তৌফিক তাপস, নওগাঁ : নওগাঁর সদর উপজেলার বক্তারপুর মডেল ইউনিয়নের কৃষকের ফসল বাঁচাতে সরকারী রেকর্ডভুক্ত খাল সংস্কার এর দাবীতে জেলা প্রশাসককে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে খালেদ মেহেদী হাসান পিএএ,এর নিকট বক্তারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সারোয়ার কামাল চঞ্চলসহ প্রায় ১০ গ্রামের কৃষককের ৩হাজার বিঘা জমির রোপন কৃত বোরো ধান হঠাৎ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। হঠাৎ বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের বাধাঁগ্রস্থ হওয়ায় রোপন কৃত বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেলে ঐ এলাকার কৃষকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে বক্তারপুর ইউনিয়নের, চন্দনা বিল, কুমড়ার বিল ও নলগাড়া বিলের মধ্যদিয়ে সরকারী রেকর্ডভুক্ত খালটি এখনো কিছু প্রভাবশালীদের দখলে যাওয়ায় পানি নিস্কাশনে বাধাগ্রস্থ হলে ঐ ১০ গ্রামের কৃষক ক্ষতির সম্মক্ষিন হয়ে পরেন বলে মনে করেন এলাকার কৃষক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বক্তারপুর ইউনিয়নের, চন্দনা বিল, কুমড়ার বিল ও নলগাড়া বিলের মধ্যদিয়ে সরকারী রেকর্ডভুক্ত খালটি দ্রæত সংস্কার করার দাবীতে কৃষকদের গণস্বাক্ষর কৃত স্বারকলিপি প্রদান করেন। ঐ সরকারী রেকর্ডভুক্ত খালটি দ্রæত সংস্কার করতে হলে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাশদিয়ে ফলিমারা ব্রিজ হয়ে দিঘলীর বিলের সাথে পূনরায় সংযোগ করে দিলে কৃষকের ভোগান্তী কমবে বলে মনে করেন তাঁরা। স্বারকলিপিটি জেলা প্রশাসকসহ উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রদান করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
চেয়ারম্যান সারোয়ার কামাল চঞ্চল বলেন, বক্তারপুর ইউনিয়ন বাসীর দাবী সরকারী রেকর্ডভুক্ত খালটি কিছু প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। এই খালটি অবৈধ দখল মুক্ত করে পানি নিস্কাশনের ব্যাবস্থা করলে আমার ইউনিয়নের ১০ গ্রামের কৃষক সুষ্ঠ ভাবে ফসল ঘড়ে তুলতে পারবে বলে মনে করছি। তিনি আরও বলেন সরকারী রেকর্ডভুক্ত খালটি প্রভাবশালীদের দখলে না রেখে পূনরায় খালটি খনন করে কৃষকদের বাঁচাতে বা কৃষি সেক্টরকে বাঁচাতে হবে জানান তিনি। কৃষকদের কথা ভেবে আজকে কৃষকদের ডাকে জেলা প্রশাসক এর কাছে একটি স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। যেহেতু নওগাঁ জেলা কৃষি নির্ভরশীল জেলা তাই দ্রæত সরকারী রেকর্ডভুক্ত খালটি সংস্কার করে কৃষকের প্রাণের দাবী পূরন করবে জেলা প্রশাসন এটি আমার ইউনিয়ন বাসীর আশা।
নওগাঁ জেলা প্রশাসন খালেদ মেহেদী হাসান পিএএ বলেন, যেহেতু নওগাঁ জেলা কৃষি নির্ভরশীল জেলা এই জন্য কৃষকের কথা ভেবে দ্রæত পানি নিস্কাশনের ব্যাস্থার গ্রহণ করা হবে। সেই সাথে তিনি বলেন সরকারী রেকর্ডভুক্ত খালটির বিষয়ে তদন্ত করে দ্রæত দখলমুক্ত করে পূনরায় পানি নিস্কাশনের উপযোগী করে তোলা হবে।