Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

ঝালকাঠি জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি : ঝালকাঠি জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার(২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঝালকাঠি জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেড এ মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় পুলিশ সুপার  ফাতিহা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মোঃ ম‌ঈনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) প্রশান্ত কুমার দেসহ পুলিশ কর্মকর্তা গত বক্তব্য রাখেন। এ সময় জেলা পুলিশে কর্মরত সকল অফিসার ও ফোর্সের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শ্রবণ করেন এবং তা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।

 

নওগাঁয় দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

 সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগরে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতাল এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ও খামারী ড. ইউনুছ আলী প্রামানিক, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা: মহির উদ্দিন, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা: আমিনুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মেহেদী হাসান, পল্লী উন্নয়ন অফিসার মাহবুবুর রহমান, বরেন্দ্র উন্নয়ন অফিসার ফারুক হোসেন, জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী ইকরামুল বারী, কাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান বাবু, উপজেলা চেয়ারম্যানের সিএ আনছার আলী, খামারী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা। প্রদর্শনীতে মোট ২৩টি স্টল অংশ গ্রহণ করে।

নওগাঁর রাণীনগরে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগরে দিনব্যাপি প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতাল এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ও খামারী ড. ইউনুছ আলী প্রামানিক, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা: মহির উদ্দিন, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা: আমিনুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মেহেদী হাসান, পল্লী উন্নয়ন অফিসার মাহবুবুর রহমান, বরেন্দ্র উন্নয়ন অফিসার ফারুক হোসেন, জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী ইকরামুল বারী, কাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান বাবু, উপজেলা চেয়ারম্যানের সিএ আনছার আলী, খামারী ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা। 

প্রদর্শনীতে মোট ২৩টি স্টল অংশ গ্রহণ করে। পরে অতিথিরা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। বিকেলে শ্রেষ্ঠ স্টল ও খামারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরনের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী শেষ হবে।

মানব জীবনে হারাম উপার্জনের প্রভাব


অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী : মহান আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের প্রদান করেছেন যথার্থ পথনির্দেশ। তাকে কখনোই থাকতে হয় নি দিশেহারা হয়ে। আল্লাহ তায়ালা বলেন ‘আমি প্রতিটি জাতির জন্যই রাসুল প্রেরণ করেছি।’ [আল কুরআন] মহাগ্রন্থ আল কুরআন অবতরণের মাধ্যমে মুহাম্মদ (সা.) এর দ্বারা মানব জাতিকে প্রদান করা হয় পূর্ণাঙ্গ এক জীবনব্যবস্থা। তাদের জন্য করণীয়-বর্জনীয় সব কিছুর স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে তাতে। মহান আল্লাহ তায়ালা সকল সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তা। তাই সৃষ্টির মন্দ এবং ভালো সম্পর্কে তিনিই সর্বাধিক পরিজ্ঞাত। সৃষ্টির জন্য কল্যাণকর বিষয়কে তিনি বৈধ করেছেন আর অকল্যাণকর বিষয়কে করেছেন অবৈধ।

হারাম ইসলামি শরিয়তের একটি পরিচিত পরিভাষা। অর্থ অবৈধ, নিষিদ্ধ, অননুমোদিত। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় যে সকল বিষয়ের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে অকাট্য দলিল রয়েছে তাকে হারাম বলে। প্রতিটি ক্রিয়ারই কোনো না কোনো প্রতিক্রিয়া রয়েছে। হারামও এর ব্যতিক্রম নয়। ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে হারামের বিস্তৃত প্রভাব রয়েছে। মন্দ খাদ্য খেলে শরীরে যেমন মন্দ প্রভাব দেখা যায়, ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে হারামেরও তেমন মন্দ প্রভাব রয়েছে।

সাধারণত মানুষ যে সব হারামে লিপ্ত হয় তা হলো, খাদ্য গ্রহণ, উপার্জন ও হারাম কাজ সম্পাদন। হারাম খাদ্য গ্রহণের দ্বারা মানব মনে সৎ কাজের ইচ্ছা হ্রাস পায় এমন পাপ কাজের আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়। ইসলামী চিন্তক মুহিতুল ইসলাম সিদ্দিকী আদিল বলতেন, আমি একবার এক দাওয়াতে গেলাম। আর আগে থেকে আমার জানা ছিলো না যে, ঐ ব্যক্তির উপার্জন হারাম। না জানার কারণে এই ভেবে চলে গিয়ে ছিলাম যে, সে তো একজন মুসলিম। সুতরাং তার উপার্জন হালাল হবে এটাই স্বাভাবিক। কিছু খানা খেয়েও ফেললাম। এক পর্যায়ে জানতে পারলাম, তার উপার্জন হারাম। তখন সাথে সাথে খানা ছেড়ে উঠে গেলাম। কিন্তু ঐ যে না জেনে কয়েক লোকমা খেয়েছিলাম, তার মন্দ প্রভাব কয়েক মাস পর্যন্ত অনুভব করলাম। আর তাহলো, বারবার মনে গুনাহর ইচ্ছা জাগতো যে, অমুক গুনাহ করি, অমুক গুনাহ করি।

হারাম কাজ করার দ্বারা ব্যক্তির লজ্জাশীলতা হ্রাস পায়। মন থেকে আল্লাহ ভীতি কমে যায়। সমাজে অনিষ্টের সৃষ্টি হয়। পরকালীন শাস্তির উপযুক্ত হতে হয়। মানব জীবনে হারামের যে সব দিক রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম বিষয় হলো হারাম উপার্জন। ব্যক্তি যদি হারাম উপার্জন করে তাহলে সে স্বাভাবিকভাবেই হারাম আহার করে। হারাম পরিধান করে। আর এ সম্পর্কে ইসলামে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। হারাম কাজ করার মাধ্যমে আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.) এর বিরুদ্ধাচারণ করা হয়। কেননা কুরআন ও হাদিসে হালাল ও হারামকে  পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এ কারণে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য হালাল উপার্জন করা ওয়াজিব। এ সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয় হালাল স্পষ্ট এবং হারাম স্পষ্ট এ দুটির মাঝে সন্দেহযুক্ত বিষয় আছে অনেক লোক তা জানে না। যে সন্দেহযুক্ত জিনিস থেকে বেঁচে থাকবে সে তার দিন এবং সম্মানকে ত্রুটি মুক্ত রাখলো। আর যে সন্দেহযুক্ত জিনিষের মধ্যে পতিত হলো সে হারামের মধ্যে পতিত হলো।

যদি কেউ এ সম্পর্কে না জানে তাহলে তার জ্ঞানীদের নিকট থেকে জেনে আমল করা ওয়াজিব। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সুতরাং জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস কর, যদি তোমরা না জানো।’ [সূরা নাহল:৪৩] হারাম খাদ্য দ্বারা গড়া শরীর কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করবে না। জান্নাতে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে হারাম অনেক বড় একটি প্রতিবন্ধক।

এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘আর যে দেহ হারাম খাদ্য দ্বারা গড়ে ওঠে তার জন্য দোজখের আগুনই উত্তম। [জামিউস সগির: ৮৬৪৮] হারাম উপার্জনের দান আল্লাহ কবুল করেন না। অনেকে হারাম সম্পদ উপার্জন করে পাপমোচনের আশায় দান খয়রাত করে থাকেন। হারাম উপার্জনের দানে সাওয়াব হওয়া তো দূরের কথা এ দান আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন না। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলূল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা পবিত্রতা ছাড়া কোনো সালাত কবুল করেন না, আর হারাম উপার্জনের দানও আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন না।’ [ইবনে খুজাইমাহ: ১০] হারাম উপার্জনের দ্বারা সমাজে জুলুম অত্যাচারের দ্বারা উন্মোচিত হয়। যেমন ঘুষ নেয়া হারাম। এর দ্বারা স্পষ্টভাবে সৃষ্টির উপর জুলুম করা হয়। ঘুষের সম্পদের যে গোস্ত হয় তার ঠিকানা জাহান্নাম, এ সম্পর্কে হযরত আবু বকর (রা.) এর ঘটনা ইমাম বুখারি (রহ.) মানাকেব অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন। হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) এর একজন ক্রীতদাস ছিলো যে তার ট্যাক্স আদায় করতো, হযরত আবু বকর (রা.) ট্যাক্সের পয়সায় তার সংসার চলতো, সে একদিন তার জন্য একটা জিনিস আনলো। হযরত আবু বকর (রা.) তার থেকে খেলেন। ক্রীতদাসটি তাকে বললো এটা কি তা আপনি জানেন? তিনি প্রশ্ন করলেন এটা কি? সে বললো- আমি ইসলাম পূর্বযুগে এক ব্যক্তির রাশিফল গণনা করেছিলাম। আর এ রাশিফল গণনা করতে আমি তার সাথে ধোঁকাবাজী করতাম। তার সাথে আজ আমার সাক্ষাৎ হওয়ার পর সে আমাকে ঐ জিনিস দিয়েছিলো। তার থেকেই আপনি খেয়েছেন, হযরত আবু বকর (রা.) মুখের ভেতর হাত দিলেন এবং পেটের ভেতর যা ছিলো সব বমি করে দিলেন।

হযরত কা’ব বিন উজরা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে রাসুল (সা.) আমাকে বললেন, ‘হে কা’ব বিন উজরা! আমি আল্লাহ তার নিকট তোমার জন্য ঐ সমস্ত শাসক থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যারা আমার পরে আসবে। যে ব্যক্তি তাদের দরবারে যাবে তাদের মিথ্যাকে সত্য বলে সত্যায়ন করবে। তাদের অত্যাচারে সাহায্যে করবে সে আমার সাথে নয়। আমিও তার সাথে নই। সে হাউজে আসতে পারবে না। আর তাদের দরবারে গেলো অথবা না গেলো, তাদের মিথ্যাকে সত্য বলে সত্যায়ন করলো না, তাদের অত্যাচারে সাহায্যে করলো না। সে আমার সাথে আমিও তার সাথে এবং সে হাউজের কাছে আমার সাথে সাক্ষাৎ করবে। হে কা’ব ইবনে উজরা নামাজ হলো দলিল-প্রমাণ। সিয়াম হলো শক্ত ঢাল। দান সদকা গুনাহকে তেমনই মিটিয়ে দেয় যেমন পানি আগুনকে মিটিয়ে দেয়। হে কা’ব ইবনে উজরা! ঐ মাংস বৃদ্ধি পায় না যা হারাম দ্বারা তৈরি হয়। বরং জাহান্নাম এর থেকে উত্তম।’ বর্তমানে হারাম উপার্জনের আরেকটি মাধ্যমে হলো সুদ। ইসলামে এটি একটি জঘন্য অপরাধ। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা পরিষ্কারভাবে সুদকে হারাম করেছেন। সুদ না ছাড়লে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার কথা বলেছেন। হাদিসে রাসুল (সা.) সুদ গ্রহণ করাকে নিজের মায়ের সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার থেকেও নিকৃষ্ট বলেছেন।

সুদ এমন এক হারাম যা সমাজের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়। অভাবীকে আরো অভাবী করে। আর ধনীকে করে আরও ধনী। এর মাধ্যমে এক শ্রেণির লোক নির্বিচারে শোষিত হয় আরেক শ্রেণির লোক বিনা পরিশ্রমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে। হারাম উপার্জনের দ্বারা ব্যক্তির মধ্যে অতৃপ্তির সৃষ্টি হয়। দিন দিন তার মাঝে সম্পদের চাহিদা বাড়তে থাকে। আমরা দেখতে পাই, যে ব্যক্তি হারাম পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে লোভ লালসা তার মনের মধ্যে অনেক বেশি বাসা বাঁধে। সে মনে কখনো শান্তি পায় না। সব সময় কৃপণতা করে। তাদের হাত ভর্তি কিন্তু মন খালি। মানুষ তাদের সম্পর্কে বলে, ধনীরা গরিবদের সম্পদের প্রতি বেশি লোভাতু হয়। কেননা হাদিসের ভাষায় তারা হলো এমন যে, খাবার গ্রহণ করে তবে তাদের পেট ভরে না। আর যে সুদের কারবারের মধ্যে পড়ে যায়, সে তার থেকে তওবা করে না। ফলে সুদ গ্রহণ করা থেকে তার মধ্যে অনুশোচনা আসে না। আর যে ব্যক্তি মানুষের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে, অন্যায় কাজ তার জন্য সুন্দর করে দেখানো হয়। সে নিজে সেটিকে ভালো মনে করে। ফলে কোনো বাহানা বা ষড়যন্ত্র করতে ত্রুটি করে না। আমরা দেখতে পাই তাদেরকে যারা মানুষের সাথে ধোঁকাবাজি করে মিথ্যার আশ্রয় নেয়, অথবা শুনতে পাই তাদে সম্পর্কে যারা কোনো কাজ করে দিয়ে তার পরিবর্তে ঘুষ নেয় অথবা জমির দালালি করে পয়সা নেয় তাদের এই হারাম উপায়ে অর্জন করতে অন্তর কাঁপে না। তারা মানুষের ন্যায্য অধিকার দিতে কার্পণ্য করে শ্রমিকের মজুরি ঠিকমতো দেয় না। আল্লাহ তায়ালার নিষিদ্ধ পথে কখনোই শান্তি, নিরাপত্তা মিলতে পারে না। পরকালীন এবং ইহকালীন উভয় জীবনেই হারাম ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। সবশেষে সেই দোয়া করি যা রাসুল (সা.) করেছেন- ‘হে আল্লাহ! হারাম থেকে বাঁচিয়ে হালাল আমাদের জন্য যথেষ্ট করে দিন। গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে আনুগত্য যথেষ্ট করে দিন। আপনি অনুগ্রহ করে আমাদের মুখাপেক্ষীহীন করে দিন।


লেখক : অধ্যক্ষ এম সোলাইমান কাসেমী, ইসলামী চিন্তক ও শিক্ষা-সংগঠক।

জন্ডিস হয়েছে, কী করে বুঝবেন, কী কী খাবেন


লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাংলাদেশের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে জন্ডিস খুবই প্রচলিত অসুখ। প্রকৃত পক্ষে জন্ডিস কোনো রোগ নয়। জন্ডিস মানে যকৃতের প্রদাহ বা হেপাটাইটিস। এটি রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ মাত্র। জন্ডিস বলতে বুঝায়, লিভারের যেকোনো জটিলতার কারণে চোখ হলুদ হওয়া, প্রস্রাব হলুদ হওয়া, খাওয়ায় অরুচি, মুখগহ্বর হলুদ হওয়া এবং কারো কারোর ক্ষেত্রে চামড়া পর্যন্ত হলুদ হয়ে যাওয়া। এসবকে জন্ডিসের লক্ষণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে জন্ডিস হওয়া মানে কিন্তু লিভার কোনা কোনাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা আক্রান্ত হওয়া।

লিভারের ক্ষতি

ভাইরাস থেকে শুরু করে নানান ধরনের ওষুধ, অ্যালকোহল ইত্যাদি কারণে লিভারে প্রদাহ হতে পারে। আমাদের দেশে লিভার প্রদাহের প্রধান কারণ হেপাটাইটিস ই, এ এবং বি ভাইরাস। এর মধ্যে প্রথম দুটি পানি ও খাদ্যবাহিত আর তৃতীয়টি ছড়ায় মূলত রক্তের মাধ্যমে। হেপাটাইটিস এ ভাইরাস প্রধানত শিশুদের জন্ডিসের কারণ, তবে যেকোনো বয়সের মানুষই হেপাটাইটিস ই ও বি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।

ভুল চিকিৎসা নয়

জন্ডিস যেহেতু কোনো রোগ নয়, তাই এর নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। ৭ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে রক্তে বিলিরুবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে গেলে জন্ডিস এমনিতেই সেরে যায়। এ সময়টাতে খুব বেশি করে দরকার বিশ্রাম। বলা যায় বিশ্রামই এ রোগের চিকিৎসা। ব্যথার ওষুধ যেমন: প্যারাসিটামল, অ্যাসপিরিন, ঘুমের ওষুধসহ অন্য কোনো অপ্রয়োজনীয় ও কবিরাজি ওষুধ খাওয়া মোটেও উচিত নয়। এককথায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধই সেবন করা ঠিক না। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার ঝুঁকিটাই বেশি থাকে।

কী খাবেন

প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন। তবে অতিরিক্ত পানি পানের প্রয়োজন নেই। পানি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। আখের রস, ডাবের পানিও শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে। তবে রাস্তার পাশের আখের শরবত না পান করে ঘরে তৈরি শরবত খেতে পারেন। লেবু, বাতাবি লেবুর শরবত জন্ডিস রোগীর জন্য খুবই ভালো। এগুলো শরীরে পানির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অবশ্য জন্ডিসের সময় বাতাবি লেবু খাওয়া আমাদের বাঙালি ঘরের পুরনো রীতি।

প্রতিদিন বাদামও পরিমাণমতো খেতে পারেন। সামান্য আদা কুঁচি বা রসুন কুঁচি, আদার রস বা আদা চা খাওয়া যেতে পারে দিনে দুই-একবার। এগুলো যকৃতের জন্য ভালো। মাছ, মুরগির মাংস, ডাল পরিমাণমতো খেতে হবে। না হলে রোগী দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। অনেকে মনে করেন, জন্ডিসে আক্রান্ত রোগী মাছ-মাংসজাতীয় খাবার খেতে পারবেন না। এটা মারাত্মক ভুল ধারণা।

কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা পূরণে বাদামি চাল, রুটি, ওটস খেতে পারেন। গোটা শস্যে প্রচুর আঁশ, ভিটামিন থাকে, যা ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। এছাড়া মিষ্টিকুমড়া, মিষ্টি আলু, মুলা, বিট, গাজর, টমেটো, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও পালংশাক জন্ডিস রোগীর জন্য খুব ভালো।

জন্ডিস থেকে সুস্থতার পথে স্যুপ ও বিভিন্ন ফল রাখতে পারেন পথ্যে। বেরিস, পেঁপে, তরমুজ, আনারস, পাকা আম, কলা, কমলা, জলপাই, অ্যাভোকাডো, আঙুরের মতো সহজপাচ্য ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।


তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

নওগাঁয় পিস্তল-গুলি-মাদকসহ আটক ১


তৌফিক তাপস,নওগাঁ : নওগাঁর বদলগাছী থেকে পিস্তল, গুলি ও ফেনসিডিলসহ আব্দুল গাফফার (৪৬) নামে এক মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর (খাঁ পাড়া) থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক আব্দুল গাফফার ওই গ্রামের জহির সোনারের ছেলে। 

বুধবার (১অক্টোবর) বেলা ১১টায় ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মথুরাপুর (খাঁ পাড়া) গ্রামের অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেরে আব্দুল গাফফার বাড়ির টিনের চালার ওপর দিয়ে পাশের বাড়িতে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় তাকে আটক করা হয়।

পরে তল্লাসী চালিয়ে ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড তাজা গুলি জব্দ করা হয়। একই সময় তার বাড়ি তল্লাশি করে ৫৩ বোতল ফেন্সিডিল এবং দুই লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, আব্দুল গাফফার একজন কুখ্যাত অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা করত। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মোট ১৪ টি মামলা আছে। যার মধ্যে ১২টি চোরাচালান, একটি অস্ত্র এবং একটি মাদক আইনে মামলা আছে। 

সংবাদ সম্মেলনে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম মামুন খান চিশতি ও গাজিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমিন, সদর থানার ওসি নজরুল ইসলাম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি কেএম শামসুদ্দিনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget