সুকুমল কুমার প্রামানিক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: আর কয়েকদিন বাদে ঈদ-উল আজহা। গো খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে নওগাঁর রাণীনগরের পশু খামারি, ব্যবসায়ি ও গৃহস্থরা বিপাকে পড়েছেন। পশুর হাটগুলোতে এতোদিনেও পশুর আমদানি ভালো না হলেও ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই হাটগুলো জমতে শুরু করেছে। তবে ভারত থেকে তেমন গরু না আসায় অনেকটাই শঙ্কা মুক্ত গরুর মালিকরা।
আসন্ন ঈদ-উল আজহাকে ঘিরে রাণীনগরে দুইটি হাট-বাজার রয়েছে। রাণীনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ত্রিমোহানী ও আবাদপুকুর হাট। দেশের প্রতিটি স্থানে এবার গরুর পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় উপজেলার হাটগুলোতে এখনো বহিরাগত ব্যবসায়ীদের আগমন তেমন ঘটেনি। তবে বেশ কিছুদিন পূর্ব থেকে সকল প্রকার গো খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে উপজেলার খামারী, গরু ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র খামারীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। তবুও ঈদে গরু বিক্রেতারা লাভের আশা করছেন। উপজেলার প্রতিটি হাটে কঠোর নিরাপত্তার দিচ্ছে পুলিশ।
ত্রিমোহানী হাটে গরু বিক্রি করতে আসা মো: আব্দুস সালাম, রহিম, আলমসহ অনেকেই বলেন, প্রতি বছর ঈদ-উল আজহাকে সামনে রেখে আমরা বাড়িতে দুই একটি করে গরু মোটাতাজা করণ করে থাকি। কিন্তু এ বছর সকল প্রকারের গো খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে লোকসানের আশঙ্কা করছি। তবে বাজারে যেহেতু এখনও বিদেশী গরু বিশেষ করে ভারতীয় গরুর তেমন কোন আমদানি নেই সেহেতু ঈদের আগ মুহুর্তে গরু-ছাগলের দাম বাড়বে বলে তারা আশা করছেন।
ঐতিহ্যবাহী আবাদপুকুর ও ত্রিমোহানী হাটে গরু কিনতে আসা মো: জব্বার আলী, রাসেল, রাইমসহ অনেকেই বলেন, হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণ পশুর আমদানি রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর একটু দাম কম। তাই সকল পর্যায়ের মানুষরা তাদের সাধ্যের মধ্যে কোরবানীর জন্য পশু কিনতে পারছে। তবে শেষ সময়ের দিকে আরো দাম বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
ঐতিহ্যবাহী আবাদপুকুর হাটের ইজারাদার শ্রী সুনিল কুমার সাহা ও ত্রিমোহানী হাটের ইজারাদার মো: বেদারুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহের রবিবার ও বুধবার আবাদপুকুর হাট, শনিবার ও মঙ্গলবার করে ত্রিমোহনী এই হাট বসে। এবার হাটে প্রচুর গবাদী পশুর আমদানি হচ্ছে এবং দামও অনেকটা কম। তাই ক্রেতারা তাদের সাধ্যের মধ্যে কোরবানীর জন্য পছন্দ মতো পশু কিনতে পারছেন। হাটের নিরাপত্তার জন্য রয়েছেন পুলিশ। এছাড়াও আমার লোকজনেরা সার্বক্ষনিক হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সকল প্রকারের সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে।