নওগাঁর মান্দা-৪ আসনে ১০ বছর পর মুখোমুখি দুই প্রামানিক
এম হারুন আল রশীদ হীরা, মান্দা(নওগাঁ): ৪৯-নওগাঁ-৪ মান্দা আসনে ১০ বছর পর আবারও মুখোমুখি লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মান্দা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হায়াত মুহাম্মদ সামসুল আলম প্রামানিক (ধানের শীষ)এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের প্রার্থী বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহা: ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক,এমপি (নৌকা)। ইসলামি আন্দোলনের শহিদুল আলম, জাতীয়পার্টি (এরশাদ) অ্যাডভোকোট ড.এনামূল হক, জাতীয় পার্টি (জেপি) সাইদুর রহমান বকুল, এবং বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পাটি (সিপিবি) ডা. (অব.) এসএম ফজলুর রহমান প্রার্থী মাঠে সক্রিয় থাকলেও তাদের হিসেবে খাতায় রাখছেন না সাধারণ ভোটাররা। মান্দা উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন ভোটের লড়াই হবে মূলত: ধানের শীষ এবং নৌকা প্রতীকের মধ্যে। নেতাকর্মী-সমর্থকরা প্রার্থীদের পোষ্টার-ব্যানার-ফেস্টুনসমূহ গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট, খেলার মাঠ, গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে, চা-ষ্টলে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানগুলোতে ছেয়ে গেছে। চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা। প্রাার্থীরা দিন রাত ঘুম হারাম করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে কাজ করে চলেছেন। ভোটারদের কাছে তুলে ধরছেন নানা রকম উন্নয়নের ফিরিস্তি, দিচ্ছেন সেতু, কালভার্ট, রাস্তাা-ঘাট নির্মানের নান প্রতিশ্রুতি এবং সেই সাথে অঙ্গীকার। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শেষ সময়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রাার্থীরা ভোট ভিক্ষা করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলেছেন, ঘুরছেন অবিরাম গতিতে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ও মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস গুলো সন্ধ্যার পর চা-মুড়ি, বিস্কুট খেতে খেতে জমজমাট হয়ে যাচ্ছে। তবে প্রচার-প্রচারনায় তুলনামূলকভাবে বিএনপির থেকে মাঠে অবস্থান আওয়ামী লীগের প্রার্থীর অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে নওগাঁ-৪ আসনে মোট ভোটার ৩,৩২,৯৭৮ জন। ইতিমধ্যে ভোটের সব প্রস্তুতির কাজ চলছে।
এ আসনে ১৯৭২ সালে প্রথম নির্বাচিত হন কালিগ্রাম দোডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আওয়ামীনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহা: ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পাটির একতরফা নির্বাচনে কফিল উদ্দিন সোনার। তবে ১৯৯০ এর ৬ ডিসেম্বরে এরশাদ সরকারের পতনের পর প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদের সময়ে ১৯৯১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন উপজেলার পারইল গ্রামের কৃতী সন্তান সাবেক নুরুর্যাবাদ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা নাছির উদ্দিন জিহাদী। এরপর আবুল হায়াত মুহাম্মদ সামসুল আলম প্রামানিক (ধানের শীষ) ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পরপর নির্বাচিত হন। মেয়াদ শেষে ২০০৬ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার পরবর্তীতে তত্বাবধায়ক সরকার-তথা সামরিক সরকার (মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন) ক্ষমতায় আসেন। ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র আবুল হায়াত মুহাম্মদ সামসুল আলম প্রামানিক (ধানের শীষ) প্রাার্থীকে পরাজিত করে ২য় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুহা: ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক (নৌকা)। পরে ২০১৪ সালের ৫ ই জানুয়ারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩য় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শেষ মূর্হুতে প্রচারণায় বাধা দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিএনপি’র কোন পোস্টার টানাতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী সামসুল আলম প্রামানিক ও বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা। ধানের শীষের প্রার্থী সামসুল আলম প্রামানিক দাবী করে বলেন, যদি সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়, মানুষ যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে পারেন, তবে তিনি ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী।
সাধারণ ভোটার সুশীল কুমার প্রামানিক বলেন, মান্দা উপজেলায় ১টি সরকারী কলেজ, ১টি সরকারী স্কুল ও কলেজ, শহীদ কামরুজ্জামান টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, এবং নিজ জেলায় ১টি মেডিকেল কলেজ পেয়েছি, আমরা উন্নয়নের ধারাবাকিতা দেখতে চাই, সেজন্য আগামীতে নৌকা মার্কায় আবারো ভোট দিতে চাই।
অপরদিকে প্রসাদপুর ইউনিয়নের মহিলা ভোটার সুলতানা বেগম বলেন, জীবনে প্রথম বার ভোট দিতে যাবো, তাই ভাল প্রার্থী ও পরিবর্তন দেখতে চাই এ বারের নির্বাচনে।
তবে এখনও সাধারণ ভোটাররা সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের (ভোটের) ব্যাপারে বেশ সন্ধিহান রয়েছেন, বলে তাদের অনেকের মুখে মুখে বলতে শোনা যাচ্ছে।
মান্দা থানার পরিদর্শক মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, মান্দা উপজেলায় নির্বাচনী পরিবেশ অনেক ভাল আছে, প্রার্থীরা সমানভাবে প্রচার-প্রচারনার সুযোগ পাচ্ছেন। এখন পযর্ন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার কোন খবর পাইনিবা ঘটেনি। তবে নির্বাচনে ১১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬টিসহ অধিকাংশ কেন্দ্রই ঝুকিপূর্ণ হলেও নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই পাড়ি দিতে আমরা সব সময় প্রস্তুত।
এ আসনে ১৯৭২ সালে প্রথম নির্বাচিত হন কালিগ্রাম দোডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আওয়ামীনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহা: ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পাটির একতরফা নির্বাচনে কফিল উদ্দিন সোনার। তবে ১৯৯০ এর ৬ ডিসেম্বরে এরশাদ সরকারের পতনের পর প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদের সময়ে ১৯৯১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন উপজেলার পারইল গ্রামের কৃতী সন্তান সাবেক নুরুর্যাবাদ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা নাছির উদ্দিন জিহাদী। এরপর আবুল হায়াত মুহাম্মদ সামসুল আলম প্রামানিক (ধানের শীষ) ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পরপর নির্বাচিত হন। মেয়াদ শেষে ২০০৬ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার পরবর্তীতে তত্বাবধায়ক সরকার-তথা সামরিক সরকার (মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন) ক্ষমতায় আসেন। ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র আবুল হায়াত মুহাম্মদ সামসুল আলম প্রামানিক (ধানের শীষ) প্রাার্থীকে পরাজিত করে ২য় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুহা: ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক (নৌকা)। পরে ২০১৪ সালের ৫ ই জানুয়ারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩য় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শেষ মূর্হুতে প্রচারণায় বাধা দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিএনপি’র কোন পোস্টার টানাতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী সামসুল আলম প্রামানিক ও বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা। ধানের শীষের প্রার্থী সামসুল আলম প্রামানিক দাবী করে বলেন, যদি সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়, মানুষ যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে পারেন, তবে তিনি ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী।
সাধারণ ভোটার সুশীল কুমার প্রামানিক বলেন, মান্দা উপজেলায় ১টি সরকারী কলেজ, ১টি সরকারী স্কুল ও কলেজ, শহীদ কামরুজ্জামান টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, এবং নিজ জেলায় ১টি মেডিকেল কলেজ পেয়েছি, আমরা উন্নয়নের ধারাবাকিতা দেখতে চাই, সেজন্য আগামীতে নৌকা মার্কায় আবারো ভোট দিতে চাই।
অপরদিকে প্রসাদপুর ইউনিয়নের মহিলা ভোটার সুলতানা বেগম বলেন, জীবনে প্রথম বার ভোট দিতে যাবো, তাই ভাল প্রার্থী ও পরিবর্তন দেখতে চাই এ বারের নির্বাচনে।
তবে এখনও সাধারণ ভোটাররা সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের (ভোটের) ব্যাপারে বেশ সন্ধিহান রয়েছেন, বলে তাদের অনেকের মুখে মুখে বলতে শোনা যাচ্ছে।
মান্দা থানার পরিদর্শক মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, মান্দা উপজেলায় নির্বাচনী পরিবেশ অনেক ভাল আছে, প্রার্থীরা সমানভাবে প্রচার-প্রচারনার সুযোগ পাচ্ছেন। এখন পযর্ন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার কোন খবর পাইনিবা ঘটেনি। তবে নির্বাচনে ১১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬টিসহ অধিকাংশ কেন্দ্রই ঝুকিপূর্ণ হলেও নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই পাড়ি দিতে আমরা সব সময় প্রস্তুত।