণা ছিল যে "থানা মানেই পুলিশ, পুলিশ মানেই হয়রানি,টাকা ছাড়া থানায় কোনো কাজ হয় না" পুলিশ সম্পর্কে জনসাধারণের যখন এমন সব ভ্রান্ত নেতিবাচক ধারণা, ঠিক তখনই সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করে  জনসাধারণের  সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ (ওসি)ও বর্তমানে  বাগমারা থানায় যোগদানকৃতি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ। 

তিনি একজন সৎ, নির্ভীক, কর্মঠ ও নিহঅংকারী  মনের অধিকারী পুলিশ অফিসার। কেউ যদি মনে করেন তাঁকে (ওসি) কে খুশি করার জন্য এ প্রশংসা তাহলে ভুল।  কারন যে মানুষ ভালো, তাকে ভালো বলতে না পারার মতো অকৃতজ্ঞ সকলে হতে পারেনা। বাগমারা বাসি ইতিমধ্যেই লক্ষ করেছেন, কয়েক বছরে এই থানায় অনেকেই অফিসার্স ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু এমন দায়িত্ববান সৎ, নিষ্ঠাবান অফিসার থানাবাসী এর আগে কোনদিন দেখেছে কিনা সন্দেহ থেকে যায় জনগনের মনে। 

থানার আওতাধীন এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মাদক নির্মূল, সামাজিক ও মানবিক কাজে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য থানাবাসীর কাছে ইতোমধ্যে তিনি মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। থানায় গিয়ে বা ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে  কোন ভুক্তভোগী হয়রানির শিকার হয়েছেন বা সঠিক দিকনির্দেশনা পাননি এমন দৃষ্টান্ত কেউ স্থাপন করতে পারবে বলে অনেকের মধ্যে কথাপথনে চ্যালেন্জ লক্ষ করা যায় । তবে দুই একজন মানুষের কাছে  এর বাতিক্রম হতে পারে। তারা হলো, স্বার্থম্বেষী সুবিধাবাদী দালাল, তদবীরবাজ অথবা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তদবীরে গিয়ে  কোন  প্রকার সারা না পেয়ে হতাশ হওয়া ব্যাক্তি।  কারন তিনি যোগদানের পর প্রথম আঘাত  হেনেছেন দালাল ও তদবির বাজদের বিরুদ্ধে।  তিনি আসার পর  থেকে  এই থানার তৃনমুল মহল থেকে শুরু করে  প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ দিনরাত ২৪ ঘণ্টা বিরতিহীন পুলিশি সেবা পেতে শুরু করেছেন। সেব প্রত্যাশী  যারা তারা যাতে কোনরুপ হয়রানীর শিকার না হয়, সেই জন্য তিনি সবসময়  মোবাইল  নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন সামাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমে  প্রায় সব সময়ই এ্যাকটিভ থাকেন। কোন কারণে যদি তাঁর  মুঠো ফোনের কল  রিসিভ করতে না পারেন কিংবা  কারও প্রেরিত এসএমএসটি  দেখতে একটু  দেরি হয়, কাজ শেষে   ফ্রী  হওয়া মাত্রই তিনি  সেই নাম্বারে  ফোনকল ব্যাক করে তার সাথে আন্তরিকতার সাথে কথা বলেন।  চেষ্টা করেন এসএমএস এর প্রতিত্তর দিতে। এতে তিনি বিন্দুমাত্র বিরক্তবোধ হননা। কেউ তাঁর কাছে  কোন বিচার প্রার্থী হলে তিনি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ  গ্রহণ করেন। তাঁর মত চৌকস পুলিশ সদস্য যদি প্রত্যেক থানায় দায়িত্ব পালন করতো তাহলে দেশের চেহারাটাই আজ দ্রুত বদলে যেত। অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন, গনমাধ্যম কর্মী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সমাজসেবক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ অসংখ্য সাধারণ আমজনতা। 

অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোস্তাক আহমেদ       সম্পর্কে বাগমারা উপজেলা পরিষদের  চেয়ারমান বাবু শ্রী অনিল সরকার বলেন, এ থানায়  তিনি যোগদানের পর থেকেই পুলিশের আচরণ যেমন পাল্টেছে, তেমন থানার চিত্রও বদলেছে। এতে আগের তুলনায় থানায় সেবার মান বেড়েছে বহুগুন। থানার বিট পুলিশিং সেবা বৃদ্ধি ও দৃষ্টিনন্দন করতে এবং সহজেই মানুষকে  সেবা দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ  গ্রহণ করেছেন  তিনি।


পশ্চিম বাগমারার প্রানকেন্দ্র হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু বক্কর সরকার বলেন, (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ এই থানায় যোগদানের পর থেকেই সৃজনশীল ও যুগোপযোগী পরিকল্পনার ফলে এ থানার পুলিশ হয়ে উঠেছে উপজেলাবাসীর আস্থার ঠিকানা। মানবিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি  যে  কোনো অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বদা বাগমারা থানার পুলিশ সজাগ রয়েছেন। তিনি দায়িত্ব  নেওয়ার পর থেকে থানার অন্যান্য সদস্যরা তার দায়িত্বশীল কর্ম পরিচালনা  দেখে তাকে অনুসরণ করা দরকার।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গত বারের লকডাউনকালিন সময়ে রাজশাহী মোহনপুর থানায় কর্মরত থাকাকালিন জনগনের মাঝে  সচেতনতা সৃষ্টি করার পাশাপাশি ব্যাক্তিগত উদ্দোগে অসহায় ও ছিন্নমুল মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি মানবিক ও জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন। 

বর্তমানে বৃহত্তম বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হয়ে করোনা মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত লকডাউনে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে জনগনের মাঝে প্রকাশ্যে বা গোপনে নিজ তহবিল হতে অসহায়দের মাঝে আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি লকডাউনে করোনা সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন মহলে জনসচেতনতার দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।


তিনি এই থানায় আইন শৃংখলার  উন্নয়নে সর্বোচ্চ গতি এনেছেন। দায়িত্ববোধ, একাগ্রতা এবং এ্যকশান প্ল্যান   তৈরি করার মধ্য দিয়ে বাগমারা থানায় এক স্বর্ণযুগের সূচনার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। থানার উন্নয়নে তাঁর প্রতিভা ইতোমধ্যে সবার হৃদয় জয় করেছে। এই সৎ অফিসারের  দেখানো পথ ধরেই বাগমারা থানার পুলিশি সেবা আগামীতে আরও অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে  প্রত্যাশা করছেন থানার  সর্বস্তরের  জনগন।

দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি থানাকে সাজিয়েছেন শৈল্পিক নৈপুণ্যে। তাঁর সৃজনশীলতায় বদলে  গেছে বাগমারা থানার চিত্র। বাগমারা থানার "ওসি" হিসেবে মোস্তাক আহমেদ দায়িত্ব নেয়ার পর দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালন করে তিনি একদিকে যেমন ডিপার্টমেন্টাল সুনাম অর্জন করেছেন, অর্জন করেছেন একাধিক পুরুস্কার ,পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে  তিনি জয় করেছেন অগনিত মানুষের হৃদয়। পেয়েছেন আপামর জনতার ভালোবাসা। তাঁর জনপ্রিয়তা দেখে অনেকেই মন্তব্য করেন, তিনি কোন জন প্রতিনিধি নন, তিনি কোন সুপার স্টার নন, পুলিশ ডিপার্টমেন্টে থেকেও তিনি এত জনপ্রিয়, সত্যিই অবাক করার বিষয়।

এক জরিপে দেখা যায়, ওসি মোস্তাক আহম্মেদ  শুধু বাগমারায় নয়, তিনি কর্তব্যরত অবস্হায় যখন যেখানে কর্মরত ছিলেন, তিনি তাঁর মানবিক আচরন ও দায়িত্বশীলতার জন্যই জেলার শ্রেষ্ঠ উপাধি পেয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, কোনো চাওয়া পাওয়ার জন্য নয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভালো লাগার জায়গা থেকে কাজগুলো করেছি। তিনি আরো বলেন, মাননীয় আইজিপি মহোদয় সব সময় চায় পেশাদায়িত্ব, দক্ষ ও মানবিক পুলিশ। দায়িত্বশীলতা ও মানবিক মুল্যবোধ থেকে জেলার উর্দ্ধোতন কর্মকর্তারা সর্বদা আমার পাশ থেকে নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন এজন্য তাদেরকে জানায় অসংখ্য ধন্যবাদ। পাশাপাশি অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করবে।কারণ পুলিশিই জনতা আর জনতাই পুলিশ। আশাকরি বাগমারা উপজেলার সর্বদাই এ কথাটি পৌঁছে যাবে, এবং মানুষের মাঝে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে আস্থা ফিরে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

 

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক গৃহবধু ও এক যুবকের লাশ উদ্ধার।

তাপস কর,ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ জেলার ঈশরগঞ্জে এক গৃহবধু ও এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকালে ওই পৃথক পৃথক স্থান থেকে  এই দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এব‍্যাপারে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বৃ-পাচাশী গ্রামের সফর উদ্দিনের ছেলে সোহাগ মিয়ার সাথে প্রায় ১৬ বছর পুর্বে বিয়ে হয় পাড়াপাচাশি গ্রামের আব্দুস সোবানের মেয়ে বিলকিস আক্তারের (৩৫) এর। তাদের ঘরে ৫ টি সন্তান রয়েছে। স্বামীর সাথেও তার ছিল সোহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। এ অবস্থায় গতকাল সোমবার রাতে ঘরের আড়ার সাথে ওড়ানা দিয়ে ফাসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে বলে জানা যায়। ঘটনার সময় তার স্বামী স্থানীয় বাজারে অবস্থান করছিল বলে জানা যায়।
অপর দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচরনওপাড়া (মানদীর চর) গ্রামের জালাল উদ্দিনের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে আসাদুল ইসলাম (২৫) বাড়ির পাশে একটি গাছের ডালে গলায় মাফলার পেছিয়ে আত্মহত্যা করে। পৃথক-পৃথক স্থান থেকে উভয়ের লাশ উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ মর্গে প্রেরণ করেছে। এব‍্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়,পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক দুইটি  ইউডি মামলা করা হয়েছে।

 

ময়মনসিংহের তিন উপজেলায় কৃষকের ৮ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি।

তাপস কর, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ গৌরীপুর ও নান্দাইল এই তিন উপজেলায় কৃষকের প্রায় আট কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ে আবহাওয়ার তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ময়মনসিংহের তিনটি উপজেলায় প্রায় ষোল-হাজার কৃষকের চলতি বোরো ধান বিনষ্ট হয়ে গেছে। গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় এ সব উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়। এর পরদিন হঠাৎ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় কৃষকের শত শত হেক্টর জমির বোরো ধানের শীষ সাদা বর্ণ ও চিটা হয়ে যায়। এ বোরো ধান বিনষ্টের জমির পরিমাণ দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে স্বপ্নের বোরো ফসল বিনষ্ট হওয়ায় খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কায় স্থানীয় কৃষকদের ঘরে ঘরে কান্নার রোল পড়েছে। প্রায় ষোল-হাজার কৃষকের প্রায় ৮ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। একদিকে করোনার ছোবলে সর্বশান্ত অন্যদিকে প্রয়োজনীয় ফসল ঘরে তুলতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
তিনটি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তরা জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে অধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় আগাম জাতের বোরো ধানের শীষ বিনষ্ট হয়ে সাদা বর্ণ হয়ে গেছে। এ হিসেবে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমে  বোরো আবাদের লক্ষ মাত্রা ছিল ২০ হাজার ২৮০ হেক্টর হেক্টর। তার মধ্যে শতভাগ ক্ষতি ২১৫ হেক্টর ও ৫৫০ হেক্টর জমির ধান আংশকি ক্ষতি হয়েছে। টাকার পরিমাণ ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক প্রায় ৬ হাজার।
অন্যদিকে গৌরীপুরে উপজেলায় মাওহা, সহনাটি, বোকাইনগর, রামগোপালপু ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি কৃষকের বোরো ফসল বিনষ্ট হয়েছে। ১৬০০ কৃষকের আনুমানিক ১৬০ হেক্টর বোরো ধান বিনষ্টের খবর পাওয়া গেছে। লক্ষমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৭১৫ হেক্টর। টাকার পরিমাণ এক কোটির ওপরে। এ ছাড়া নান্দাইল উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ ২৫০ হেক্টর। লক্ষমাত্রা ছিল ২২ হাজার ১৫ হেক্টর। টাকার পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কৃষকদের বোরো ধান ক্ষেতে সার্বক্ষণিক পানি ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন  কৃষি কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন সরকার ইতিমধ্যে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তাছাড়া করোনার এই লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হয়ে পড়েছে হতাশা গ্রন্থ।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget