নওগাাঁ রাণীনগরে অর্থাভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি মাফিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা চালানো নিয়ে আতংকিত পরিবার
আব্দুর রউফ রিপন, রাণীনগর (নওগাঁ) : আমাদের সমাজে কত মেধাবী মানুষ আছে ক’জনার কথা আমরা জানতে পারি। যারা উদ্যোমী ও পরিশ্রমী কোন বাধা-বিপত্তিই তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না। তারই এক অনন্য দৃষ্টান্তর প্রতিবন্ধি মেয়ে মাফিয়া। প্রথমত সে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি, দ্বিতীয়ত নারী। আরেকটি বড় সমস্যা তার জন্ম হত দরিদ্র এক ভ্যান চালকের পরিবারে।
মাফিয়ার জন্ম নওগাঁর জেলার রাণীনগর উপজেলার খট্টেশ্বর গ্রামে এক হতদরিদ্র ভ্যান চালক আমজাদ হোসেনের পরিবারে। মাফিয়ার পরিবারে দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাফিয়াই বড়। লেখাপড়া শেষ করে চাকুরী করে নিজে স্বালম্বি হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের সেবা করতে চায় মাফিয়া। অপরদিকে তার পরিবারের স্বপ্ন তার মেয়ে উচ্চ পড়ালেখা শেষ করে একটি বড় চাকরী করবে। আদৌ কি ভ্যান চালক পরিবারের এই স্বপ্ন পূরন হবে? প্রতিবন্ধী মাফিয়া কি তার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষ করে সমাজে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে?
কিন্তু এতো সব প্রতিবন্ধকতার পরও সে পড়ালেখায় সফল হয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্তর স্থাপন করেছে সমাজে। পড়া লেখায় ভাল ফলাফল করে এবার সে ভর্তি হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু অর্থের অভাবে আগামীতে পড়াশুনা চালাতে পারবে কিনা তাই নিয়ে আতংকিত মাফিয়া ও তার ভ্যান চালক পরিবার। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন কি মাফিয়ার পূরণ হবে না ? সে আর দশজন মানুষের মতো সমাজে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে না? আর মাফিয়ার এই স্বপ্ন পূরন হওয়ার জন্য প্রয়োজন সমাজের বিত্তবান থেকে শুরু করে সকলে সার্বিক সহযোগিতা। অদম্য মেধাবী মাফিয়া খাতুনের এই সাফল্যের গল্প এখন সবার মুখে মুখে।
পারিবারিক সূত্রে জানা, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধি অদম্য মেধাবী মাফিয়া। তাই অন্যের সাহায্য নিয়ে চলতে হয় তাকে। কিন্তু শিশুকাল থেকেই শিক্ষা জীবনে কখনও হার মানেনি মাফিয়া। মা আর বাবার প্রেরণায় ও অক্লান্ত সহযোগিতায় শত বাধা আর বিপত্তিকে পেছনে ফেলে সে এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ে আইন বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। এর ওর কাছ থেকে পাওয়া অর্থ, নিজের প্রতিবিন্ধ ভাতা আর ভ্যান চালক বাবার ঘাম ঝড়ানো অর্থ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলেও বর্তমানে সেখানে থেকে পড়ালেখা চালানো নিয়ে সঙ্কায় রয়েছে মাফিয়া ও তার গরীব পরিবার। জন্ম থেকেই আর্থিক অনটন আজোও মাফিয়ার পিছু ছাড়েনি। তবুও মাফিয়া আরো সামনে এগিয়ে যেতে চায় আর এর জন্য প্রয়োজন সবার সার্বিক সহযোগিতা।
কিন্তু এতো সব প্রতিবন্ধকতার পরও সে পড়ালেখায় সফল হয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্তর স্থাপন করেছে সমাজে। পড়া লেখায় ভাল ফলাফল করে এবার সে ভর্তি হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু অর্থের অভাবে আগামীতে পড়াশুনা চালাতে পারবে কিনা তাই নিয়ে আতংকিত মাফিয়া ও তার ভ্যান চালক পরিবার। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন কি মাফিয়ার পূরণ হবে না ? সে আর দশজন মানুষের মতো সমাজে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে না? আর মাফিয়ার এই স্বপ্ন পূরন হওয়ার জন্য প্রয়োজন সমাজের বিত্তবান থেকে শুরু করে সকলে সার্বিক সহযোগিতা। অদম্য মেধাবী মাফিয়া খাতুনের এই সাফল্যের গল্প এখন সবার মুখে মুখে।
পারিবারিক সূত্রে জানা, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধি অদম্য মেধাবী মাফিয়া। তাই অন্যের সাহায্য নিয়ে চলতে হয় তাকে। কিন্তু শিশুকাল থেকেই শিক্ষা জীবনে কখনও হার মানেনি মাফিয়া। মা আর বাবার প্রেরণায় ও অক্লান্ত সহযোগিতায় শত বাধা আর বিপত্তিকে পেছনে ফেলে সে এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ে আইন বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। এর ওর কাছ থেকে পাওয়া অর্থ, নিজের প্রতিবিন্ধ ভাতা আর ভ্যান চালক বাবার ঘাম ঝড়ানো অর্থ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলেও বর্তমানে সেখানে থেকে পড়ালেখা চালানো নিয়ে সঙ্কায় রয়েছে মাফিয়া ও তার গরীব পরিবার। জন্ম থেকেই আর্থিক অনটন আজোও মাফিয়ার পিছু ছাড়েনি। তবুও মাফিয়া আরো সামনে এগিয়ে যেতে চায় আর এর জন্য প্রয়োজন সবার সার্বিক সহযোগিতা।
প্রতিবন্ধী মাফিয়া খাতুন বলেন সীমাহীন দু:খ আর কষ্ট আমাকে আলাদা করতে পারেনি শিক্ষা জীবন থেকে। প্রাথমিক থেকে সিঁড়ি বেয়ে এবার পা রেখেছি উচ্চ শিক্ষার গন্ডিতে। অর্নাসে ভর্তি হয়েছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। কিন্তু আমি জানি না আগামী দিনগুলো আমার কিভাবে যাবে? পরিবারে রয়েছে আরো ক’জন ভাই-বোন। ভ্যান চালক বাবা তাদের চালাবে না আমাকে পড়ালেখার খরচ দিবে। মা আর কত দিন আমার জন্য মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করবে। তাই আমি সমাজের বিত্তবান মানুষদের সহযোগিতা কামনা করছি আমাকে হাত ধরে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
প্রতিবেশি আবুল কালাম বলেন, মাফিয়া অত্যন্ত মেধাবী ও দুর্গম মনের মেয়ে। সহজে সে ভেঙ্গে পড়ে না। তা আমরা দেখে আসছি। অনেক যুদ্ধ করে মাফিয়ার বাবা-মা তাকে পড়ালেখা করিয়ে আসছে। আমরাও যতটুকু পারি মাফিয়াকে সহযোগিতা করে আসছি। তবে দেশে বিত্তবানদেন এধরনের মানুষের জন্য বড় ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।
প্রতিবেশি আবুল কালাম বলেন, মাফিয়া অত্যন্ত মেধাবী ও দুর্গম মনের মেয়ে। সহজে সে ভেঙ্গে পড়ে না। তা আমরা দেখে আসছি। অনেক যুদ্ধ করে মাফিয়ার বাবা-মা তাকে পড়ালেখা করিয়ে আসছে। আমরাও যতটুকু পারি মাফিয়াকে সহযোগিতা করে আসছি। তবে দেশে বিত্তবানদেন এধরনের মানুষের জন্য বড় ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।
মাফিয়ার মা সামেনা বিবি বলেন, আমার এই প্রতিবন্ধি মেয়ের পড়ালেখার জন্য কত জায়গায় গিয়েছি। কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আবার কেউ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমি আমার মেয়ের পড়ালেখার জন্য, তার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য মানুষের বাড়িতে ও জমিতে কাজ করেছি। এতদিন অনেক কষ্ট করে মেয়েকে চালিয়ে নিয়েছি কিন্তু এখন আর পারছি না। আমি আমার মেয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য সমাজের সবার সহযোগিতা চাই। মাফিয়ার বাবা রিকশা ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। মেয়ের পড়া লেখার খরচ দিতে হিমসীম খাচ্ছেন মাফিয়ার বাবা।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমান বলেন মাফিয়ার ভর্তির সময় আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করেছি। কিন্তু আমাদের সবকিছুতেই সীমাবদ্ধা রয়েছে। তবে আগামীতে তার পড়া লেখার খরচ চালানোর জন্য দেশের বিত্তবানদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন তিনি। মাফিয়ার মা সামেনা বিবির মোবাইল নম্বর: ০১৭৭০৬৩৭৬৪৫