Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা বেনাপোল স্থল বন্দর
আজকের দেশসংবাদ : দেশের সর্ববৃহত্তর বেনাপোল স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরক্লিপ না থাকায় পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরক্লিপের দাবিতে আগামী ১৭ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিত।

শনিবার (১৪ মে) সকাল ১০ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক মো. আজিম উদ্দিন গাজী।

তিনি জানান, বেনাপোল বন্দর দেশের মধ্যে সর্ব বৃহত্তর হওয়া সত্তে¡ও এখানে ভারি পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরক্লিপ নেই।

আর যেগুলো আছে তার মধ্যে কয়েকটা ভালো থাকলেও পণ্য খালাস করতে গিয়ে বার বার নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্রেন ও ফরক্লিপ চালকরাও অদক্ষ।

ফলে এ বন্দরে আমদানিকৃত ভারি পণ্য খালাস করতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যাচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এ বন্দর থেকে।যার ফলে আগামী ১৭ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে ।

এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদারকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানালেও তিনি বিষয়টি আমলে নেননি।

স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদারকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, এ বন্দরে প্রায় সবগুলো ক্রেন ও ফরক্লিপ অকেজো হয়ে গেছে। যে ক্রেন ও ফরক্লিপ একটু ভালো আছে সেগুলোও বার বার নষ্ট হয়ে যায়।ফলে তাদের প্রতিদিন বাড়তি ট্রাক ভাড়া দিতে হচ্ছে। এতে তাদের লোকসানে পড়তে হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরে ক্রেন ও ফরক্লিপ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বøাক বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মিল্টন জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বর্তমানে অধিক পরিমাণে পিডিপি (বিদ্যুৎ টাওয়ারের মালামাল) অ্যাঙ্গেল আমদানি হচ্ছে। এতে এ টিটিবি অ্যাঙ্গেল ওঠাতে ও নামাতে গিয়ে তাদের বেশ কিছু ক্রেন ও ফরক্লিপের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে। ফলে পণ্য ওঠাতে-নামাতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া এ বন্দরে তাদের ৬টি ক্রেনের মধ্যে ৩টি সচল আছে। ১০টি ফরক্লিপের মধ্যে ৮টি সচল আছে। খুব দ্রæত আরও ২টি ক্রেন আনা হবে।

 

নওগাঁয় মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই : নওগাঁর আত্রাই থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক মামলার ছয় মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মহসিন আলী (৪৫) কে গ্রপ্তার করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মহসিন আলী উপজেলার খঞ্জর গ্রামের মৃত ছোলাইমান আলীর ছেলে।


আত্রাই থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী মহসিন বাড়ীতে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাতেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে মহসিনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তার মহসিনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত একটি মাদক মামলায় বিজ্ঞ আদালত গত মাসে ছয় মাসের সাজা প্রদান করেন। এর পর থেকে সে পলাতক ছিলো।


নওগাঁয় মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুই জন কৃষকের মৃত্যু

আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : নওগাঁর পোরশায় উপজেলায় মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুই জন কৃশকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৩ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পশ্চিম দুয়ারপাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


নিহতরা হলেন নুহ শেখ (৫৫) ও আবু সায়েম (৩৫)। নুহ শেখ পশ্চিম রঘুনাথপুর টেকঠা গ্রামের মৃত আরশাদ আলীর ছেলে ও সায়েম পশ্চিম দুয়ারপাল ইসলামপুরের নুহুল ইসলাম মিস্ত্রির ছেলে। জানা গেছে, সকালে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে নুহ শেখ ও সামাদ পুনর্ভবা নদীর পাশে বোরো ধান কাটছিলেন। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।

 

একই সময় বজ্রপাতে জাহানারা বেগম নামে এক নারীসহ আরো দু’জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পোরশা থানার ওসি জহুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ।


তৌফিক তাপস,

নওগাঁ

নওগাঁয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন বিভাগের অভিযানে ৭৫৩ লিটার সয়াবীন তেল উদ্ধার

আজকের দেশসংবাদ ডেস্ক: নওগাঁয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন বিভাগ পরিচালিত এক অভিযানে তিনটি পৃথক ব্যবসা পতিষ্ঠান থেকে অবৈধভাবে মজুদকৃত ৭৫৩ লিটার সয়াবীন তেল উদ্ধার করা হয়েছে।
 

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন দপ্তরের সহকারী পরিচালক শামীম হোসেনের নেতৃত্বে আজ দুপুর থেকে নিয়মিত বাজার তদারকীর অংশ হিসেবে শহরের আটাপট্টি এলাকায় কিরন ট্রেডার্স ও রঞ্জিত পাল এবং গোস্ত হাটির মোড় এলাকায় আজাদ ষ্টোরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় এ ৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধভাবে মজুদ করা ১ লিটার, ২  লিটার ও ৫ লিটার পরিমাপের বোতলে মোট ৭৫৩ লিটার বসুন্ধরা ও তীর ব্র্যান্ডের সয়াবীন তেল উদ্ধার করা হয়।

এ ছাড়াও মোবাইল কোর্ট ইউনিট কিরন ট্রেডার্সকে ৩০ হাজার টাকা, রঞ্জিত পালের ২৫ হাজার টাকা এবং আজাদ ষ্টোরের ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন বিভাগের সহকারী পরিচালক শামীম হোসেন জানিয়েছেন। অভিযান পরিচালনার সময় জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ শামসুল হক উপস্থিত ছিলেন।

উদ্ধারকৃত তেল তাৎক্ষনিকভাবে সাধারন ক্রেতাদের মধ্যে প্যাকেটরে গায়ে লেখা মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।
উদ্ধাকৃত সয়াবীন নির্দিষ্ট মূল্য ১ লিটারের বোতল ১৬০ টাকা, ২ লিটারের বোতল ৩২০ টাকা এবং ৫ লিটারের বোতল ৭৬০ টাকা হিসেবে উপস্থিত সাধারন ক্রেতাদের নিকট বিক্রি করা হয়। এ সময় উৎসাহী ক্রেতাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সয়াবিন তেল কিনতে দেখা গেছে।

মাদকে সয়লাব পশ্চিম বাগমারা, হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক পাড়া-মহল্লায়
 

সাইফুল ইসলাম, বগমারা রাজশাহী : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার পশ্চিম বাগমারায় হাত বাড়ালেই মিলছে ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ যে কোনো মাদক। মাদক সেবন যেমন মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর তেমনি আইন শৃঙ্খলা অবনতির জন্যই অন্যতম দায়ী। দীর্ঘদিন মাদক সেবনের ফলে মাদকসেবনকারীদের শরীর দুর্বল হয়ে যেমন কর্মক্ষমতা হারিয়ে যায় তেমনি বিভিন্ন জটিল রোগব্যাধি শরীরের তাদের বাসা ও বাঁধে এবং  ধীরে ধীরে স্মৃতি শক্তি লোপ পায় এবং  স্বাভাবিক যৌনশক্তি হারিয়ে যায়।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার পশ্চিম বাগমারায় তেমনিভাবে যুবসমাজ ধ্বংসের জন্য চলছে মাদককের ছড়াছড়ি হাত বাড়ালেই মিলছে পাড়া-মহল্লায় সব ধরনের মাদকদ্রব্য। মরণনেশা ইয়াবা ও ফেনসিডিলে  ডুবে থাকছে উপজেলার উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত শ্রেণির হাজারো মানুষ। এই তালিকায় রয়েছে উঠতি বয়সী যুবসমাজ, স্কুল-কলেজের ছাত্র, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। এতে করে উপজেলার পশ্চিম বাগমারায় মাদকাসক্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এলাকায় উঠতি তরুণ ও যুবক ইয়াবাসেবীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অভিভাবক মহলসহ সচেতন ব্যক্তিরা উদ্বিগ্ন-উৎকণ্ঠায় আছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সেবন হলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন। ক্ষমতাসীন দলসহ চেয়ারম্যানদের  নাম ব্যবহার করে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদক ব্যবসা করছে পশ্চিম বাগমারায়। এই সব মাদক বিক্রির তালিকায় প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানেরাও জড়িত। আর প্রভাবশালীদের কারণেই প্রশাসনও রয়েছে ‘নীরব’। পুলিশ রাজনৈতিক দলের কর্মীকে ইয়াবা ও বিভিন্ন মাদকদ্রব্যসহ গ্রেফতার করলে সঙ্গে সঙ্গে তদবির শুরু করে দেয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতারা। মাদকদ্রব্যের মামলায় মাদক ব্যবসায়ীদের আদালতে চালান দেয়ার কিছুদিন পর জামিনে এসে আবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দুর্বলের কারণে আসামিরা ছাড়াও পেয়ে যায়। ফলে উপজেলায় মাদকের ছড়াছড়ি হলেও মাদক ব্যবসায়ীরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে।প্রতিদিন বাড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা, এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অভিভাবকেরা। বর্তমানে উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকাকে মাদকের আখড়া বলে অভিহিত করেছেন অনেকেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, এই উপজেলায় কমপক্ষে শতাধিক ব্যক্তি মাদক ব্যবসায় জড়িত রয়েছে তার মধ্যে পশ্চিম বাগমারায় অর্ধশতাধিক    মাদক ব্যবসায়ী। এইসব মাদক ব্যবসায়হীরা মূলত প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির টাকায় কিনে মাদক। আর ডেলিভারি ম্যানের সাহায্যে মাদক বিক্রি হয় পশ্চিম বাগমারার ৫টি ইউনিয়নের  বিভিন্ন স্পটে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, যারা কিছুটা বিত্তশালী তারাই ফেনসিডিলের দিকেই ঝুঁকে রয়েছে। আর ‘ইয়াবা’ ‘গাঁজা’র দাম তুলণামূলক কম হওয়ায় এ দুটি মাদকের দিকে নজর ও আকৃষ্ট সবার।

উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের হাটখালগ্রাম, হাটগাঙ্গোপাড়া, মুগাইপাড়া,গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের   মাড়িয়া, শান্তপাড়া, দামনাশা বাজার, সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমলা বাজার, শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের মচমইল বাজার, সহ বাগমারা ও পশ্চিম বাগমারার বিভিন্ন স্পর্ট গুলোতে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হয়। গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের মাদক ব্যবসায়হির মাদক বিক্রয়ের কৌশুল রাতের আধারে ফেনসিডিল, ইয়াবা, চিহ্নিত কোন জায়গায় মাটি গর্তে করে রেখে আসে এবং বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিয়ে চিহ্নিত মাদক রাখার কথা বলে দেয় মাদক সেবনকারীকে এভাবে মাদক বিক্রয় করে মাদকব্যবসায়হিরা। এসব এলাকায় সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় বিভিন্ন স্পটে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ইয়াবা বিক্রেতাদের দেখা যায়। এ ছাড়া উপজেলার ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ একাধিক স্পটে প্রকাশ্যেই মাদকের ব্যবসা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সময় পশ্চিম বাগমারার ৫টি ইউনিয়নে ফেনসিডিল, গাঁজা ও মদের ব্যবসা করতেন গুটিকয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী তাও খুব গোপনে বেচাকেনা হতো অত্যন্ত সর্তকতার সহিত । এখন গাঁজা- ফেনসিডিল ও মদের পাশাপাশি চলছে মরণনেশা ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবসা। যা প্রকাশে বিক্রি করছে মাদক ব্যবসায়ীরা । শুধু তাই নয়, এসব ইয়াবার ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন উপজেলার নামী-দামি পরিবারের অনেকে। যাদের প্রতিরোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। স্থানীয়রাও ভয়ে কেউ এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেন, চিহ্নিত ব্যবসাহিকেরা নিজেরা মাদক ডেলিভারি না করে অল্পবয়সী ক্ষমতাধর ছেলেদের দিয়ে মাদক ব্যবসা করাচ্ছে।  এরা মাদকের ব্যবসার সাথে জড়িত একথা শুনলে কেউ বিশ্বাসও করবে না। কারণ এরা সবাই ভালো পরিবারের সন্তান। প্রতিদিন সকাল বেলা উন্নতমানের পোশাক পরে বাড়ি থেকে বের হয়, আর রাতে বাড়িতে ফেরে। পোশাকধারী এসব যুবকদের পকেটে থাকে ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজা  যা প্রকাশ্যে হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে পরিচিত মাদক সেবনকারীদের কাছে। এ কারণে এসব আল্পবয়সী মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে পারছে না পুলিশ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, মাদক সেবন মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন মাদক সেবনে শরীর দুর্বল হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে যায়। বিভিন্ন জটিল রোগব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধে। ধীরে ধীরে স্মৃতি শক্তি লোপ পায়। স্বাভাবিক যৌনশক্তি হারিয়ে যায়। মানে রাখতে হবে, মাদক মানে মরণ।

মাদকের নেশার ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আমাদের অল্পবয়সী যুবক ছেলেরা। ধ্বংস হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও। নতুন নতুন এসব মাদক ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে বাড়ছে মাদক সেনবকারীর সংখ্যা। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক তুলে দিচ্ছে উঠতি বয়সী যুবকদের হাতে। যার মধ্যে বেশির ভাগ স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। মা-বাবার চোখের সামনে মাদকাসক্ত হচ্ছে ছেলে। এ কষ্ট কিভাবে মেনে নেবে অভিভাবকরা। তাই মাদকাসক্ত সন্তানদের নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীরে বাবা-মা।

স্থানীয়রা বলেন,বাগমারা তথা দেশের যুবসমাজকে রক্ষা করতে হলে এসব মাদক ব্যবসায়ীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে যুব সমাজ ধংস হবে।চুরি ছিনতাই,খুন অপরাধ বেড়ে যাবে।আর এ জন্য পুলিশকে আরো সক্রিয়ভাবে মাঠে নামতে হবে। এবং অভিয়ান পরিচালনা করে মাদক ব্যাবসায়ীদের গ্রেফতার করে কঠিন বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ ব্যাপারে বাগমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ মোস্তাক আহমেদর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাদককের বিরুদ্ধে আমাদের জরুরি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সঠিক তথ্য প্রমাণ পেলে আমরা কোন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবনকারী কাউকে আমরা ছাড়া দিবেনা।                  


ইউএনও'র গাড়িচাপায় সাংবাদিক নিহত ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন: বিএমএসএফ'র কঠোর হুশিয়ারী
১০ মে (মঙ্গলবার) ২০২২ : নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্ত্রীর গাড়িচাপায় সিংড়ার সাংবাদিক সোহেল রানা (৩৪) নিহতের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিআরটিএর সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুজ্জামান এবং সিংড়ার ইউএনও সামিরুল ইসলাম। কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
 
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেছেন, আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। কেন সেখানে সরকারি গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল? চালক কে ছিল? সে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল কি না? তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
এদিকে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেছেন, এটি স্রেফ হত্যাকান্ড। তবে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিতে স্থানীয় যে কোন একজন সাংবাদিককে রাখা যেত। ড্রাইবার এবং গাড়িতে থাকা ইউএনওর স্ত্রীকে ডোপ টেষ্টের আওতায় আনার দাবি করা হয়েছে। প্রশাসন যদি সুষ্ঠু তদন্ত না করে পক্ষপাতিত্ব করার চেষ্টা করেন, তাহলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) এর পক্ষ থেকে সোহেল হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহন করা হবে বলে হুশিয়ার করা হয়েছে । 
 
এদিকে সাংবাদিক সোহেল নিহতের পর এলাকায় শোকের মাতম চলছে। দুটি সন্তান বুকে নিয়ে সোহেল'র স্ত্রীর কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। 
 
মৃত্যুকালে সোহেল ৯ বছরের একটি কণ্যা ও ৪ বছরের পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।
 
নিহত সাংবাদিক সোহেল'র জানাযা নামাজ ও দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়েছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget