বগুড়ায় শ্বশুরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাইলেন জামাই
প্রতিনিধি বগুড়া : বগুড়ায় শ্বশুরকে অপহরণ করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন জামাই আবু সাঈদ (৩০)। এ ঘটনায় অপহৃত শ্বশুর আব্দুল গাফফারকে (৬০) উদ্ধার এবং জামাইসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়া সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন- বগুড়ার কাহালু উপজেলার দেওগ্রাম দীঘিরপাড়া এলাকার মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে অপহৃত আব্দুল গাফফারের জামাই আবু সাঈদ (৩০), একই উপজেলার চকজগৎপুর এলাকার মৃত কমের উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৮) ও জাঙ্গালপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হৃদয় প্রাং (২২)।
জানা গেছে, বগুড়া সদরের বুজরুক বাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গাফফার স্থানীয় বায়তুল রহিম জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন। গত সোমবার (৩১ আগস্ট) রাতে তিনি মসজিদে ঘুমিয়েছিলেন। রাত ১০টার দিকে তার জামাই আবু সাঈদের নেতৃত্বে কয়েকজন তাকে মসজিদ থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে তার ছেলে আলালের কাছে মোবাইল ফোনে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি সদর থানায় জানানো হলে পুলিশের পরামর্শে আলাল অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা নিয়ে বগুড়া সদরের চন্ডিহারা বন্দর এলাকায় যেতে বলেন। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে চন্ডিহারা বন্দরে যায় অপহৃতের ছেলেসহ পুলিশ। আলাল অপহরণকারীদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের সময় তিন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপহৃত আব্দুল গাফফারকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপহৃতের ছেলে আলাল বাদী হয়ে গ্রেফতার তিনজনসহ চারজনের নামে মামলা করেছেন।
বগুড়া সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা জানান, অপহৃত মসজিদের মোয়াজিন আব্দুল গাফফারকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অপহৃতের জামাইসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।