Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা
তৌফিক তাপস, নওগাঁ : নওগাঁয় সারাদেশের মত এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রথম দিন অতিবাহিত হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করতে দেখা গেছে।

নওগাঁর মোট ৭১টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা শুরু হয়। জেলায় চলতি বছরে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৩৩ হাজার ৭৫৯ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ২৫ হাজার ১৭৬ জন, দাখিলে ৬ হাজার ৪২১ জন, এসএসসি (ভোকেশনাল) ২হাজার ১৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।

পরীক্ষা কনট্রলরুম সূত্রে জানা গেছে, প্রথমদিনে এসএসসি পরীক্ষর্থীদের পদার্থ বিদ্যা, এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের পদার্থ বিদ্যা এবং দখিল পরীক্ষার্থীদের কুরআন মাজিদ/তাজভিদ বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়।


 

নওগাঁয় মোহনা টেলিভিশনের ১১তম বর্ষে পূর্তি ও ১২তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে বর্ন্যাঢ্য র‌্যালী, আলোচনা সভা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
নওগাঁ প্রতিনিধি : “বাংলার প্রতিচ্ছবি” বুকে ধারণ করে  মোহনা টেলিভিশনের ১১তম বর্ষে পূর্তি ও ১২তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে বর্ন্যাঢ্য র‌্যালী, আলোচনা সভা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নওগাঁয় মোহনা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫টায় মোহনা টিভির দর্শক ফোরাম ও জেলা প্রতিনিধি মাহমুদুন নবী বেলালের আয়োজনে শহরের টাইম স্বয়ারে সামনে থেকে একটি বর্ন্যাঢ্য র‌্যালী বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পূনরায় সেখানে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহরের টাইম স্বয়ার মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মোফাজ্জল হোসেন এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পারভিন আখতার, সাধারণ সম্পাদক লিপি সাহা,সাংগনিক সম্পাদক লাবনী সাহা, জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক (ভারপ্রাপ্ত) খোরশেদ আলম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা মোহনা টেলিভিশনের ১২তম জন্মদিনের কেক কেটে সবাইকে বিতরণ করেন। পরে সন্ধ্যায় মোহনা টেলিভিশনের ১১তম বর্ষে পূর্তি উপলক্ষে স্থানীয় শিল্পিদের নিয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
 

আধুনিকতার ছোয়া লেগে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য- হারিকেন

মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারা (রাজশাহী) : হারিকেনকে একটা সময় রাতের সঙ্গী হিসেবে মনে করত মানুষ। হারিকেন হাতে নিয়ে ডাকপিয়ন ছুটে চলতেন শহর থেকে গ্রামে গ্রামে। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সবাই রাতে হারিকেন হাতে নিয়ে বের হতেন। হারিকেনের আলো গৃহস্থালির পাশাপাশি ব্যবহার হত বিভিন্ন যানবাহনে।

কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিভিন্ন বৈদ্যুতিক বাতিতে বাজার আজ ভরপুর। যার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে রাতের আলোর গ্রাম বাংলার একমাত্র উৎস ঐতিহ্যবাহী হারিকেন!

সরেজমিনে বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, তখনকার সময়ে হারিকেন মেরামতের জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে মিস্ত্রী বসত। এছাড়া উপজেলার প্রতিটি বাজারে ছিল হারিকেন মেরামতের ভাসমান দোকান। তারা বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে-ঘুরে হারিকেন মেরামতের কাজ করত।
এছাড়া অনেকে গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে হারিকেন মেরামত করত। কিন্তু এখন আর হারিকেন ব্যবহার না করার ফলে মিস্ত্রীদের এখন আর দেখা যায় না আগের মতো।

উপজেলার ভবানিগঞ্জেের  গ্রামের সাবেক এক হারিকেন মিস্ত্রি রুবেল মিঞা জানান, কয়েক বছর আগেও তিনি হারিকেন মেরামত করে সংসার চালিয়েছেন। কিন্তু এখন মানুষ আর হারিকেন ব্যবহার করেন না। তাই তিনি তার ব্যবসা পরিবর্তন করে কৃষিকাজ করছেন। হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারে এক সময়ের  হারিকেন মেরামতের এক মিস্ত্রি বলেন, হারিকেন মেরাাম করে আমার জীবন সংসার চলতে বর্তমানে কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছি।
      
তাহেরপুর বাজারের ব্যবসায়ী মাসুদ রানা বলেন, এখন বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির হাজার রকমের এলইডি লাইট বের হওয়ায় এখন আর হারিকেনের প্রয়োজন হয় না। তাই তিনি আর হারিকেন বিক্রি করেন না।


 

ভারতে তেল পাচার ঠেকাতে বেনাপোল সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

মোঃ সাইদুল ইসলাম, বেনাপোল : বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে তেল পাচার প্রতিরোধে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সম্প্রতি ভারত থেকে আমদানি পণ্যবাহি ট্রাকে তেল পাচার ও সীমান্তের কাঁটা তারের বেড়া পেরিয়ে তেল পাচারের সংবাদ প্রচার হওয়ায় নড়ে চড়ে বসেছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে প্রবেশ করা ভারতীয় ট্রাকের তেলের ট্যাংকি স্কেল দিয়ে পরিমাপ করে লিপিবদ্ধ করছে এবং ওই গাড়ি ভারতে যাওয়ার সময় আবারও পরিমাপ করা হচ্ছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের লিংক রোডে ভারত থেকে আসা আমদানি পণ্য বাহি প্রতিটি ট্রাক বিজিবি সদস্যরা স্কেল দিয়ে পরিমাপ করে লিপিবদ্ধ করছে। অপরদিকে বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের সামনে মালামাল আনলোড করে ভারত ফেরার পথে ওই একই ট্রাক আবারও পরিমাপ করছে বিজিবি সদস্যরা।

এ বিষয়ে হাবিলদার আব্দুল কুদ্দুস জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা ট্রাকের তেল পরিমাপ করে লিখে রাখছি। আবার ভারতে যাওয়ার পথে ওই ট্রাক আবারও পরিমাপ করা হচ্ছে। যদি ভারতে যাওয়ার সময় ট্রাকে তেল বেশী পাওয়া যায় তাহলে তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এখন পর্যন্ত কোন ট্রাকে তেল বেশী পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন এখনও এরকম কোন কিছু পাওয়া যায়নি।

ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার ( ট্রাক নং ডাব্লিউ ১৫বি ৬০০৭) শহিদুল্লাহ মন্ডল বলেন, আমরা ভারত থেকে যে তেল নিয়ে আসি তাতে হয়ে যায়। তবে কোন কারনে যদি কম পড়ে যায় তাহলে হয়ত ১০ লিটারের মত তেল সংগ্রহ করি কারোর মাধ্যমে। আর সংগ্রহ করতে না পারলে আমরা বিএসএফ’কে বলে ওপার থেকে তেল নিয়ে আসি।

বেনাপোল সীমান্তের একটি সুত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওপারে তেলে দাম বেশী হওয়ায় ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভাররা গাড়িতে করে তেল পাচার করত। একটি ১০ চাকার গাড়িতে তেল ধরে ৪৫০ লিটার। প্রতিদিন বাংলাদেশে প্রায় ৪ শত ট্রাক প্রবেশ করে।

এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ট্রাক ড্রাইভাররা এদেশের কিছু অসাধু লোকের যোগ সাজসে তেল নিয়ে ভারতে প্রবেশ করত। বর্তমানে বিজিবি নড়ে চড়ে বসায় এসব ট্রাক ড্রাইভাররা এখন তেল নিয়ে যেতে না পরলেও কাঁটাতার পার হয়ে দৌলতপুর, পুটখালী ও অগ্রভুলোট সীমান্ত দিয়ে তেল পাচার হচ্ছে।

এরকম কোন প্রমান আপনার কাছে আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, চোরাচালানিরা তেল নিয়ে ভারত যায়। তাদের ছবি আমি তুলতে গিয়ে কি মারধর খাব? আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন পার হয় কি না। তবে গত ১৫ অক্টোবর বেনাপোল ২ নং গোডাউনের পাশে বেনাপোল এর একটি চক্র ভারতীয় ট্রাকে ১০ টি কন্টেনারে তেল পাচার করতে দেখা যায়।

কেন এ তেল পাচার করছেন এরকম প্রশ্নে তারা বলে আমরা আর করব না। পুলিশকে ফোন দিতে চাইলে তারা দ্রুত ছিটকে পড়ে। এদিকে বেনাপোল এর আব্দুল হাই নামে এক ব্যক্তি বলেন ভারতে যখন তেলের দাম ১০০ টাকা তখন বাংলাদেশে তেলে দাম ছিল ৬৫ টাকা।

গত ৩ নভেম্বর যখন বাংলাদেশ প্রতিলিটার ডিজেলের দাম ৮০ টাকা করে তখন ভারতে প্রতি লিটার ৯০ রুপীতে বিক্রি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে তেল পাচার করলে প্রতি লিটারে ১৭ টাকা লাভ হয়। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের একটি চক্র সিন্ডিগেট গড়ে তুলে এই পাচারের সাথে যুক্ত রয়েছে।

বেনাপোল আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার মাহবুব হোসেন বলেন ভারতে কোন সীমান্ত দিয়ে তেল পাচার হতে না পারে তার জন্য বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এবং সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারিও চলছে বিজিবির। আর আমরা গত ৩১ অক্টোবর থেকে আমদানিকৃত গেটে এবং ট্রাক বের হওয়ার গেটে ট্রাক এর তেলের ট্যাংকি স্কেল দিয়ে পরিমাপ করছি।

অতিরিক্ত তেল নিয়ে কোন ট্রাক ভারতে প্রবেশ এখনও পর্যন্ত করে নাই। আমরা প্রতিটি ট্রাক এর তেল পরিমাপ করে যাওয়ার পথে আমাদের পুর্বের সীট এর সাথে মিল করাচ্ছি। তাতে করে প্রতিটি ট্রাকে দুই পাঁচ লিটার করে কমই পাচ্ছি।

ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অবিযোগ কেয়ারটেকারের দখলে সম্পত্তি, হয়রানির শিকার মালিক

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি : সম্পত্তি দেখাশুনার জন্য বসতঘর নির্মাণ করে রাখা হয় পাহারাদার (কেয়ারটেকার), সেই পাহারাদারই এখন জমি দখল করে আছেন। জমির মালিক কোনভাবেই তাকে সরাতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সুরহার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা মানছেন না সম্পত্তির পাহারাদার শহিদুল ইসলাম। তিনি নিজেই এখন মালিকানা দাবি করছেন। এমনকি উল্টো মামলা দিয়ে জমির প্রকৃত মালিক ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে ট্রেড প্রশিক্ষক পদে কর্মরত চন্দ্রিমা রিমুকে হয়রানি করা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে আসামি করা হয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ২২ জনকে। সোমবার সকালে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন চন্দ্রিমা রিমু। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিমুর বোন মরিয়ম সিমু, অটোরিকশাচালক নবাব আলী হাওলাদার, প্রতিবেশী কামাল হোসেন ও গৃহকর্মী তানিয়া বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে চন্দ্রিমা রিমু দাবি করেন, তিনি রাজাপুর উপজেলার পশ্চিম নৈকাঠি এলাকার মিল্লাত হোসেনের মেয়ে এবং অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার সিকদারের স্ত্রী। তাঁর স্বামী ১৯৯৫ সালে ১৩ শতাংশ জমি কিনেন। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি স্বামীর কাছ  থেকে তিনি ওই জমির মালিকানা নেন। যা তাঁর নামে বিএস রেকর্ড সম্পন্ন হয় ২০০৫ ও ২০০৬ সালে। সম্পত্তি দেখাশুনার জন্য  কেয়ারটেকার হিসেবে স্বামীর সৎ বোনের ছেলে শহিদুল ইসলামকে কাঠের ঘর তুলে দেয়। সেই ঘরেই শহিদ পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। শহিদুল ঢাকায় একটি বাড়ির গার্ড হিসেবে দায়িত্ব চাকুরি পেলে তাঁর মা, স্ত্রী ও সন্তানকে ওই জমি দেখাশুনার জন্য রেখে যান।

জমিতে তিনি ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি নিলে শহিদকে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। এতেই শহিদুল ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগালি দিয়ে জমির মালিকানা দাবি করেন। গত ৪ নভেম্বর লেবার পাঠিয়ে কাজ শুরু করলে শহিদ লোকজন নিয়ে বাধা দেয়। এ ঘটনায় শহিদ উল্টো বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় ২২ জনকে আসামি করে একটি ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা দায়ের করেন। গত ৭ নভেম্বর ঝালকাঠির আদালত থেকে তাঁরা জামিনে মুক্ত হন।

চন্দ্রিমা রিমু অভিযোগ করেন, আদালত থেকে যাতে আমাদের জামিন না হয় শহিদ সেই চেষ্টা করেছে। তাঁর লোকজন দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে সম্মানহানি করছেন। তাঁরা আমার জমি জোর করে দখলে আছে, উল্টো আমার বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করছে। আমি আমার জমি দখলমুক্ত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।


 

রাজশাহীর বাগমারায় মাদকের লাগাম টেনে ধরার ঘোষণা ইউএনও'র

মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারা (রাজশাহী) : রাজশাহীর বাগমারায় এবার ভয়াবহ মাদকের লাগাম কঠোর হস্তে টেনে ধরার ঘোষণা দিয়েছেন নব যোগদানকারী ইউএনও ফারুক সুফিয়ান।

সোমবার উপজেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই ঘোষণার কথা ব্যক্ত করেন। এ সময় ইউএনও বলেন, মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। সামাজিক এবং প্রশাসনিক দুটোর সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে মাদককে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের মঙ্গলের জন্যই মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মাদক চক্র খুবই শক্তিশালী। এই শক্তিশালী চক্রকে দমন করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে হবে।

এ সময় ইউএনও বাগমারা থেকে মাদক নিমূল করে জিরো টালারেন্সে নিয়ে আসতে সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বাগমারায় আমি সবে মাত্র এসেছি। আমাকে মাদক সম্পর্কিত সার্বিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। আমিও আমার আইনী কাঠামোর মাধ্যমে বাগমারা থেকে মাদক নিমূলে সর্বাত্বক চেষ্টা চালাবো।

এর আগে বাগমারা ও ভবানীগঞ্জ পৌর এলাকায় মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরে সভায় বক্তব্য প্রদান করেন ভবানীগঞ্জ পৌরসভায় ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাচেন আলী ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবি। তাদের বক্তব্যের বিষয়ে জবাব প্রদান করেন সভায় উপস্থিত বাগমারা থানার ওসি (তদন্ত) আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, মাদক নিমূলে আমরাও দিনরাত অভিযান পরিচালনা করছি। সম্প্রতি ভবানীগঞ্জ পৌর এলাকায় রাজু নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক (ফেন্সিডিল) সহ হাতেনাতে আটক করা হলে তার ব্যাপারে বিভিন্ন (উপর মহল) থেকে সুপারিশ আসতে থাকে। আমরা পুলিশরা পড়ে যাই বেকায়দায়। তাই মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের পক্ষাবলম্বন না করে তাদেকে কঠোর হস্তে দমন করার জন্য পুলিশকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য বাখেন উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা উপজেলা চেয়ারম্যান অনীল কুমার সরকার, উপজেলা প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন, মাধ্যমিক কর্তকর্তা মাহমুদ হাসান, গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকার ও বাগমারা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলতাফ হোসেন। সভায় বাগমারায় অবৈধ ডাম চিমনির ইটভাটা বন্ধ ও আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget