Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

রাণীনগরে ট্রাকের ধাক্কায় মটরসাইকেল চালক নিহত; আহত একজন

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগরে ট্রাকের ধাক্কায় জয়েন উদ্দিন মিনা (৬০) নামে এক মটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। 

এছাড়া তার সাথে থাকা মটরসাইকেল আরোহী সাজ্জাত হোসেন (৫০) গুরুত্বর আহত হন। আহত সাজ্জাদ হোসেনকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলা সদরের হাসপাতাল গেটের সামনে মেইন সড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

 
নিহত জয়েন উদ্দিন মিনা সদরের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে ও আহত সাজ্জাদ হোসেন রাজাপুর গ্রামের হবি মিনার ছেলে।


নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাজ্জাদ হোসেনের এক আত্মীয় রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সেই আত্মীয়কে দেখতে জয়েন উদ্দিনকে নিয়ে মটরসাইকেল যোগে হাসপাতালে যান সাজ্জাদ। দেখা শেষে হাসপাতালের গেটের সামনে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা দুইজন। এ সময় হটাৎ করে আত্রাই থেকে নওগাঁর দিকে একটি ট্র্রাক দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় হাসপাতাল গেটের সামনে সড়কে তাদেরকে ধাক্কা দেন। এতে মটরসাইকেলে থাকা চালক জয়েন ও আরোহী সাজ্জাদ গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে রাণীনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়েন উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আহত সাজ্জাদকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

রাণীনগর থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাকটি আটক করেছে পুলিশ। আর ট্রাকের চালক পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে।

তিন কারণে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা

গবেষণা সংস্থা বিআইডিএসের এক জরিপে উঠে এসেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ বেকার। এ জরিপের ফল নিয়ে ১১ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে শিক্ষিত বেকার বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন চাকরির তথ্য প্রদানকারী অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বিডিজবস ডটকমের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাসরুর।

লেখা:ফাহিম মাসরুর, প্রধান নির্বাহী, বিডিজবস ডটকম

গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নাতক পাস ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বেকার থাকছেন। সরকারি এ গবেষণা সংস্থার জরিপের তথ্যকে যথাযথই মনে করেন চাকরির তথ্য প্রদানকারী অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বিডিজবস ডটকমের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাসরুর। তিনি বলেন, ‘বিআইডিএসের জরিপে যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তার সঙ্গে আমি শতভাগ একমত। অনেক দিন ধরে আমরা এসব বিষয়ে কথা বলছিলাম। এখন জরিপে তার সত্যতা পাওয়া গেল।’

ফাহিম মাসরুর বলেন, ‘মূলত তিনটি কারণে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রথমত, চাকরির বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে বড় ধরনের সমন্বয়হীনতা রয়েছে। চাকরির বাজারে যে চাহিদা রয়েছে, সে রকম লোক আমরা তৈরি করতে পারছি না। আবার প্রতিবছর যেসব শিক্ষিত লোক চাকরির বাজারে যুক্ত হচ্ছেন, তাঁদের উপযোগী চাকরি নেই। গত ১০ বছরে দেশে স্নাতক পাস শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। কারণ, দেশে প্রতিনিয়ত সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ছে। ১০ বছর আগেও বছরে ২ থেকে আড়াই লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস করে চাকরির বাজারে যুক্ত হতেন। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে চার-পাঁচ লাখে উন্নীত হয়েছে। আমাদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে বেশির ভাগ শিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীরা শহর ও শোভন কাজ করতে চান। কিন্তু শহরে যত চাকরিপ্রার্থী প্রতিবছর তৈরি হচ্ছে, সেই পরিমাণ চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে না।’

দ্বিতীয়ত, দেশে বর্তমানে চাকরির সুযোগ বাড়ছে উৎপাদনশীল ও কৃষি খাতে। দুটি খাতে আবার স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস তরুণদের কাজের সুযোগ কম। এ দুই খাতে কারিগরিভাবে দক্ষ লোকের চাহিদা বেশি। কিন্তু যেসব শিক্ষিত যুবক চাকরির বাজারে রয়েছেন, তাঁরা এসব কাজে নিজেদের যুক্ত করতে চান না।

এ ছাড়া করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে যেসব শিক্ষিত যুবকেরা নিজেরা ছোটখাটো ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে স্বকর্মসংস্থানে যুক্ত ছিলেন, তাঁরাও বেকার হয়ে পড়েছেন। এসব ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের হাতে সরকারের প্রণোদনার অর্থও খুব একটা পৌঁছায়নি। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এতেও শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। দেশে শিক্ষিত বেকার বেড়ে যাওয়ার এটি তৃতীয় কারণ। 

ফাহিম মাসরুর মনে করেন, গত পাঁচ-সাত বছরে তরুণ চাকরিপ্রার্থীদের চিন্তা ও পছন্দের জায়গাতেও বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। একসময় শিক্ষিত তরুণেরা ভালো বেতনের আশায় বেসরকারি চাকরির প্রতি বেশি আকৃষ্ট ছিলেন, এখন হয়েছে ঠিক উল্টো। সরকারি চাকরিতে যেভাবে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে, বেসরকারি খাত সেই তুলনায় অনেক পিছিয়ে। এখন মেধাবী ও শিক্ষিত তরুণেরা বেসরকারি চাকরির বদলে সরকারি চাকরিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এ জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুতিও নেন তাঁরা। আর এ সময়টাতে তাঁরা স্বেচ্ছায় বেকার থাকার পথকে বেছে নেন। এতেও শিক্ষিত বেকারত্বের হার বেড়ে যাচ্ছে।

ফাহিম মাসরুরের মতে, ‘এখন সময় এসেছে বাজারভিত্তিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করার। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরির নামে বেকারত্ব না বাড়িয়ে চাহিদানির্ভর শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তোলা। বাজারে চাহিদা কারিগরি শিক্ষার। আর আমরা নতুন নতুন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে সেখানে বিবিএ, এমবিএ শিক্ষা চালু করছি। কিন্তু এত বিবিএ-এমবিএর আদৌ দরকার আছে কি?’

ফাহিম মাসরুর মনে করেন, বেকারত্ব মোকাবিলায় গতানুগতিক চেষ্টায় বেশি কাজ হবে না। এ সমস্যার একটি সমাধান হতে পারে কারিগরি শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় বাধ্যতামূলকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা। বিবিএ পড়া বা ইংরেজিতে বা ইতিহাসে অনার্স পড়া একজন শিক্ষার্থীকে যেকোনো একটি কারিগরি বিষয়ে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আরেকটি সমাধান হতে পারে ইন্ডাস্ট্রিকে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা। সরকার প্রতিটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট দিতে পারে, সবাই নির্দিষ্টসংখ্যক ‘ফ্রেশ’ গ্র্যাজুয়েটকে প্রতিবছর তিন থেকে ছয় মাসের জন্য ইন্টার্ন হিসেবে নিয়োগ দেবে। তাদের বেতন সরকার সরাসরি মোবাইল হিসাবে দিয়ে দেবে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো তরুণদের সুযোগ দিতে উৎসাহিত হবে। কারণ, এতে তাদের কোনো খরচ হবে না। তাদের মূল দায়িত্ব হবে ‘অন দ্য জব’ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। প্রশিক্ষিতদের অনেকেরই প্রশিক্ষণ শেষে সেই প্রতিষ্ঠানেই নিয়মিত চাকরি হতে পারে। এতে একদিকে যেমন প্রশিক্ষণের সমস্যার সমাধান হবে, অন্যদিকে অনেক নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হবে।


সূত্র ; প্রথম অলো

 

নওগাঁয় মাদকবিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : “মাদককে রুখবো বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বো” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নওগাঁয় মাদক বিরোধী এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে এবং গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ফুটবল খেলার প্রতি যুব সমাজ ও বর্তমান প্রজন্মকে আগ্রহী করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। 

বিভিন্ন বয়সের কয়েক হাজার দর্শক শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শৈলগাছী ফুটবল মাঠে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করেন। জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো: হারুন-অর-রশীদ। 

খেলায় ট্রাইবেকারে রাজশাহী খেলোয়ার কল্যাণ সমিতি দল ৪-১গোলে নওগাঁ জেলা ফুটবল দলকে হারিয়ে বিজয়ী হয়। খেলা শেষে বিজয়ী ও বিজিত দলের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মো: রফিকুল ইসলাম রফিক।


সন্দ্বীপ উপজেলার ইউএনও এবং ওসি সাথে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সন্দ্বীপ উপজেলা শাখা নেতৃবৃন্দের সৌজন্যে সাক্ষাৎ

মিলাদ মুদাছ্ছির চট্রগ্রাম : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সন্দীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার উপজেলা শাখা নেতৃবৃন্দের পৃথক ২টি সৌজন্যে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে বেলা ১২ টায় সন্দ্বীপ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অফিসে পরে বেলা ১ টায় সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাতের সময় সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জেপি দেওয়ান ও সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহম্মদ খানের কাছে বিগত ০৪/০৯/২০২১ তারিখে নব গঠিত বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটির তালিকা হস্তান্তর ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নেতৃবৃন্দের সাথে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে সাংগঠনিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার আহবায়ক ইলিয়াছ সুমন, যুগ্ম আহবায়ক, আমিনুল হক চারু মিল্লাত, যুগ্ম আহবায়ক, মিলাদ মুদ্দাসসির, যুগ্ম আহবায়ক, কাউছার মাহামুদ দিদার, সদস্য সচিব পুষ্পেন্দু মজুমদার, সদস্য সাংগঠনিক দিদারুল আলম, ও সদস্য অর্থ সবুজ চন্দ্র দাস। 

এ সময় সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ কে সার্বিক সহযোগিতা ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে দেশ ও জাতির কল্যানের জন্য কাজ করার আহবান জানান।

একইভাবে, সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা বশির আহম্মদ খান ক্লাবের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং সত্য সংবাদ পরিবেশন করে জনকল্যানে কাজ করার আহ্বান জানান


চেয়ারে বসে নামাজ পড়া যাবে কি


মানুষের সাধ্যের বাইরে কোনো কিছু ইসলাম চাপিয়ে দেয়নি। কারণ, ইসলাম সহজাত, জীবনঘনিষ্ঠ ও স্বভাবজাত ধর্ম। আল্লাহর দেওয়া সব বিধানের মধ্যে নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অসুস্থ হলেও নামাজ আদায় করতে হয়। তবে সে ক্ষেত্রে ইসলাম কিছুটা অবকাশ দিয়েছে।

সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বসে নামাজ পড়ার বিধান

ইসলাম অসুস্থের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছে। ভিন্ন পদ্ধতিতে নামাজ আদায়ের সুযোগ দিয়েছে। তবে এর জন্য বিশেষ নীতিমালা রয়েছে। দাঁড়াতে ও সিজদা করতে সক্ষম— এমন ব্যক্তির জন্য নামাজে কিয়াম বা দাঁড়ানো ফরজ।

দাঁড়াতে বা সিজদা আদায়ে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও যদি কেউ ফরজ-ওয়াজিব নামাজ বসে আদায় করে, তবে নামাজের ফরজ ছেড়ে দেওয়ার কারণে তার নামাজ হবে না। নামাজ পুনরায় পড়তে হবে। (দুররে মুখতার, জাকারিয়া বুক ডিপো : ২/১৩২)

হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়

সিজদা করতে সক্ষম ব্যক্তি যদি নামাজের কিছু অংশে দাঁড়াতে সক্ষম হয় এবং পুরো সময় দাঁড়িয়ে থাকতে অপারগ থাকে, তবে যেটুকু সময় দাঁড়াতে পারবে, তা কোনো লাঠি বা দেয়ালের সঙ্গে ঠেস দিয়ে হলেও সেটুকু দাঁড়ানো ফরজ। এ অবস্থায় যদি না দাঁড়ায় এবং কোনো কিছুর ওপর হেলান দিয়ে দাঁড়ানোর পরিবর্তে বসেই নামাজ আদায় করে, তবে নামাজ হবে না। (দুররে মুখতার : ২/২৬৭)

কেউ যদি দাঁড়াতে সক্ষম, কিন্তু রুকু-সিজদা বা শুধু সিজদা করতে সক্ষম না হয়, তার জন্য বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ। সে ইশারার মাধ্যমে রুকু-সিজদা করবে। এ ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে ইশারার মাধ্যমে নামাজ আদায় করার চেয়ে বসে ইশারায় নামাজ আদায় করা উত্তম। (দুররে মুখতার : ২/৫৬৭, ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ১/১৩৬)

না দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে যখন

কিছু অক্ষমতা রয়েছে, যেগুলোর কারণে দাঁড়ানোর আবশ্যকতা রহিত হয়ে যায়। তা সাধারণত দুই প্রকার :

এক. হাকিকি বা মৌলিক অর্থাৎ এমন অক্ষম, যে দাঁড়াতে পারে না।

দুই. হুকমি বা বিধানগত অর্থাৎ সে এমন অক্ষম নয় যে দাঁড়াতে পারে না, বরং দাঁড়ালে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অথবা এমন দুর্বলতা থাকে, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে অক্ষমতা বলে বিবেচিত।

যেমন- অসুস্থতা, যার ব্যাপারে অভিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তাররা পরামর্শ দেন যে দাঁড়ালে রোগ বৃদ্ধি পাবে অথবা সুস্থতা ফিরে আসতে বিলম্ব হবে কিংবা দাঁড়ানোর কারণে অসহনীয় ব্যথা অনুভূত হয়—এসব অবস্থায় বসে নামাজ আদায় করা জায়েজ। (দুররে মুখতার মাআ রদ্দুল মুহতার : ২/৫৬৫)

চেয়ারে নামাজ আদায় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই বিধান

যে ক্ষেত্রে শরয়ি ওজরের কারণে চেয়ারে বসে ইশারার মাধ্যমে নামাজ আদায় করার অনুমতি রয়েছে, সে ক্ষেত্রে সিজদার সময় ইশারার ওপরই ক্ষান্ত হওয়া উচিত। উল্লিখিত দীর্ঘ আলোচনার সংক্ষিপ্ত নিম্নরূপ :

এক. যে ব্যক্তি দাঁড়াতে সক্ষম নয়, কিন্তু যেকোনোভাবে মাটিতে বসে রুকু-সিজদা করে নামাজ আদায় করতে পারে, তাকে মাটিতে বসেই রুকু-সিজদা করে নামাজ আদায় করতে হবে। চেয়ার ইত্যাদিতে বসে ইশারায় রুকু-সিজদা করে নামাজ আদায় করা জায়েজ হবে না।

দুই. আর কেউ যদি দাঁড়াতে পারে, কিন্তু কোমর বা হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়ায় সিজদা করার শক্তি না রাখে অথবা সে মাটিতে বসতে পারে, কিন্তু রুকু-সিজদার শক্তি রাখে না, এরূপ লোক মাটিতে বসে নামাজ আদায় করবে। চেয়ার ইত্যাদির ব্যবহার তাদের জন্য উচিত নয়। হ্যাঁ, যদি কোনোভাবেই মাটিতে বসা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে, তখন চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করা যেতে পারে। এ অবস্থায় চেয়ার ব্যবহার করলেও সাদামাটা চেয়ার ব্যবহার করবে। আসলে অসুস্থ ব্যক্তির অবস্থাভেদে চেয়ারে বসে নামাজ আদায়ের বিভিন্ন হুকুম হতে পারে। তাই এ বিষয়ে ঢালাও মন্তব্য কাম্য নয়।


লেখক ও গবেষক

নওগাঁয় সতিনের ছোঁড়া অ্যাসিডে ঝলসে গেছে গৃহবধূ আটক - ২


তৌফিক তাপস, নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলা গ্রামে স্বামী ও সতিনের ছোঁড়া অ্যাসিডে পাতাসি বিবি (২৭) নামে এক গৃহবধূর শরীর ঝলসে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই নারী আতাইকুলা মধ্যপাড়া গ্রামের মজনুর রহমানের মেয়ে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা পাতাসির স্বামী ও সতিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

পাতাসির স্বজনরা জানান, আত্রাই উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের ওসমান আলীর সাথে ৩ বছর আগে পাতাসির বিয়ে হয়। ওসমান প্রথম স্ত্রী রেখে পাতাসিকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

জানা যায়, দ্বন্দ্বের জের ধরে মঙ্গলবার রাতে স্বামী ওসমান আলী ও সতিন নার্গিস বিবির সাথে আবার‌ও পাতাসির ঝগড়া হয়। বৃহস্পতিবার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নার্গিস ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে অ্যাসিডের বোতল বের করে সতিন পাতাসির ওপর নিক্ষেপ করে। এতে পাতাসির শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। ঘটনার সময় পাশে থাকা খাদিজা আক্তার (৭), ইন্তাজ রিতা আক্তার (১৩) আকাশ হোসেন (৮) নামে আরও ৪ শিশুর শরীরে অ্যাসিড পড়ে। এ ঘটনায় ওই চার শিশু আহত হয়েছে। ঘটনার সাথে সাথেই পাতাসিসহ আহত সবাইকে উদ্ধার করে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাতাসি ও খাদিজাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার পর গ্রামবাসী পাতাসির স্বামী ওসমান আলী ও সতিন নার্গিসকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ওই দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অ্যাসিড নিক্ষেপের দায় স্বীকার করেছে।

রাণীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন, অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় স্বামী ওসমান ও সতিন নার্গিসকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget