Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাাঁ রাণীনগরে অর্থাভাবে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি মাফিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা চালানো নিয়ে আতংকিত পরিবার
আব্দুর রউফ রিপন, রাণীনগর (নওগাঁ) : আমাদের সমাজে কত মেধাবী মানুষ আছে ক’জনার কথা আমরা জানতে পারি। যারা উদ্যোমী ও পরিশ্রমী কোন বাধা-বিপত্তিই তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না। তারই এক অনন্য দৃষ্টান্তর প্রতিবন্ধি মেয়ে মাফিয়া। প্রথমত সে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি, দ্বিতীয়ত নারী। আরেকটি বড় সমস্যা তার জন্ম হত দরিদ্র এক ভ্যান চালকের পরিবারে।
 
মাফিয়ার জন্ম নওগাঁর জেলার রাণীনগর উপজেলার খট্টেশ্বর গ্রামে এক হতদরিদ্র ভ্যান চালক আমজাদ হোসেনের পরিবারে। মাফিয়ার পরিবারে দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাফিয়াই বড়। লেখাপড়া শেষ করে চাকুরী করে নিজে স্বালম্বি হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের সেবা করতে চায় মাফিয়া। অপরদিকে তার পরিবারের স্বপ্ন তার মেয়ে উচ্চ পড়ালেখা শেষ করে একটি বড় চাকরী করবে। আদৌ কি ভ্যান চালক পরিবারের এই স্বপ্ন পূরন হবে? প্রতিবন্ধী মাফিয়া কি তার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা শেষ করে সমাজে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে?
কিন্তু এতো সব প্রতিবন্ধকতার পরও সে পড়ালেখায় সফল হয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্তর স্থাপন করেছে সমাজে। পড়া লেখায় ভাল ফলাফল করে এবার সে ভর্তি হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু অর্থের অভাবে আগামীতে পড়াশুনা চালাতে পারবে কিনা তাই নিয়ে আতংকিত মাফিয়া ও তার ভ্যান চালক পরিবার। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন কি মাফিয়ার পূরণ হবে না ? সে আর দশজন মানুষের মতো সমাজে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে না? আর মাফিয়ার এই স্বপ্ন পূরন হওয়ার জন্য প্রয়োজন সমাজের বিত্তবান থেকে শুরু করে সকলে সার্বিক সহযোগিতা। অদম্য মেধাবী মাফিয়া খাতুনের এই সাফল্যের গল্প এখন সবার মুখে মুখে।
পারিবারিক সূত্রে জানা, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধি অদম্য মেধাবী মাফিয়া। তাই অন্যের সাহায্য নিয়ে চলতে হয় তাকে। কিন্তু শিশুকাল থেকেই শিক্ষা জীবনে কখনও হার মানেনি মাফিয়া। মা আর বাবার প্রেরণায় ও অক্লান্ত সহযোগিতায় শত বাধা আর বিপত্তিকে পেছনে ফেলে সে এখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ে আইন বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। এর ওর কাছ থেকে পাওয়া অর্থ, নিজের প্রতিবিন্ধ ভাতা আর ভ্যান চালক বাবার ঘাম ঝড়ানো অর্থ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলেও বর্তমানে সেখানে থেকে পড়ালেখা চালানো নিয়ে সঙ্কায় রয়েছে মাফিয়া ও তার গরীব পরিবার। জন্ম থেকেই আর্থিক অনটন আজোও মাফিয়ার পিছু ছাড়েনি। তবুও মাফিয়া আরো সামনে এগিয়ে যেতে চায় আর এর জন্য প্রয়োজন সবার সার্বিক সহযোগিতা।
 
প্রতিবন্ধী মাফিয়া খাতুন বলেন সীমাহীন দু:খ আর কষ্ট আমাকে আলাদা করতে পারেনি শিক্ষা জীবন থেকে। প্রাথমিক থেকে সিঁড়ি বেয়ে এবার পা রেখেছি উচ্চ শিক্ষার গন্ডিতে। অর্নাসে ভর্তি হয়েছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। কিন্তু আমি জানি না আগামী দিনগুলো আমার কিভাবে যাবে? পরিবারে রয়েছে আরো ক’জন ভাই-বোন। ভ্যান চালক বাবা তাদের চালাবে না আমাকে পড়ালেখার খরচ দিবে। মা আর কত দিন আমার জন্য মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করবে। তাই আমি সমাজের বিত্তবান মানুষদের সহযোগিতা কামনা করছি আমাকে হাত ধরে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

প্রতিবেশি আবুল কালাম বলেন, মাফিয়া অত্যন্ত মেধাবী ও দুর্গম মনের মেয়ে। সহজে সে ভেঙ্গে পড়ে না। তা আমরা দেখে আসছি। অনেক যুদ্ধ করে মাফিয়ার বাবা-মা তাকে পড়ালেখা করিয়ে আসছে। আমরাও যতটুকু পারি মাফিয়াকে সহযোগিতা করে আসছি। তবে দেশে বিত্তবানদেন এধরনের মানুষের জন্য বড় ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।
 
মাফিয়ার মা সামেনা বিবি বলেন, আমার এই প্রতিবন্ধি মেয়ের পড়ালেখার জন্য কত জায়গায় গিয়েছি। কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আবার কেউ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমি আমার মেয়ের পড়ালেখার জন্য, তার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য মানুষের বাড়িতে ও জমিতে কাজ করেছি। এতদিন অনেক কষ্ট করে মেয়েকে চালিয়ে নিয়েছি কিন্তু এখন আর পারছি না। আমি আমার মেয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য সমাজের সবার সহযোগিতা চাই। মাফিয়ার বাবা রিকশা ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। মেয়ের পড়া লেখার খরচ দিতে হিমসীম খাচ্ছেন মাফিয়ার বাবা।
 
নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমান বলেন মাফিয়ার ভর্তির সময় আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করেছি। কিন্তু আমাদের সবকিছুতেই সীমাবদ্ধা রয়েছে। তবে আগামীতে তার পড়া লেখার খরচ চালানোর জন্য দেশের বিত্তবানদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন তিনি। মাফিয়ার মা সামেনা বিবির মোবাইল নম্বর: ০১৭৭০৬৩৭৬৪৫

নওগাঁয় ভ্যানে ফেরি করে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিচ্ছে আলোর ফেরিওয়ালারা
আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ: নওগাঁয় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে আলোর ফেরিওয়ালা কার্যক্রম। এক সময় এই জনপদের মানুষের কাছে বিদ্যুৎ মানে সোনার হরিণ হিসেবে গণ্য হতো। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে প্রত্যন্ত গ্রামের ঘরে ঘরে গিয়ে ভ্যানে ফেরি করে বিদ্যুৎ পৌছে দিচ্ছে আলোর ফেরিওয়ালারা। এই আলোর ফেরিওয়ালাদের কাছে আবেদন করার ৫-১০ মিনিটের মধ্যে মিটার সংযোগ দিয়ে আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সূত্রে জানা “শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে চলতি বছরের জানুয়ারী মাস থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ দুয়ার মিটারিং কার্যক্রম আলোর ফেরিওয়ালারা। বর্তমান সরকারের অঙ্গিকার ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া হবে। গ্রাম থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোন মানুষকে যেন আর অন্ধকারে থাকতে না হয় সেই লক্ষ বাস্তবায়ন করার জন্য দেশব্যাপী শুরু হয়েছে এই আলোর ফেরিওয়ালা কার্যক্রম। এই কার্যক্রমের আওতায় নওগাঁ জেলার ৪টি জোনাল অফিস থেকে ফেরি করে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ বিহীন ঘরের মানুষের কাছে। এখন আর কাউকে দালালদের মাধ্যমে এসে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই ফেরিওয়ালাদের কাছে এসে জামানত ও মিটারের খরচ দিলেই মুহুর্তের মধ্যে বাড়িতে পৌছে যাচ্ছে বিজলীর আলো বিদ্যুৎ। এতে করে অর্থের অপচয় ও দালালের হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা।

উপজেলার খাঁনপুকুর বাজারের চা বিক্রেতা মোছা. রহিমা বেগম বলেন, আমার এই চায়ের দোকানে আগে টাকার অভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে পারিনি। যার কারণে রাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে চা বিক্রি করতাম। আর বিদ্যুৎ না থাকলে সন্ধ্যার পর তেমন কাস্টমাররা আসতো না। আমি আলোর ফেরিওয়ালার কাছ থেকে বিদ্যুৎ নিয়েছি। এরপর থেকে এখন অনেক টাকার চা বিক্রয় হয়। আমি আলোর ফেরিওয়ালার মাধ্যমে বিদ্যুৎ পেয়ে অনেক উপকৃত হয়েছি।

করজগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. জাহাঙ্গির আলম বলেন কিছুদিন আগেও গ্রামের মানুষরা একটি বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য দালালদের হাতে হাজার হাজার টাকা তুলে দিয়েছে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। ভ্যানে ফেরি করে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার এই কার্যক্রমের জন্য আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ এখন আর মানুষকে দালাল কিংবা অফিসে গিয়ে হয়রানী হতে হচ্ছে না। নিমিষের মধ্যেই পেয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। এতে করে আমরা অনেক উপকৃত হচ্ছি।

নওগাঁ পবিস-১ রাণীনগর জোনাল অফিসের এজিএম (ও এন্ড এম) সাইদী সবুজ খাঁন বলেন চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে আমাদের এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে রাণীনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্যান গাড়ি নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমরা প্রায় ৪শত বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করেছি। সরকারের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

যুগান্তরের সাংবাদিকের মুক্তি ও সাগর-রুনি হত্যার বিচারসহ দেশের সকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে দাবীতে নওগাঁয় সাংবাদিকদের মানববন্ধন
নওগাঁ প্রতিনিধি: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার যুগান্তরের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধির মুক্তি এবং সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার বিচারসহ দেশের সকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানীর প্রতিবাদে নওগাঁয় মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন নওগাঁর উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
এসময় সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি অ্যাড: শহীদ হাসান সিদ্দিকী স্বপনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারান সম্পাদক আজাদ হোসেন মুরাদ, বরেন্দ্র রেডিও’র সিনিয়র রিপোর্টার রিফাত হোসাইন সবুজ ও যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলীসহ প্রমূখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক এবাদুলক হক, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল নয়ন, কোষাধ্যক্ষ ইয়াছিন আলী, সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম মিন্টু, রুবেল, ইউসুফ আলী সুমন সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। মানববন্ধনে নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের সদস্য সচিব অনিন্দ্য তুহিন একাত্ব ঘোষণা করে অংশ নেন।

মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে যুগান্তরের সাংবাদিক আবু জাফরকে মুক্তি এবং সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবী করে তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সেই সাথে ৫৭ ধারার বিকল্প হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করার দাবী জানানো হয়।

যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে ৬ পিচ স্বর্ণের বার সহ আটক-১
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল গাতিপাড়া সীমান্ত থেকে ৬ পিচ স্বর্ণের বার সহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা।

রবিবার সন্ধ্যা ৭ টার সময় ২১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের দৌলতপুর ক্যাম্পের নায়েব সুুবেদার ওয়াহেদ গোপন সংবাদ পেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন গাতিপাড়া সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ কেজি ৪ শত ৭০ গ্রাম স্বর্ণের বার সহ মোঃ শামিম হোসেন(৩২) নামে এক পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয় বিজিবি। আটক শামিম হোসেন গাতিপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
সীমান্ত থেকে ৬ পিচ স্বর্ণের বার সহ আটক-১

২১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ইমরান উল্লাহ সরকার আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি মোঃ রাসেল ইসলামকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দৌলতপুর বিওপি’র টহল দল গাড়িপাড়া সানির আমবাগান থেকে ৬ পিচ স্বর্ণের বার সহ এক ভ্যান চালককে আটক করে। আটক স্বর্ণের আনুমানিক মুল্য এক কোটি তেতত্রিশ হাজার টাকা বলে তিনি জানান।

আটক স্বর্ণের বার সহ পাচারকারীকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হবে বলে তিনি আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি মোঃ রাসেল ইসলামকে নিশ্চিত করেন।

যশোরের শার্শায় গলায় ফাঁস দিয়ে যুবতীর আত্মহত্যা
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া রিয়া খাতুন(১৬) নামে এক যুবতী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার রাতে নিজ ঘরের মধ্যে ওই যুবতী এ আত্মহত্যা করে। নিহত রিয়া বাগআঁচড়া উত্তর পাড়া গ্রামের মালয়ে শিয়া প্রবাসী মিকাইল হোসেনের মেয়ে।

নিহতের প্রতিবেশীরা জানান, বাড়ির সকলের অজান্তে ঘরের মধ্যে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে রিয়া আত্মহত্যা করে। পরে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঘরের মধ্যে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়।

নিহতের বোন রিপা জানান, ১বছর ৪মাস আগে তার মা তাসলিমা খাতুন এর মৃত্যুর পর রিয়ার ব্রেইনডের  সমস্যা দেখা দেয়। তারপর ইন্ডিয়াতে যেয়ে চিকিৎসা দেওয়ার পর ভালো সুফল পাওয়া যায়নি। এটাই ছিল মৃত্যুর প্রধান কারন।

শার্শা থানা পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) আনোয়ার আজিম ও নিলয় বসু রিয়া খাতুন এর আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পিতার চিকিৎসা সাহায্যাথের্  প্রধানমন্ত্রী'র কাছে বয়াতী কন্যা তানহা'র আবেদন
পিতার চিকিৎসা সাহায্যাথের প্রধানমন্ত্রী'র কাছে বয়াতী কন্যা তানহা'র আবেদন
রিপোর্ট: ইমাম বিমান: সঙ্গীতের মাধ্যমে দিন বদলের প্রত্যয় ব্যক্ত করা সেই আলোড়ন সৃষ্টিকারী “ এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে, এই দিনেরই নিবা তোমরা সেই দিনেরই কাছে” গানের জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পী কুদ্দুস বয়াতী অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার বক্ষব্যাধী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পী কুদ্দুস বয়াতীর এ অবস্থায় তারই ছোট মেয়ের তানহা  তার বাবা কে বাচাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানাতে হৃদয় বিদারক কিছু কথা বলেন যা নিচে তুলে ধরা হলো।

আমি আপনাদের সবার প্রিয় শিল্পী কুদ্দুস বয়াতী'র ছোট মেয়ে তানহা,আমি আমার আব্বুকে হারাতে চাই না।  আপনারা জানেন অনেক দিন যাবত আমার আব্বু জাতীয় বক্ষব্যাধী হাসপাতালে চিকিৎসাদিন অবস্থায় আছে। খাদ্য নালি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুখে কোন খাবারই খেতে পারছেন না। এখন একমাত্র স্যালাইনই আব্বুর ভরসা । ডাঃ বলেছে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুব দ্রুত দেশের বাহিরে নিয়ে অস্ত্রপাচার করার জন্য। বাবার ফুসফুসের অবস্থা ভিষন খারাপ হয়ে গেছে। তাই আমার আব্বুকে বাঁচাতে হলে ৩০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। যা আমাদের সাধ্যের বাহিরে। তাই মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী'র কাছে আমার আকুল আবেদন, আব্বুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সহায়তা করুন। আমি আমার আব্বুকে হারাতে চাই না।

এ বিষয় জীবন সাথী মানব কল্যান ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এস এম জীবন জানান, আমরা জেএসপি অনুসন্ধান টিভি ও আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পী কুদ্দুস বয়াতিকে হাসপাতালে দেখতে যাই। সেখানে গেলে শিল্পী কুদ্দুস বয়াতির সাথে আমাদের কথা হয়, তখন সে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী'র ছবি বুকে জড়িয়ে "জেএসপি অনুসন্ধান টীম" কে বলেন, আমি বাঁচতে চাই  আমাকে বাঁচান, আমি একুশে পদক চাইনা, আমি আমার মায়ের (প্রধান মন্ত্রীর) ভালোবাসা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে সুস্থ হয়ে সবার মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। তিনি আরো বলেন, আমার মা (প্রধানমন্ত্রী) আমার পরিবারের জন্য অনেক কিছু করেছেন, এখন যদি মা আমাকে ডাক্তারের পরামর্শ মতো বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দিতেন হয়তো আমি আরো কিছু দিন বেঁচে থাকতে পারতাম। অবশেষে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বর্তমানে তিনি ১২/১৩ (২য় তলা) চ-১২ জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকাতে ভর্তি আছেন,গত ২২ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে এস.এম জীবন ও সুমন ভট্টাচার্য(সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী)প্রিয় শিল্পীর সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন সেই সাথে তারা প্রিয় শিল্পীর চিকিৎসার সহযোগিতার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বলেন, কেউ যদি শিল্পী কুদ্দুস বয়াতির উন্নত চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসতে চান তাহলে তার সাথে ০১৭১৬৮২৯৩৯০ নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। কুদ্দুস বয়াতির হিসাব নাম্বার নিচে দেওয়া হলো। সোনালী ব্যাংক কল্যানপুর শাখা অ/ঈ: ১০০১৫২০৮৬,

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget