Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

বড় ভাইয়ের কোদালের হাতলের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ

স্টাফ রিপোটার, নওগাঁ : নওগাঁ সদরের গুমারদহ এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাই ফজলুর রহমানের (৫৫) কোদালের হাতলের আঘাতে আহত ছোট ভাই নজরুল ইসলাম (৫২) মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার ৭ দিন পর  গতকাল সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃতত্যু হয়েছে। সংবাদ পেয়ে নওগাঁ মডেল থানার পুলিশ নিহত নজরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেছে। 

বড় ভাইয়ের কোদালের হাতলের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ

গত ১০ জানুয়ারি নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছি ইউনিয়নের গুমারদহ গ্রামের মাঠে তাদের পারিবারিক একটি জমিতে বোরো ধান লাগানোর জন্যে জমি তৈরী করার সময় এই মারপিটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।  নিহত নজরুল ইসলাম গুমারদহ গ্রামের  মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। 

নিহতের স্বজন, স্থানীয়রা জানায়, নজরুল ইসলামেরা দুই ভাই ও দুই বোন। তাদের বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা না হওয়ায় নজরুল ইসলাম ও তার বড় ভাই ফজলুর রহমানের মধ্যে মাঝে মাঝেই বিরোধ লেগে থাকতো। গত ১০ জানুয়ারি ফজলুর রহমান গ্রামের মাঠে একটি জমিতে বোরো ধান লাগানোর জন্য আইল দিতে যান। এ সময় নজরুল তাকে বাধা দিতে যান। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফজলুর রহমানের হাতে থাকা কোদালের হাতল দিয়ে নজরুলকে বেশ কয়েকটি আঘাত করেন। এতে নজরুল গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

শৈলগাছী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ফজলুর ও নজরুল দুই ভাই। দীর্ঘদিন ধরে তাদের দুজনের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। পাঁচ-ছয় দিন আগে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফজলুর তার ছোট ভাইকে কোদালের হাত দিয়ে মারধর করেন। এতে নজরুল গুরুতর আহত হন। সোমবার রাতে রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। আজ সকালে লাশ গ্রামের বাড়িতে আসার পর পুলিশ খবর পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।  

ওসি ফয়সাল আরো জানান, যেহুতু হত্যার অভিযোগ উঠেছে সে জন্যেই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই সঠিকভাবে বলা যাবে এটি হত্যাকান্ড নাকি স্বাভাবিক মৃতত্যু। ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরর প্রক্রিয়া চলছে। ইত্যে মধ্যে অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিহত নজরুলের বড় ভাই ফজলুর রহমান ও তার স্ত্রী নার্গিস সুলতানা পলাতক রয়েছেন ।  


 

নওগাঁয় সুজনের আয়োজনে 'অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন ও নাগরিক সংগঠনের ভূমিকা বিষয়ক সংলাপ

স্টাফ রিপোটার, নওগাঁ : নওগাঁয়  সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক নওগাঁ জেলা কমিটির আয়োজনে 'অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন ও নাগরিক সংগঠনের ভূমিকা বিষয়ক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুজন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। 

সংলাপে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সকল নাগরিক সংগঠনের দায়িত্ব হল সকল দলের উপর নজরদারি রাখা। যাতে করে কনো দল অন্যায়, অবিচার করতে না পারে। সমাজের সকল স্থানে নাগরিকরা যেনো তাদের সঠিক মূল্যায়ন পায়, এই দিকে নজরদারি রাখতে হবে সংগঠনগুলোকে।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক যে হানাহানি, হামলা মামলা এটি বন্ধ করতে হবে। এই অপরাজনীতি থেকে নাগরিকদের মুক্ত করতে হবে।  এই প্রতিহিংসার রাজনীতিকে রুখতে নাগরিক সংগঠনগুলোকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। 

সুজন নওগাঁ জেলা কমিটির সভাপতি মোফজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন  জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাপার সভাপতি অ্যাড. তোফাজ্জল হোসেন,  অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারী, জেলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি সাংবাদিক রায়হানুল আলম, সুজনের নওগাঁ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ.কে সাজুসহ নাগরিক সংগঠনের নেতা, সাংবাদিক ও আমন্ত্রিত সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।


শ্রীপুর, গাজীপুর, শুক্রবার, ২৩ডিসেম্বর, ২০২২: বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফের প্রতিষ্ঠাতা, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর বলেছেন, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে নিরাপত্তা রক্ষায় রাষ্ট্রকে ভূমিকা নিতে হবে। মহান জাতীয় সংসদে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া সরকার ঘোষিত ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের জন্য মিডিয়া গুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

তিনি বলেন, মফস্বলের সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে নিত্যনৈমিত্তিক মামলা, হামলা, হয়রানির শিকার হয়ে বেতন ভাতা না পেয়ে অসহায়ত্ব ভোগ করছেন। এ পরিস্থিতি থেকে সাংবাদিকদের উত্তরণের পথ কেবল রাষ্ট্রই বাতলে দিতে পারেন। দেশ স্বাধীনের ৫১টি বছর অতিবাহিত হলেও এখনো সাংবাদিক নিয়োগ-নীতিমালা সাংবাদিক সুরক্ষা আইন সহ গুরুত্বপূর্ণ দাবি বাস্তবায়ন হয়নি।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাংগঠনিক সেবামাস উপলক্ষে শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টায় গাজীপুরের শ্রীপুরের সাংবাদিকদের সাথে ১৪ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেছেন।

 সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের শ্রীপুর শাখার সভাপতি নাজিম উদ্দিন মাস্টার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের জাতীয় পরিষদ সদস্য এস এম সোহেল রানা, আরটিভি প্রতিনিধি রায়হান আকন্দ, সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার গাজীপুরের সভাপতি মাহফুজ ইকবাল, এশিয়ান টিভি র জেলা প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান, শ্রীপুর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, বিএমএসএফ সভাপতি শফিউল্লাহ আনসারী, শ্রীপুর সদর প্রেস ক্লাব সভাপতি হাদিউল মোড়ল, শ্রীপুর সাংবাদিক সমিতির সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বাবুল, শ্রীপুর উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জসিম।

সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সুজন মাহমুদের সঞ্চালনায় অনন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএমএসএফের সহ-সভাপতি মহিদুল আলম চঞ্চল, ভালুকা শাখা সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সবুজ,আতিকুল ইসলাম পরান প্রধান, স্নিগ্ধা প্রধান, সাইফুল ইসলাম, কামাল পারভেজসহ
 নেতৃবৃন্দ এ সময় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ঘোষিত চৌদ্দ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

নওগাঁয় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী নিহত, আহত দুই সন্তান

স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁ:  নওগাঁয় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছে। এঘটনায় তাদের দুই সন্তান আহত হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী সড়কের হাপানিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার মৈনম ইউনিয়ন এর বদ্দপুর গ্রামের মিলন (৩৫) ও তার স্ত্রী নিথি (৩২)।

নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়সাল বিন আহসান জানান, দুপুরে মিলন তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার উল্লাসপুর গ্রামে, মৈনম বদ্দপুর নিজ গ্রাম থেকে মোটরসাইকেল যোগে উল্লাসপুরের দিকে আসছিলো।

পথির মধ্যে হাপানিয়া এলাকায় একটি পিছনের দিক থেকে আসা ট্রাক যাহার নং ঢাকা মেট্রো ট, ২২-৬৮৫১ তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় স্বামী ও স্ত্রীর। আর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে দূরে পড়ার করনে, মিলন হোসেনের নিজের ছেলে এবং ভাইয়ের ছেলেসহ ৪ জনই রাস্তায় পড়ে গেলে পেছনের দিক থেকে আশা বাস নিথী বেগমকে চাপা দিলে নিথী বেগম ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন, ও ধাক্কা দেওয়া ট্রাক মিলন হোসেনকে  চাপা দিলে মিলন হোসেন ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন এবং মিলন হোসেনের নিজের ছেলে ও ভাইয়ের ছেলে সামান্য আহত হন।

সংবাদ পেয়ে নওগাঁ সদর সার্কেল/নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জসহ নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখেন এবং মৃত্যু দেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতাল প্রেরণ করেন। আহত শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, পুলিশ ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ শেষে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের এর প্রস্ততি চলছে।

জাতি বিডিআর ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না  প্রধানমন্ত্রী

আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাযজ্ঞকে ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের সরকার গঠনের মাত্র ৫২ দিনের মাথায় ২০০৯ সালে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে (তৎকালীন বিডিআর)।পুরো জাতি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না।’ তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্মীদের শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দফতরে বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

জাতি বিডিআর ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না  প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী সেই ঘটনায় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শেখ হাসিনা শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড বজায় রাখতে বিজিবি সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড যে কোনও সুশৃঙ্খল বাহিনীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সরকার প্রধান আরও বলেন, ‘একটা কথা মাথায় রাখবেন। কখনও শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। অর্পিত দায়িত্ব মেনে চলবেন, চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন।’

শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি কর্তব্যনিষ্ঠ হওয়াার জন্য তিনি বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে ১৯৭৪ সালের ৫ই ডিসেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস-এর সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া জাতির পিতার ভাষণের চুম্বকাংশ উদ্ধৃত করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘ঈমানের সাথে কাজ করো; সৎ পথে থেকো, দেশকে ভালোবাসো।’


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশ আমাদের, দেশ যতো উন্নত হবে আপনাদের পরিবারই ভালো থাকবে, সুস্থ থাকবে। উন্নত জীবন পাবে, শিক্ষা-দীক্ষা, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থানসহ সবধরণের সুযোগ পাবে। সে কথা সবসময় মনে রাখতে হবে।‘

বর্ডার গার্ড আইন ২০১০ পাসের পর এই বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গঠন করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তার লক্ষ্য অর্জনে।

একটি পেশাগত ও সুশৃঙ্খল বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যেকোন পেশাদার বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুশৃঙ্খল ও দক্ষ বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। বিজিবি সদস্যদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য সাতকানিয়ার ‘বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার এন্ড কলেজ’ এর পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গায় আরও একটি প্রশিক্ষণ সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জাতির পিতা যেভাবে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন আজকে আওয়ামী লীগ সরকার সেই পদক্ষেপই নিয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি গৃহহীন-ভূমিহীনদের বিনামূল্যে ঘর এবং জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। কারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশে একটি মানুষও ভুমিহীন-গৃহহীণ থাকবে না, ইনশাল্লাহ। আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটা মানুষের জন্য একটা ঠিকানা গড়ে দেয়ার পাশাপাশি সকলের হাতে আজকে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট সার্ভিস, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপন, ফ্রিল্যান্সিং, তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সর্বক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। যে দেশকে জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে গড়ে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে রেখে গিয়েছিলেন। আমরা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকালিনই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এটা আমাদের ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে। যদিও কোভিড-১৯ মহামারির বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও একে কেন্দ্র করে নিষেধাঞ্জা ও পাল্টা নিষেধাঞ্জার ফলে সারাবিশে^ অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশে যাতে এই মন্দা না আসে সেজন্য আমাদেরকেই তার ব্যবস্থা নিতে হবে। কারো কাছে হাত না পেতে নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করে আমরা নিজেরা নিজেদের মতই চলবো, মাথা উঁচু করে চলবো।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই কারণেই আমি আহ্বান করেছি এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি পড়ে না থাকে, প্রতিটি ইঞ্চিতে যে যা পারেন তা উৎপাদন করবেন।’ প্রতিটি বিওপিতেই আমাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা কিছু না কিছু উৎপাদন করছেন বা পশু পাখি পালন করায় তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান।

জাতির পিতার স্বপ্ন পূরনের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ,স্মার্ট বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ই-ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করবে।’

দেশকে আরও এগিয়ে নিতে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান অর্থাৎ এই ভূখন্ড এই ব-দ্বীপ অঞ্চলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন উন্নত জীবন পেতে পারে সেই পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি। সে জন্য প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কাজও আমরা শুরু করেছি।

তাড়াইল থানায় ওপেন হাউজ ডে-২০২২ অনুষ্ঠিত

আল-মামুন খান, কিশোরগঞ্জ : "পুলিশ‌ই জনতা, জনতাই পুলিশ" এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ওপেন হাউজ ডে-২০২২।


জানা যায়, ২০ ডিসেম্বর/২২ (মঙ্গলবার) দুপুর ১২ ঘটিকায় তাড়াইল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে তাড়াইল উপজেলার গণ্যমান্য ও জনসাধারণ ব্যক্তিদেরকে নিয়ে উক্ত ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ রাসেল শেখ, পিপিএম (বার), পুলিশ সুপার, কিশোরগঞ্জ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শাহীন, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ, তাড়াইল, লুবনা শারমিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, তাড়াইল, একেএম শাহীন মন্ডল, সহকারী পুলিশ সুপার, করিমগঞ্জ সার্কেল, কিশোরগঞ্জ। 


অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব আজিজুল হক ভূঁইয়া মোতাহার, সভাপতি, তাড়াইল উপজেলা আওয়ামীলীগ, আব্দুল হাই, সাবেক কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাড়াইল, গিয়াস উদ্দিন লাকি, সাধারণ সম্পাদক, তাড়াইল, একেএস জামান সম্রাট, সদস্য, জেলা পরিষদ কিশোরগঞ্জ,  আবু জাহেদ ভূঁইয়া, চেয়ারম্যান ১নং ধলা ইউনিয়ন পরিষদ, ইকবাল হোসেন তারিক, চেয়ারম্যান ২নং রাউতি ইউনিয়ন পরিষদ, আফরোজ আলম ঝিনুক, চেয়ারম্যান ৩নং ধলা ইউনিয়ন পরিষদ, এমদাদুল হক রতন, চেয়ারম্যান ৪নং ধলা ইউনিয়ন পরিষদ, সাঈম দাদ খান নওশাদ, চেয়ারম্যান ৭নং তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়ন পরিষদ, নূর শরিফ উদ্দিন জুয়েল, সাবেক চেয়ারম্যান ২নং রাউতি ইউনিয়ন পরিষদ, সাজেদুর রহমান মিল্টন, সাবেক চেয়ারম্যান ৩নং ধলা ইউনিয়ন পরিষদ, হুমায়ুন কবির ভুঁইয়া, সাবেক চেয়ারম্যান ৫নং দামিহা ইউনিয়ন পরিষদ, তাছাড়া স্থানীয় ইউপি সদস্যগণ, বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকসহ এলাকার জনসাধারণ বৃন্দ।


এ সময় উপস্থিত প্রত্যেক ব্যক্তিদের নিজ নিজ মতামত প্রকাশ করার জন্য বলা হয়। মত প্রকাশের সময় সকলেই মাদক, জুয়া, বাল্য বিবাহ, সন্ত্রাস, ইপটিজিং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লুডু ও জুয়া খেলা যায় এমন গেমস দিয়ে যারা জুয়া খেলে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য আহ্বান জানানো হয়। উপজেলার যেসব রাস্তায় মাদক কেনা-বেচা বা যাতায়াত হয় সেসব রাস্তায় চেক পোস্ট বসানোর জন্য দাবি জানানো হয়।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ রাসেল শেখ, পিপিএম (বার) প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন জনগণ সচেতন হলে পুলিশকে কাজ করতে সহজ হয়। তিনি আরো বলেন, মাদক, জুয়া, বাল্য বিবাহ, সন্ত্রাস, ইপটিজিং এর বিরুদ্ধে প্রশাসন জিরো টলারেন্সে আছে। যেখানেই মাদকের গন্ধ পাওয়া যাবে সেখানে পুলিশের অভিযান চলবে। তিনি বলেন, সরকার কর্তৃক কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে মাদকমুক্ত দেশ গড়তে হবে। তাছাড়া তাড়াইল থানার পুলিশদেরকে বিভিন্ন কৌশলগত ভাবে এসব অন্যায় দমন করার তাগিদ দেন। এছাড়াও তিনি রেজিস্টেশন বিহীন মটর সাইকেলকে আটক করতে ওসিকে নির্দেশ দেন। সেই সাথে ইপটিজিং রোধ করতে তিনি উপস্থিত নারীদের বিভিন্ন উপদেশ দেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget