মিলাদ মুদ্দাসসির,সন্দ্বীপ : দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে মিত্র বাহিনীর পক্ষে বৃটিশ সৈনিক হিসাবে সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ কারী সন্দ্বীপ উপজেলার ৩ নং গাছুয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক পিতা আবদুল আজিজের জোষ্ঠ পুত্র NID NO.1517830300757 জম্ম তারিখ ৫ এপ্রিল ১৯০৭ ইং অনুযায়ী ১১৫ বছর পদার্পনে সংবাদ সম্মেলন করছেন। শুক্রবার(৩ সেপ্টেম্বর)এনাম নাহার হাই স্কুলের মোড়ে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সন্দ্বীপ উপজেলা শাখার অস্থায়ী কার্যালয়ে বিকেল ৪ টায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন একজন সৈনিক ও যোদ্ধা হিসেবে ১১৫ বছর কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছি। বার্ধক্যজনিত শারীরিক অক্ষমতা ছাড়াও অনেক জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে অভাব অনটনে কাটছে জীবন।
তিনি আকুতি করে বলেন, শতাব্দীর মহানায়ক হাজার বছরের শেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জোষ্ঠ কন্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় এবং বৃটিশ হাই কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষনার্থে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী জীবিত বৃটিশ সৈনিক হিসাবে সম্মাননা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ত্রান তহবিল হইতে আর্থিক অনুদানের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। তিনি আরো বলেন ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকারী ঘুণীঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে আমার বসত বাড়ি সহ আমাদের যাবতীয় দলিল পত্রাদি বন্যার পানিতে ভেসে যাই, যার কারনে আমার প্রয়োজনীয় দলিলাদি উপস্থাপনে দিতে ব্যর্থ। তবে তিনি দাবি করেন ব্রিটিশ হাইকমিশন বা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের নথি অনুসন্ধান করলে তার বিস্তারিত তথ্য খুজে পেতে পারেন। তিনি বলেন, আমার কোম্পানির নাম ২৪১ নং ডক কো- অপারেশন ( ২) আমার সেনা ক্রমিক নম্বর ১৯৬৫১৭, তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে প্রশিক্ষণ শেষ করে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি। ভারতের বোম্বে মুম্বাই, আকিয়ার, দুলালি, মালয় এবং বার্মার রেঙ্গুনে যুদ্ধে শেষ করি। যুদ্ধ শেষে বৃটিশের রাজকীয় মোহনায় হয়ে অনন্য বৃটিশ সৈনিকের সাথে জাপান সফর করি। আমার স্ত্রী সহ ৯ জন ছেলে মেয়ে ভরন পোষণ ও সংসারের চাকা ঘুরাতে কৃষি শ্রমিক হিসাবে কৃষি কাজে মনোযোগ দেই। বর্তমানে আমার একটা জরাজীর্ণ বসতঘর ও ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছু নেই। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বৃটিশ হাইকমিশনারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি।
সংবাদ সম্মেলনে আবু বক্করের ৪ ছেলে ২ ভাতিজা সহ ২৫ জন আত্মীয় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও এই ব্রিটিশ মুক্তিযোদ্ধার বড় ছেলে দাবী করেন বর্তমানে গ্রিনেশ বুকের রেকর্ডকৃত বিশ্বের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠের বয়স ১১৪ বছর সেই হিসেবে আমার বাবা ১১৫ বছরে পা রেখে বিশ্বের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ হিসেবে বেঁছে আছেন। এই ব্রিটিশ মুক্তিযোদ্ধা, তার আত্মীয় স্বজন ও সমাজের বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিককে গিনেস বুকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানান।