Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

বহু রোগের চিকিৎসায় উলটকম্বল

 তারিফুল ইসলাম , ফিচার লেখক : প্রাকৃতিকভাবেই চারপাশে অনেক দরকারি উদ্ভিদ জন্মে। তবে সবকিছু আমাদের চেনা-জানা হয় না। পথে চলতে গিয়ে অজানা কত উদ্ভিদের ফুল দেখে আমরা মুগ্ধ হই। কেননা প্রাণ ও প্রকৃতি আমাদের জীবন ধারনে দরকারি, যা আমাদের শরীরে ওষুধ হিসেবে কাজে লাগে। তেমনি ভেষজ গুণে অনন্য এক উদ্ভিদ উলটকম্বল।
উলটকম্বল দেশে জন্মানো ভেষজ উদ্ভিদের মধ্যে অন্যতম। যার ইংরেজি নাম ডেভিলস কটন। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকায় উলটকম্বল গাছের বিস্তৃতি রয়েছে। এ ছাড়া এশিয়ার প্রধান অঞ্চল এর আদি নিবাস। বাংলাদেশের সব জায়গাতেই উলটকম্বল গাছ দেখা যায়। ২-৩ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট গুল্মজাতীয় চিরহরিৎ গাছ এটি।
এ গাছের শাখার গোড়ার পাতা হৃৎপিণ্ডের মতো দেখায়, তবে পাতার সামনের দিকটা সরু, উজ্জ্বল সবুজ রঙের। পাতার বোঁটা ও কচি ডাল খয়েরি লাল, ডগার পাতাগুলো লম্বা আকৃতির। গাছের বাকল শক্ত আঁশযুক্ত, পানিতে ভেজালেও নষ্ট হয় না। নির্দিষ্ট বয়সে এ গাছে ফুল ফোটে। ফুলের রং খয়েরি। পাপড়ি পাঁচটি, গাছের কচি শাখায় ফুল ফোটে। ফুল দেখতে বেশ মনোরম।
 

বহু রোগের চিকিৎসায় উলটকম্বল
গ্রীষ্ম থেকে ফুল ফোটা শুরু হয়ে শরৎকাল পর্যন্ত ফুল ফোটে এবং শীতকালেও গাছে ফুল দেখা যায়। ফুল শেষে গাছে ফল হয়। ফল পঞ্চকোণাকৃতির, প্রথমে সবুজ রং এবং পরে পরিপক্ব ফল কালো রং ধারণ করে। পরিপক্ব ফল ফেটে যায়। ফলের ভেতর কম্বলের মতো লোমশ অংশ থাকে। ফল পাঁচটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত এবং এর ভেতর কালিজিরার মতো ছোট ছোট বীজ থাকে।
সাধারণত সব ধরনের সুনিষ্কাশিত মাটিতে উলটকম্বল গাছ জন্মে। তবে দো-আঁশ মাটি হলে ভালো। এ গাছ ছায়া সহ্য করতে পারে। পাহাড়ি বনাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রাম, শহর, বিভিন্ন পারিবারিক বাগান, রাস্তার ধার, ভেষজ বাগানে উলটকম্বল গাছ রোপণ করতে দেখা যায়।
উলটকম্বল গাছের পাতা, ডাল, মূল, বাকল বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। গাছের বাকল ও ডাঁটা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে আঠালো পদার্থ বের হয় যা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। পাতার ডাঁটা প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া উপশম, আমাশয় রোগের জন্য উপকারী। পাতা ও কাণ্ডের রস গনোরিয়া, ফোঁড়া ও স্ত্রী রোগে উপকারী। গবাদিপশুর পাতলা পায়খানা, বিলম্ব প্রজনন এবং হাঁস-মুরগির বিভিন্ন চিকিৎসায় উলটকম্বলের ব্যবহার রয়েছে।

নওগাঁর সাপাহারে ফুটবল টূর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার  অনুষ্ঠিানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি

নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফুটবল টূর্নামেন্টের ফায়নাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফায়নাল খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের মাঝে ক্রেষ্ট তুলে দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি।
উপজেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে শুক্রবার বেলা ১১টায় টূর্নামেন্টে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কল্যাণ চৌধুরী। এ সময় সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম শাহ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, নার্গিস সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহরাব হোসেন, সমাজসেবক নূরুল হক মাষ্টার, আব্দুল বারী শাহ চৌধুরী (বাবু চৌধুরী), খাদ্যমন্ত্রীর ছোট মেয়ে তৃণা মজুমদার প্রমুখ। এ সময় সেখানে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের অফিসার, সূধীজন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এরপর খাদ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীর আওতায় ১০০২ জনের মাঝে বিভিন্ন ভাতার বই বিতরণ করেন।

নওগাঁর রাণীনগরে উপ-নির্বাচনে বেসরকারি ভাবে ইদ্রিস নির্বাচিত
নওগাঁ প্রতিনিধি: সারা দেশের সঙ্গে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলাতেও সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ২নং কাশিমপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে জেলায় ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) মেশিনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এই নির্বাচনে মো: ইদ্রিস আলীকে বেসরকারি ভাবে জয়ী ঘোষনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইভিএম (ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিনে) মেশিনে এই ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২নং কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলাম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের ২০তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।ওই তারিখে ওই ওয়ার্ডকে শূন্য ঘোষনা করা হয়। পরবর্তিতে এই ওয়ার্ডে ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই ওয়ার্ডের মো: ইদ্রিস আলী (তালা মার্কা), রাজ্জাক প্রামাণিক (মোরগ মার্কা) ও মো: খলিল প্রাং (ফুটবল মার্কা) এই ৩জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধ চালিয়ে যান। বৃহস্পতিবার উপ-নির্বাচনে মো: ইদ্রিস আলী তালা মার্কা প্রতিক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪শত ৭৭টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাজ্জাক প্রামাণিক মোরগ মার্কা প্রতিক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪শত৪৬টি ও মো: খলিল প্রামানিক ফুটবল মার্কা প্রতিক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ১শত ৪৩টি। তাই এই ওয়ার্ডে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়েছে ইদ্রিস আলীকে। এই ওয়ার্ডের মোট ভোটার ১হাজার ৫শত ৫৭জন।বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন।

উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: রুহুল আমীন জানান, সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) মেশিনের মাধ্যমে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মো: ইদ্রিস আলী ৩১ ভোট বেশি পাওয়ায় বেসরকারি ভাবে তাকে নির্বাচিত ঘোষনা করা হয়েছে।

নির্বাহী কর্মকর্তার তৎপরতায় পাল্টে যাচ্ছে আত্রাইয়ের দৃশ্যপট

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ছানাউল ইসলামের দক্ষতায় প্রতিনিয়ত পাল্টে যাচ্ছে শষ্য ভান্ডার খ্যাত আত্রাই উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের চিত্র। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে আত্রাই উপজেলা পরিষদকে নতুন ভাবে ঢেলে সাজিয়েছেন বর্তমান এই কর্মকর্তা। অবকাঠামো উন্নয়নসহ সার্বিক কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা। জনসেবার মানও বেড়েছে। প্রশাসনিক কাঠামো হয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী।

জনপ্রতিনিধিদের কর্মকান্ডে বেড়েছে স্বচ্ছতা, গতিশীলতা ও জবাবদিহিতা। দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বেড়াজাল ছিন্ন করে উপজেলা পরিষদকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

মো. ছানাউল ইসলাম ৩০তম ব্যাচের বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি এর পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোজেক্টে অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও সুনামের সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করেছেন। তার জন্ম জয়পুরহাট জেলায়। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক সন্তানের জনক।

তার আন্তরিক নেতৃত্বে আত্রাই উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিয়মিত পরিস্কার-পরিছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। উপজেলা পরিষদের গাছে যে ব্যানার পোস্টার ছিলো তা সরিয়ে আলাদা স্থানে লাগানের জায়গা করা হয়েছে। উপজেলার সকল অফিসের সেবার ব্যাপারে একটি “সেন্টাল হেল্প ডেস্ক” স্থাপন করেছেন তিনি। যার মাধ্যমে একই স্থান থেকে সকল কিছুর পরামর্শ পাচ্ছে উপজেলাবাসী।

এছাড়া, সেবা প্রার্থীদের বসার সুন্দর ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও টয়লেট সুবিধা নিশ্চিত করেছেন এই ইউএনও। তিনি কৃষি জরিপকর্মীদের দিয়ে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল ফোন নম্বর সম্বলিত স্টিকার দরজায় টাঙ্গিয়ে একটি ব্যতিক্রমী কাজ করেছেন। উপজেলা পরিষদ চত্বর ও নিজ অফিসের প্রত্যেকটি ডেস্ক ও সহকারী কমিশনারের কার্যালয় (ভূমি) সিসি ক্যামেরার আওতায় এনে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকেছেন উপজেলা পরিষদকে।

উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবনের সামনে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ও গাড়ি পার্কিং এর কাজ এগিয়ে চলছে। তিনি কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে “বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার” এবং মানবতার দেয়াল স্থাপনে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। পরিষদ চত্বরের পতিত জায়গায় বিভিন্ন বৃক্ষ, ফুল, ফল ও সবজি চাষ করা হচ্ছে। আত্রাই উপজেলার সকল অফিসের লে-আউট সম্বলিত সাইনবোর্ড টাঙ্গানো, সৌন্দর্য বর্ধনসহ এক কথায় উপজেলার আমুল পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ছানাউল ইসলাম।

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য এবং উপজেলার উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য তিনি “আইসিটি ডেভেলপমেন্ট ফোরাম”, “সোসাল ইনোভেশন টিম”সহ বিভিন্ন প্লাটফরম তৈরী করেছেন যার মাধ্যমে সরকারের নির্বাচনী অঙ্গিকার তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে উপজেলাবাসীর বিশ্বাস।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও উপজেলা কর্মকর্তা-কর্মচারী সূত্রে জানা গেছে, তার সততা ও নিষ্ঠার কারণে আত্রাই উপজেলা পরিষদে আজ প্রাণ ফিরে পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপ আত্রাই উপজেলা প্রশাসন অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে। ফলশ্রুতিতে তার দক্ষতা ও যোগ্যতা সবার নজর কেড়েছে। সভ্য সমাজ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের ধূমপান, মাদকমুক্ত, যৌতুক, বাল্যবিয়েসহ যৌন হয়রানি রোধে সাফল্যের সঙ্গে বাস্তবায়ন ও দায়িত্ব তদারকি করে থাকেন তিনি। তার উদ্যোগেই নওগাঁর ১১টি উপজেলার মধ্যে সর্বপ্রথম আত্রাই উপজেলা বাল্যবিবাহ মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করতে যাচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি শতাধিক বাল্যবিবাহ বন্ধ করছেন।

তিনি নিজেই উপস্থিত থেকে বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছেন। এর মধ্য দিয়ে বর্তমানে অনেকাংশই আত্রাই উপজেলায় মাদক নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ উপজেলায় ১শ টি দরিদ্র পরিবারই ঘর বরাদ্দ পেয়েছে। জমি আছে, ঘর নেই- এমন মানুষকে ঘর তৈরি করে দেওয়ার প্রকল্প ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভিজিডি কার্ডের তালিকা প্রণয়নের কাজে সততার সঙ্গে করে সবার মন জয় করেছেন।

এছাড়াও, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, মোবাইল ফোন, ই-মেইলের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন সমস্যার সমাধানসহ উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের সরেজমিনে পরিদর্শন কওে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় কৃষক, শ্রমিক, জেলে, শিক্ষক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ সকল স্তরের মানুষের কাছে জনপ্রিয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হয়ে উঠেছেন।

এই উপজেলায় জনসেবার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি ২০১৮ সালের মাঝামঝির দিকে আত্রাই উপজেলায় যোগদানের পর উপজেলা পরিষদের দুর্বল প্রশাসনকে একেবারেই চাঙ্গা করে তোলেন। যেখানে এসে মানুষ হয়রানির বদলে দ্রুত কাজ সমাধান করতে পারছেন। ইউএনও'র কঠোর তৎপরতার মুখে এখানকার অফিসগুলোতে যেমন জনসেবার মান বেড়েছে তেমনি তাদের নানা কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, ইউএনও স্যার সরকারি আইনের বাইরে কোন কাজ করেন না। তারন প্রচেষ্টায় আজ উপজেলা পরিষদ একটি মডেল উপজেলায় রূপ নিয়েছে। তিনি সরকারি নীতিমালার আলোকে জনকল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

আত্রাই প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নাজমুল হক নাহিদ জানান, সরকারি দায়িত্বের বাইরেও বর্তমান ইউএনও মহোদয় বিভিন্ন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তার অফিসে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ নির্ভয়ে যাতায়াত করে সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন যা অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জনবান্ধব প্রশাসনের উৎকৃষ্ট উদাহরণ বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ছানাউল ইসলাম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছানাউল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে দরিদ্র মানুষকে ঘর করে দিচ্ছেন। তার মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করাই আমার প্রধান কাজ। আমি নিজেকে জনগণের সেবক মনে করি। আমার দপ্তর মানুষের সেবায় নিয়োজিত সব সময়। আমি হয়তো একদিন থাকব না, মানুষ আমার ভালো কাজটাকে সারা জীবন মনে রাখবে এবং ভালো কাজ করার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পাবেন। তিনি রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

নওগাঁয় যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এ্যাড: খোদাদাদ খান পিটু সভাপতি ও বিমান রায় সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় এ্যাড: খোদাদাদ খান পিটু সভাপতি বিমান কুমার রায় ভোটে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ্যাড: জাহাঙ্গীর কবির নানক। বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্মেলন উদ্ধোধন করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধূরী, সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হারুন অর রশীদ।
জেলা যুবলীগের আহবায়ক এ্যাড: খোদাদাদ খান পিটু সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু, শহিদুজ্জামান সরকার এমপি, ব্যারিষ্টার নিজামুদ্দিন জলিল জন এমপি, ছলিম উদ্দিন তরফদার এমপি, নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি আব্দুল মালেক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহিদ সেরনিয়াবাত ও মুজিব চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আহম্মেদ নাসিম পাভেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আহমেদ নাসিম পাভেলসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। প্রথম অধিবেশনে জেলা যুবলীগের কমিটি ভেঙ্গে দেন। দ্বিতীয় অধিবেশন সন্ধ্যা ৬টায় সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শুরু হয়। শুরুতে সভাপতি পদে দুজন প্রার্থী ছিলেন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম রফিক ও সাবেক আহবায়ক এ্যাড: খোদাদাদ খান পিটু। আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম রফিক তার সভাপতি পদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় এ্যাড: খোদাদাদ খান পিটু সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারন সম্পাদক পদে ৬জন প্রার্থী। তারা হলেন, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুছ, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক তাজুল ইসলাম তোতা ও বিমান কুমার রায়, যুবলীগ নেতা রাজেশ মুজুমদার, ডিএম আতা ও স্বাধীন। উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ৩৫২জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা বিমান কুমার রায়কে ৯২ ভোটে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার ফলাফল ঘোষনা করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন তাজুল ইসলাম তোতা। ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ট প্রার্থী বিমান কুমার রায়।

গুজব সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে

ডেস্ক নিউজ: অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি। তিনি বলেছেন, 'গুজবের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টা চলছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে।'
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল কাশেম স্মরণে এক শোকসভায় জাসদের সভাপতি এসব কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ১৪ দলীয় জোটের ঐক্যের কারণে বিএনপি-জামায়াতের অপশাসন থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছে। জোটে ঐক্য ও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার কারণে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, মতিউর রহমান নিজামীর মতো যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারও করা গেছে স্বাধীনতা সপক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকায়। তাই এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসদের সভাপতি বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আকতার ও সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল। বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, চাকসুর সাবেক জিএস গোলাম জিলানী চৌধুরী প্রমুখ।

বেনাপোলে কক্সবাজার আসনের সাবেক এমপি বদির ভাইপো আটক

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি:
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ একাধিক মামলার আসামি শাহজাহান মিয়া(৩২)নামে এক পাসপোর্ট যাত্রীকে ভারত যাওয়ার সময় আটক করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫/০৭/১৯)তারিখ বিকাল ৫ টার সময় তাকে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

আটক শাহজাহান কক্সবাজার জেলার টেকানাফ থানার লেংদু গ্রামের জাফর আহমেদের ছেলে এবং সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ভাইপো।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের সেকেন্ড অফিসার খায়রুল ইসলাম বলেন, তার নামে অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিদেশ যাওয়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সে বেনাপোল ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম কক্সবাজার আসনের সাবেক এমপি’র বদির ভাইয়ের ছেলে শাহজাহানের আটকের বিষয়টি আমাদের প্রতিনিধি রাসেল ইসলামকে নিশ্চিত করেছেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget