আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত দু’দিনে আফগানিস্তানের কাবুল থেকে আসা ৪৬টি বিমান জোর করে নামানোর কথা স্বীকার করল উজবেকিস্তান। তাদের দাবি, বেআইনিভাবে তাদের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল বিমানগুলো। তাই সেগুলো নামাতে বাধ্য হয়েছে তারা।
রোববার (১৫ আগস্ট) তালেবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর থেকেই দলে দলে দেশ ছাড়ছেন আফগান মানুষ। এই দেশত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি ও তার ঘনিষ্ঠ সেনাকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও। বিমানে চেপে আশপাশের দেশে আশ্রয়ের খোঁজ করছেন তারা।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালেই উজবেকিস্তানে আফগান সেনার একটি বিমান ভেঙে পড়ার কথা সামনে আসে। জানা যায়, রোববার গভীর রাতে বিমানটি সেখানে ভেঙে পড়ে। শুরুতে এ নিয়ে কোনো মন্তব্যই করেনি উজবেকিস্তান সরকার। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানায় তারা।
কিন্তু দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মন্তব্যেই অসঙ্গতি ধরা পড়ে। প্রথমে রাশিয়া জানায়, উজবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের। বিমানটি নামানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
এরপর উজবেক সরকার বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, রাস্তা দেখিয়ে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে আফগান বিমানটি ভেঙে পড়ে। পরে যদিও সেই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেয় উজবেক সরকার।
এর পরই মঙ্গলবার জোর করে বিমান নামানোর কথা মেনে নেয় তারা। জানায়, রোববার থেকে মোট ২২টি আফগান যুদ্ধবিমান এবং ২৪টি সেনা হেলিকপ্টার বেআইনিভাবে তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। ওই ৪৬টি বিমানে গনি সরকারের ৫৮৫ জন আফগান সেনাকর্তা ও কর্মকর্তা ছিলেন। তাই সেগুলো নামানো হয়।
রোববার রাতে ‘ভেঙে পড়া’ বিমানটিও বেআইনিভাবে আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় নামানো হয় বলে জানিয়েছে তারা। ওই দুই বিমানের পাইলট হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের কী অবস্থা, তা স্পষ্ট করেনি উজবেক সরকার।
আফগানিস্তানের দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চলে আসা বিক্ষোভের আঁচ উজবেকিস্তানকেও বছরের পর বছর বয়ে বেড়াতে হয়েছে। তাই রোববার তালেবান কাবুল দখল করার পর থেকেই অনেক বেশি সতর্ক তারা।
এর আগে, বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে চিকিৎসা সহায়তা চাইতে আসা ৮৪ জন আফগান সেনাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিল উজবেকিস্তান।
সূত্র: আনন্দবাজার।