Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

ঢাকার ১৬ ওয়ার্ডে কলেরার টিকা দেয়া শুরু বুধবার

রাজধানীর ছয়টি এলাকার ১৬টি ওয়ার্ডে কলেরার টিকা দেয়ার কর্মসূচি বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। এক বছরের বেশি বয়সী সবাইকে এ টিকা খাওয়ানো হবে। চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

এলাকাগুলো হলো- মোহাম্মদপুর, আদাবর, দারুসসালাম, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ ও লালবাগ। এসব এলাকার ১৬টি ওয়ার্ড হলো- ৯, ১০, ১৪, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নং।

মঙ্গলবার রাজধানীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও সিডিসি লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শাহ নীলা ফেরদৌসী টিকা কর্মসূচির উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য দেন। টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে কলেরা নির্মূলে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘কয়েকটি প্রাচীন পানিবাহিত রোগ, যার প্রাদুর্ভাব গঙ্গা বদ্বীপ থেকে শুরু করে ইউরোপ-আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত। নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার অপ্রতুলতা কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাবের জন্য বিশেষভাবে দায়ী। কলেরা একটি ডায়রিয়া জাতীয়রোগ, যা দেহে দ্রুত পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে এবং সময়মতো চিকিৎসা না পেলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ১৩ থেকে ৪০ লাখ মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়।’

‘২০৩০ সালের মধ্যে কলেরা নির্মূলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা বাংলাদেশের পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি টিকাদানকে প্রাধান্য দিয়েছে।’

‘বাংলাদেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সহায়তায় আইসিডিডিআরবি (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের) এ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’


তবে কি মুসলিমদের কবরের ওপরই নির্মিত হবে রাম মন্দির?
ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির ও ট্রাস্ট নির্মাণের চূড়ান্ত রায় দিয়েছে। অযোধ্যায় বসবাসরত মুসলিমরা এবার রাম মন্দির ট্রাস্টকে এ মর্মে চিঠি দিয়েছে যে, তাহলে কি মুসলিমদের কবরস্থানেই তৈরি হবে রাম মন্দির?

১৮৮৫ সালের ধর্মীয় গোলমালের সময় ৭৫ জন মুসলিম খুন হন। সে সময় তাদেরকে বাবরি মসজিদের ১৪৮০ বর্গ মিটার জায়গার মধ্যেই কবরস্থ করা হয়।

অযোধ্যার ৯ জন মুসলিম বাসিন্দা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এক চিঠির মাধ্যমে রামমন্দির ট্রাস্টকে এ তথ্য অবহিত করে। ৯ জন মুসলিম বাসিন্দার তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এমআর শামশদ রামমন্দির ট্রাস্ট ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র’-কে এ চিঠি লেখেন।

৪ পাতার ওই চিঠিতে ট্রাস্টের ১০ জন সদস্যের কাছে এ মর্মে তারা জানতে চান যে, হিন্দু সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান রেখেই জানতে চাইছি- মুসলিমদের কবরের ওপরই কি একটি মন্দির স্থাপন করা হবে? যেখানে ৭৫ জন মুসলিমকে কবর দেয়া হয়েছিল।

এই চিঠির উত্তরে মঙ্গলবার অযোধ্যার জেলা শাসক অনুজ ঝা জানালেন, রাম জন্মভূমির ৬৭ একরের মধ্যে কোনও কবরস্থান ছিল না। ভারতের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনেই সব কিছু করছেন তারা।

রাম মন্দির ও ট্রাস্ট নির্মাণ বিষয়ে বুধবার দিল্লিতে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র‌ ট্রাস্টের প্রথম বৈঠক হবে। এ বৈঠকে বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা করা হবে। ‌‌

উল্লেখ্য যে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভায় দাঁড়িয়ে রামমন্দিরের জন্য ট্রাস্ট তৈরির ঘোষণা করেন। এ ট্রাস্টে তিনি এক টাকা দিয়ে শুরুও করেছিলেন তিনি। তারপরই অযোধ্যার স্থানীয় কয়েক জন মুসলিম রাম মন্দির ও ট্রাস্ট নির্মাণের স্থানে মুসলিমদের কবর আছে বলে সেখানে ট্রাস্ট ও মন্দির নির্মাণ করা যাবে কি-না প্রশ্ন রেখেছেন?

প্রবাসীদের ৫ বছর মেয়াদি ফ্যামিলি ভিসা দেবে কাতার

কাতারে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের পরিবারের জন্য ফ্যামিলি রেসিডেন্স ভিসা দেবে দেশটির সরকার। কাতারে বৈধভাবে কর্মরতরা চাইলে তাদের পরিবারের সদস্যদের খুব সহজেই দেশটিতে নিয়ে আসতে পারবেন।

মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগেও ভিজিট ভিসায় পরিবারের সদস্যদের কাতার ভ্রমণে নিয়ে আসা যেত। আগের ভিসার মেয়াদ ছিল ১ মাসের। এখন থেকে ফ্যামিলি ভিসার মেয়াদ হবে ৫ বছর।

ফ্যামিলি রেসিডেন্স ভিসা আবেদনের জন্য যা লাগবে-

১. আবেদনকারীর ভ্যালিড কাতার আইডির ফটোকপি।

২. আবেদনকারীর কাতারে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সেটা ও সেলারি সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি।

৩. যাদের জন্য আবেদন করা হবে তাদের সবার পাসপোর্টের ফটোকপি।

৪. স্ত্রীর জন্য ম্যারেজ সার্টিফিকেট ও বাচ্চাদের জন্য তাদের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট।

৫. পরিবারের কোনো সদস্যের বয়স যদি ১৮ বছরের উপরে হয় তাহলে তার জন্য নিজ ইউনিয়ন/উপজেলা/পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশন থেকে চারিত্রিক সনদপত্র নিতে হবে।

আনুষঙ্গিক তথ্য

১. ভিসা আবেদন ফর্মটি আরবিতে টাইপ করতে হবে এবং পাসপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সকল তথ্য পূরণ করতে হবে।

২. আবেদন ফরম ও সাথে দেওয়া প্রতিটি কাগজ অবশ্যই স্পষ্ট ও ক্লিয়ার হতে হবে।

৩. যাদের জন্য আবেদন করা হবে তাদের সকলকে বাংলাদেশে অবস্থিত ঢাকা বা সিলেটের কাতার ভিসা সেন্টারে মেডিকেল পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হবে।

৪. আপনার দেওয়া তথ্যগুলি কাতারের ভিসা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করার পর ভিসা এপ্রুভালের অনুমোদন প্রদান করবে।

৫. প্রতিটি আবেদনের জন্য ২০০ কাতার রিয়েল প্রদান করতে হবে।

৬. আবেদনকারীরা চাইলে মাতরাশ-২ অথবা হুকুমি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও আবেদন কর‍তে পারবেন।

ভিসা আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন: ভিসা আবেদন ফরম


এদিকে সাময়িক বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশিদের জন্য আবারও উন্মুক্ত হয়েছে কাতারের শ্রমবাজার। একই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করায় দুই দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রবাসীদের কাতারের আইন মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন কমিউনিটির নেতারা।

গত বছর জুলাইয়ে বাংলাদেশি প্রবাসীদের হাতে নেপালের দুই নাগরিক খুন হওয়ার পর কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেয় কাতার সরকার। এতে বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।

২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসবে কাতারে। এ উপলক্ষে দেশটিতে অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। এজন্য বিদেশি জনশক্তিকে কাজে লাগাতে চায় কাতার। এক্ষেত্রে, বিদেশি কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।


চার ‘ধনী’কে মহাকাশ ভ্রমণে পাঠাবে স্পেসএক্স
কথায় আছে, টাকা থাকলে বাঘের চোখও মেলে! এটা কতটুকু সত্যি তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, টাকা থাকলে যে অনেক অসাধ্যও সাধন করা যায় তা নিয়ে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়! এককালে মহাকাশ থেকে পৃথিবী দেখাও ছিল তেমনই এক অসাধ্য। অথচ আজ সেটি অবলীলায় করে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। যদিও সেগুলো চলছে মূলত গবেষণার কাজেই।

তবে সেদিন আর খুব বেশি দূরে নয়, যখন বিদেশ ভ্রমণের মতো মহাকাশ ভ্রমণও হয়ে উঠবে খুবই সাধারণ বিষয়। আজকাল টাকা থাকলেই মানুষ যখন ইচ্ছা তখন দেশ-বিদেশ ভ্রমণে যেতে পারে; কিছুদিন পরে সেভাবে মহাকাশ, গ্রহ-নক্ষত্র ভ্রমণে বের হবে। তবে এর জন্য যে অঢেল টাকা দরকার, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ বিষয়ক যোগাযোগ ও প্রস্তুতকারক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স শিগগিরই চার পর্যটককে পাঁচদিনের জন্য মহাকাশ ভ্রমণে নিয়ে যাবে। স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন মহাকাশযানে এসব পর্যটককে ঘোরানো হবে। আগামী মে মাসেই যাত্রীসহ ভ্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে দু’জন প্রশিক্ষিত নভোচারী নিয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে রওয়ানা দেবে ক্রু ড্রাগন।

পর্যটকসহ ভ্রমণে সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছে মহাকাশ ভ্রমণবিষয়ক প্রতিষ্ঠান স্পেস অ্যাডভেঞ্চার। ২০২১ সালের শেষের দিকে অথবা ২০২২ সালে এই যাত্রা শুরু হতে পারে। সাতজন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মহাকাশ যানটি ফ্লোরিডার কেপ কার্নিভাল থেকে উড্ডয়ন করবে।

এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত জানাতে রাজি হয়নি স্পেসএক্স। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, চার পর্যটক নির্বাচিত হয়ে গেলেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে।

স্পেস অ্যাডভেঞ্চারের ওয়েবসাইট বর্তমানে বন্ধ। তবে গত জুন মাসের আর্কাইভ তথ্য থেকে জানা যায়, তাদের লক্ষ্য যত বেশি সম্ভব মানুষকে মহাকাশে বসবাস, পৃথিবীর চারপাশে ঘোরা অথবা পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেয়া। আগামী ১০ বছরের মধ্যেই একাধিক গন্তব্যে পর্যটকদের ইচ্ছামতো মহাকাশ ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

তবে এর জন্য অবশ্যই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে ভ্রমণকারীদের। স্পেস ডটকম জানিয়েছে, স্পেস অ্যাডভেঞ্চারের ট্রিপে অংশ নিতে একেকজনের কয়েক কোটি ডলার খরচ হতে পারে।

মার্কিন ব্যান্ডদল এনএসওয়াইএনসি’র গায়ক ল্যান্স ব্যাস স্পেস অ্যাডভেঞ্চারের ট্রিপের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে সেই ট্রিপ বাতিল করা হয়।


এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক ৫২ লাখ, জমা ৭ হাজার কোটি টাকা
দেশের সুবিধা বঞ্চিত প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে চালু হয় এজেন্ট ব্যাংকিং। এ সেবার মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী সহজেই ব্যাংকে টাকা জমা ও উত্তোলন করতে পারছেন। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থও সহজে পৌঁছে যাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। ঋণও পাচ্ছেন অনেকে। এতে গ্রামগঞ্জে বাড়ছে ব্যাংকিং সেবা। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এজেন্ট ব্যাংকিং।

এমন অবস্থায় দেশে কার্যক্রম শুরুর মাত্র ৬ বছরেই এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার গ্রাহক তৈরি হয়েছে ৫২ লাখেরও বেশি। এসব গ্রাহক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় জমা করেছেন ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত। বাংলাদেশ ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং বিষয়ে হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, বিশ্বের প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয় ব্রাজিলে। আর বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয় ২০১৪ সালে। এর আগে ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংক এশিয়া পাইলট প্রকল্প হিসাবে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্স পেয়েছে। এর মধ্যে ২১টি ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যে ১৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে সেগুলো হলো- ডাচ্-বাংলা, ব্যাংক এশিয়া, আল-আরাফাহ্ ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, মধুমতি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, এনআরবি কমার্শিয়াল, স্ট্যান্ডার্ড, অগ্রণী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, মিডল্যান্ড, দি সিটি, ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল, এবি ব্যাংক, এনআরবি, ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও মাকেন্টাইল ব্যাংক।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৬ জন গ্রাহক হিসাব খুলেছেন। এসব হিসাবে জমাকৃত অর্থের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫১৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। বছরের ব্যবধানে গ্রহক বেড়েছে ১১৪.৪৩ শতাংশ এবং আমানত বেড়েছে ১৪১.৫২ শতাংশ। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে গ্রাহক ছিল ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮২ জন এবং জমাকৃত অর্থের স্থিতি ছিল ৩ হাজার ১১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

ডিসেম্বর শেষে এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৫৬টি এবং আউটলেট সংখ্যা ১১ হাজার ৩২০টি। এ সময় পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৪৪৬ কোটি টাকা। আলোচিত সময়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ হাজার ৫৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, গ্রামীণ সুবিধা বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে এজেন্ট ব্যাংকিং চালুর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ও ব্যয় সাশ্রয়ী এ সেবায় গ্রহক এজেন্ট আউটলেটে সহজেই তার বায়োমেট্রিক বা হাতের আঙুলের স্পর্শে হিসাব পরিচালনা করতে পারেন। ফলে কম খরচে সহজে ব্যাংকিং সেবা পাওয়ায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ব্যাংকগুলোও এ সেবা প্রদানে আশানুরূপ আগ্রহ দেখাচ্ছে। সঠিকভাবে পরিচালনা করলে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে আগামীতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে ব্যাংকিংসেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে এমন ব্যক্তি এজেন্টশিপ নিতে পারেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হয় ন্যূনতম এইচএসসি বা সমমান পাস। এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে প্রত্যেক এজেন্টের একটি চলতি হিসাব থাকতে হয়। এ সেবার মাধ্যমে ছোট অঙ্কের অর্থ জমা ও উত্তোলন করা যায়।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স স্থানীয় মুদ্রায় বিতরণ, ছোট অঙ্কের ঋণ বিতরণ ও আদায় এবং এককালীন জমার কাজও করতে পারবেন। উপযোগ সেবা বিল পরিশোধের পাশাপাশি সরকারের অধীনে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অর্থ প্রদান করতে পারছেন এজেন্টরা। এছাড়া নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব খোলা, ঋণ আবেদন, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নথিপত্র সংগ্রহ করতে পারছেন এসব এজেন্ট।

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হিসাব খোলা, টাকা জমা ও উত্তোলন, টাকা স্থানান্তর (দেশের ভেতর), রেমিট্যান্স উত্তোলন, বিভিন্ন মেয়াদি আমানত প্রকল্প চালু, ইউটিলিটি সার্ভিসের বিল পরিশোধ, বিভিন্ন প্রকার ঋণ উত্তোলন ও পরিশোধ এবং সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সরকারি সকল প্রকার ভর্তুকি গ্রহণ করা যায়।

তবে এজেন্টরা কোনো চেক বই বা ব্যাংক কার্ড ইস্যু করতে পারে না। এছাড়া এজেন্টরা বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত কোনো লেনদেনও করতে পারেন না। এজেন্টদের কাছ থেকে কোনো চেকও ভাঙানো যায় না। মোট লেনদেনের ওপর পাওয়া কমিশন থেকেই এজেন্টরা আয় করেন।

মেয়র পদে লড়তে চান বিএনপির পাঁচজন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র পদে দলের মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করেছে বিএনপি। মনোনয়ন ফরম বিতরণের প্রথম দিনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পাঁচ নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ পর্যন্ত মেয়র পদে ফরম সংগ্রহকারীরা হলেন- মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মাদ খান, সহ-সভাপতি সৈয়দ আজম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. এরশাদ উল্লাহ।

বেলাল আহমেদ জানান, মনোনয়নপত্র বিতরণের প্রথমদিন আজ পাঁচজন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। বুধবারও মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে হবে। এরপর সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মেয়রপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হবে। সাক্ষাৎকার ও মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাইয়ের পর স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে একজনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে।

এদিকে নগর বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক ইদ্রিস আলী জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৪৩টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য দলের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের ৬ নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা কাউন্সিলর প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে হস্তান্তর করবেন। আগ্রহীরা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা হলেন- বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, এস এম সাইফুল ও মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। শতভাগ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি। যাচাই-বাছাই ১ মার্চ। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৮ মার্চ। প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ হবে ৯ মার্চ।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget