Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী নির্মল কৃষ্ণ সাহা
সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নওগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হয়েছেন নির্মল কৃষ্ণ সাহা। গত শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তার প্রার্থিতা চূড়ান্ত হয়। আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নওগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মোট ৭ জন আবেদন করেন। যাচাই বাছাই শেষে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহাকে নওগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। মেয়র পদে মনোনয়ন পাওয়ার পর নির্মল কৃষ্ণ সাহা বলেন, নওগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মনোনয়ন বোর্ডের সকল সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের জন্য দলের সকল নেতা-কর্মী ও নওগাঁ পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। নির্মল কৃষ্ণ সাহা আরও বলেন, আমি বিজয়ী হলে নওগাঁ পৌরসভাকে মাদক, সান্ত্রাস মুক্ত ও আধুনিক ডিজিটাল মডেল পৌরসভা হিসেবে পৌর বাসিকে উপহার দিবো। বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সফল বানিজ্য মন্ত্রী এবং উত্তর বঙ্গের মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত নেতা  মহুরম আব্দুল জলিলের আদর্শে গড়া এই নেতা আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী হওয়ায় সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের মাঝে সাড়া জেগেছে। দলের প্রতি আনুগত্য, বিশ্বস্ততা এবং জনসেবার কারণে আওয়ামী লীগ থেকে তাকেই যোগ্য প্রার্থী হিসাবে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে পৌরবাসী বিশেষ করে সিনিয়র নেতাকর্মী ও সূধীজনেরা মত প্রকাশ করেছেন। এদিকে, নির্মল কৃষ্ণ সাহাকে নৌকার মনোনয়ন দেয়ায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এক আনন্দ মিছিল বের করেন। উল্লেখ্য ১৯৬৩সালের ৭ডিসেম্বর ৩৮দশমিক ৩৬বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে যাত্রা শুরু করা নওগাঁ পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয় ১৯৮৯সালে। বর্তমানে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ১লাখ ১৬হাজার ৯১জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৭হাজার ১৭৫জন এবং নারী ভোটার ৫৮হাজার ৯১৬জন।


 

বাগমারায় সাংবাদিকদের সাথে এমপি ইন্জিঃ এনামুল হকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

বাগমারা (রাজশাহী) : রাজশাহীর বাগমারায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে রাজশাহী-৪(বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টায় উপজেলার সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজ মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা করেন তিনি।

এ সময় ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাংবাদিকরা সাহসী ভূমিকা পালন করে থাকে। সাংবাদিকরা এলাকার আয়না। তাদের চোখে যে বিষয়গুলো ধরাপড়ে তা সবার চোখে ধরাপড়ে না। সমাজের যে কোন অসংগতি, উন্নয়ন, আগামীর চিন্তাধারা সবাই প্রকাশ পায় সাংবাদিকের লেখনির মাধ্যে দিয়ে। একটি এলাকা তথা বিশ্বের সামগ্রীক উন্নয়নে সাংবাদিকদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে।

সাংবাদিকরাও তাদের জায়গা থেকে দেশের অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে থাকে। সেই সাথে বাগমারা কর্মরত সাংবাদিকদের সত্য, সঠিক এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ বা পরিবেশনের আহ্বান জানান তিনি। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তাই অকারনে কেউ যেন হয়রানীর শিকার না হয় সে দিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের উন্নত মানের শীতবস্ত্র প্রদান করেন এমপি এনামুল হক। মতবিনিময়ের শুরুতে বাগমারা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এমপি এনামুল হককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

উক্ত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, বাগমারা প্রেসক্লাবের 

সভাপতি আলতাফ হোসেন মন্ডল, সাবেক সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, সাংবাদিক আবু বাক্কার সুজন।
এ সময় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন. বাগমারা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সামসুজ্জোহা মামুন, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, সাবেক সভাপতি ইউসুফ আলী সরকার, আফাজ্জল হোসেন, সহ-সম্পাদক নাজিম হাসান, দপ্তর সম্পাদক আকবর আলী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মতিন, মমিনুল হক সবুজ, জিল্লুর রহমান দুখু, নুরকুতুবুল আলম, শামীম রেজা, ফারুক আহমেদ,রতন কুমার ও সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

 

নওগাঁয় বর্জ্য থেকে গ্যাস ও তৈল উৎপাদন করছেন কৃষক ফজলুর রহমান

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁয় কৃষক ফজলুর রহমান তার উদ্ভাবিত নিজস্ব পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবহার করে উৎপাদন করছেন গ্যাস ও তৈল। আমাদের পরিবেশের জন্য হুমকি পলথিনি বর্জ্য। নিষিদ্ধ হওয়ার পরও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পলিব্যাগ ও প্লাস্টিক অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হওয়ায় এসব থেকে মুক্তি মিলছে না। আবার পলথিনি ও প্লাস্টিক যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার কারণে এবং সহজে পচনশীল না হওয়ায় আমাদরে চারপাশের কৃষিজমি, নদী-নালা, খাল-বিল, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে। জমির উর্ব্রতা শক্তিসহ নানাভাবে চারপাশরে ভ’মিকে হুমকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে এসব পলথিনি ও প্লাস্টিক। কিন্তু এই পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক কাজে লাগিয়ে চেষ্টা, শ্রম এবং সাধনার মাধ্যমে তেল ও বায়োগ্যাস উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে কৃষক ফজলুর রহমান। বদ্ধ ড্রামের ভিতর আগুনে গলছে পরিত্যক্ত পলিথিন ও ফ্লাস্টিক। তরল করা সে পলিথিন ও প্লাস্টিক বাষ্পীভূত হয়ে পাইপ দিয়ে বের হচ্ছে ফোঁটায় ফোঁটায়। পরে পরিশোধিত হয়ে সিলিন্ডারে বিন্দু বিন্দু করে জমে তৈরি হচ্ছে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল ও বায়োগ্যাস। চারপাশে ফেলে দেওয়া পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক আগুনে গলিয়ে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল, বায়োগ্যাস তৈরির মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের কাটখইর গ্রামের ফজলুর রহমান (৪২)। তার এই অভিনব জ্বালানি তেল-গ্যাস আবিষ্কার দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন ফজলুর রহমানের বাড়িতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের কাটখইর গ্রামের ফসিম উদ্দিন মোল্লার ছেলে ফজলুর রহমান নিজ বাড়ির সামনেই একটি বদ্ধ তেলের ড্রামের সঙ্গে পাইপের মাধ্যমে তিনটি সিলিন্ডারে সংযোগ দেয়া হয়েছে। সাথে যুক্ত করা হয়েছে তিনটি হিট মিটার। ড্রামের ভিতর প্লাস্টিক ও পলিথিন ভরে ড্রামের মুখ বন্ধ করে নিচে আগুন জ্বালিয়ে তা গলানো হচ্ছে। জ্বলছে পলিথিন ও প্লাস্টিক প্রায় ২৫/৩০ মিনিট ধরে উচ্চতাপ প্রয়াগে প্লাস্টিক ও পলিথিনগুলো পুরোপুরি গলে বাষ্প আকারে পাইপের মাধ্যমে বাষ্পীভূত হয়ে বিন্দু বিন্দু আকারে সিলিন্ডারে জমছে ডিজেল-পেট্রোল-অকটেন।
অপর একটি পাইপের মাথা দিয়ে বেরিয়ে আসছে বায়োগ্যাস। যা ড্রামের তলায় দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে অন্য কোনো জ্বালানি ছাড়াই গলানো হচ্ছে প্লাস্টিক-পলিথিন। প্রতিটি সিলিন্ডারের নিচের অংশে বিবকর্ক যুক্ত করা আছে যার মাধ্যমে তেল ভর্তি হলে বার প্রয়োজনে সেখান দিয়েও বোতলে তেলগুলো সংরক্ষণ করা যায়। প্লাস্টিক ও পলিথিন গলানোর কারনে যে অবশিষ্ঠ পানি বের হয় তা অন্য একটি পাইপ যুক্ত করা হয়েছে। সেখান দিয়ে পাশের ডোবাতে পানিগুলো ফেলা হয়। পরিত্যক্ত প্লাস্টিক-পলিথিন থেকে উৎপাদিত জ্বালানি তেল নিজস্ব মোটসাইকেলে ব্যবহার করার পাশাপাশি গ্রামবাসী, স্বজন-বন্ধু বান্ধবদেরও দিচ্ছেন ব্যবহারের জন্য। জনসম্মুখে তার আবিষ্কৃত জ্বালানি অকটেন, পেট্রোল ও বায়োগ্যাস তৈরি করে ব্যতিক্রমী এ উদ্ভাবন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এলাকায়।
স্থানীয় কাটখইর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আলী বলেন, আমি ফজলুর রহমানের পলিথিন ও প্লাস্টিক দিয়ে তেল ও গ্যাস তৈরি করার উদ্ভাবনী দেখে খুবই অবাক হয়েছি। তার এবিষয়ে কোন পড়া-শোনা না থাকলেও শুধু ইচ্ছা শক্তি, মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আজ সে সফল ভাবে তেল ও গ্যাস উৎপাদন করছে। সরকার যদি তাকে সহায়তা করে তাহলে আরও ব্যাপক সুফল পাবে এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইয়া কাহারুল ইসলাম নয়ন, তানবির আল ময়াবির প্রান্তসহ অনেকেই জানান, উদ্যোগতা ফজলুর রহমান দেশীয় প্রযুক্তিতে তেল ও বায়োগ্যাস উৎপাদন করছেন যা সত্যি আমাদের জন্য একটি গৌরবের বিষয়। তিনি ছোট্ট পরিসরে শুরু করেছেন তার সাধ্য অনুযায়ী। পরিত্যাক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক পরিবেশ ও কৃষি জমির জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। আর সেগুলোই তিনি ব্যবহার করে তেল ও গ্যাস উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। অভাব-অনটনের সংসারে অনেক কষ্ট করে হাফেজ লাইনে পড়াশোনা করেছে। আমরা ভাবতে পারিনি সে এমন ব্যতিক্রমী আবিষ্কার করে সাড়া ফেলবে। উচ্চমহলের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অনেক দূর এগোবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এখন সকরারি ও বেসরকারি ভাবে যদি তাকে সহযোগিতা করা হয় তাহলে সে ব্যপকভাবে বড় পরিসরে তেল-গ্যাস উৎপাদন করতে পারবেন।
উদ্ভাবক ফজলুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ছোট বেলা থেকেই কৌতুহল ছিল তেল ও গ্যাস কিভাবে উৎপাদন করা হয়। গ্রামের চাল সিদ্ধ করা যে সব চাতাল রয়েছে সেখানে যে ড্রামে আগুন দেয়া হয় সেখানে আমি মাঝে মাঝে আর্বজনা ও পলিথিন দিতাম সেগুলো পোড়ার পর সেখান থেকে এক ধরনের পানির মত তরল পদার্থ বের হতো।
তাছাড়া গ্রামের মানুষ খড়কুটোর পাশাপাশি প্লাস্টিক পোড়ালে ফোঁটা-ফোঁটা আকারে কিছু পদার্থ বের হতো। তখন থেকেই মাথায় বিষয়গুলো ঘুরপাক খেতো।
তিনি বলেন, স্থানীয় কুজাগাড়ী হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে ১৯৯২সালে হেফজ (হাফেজ) পাশ করার পর আর বেশি দূর পড়াশোনা করা হয়নি। ৫ভাই ও এক বোনের মধ্যে আমি সবার বড়। অভাব অনটনের কারনে বেশি দূর পাড়াশুনা করতে পারিনাই। সংসারের হাল ধরতে ড্রাইভিং ট্রেনিং নিয়ে ঢাকাতে নিজের মাইক্রো চালাতাম। এর পর ২০১৭সালে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্বকভাবে আহত হওয়ার পর মাইক্রোটি বিক্রি করে দিয়ে গ্রামে চলি আসি। এর পর কৃষি কাজ শুরু করি। ২০১৯ সালের শেষের দিকে নারায়ণগঞ্জে একটি ব্যক্তিগত কাজের জন্য গিয়েছিলাম। তার পর সেখানে একজনের কাছে গিয়ে পলিথিন ও প্লাস্টিক পুড়িয়ে জ্বালানী তৈরি করা দেখে মনের ভিতর আবার সেই ছোট বেলার কৌতহল ভর করে বসলো। তার উদ্ভাবনী বিষয়গুলো আয়ত্ব করে গত কয়েক মাস ধরে অনেক কষ্ট করে ১লক্ষ ৭০ হাজার টাকার কিছু যন্ত্রাংশ কিনে নিজেই স্থাপন করে পরিক্ষামূলক ভাবে জ্বালানী তেল ও বায়োগ্যাস উৎপাদন করতে আজ সক্ষম হয়েছি।
ফজলুর রহমান বলেন, উৎপাদিত জ্বালানি তেল দু’টি পদ্ধতিতে পরিশোধন করা হয়। এক ছাকন পদ্ধতি এবং দুই থিতানো পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে এক কেজি পলিথিনে ৫০০শ গ্রাম ও প্লাস্টিক থেকে ৬/৭শ গ্রাম জ্বালানি তেল উৎপাদিত হয়। এতে খরচ হয় মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা মত। আর একই সাথে বায়োগ্যাস উৎপাদন করা যায়। এই তরল পদার্থগুলো হাইড্রোকার্বন ও এগুলোর বর্ণ ডিজেল-পেট্রোল-অকটেন এবং নির্গত বায়ো গ্যাসের মতো। সরকারি-বেসরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে জ্বালানি খরচে নতুন মাত্রা যোগ করার পাশাপাশি প্লাস্টিক ও পলিথিনের অপব্যবহারে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব বলেও জানান তিনি।
নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা ইমাম উদ্দিন (ইউএনও) বলেন, ফজলুর রহমানের আবিষ্কারটা একটু ব্যতিক্রম মনে হয়েছে আমার কাছে। পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক পুড়িয়ে সেখান থেকে ডিজেল, অকটেন, পেট্রোল ও বায়োগ্যাস উদ্ভাবন করেছে। এ বিষয়ে যে ধরনের সহযোগিতা চাইলে আমি ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই সহযোগিতা করবো। আমি ইনোভেশন টিমকে জানাবো তার কার্যক্রমের বিষয়ে সার্বিক খোঁজ খবর নিতে।

তাহিরপুর সীমান্তে ভারতীয় মদের চালান সহ যুবক আটক

রাহাদ হাসান মুন্না, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে ভারতীয় মদের চালান সহ এক যুবককে আটক করেছে,সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আটককৃত যুবকের নাম কাউসার মিয়া (২৯),সে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মাহারাম গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে।   

বিজিবি সুত্রে জানাগেছে,বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটের সময় লাউরগড় বিওপির (হাবিলদার) মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে,সীমান্তের নিয়মিত একটি টহল দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে,বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদী তীর থেকে ১০ বোতল ভারতীয় মদ সহ ওই যুবককে আটক করা হয়।

সুনামগঞ্জ-২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)র অধিনায়ক লে-কর্নেল মোঃ মাকসুদুল আলম আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাহিরপুর থানায় সোর্পদ করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

 

বাগমারায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের উচ্ছেদ অভিযান

বাগমারা (রাজশাহী):  রাজশাহীর বাগমারায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ড্রামচিমনি ইটভাটা। সরকার বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটায় সরকারি নির্দেশনা জারি করিলে ও কতিপয় ভাটার মালিকেরা সরকারের নির্দেশ না মেনে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে ড্রামচিমনি ইটভাটা। তাই এই ভাটাগুলো অবৈধ হওয়ায় (২৩শে ডিসেম্বর) বুধবার রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মনির হোসেন ও বাগমারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাহমুদুল হক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এ অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ মিজানুর রহমান, পরির্দশক মোঃ নাসিরুল্লাহ, উপজেলা ফার্য়ার সার্ভিসের পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন। এই অভিযান পরিচালনা করার সময় পরিবেশ অধিদপ্তর উপপরিচালক মোঃ মনির হোসেন কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বাগমারাতে যতগুলো অবৈধ ইটভাটা রয়েছে রাজশাহীর অন্য কোন উপজেলায় এতগুলো অবৈধ ইটভাটা নেই। তিনি আরও বলেন, এ অবৈধ ইটভাটা গুলো বন্ধ করতে আমাদের পরিবেশ  অধিদপ্তরের অভিযান চলমান থাকবে। পাশাপাশি তিনি আরোও বলেন, এসব ইটভাটার কারণে ভবিষ্যৎ প্রজম্নের বড় ধরনের রোগত্রুান্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে যেমন ক্যান্সার, শ্বাসকস্ট ইত্যাদি। এছাড়াও কেমিস্ট মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, এই অবৈধ ড্রামচিমনি ইটভাটার কারণে পরিবেশ দূষিত হয়ে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। তাই এলাকার জনসাধারণকে সচেতন থেকে এগুলো প্রতিহত করার জন্য তিনি আহবান জানান।

জামালগঞ্জের সুরমা নদীতে সেতুর জন্য সীমাহীন দূর্ভোগ

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া, হাওরাঞ্চল, সুনামগঞ্জ : বাংলাদেশের হাওর সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জ জেলা। এখানে রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ। সরকার প্রতিবছর এই জেলা থেকে কোটিকোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। তারপরও ভোগান্তির শেষ নেই অবহেলিত সুনামগঞ্জ জেলাবাসীর। সারাদেশ যখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে তখনও এই জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা রয়েছে চরম অবহেলিত। এই উপজেলার সুরমা নদীতে একটি সেতু না থাকার কারণে দুই লক্ষাধিক মানুষকে দীর্ঘদিন যাবত পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়- ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা। এই উপজেলার মাঝখান দিয়ে বয়েগেছে সুরমা নদী। এই নদীর এক তীরে অবস্থিত জামালগঞ্জ আর অন্য তীরে অবস্থিত ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণ কেন্দ্র সচনা বাজার। সুরমা নদীটি জামালগঞ্জ উপজেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে। উপজেলা পরিষদ,থানা,ব্যাংক,স্কুল,কলেজ ও হাসাপাতালসহ ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ অবস্থিত জামালগঞ্জ এর তীরে। আর বাকি ৩টি ইউনিয়ন পরিষদসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সাচনা বাজারের তীরে। যার ফলে স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসাসহ অফিসিয়াল কাজকর্ম করতে ছাত্রছাত্রী ও এলাকার লোকজনসহ অর্ধলক্ষাধিক মানুষকে প্রতিদিন সুরমা নদী পাড় হয়ে জামালগঞ্জ যেতে হয়। আর মাছ ও সবজিসহ বেশির ভাগ মালামাল কেনার জন্য ব্যবসায়ী ও অন্যান্য মানুষকে সাচনা বাজারে আসতে হয়। কিন্তু সুরমা নদীতে সেতু না থাকার কারণে ছোট-বড় নৌকা দিয়ে নদীটি পারাপার হতে হয়। আর নৌকা দিয়ে সুরমা নদীটি পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই সময় ঘটছে দূর্ঘটনা। এছাড়া মূমূর্ষ রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে সুরমা নদী পার হতে গিয়ে রাস্তায় অনেকের মৃত্যু হয়। কারণ নদীটি পারাপার হতে সময় লাগে প্রায় ২০ থেকে ৩০মিনিট। খেয়া নৌকার জন্য করতে হয় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা। তাই জামালগঞ্জ উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী সুরমা নদীতে একটি সেতু নির্মাণ করা। কিন্তু যুগযুগ পেরিয়ে গেলেও তাদের সেই দাবী আজ পর্যন্ত পূরণ হয়নি। তাই জীবনের ঝুকিসহ সীমাহীন সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন লক্ষলক্ষ মানুষ সুরমা নদী নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছে।
এব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ,ব্যবসায়ী রাসেল আহমেদ, একলাস মিয়া,রঞ্জন দাস,সুবল দাসসহ আরো অনেকে বলেন-সুরমা নদীতে ব্রিজ না থাকার কারণে জামালগঞ্জ উপজেলার ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে অফিসিয়াল কাজকর্ম করতে সবাইকে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এই কষ্ঠ ও সমস্যা দেখার মতো কেউ নেই।
সাচনা বাজারের কলেজ ছাত্র অভিভাবক আশরাফুল আলম,দিন ইসলাম,রহমত আলী,আকিকুর রহমানসহ আরো অনেকেই বলেন-সুরমা নদীতে ব্রিজ না থাকার কারণে আমাদের ছেলে মেয়েরা সঠিক সময়ে স্কুল-কলেজে পৌছতে পারেনা। খেয়া নৌকার জন্য দীর্ঘ সময় অপক্ষো করতে হয়। আর বর্যাকালে সুরমা নদী পারাপার হতে গিয়ে নৌকা ডুবে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। তখন নদীতে পানির গতিবেগ অনেক বেশি থাকে। তাই ভয়ে ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজে কেউ যেতে চায় না। আর এই সীমাহীন সমস্যা সমাধানের জন্য শীগ্রই সুরমা নদীতে ব্রিজ নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুদৃষ্ঠি কামনা করছি।  
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম সাংবাদিকদের জানান-জামালগঞ্জ সদরের সুরমা নদীতে এপ্রোচসহ ১২১০মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট একটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। সেতুর ডিজাইন ও জায়গা নির্ধারন করার পর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। সেই সাথে হাওরাঞ্চলের উড়াল সেতুর সাথে সুরমা সেতুর সংযোগ দেওয়া হবে। আশা করছি শীগ্রই জনগণের দূর্ভোগ লাগব হবে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget