Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

ঝালকাঠির জালালকাঠিতে ব্রীজ যেন মরণ ফাঁদ


রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি : ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়নের জালালকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খালের উপর ব্রীজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা এটি কি ব্রীজ না মরণ ফাঁদ? ব্রীজটির  প্রায় অর্ধেক পরিমান ঢালাই খসে পড়েছে এবং খসে পড়া জায়গায় রড বেড় হয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। সেই রডের উপর ভাঙ্গা জায়গায় কাঠের তক্তা বিছিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে কোনমতে চলছে হোন্ডা ও অটোরিকসাসহ নানা রকম যানবাহন। জানা গেছে প্রায় ৫/৬ বছর যাবত ব্রীজটির এই ভগ্নদশা থাকলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান সিন্টু জানান, এ ব্রীজটি দিয়ে দৈনিক সহস্রাধিক লোক যাতায়াত করে। নথুল্লাবাদ ও বিনয়কাঠি ইউনিয়নের জনগন ঝালকাঠি ও বরিশাল শহরে এই ব্রীজটির উপর দিয়ে যাতায়াত করে। জেলা পরিষদের এত অর্থ বরাদ্দ দেয়া সম্ভব নয় বিধায় জেলা পরিষদ কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এজন্য ঝালকাঠির এলজিইডি’র ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও জন গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজটি অজানা কারণে নির্মাণ হচ্ছে না।

বিনয়কাঠি ইউপি চেয়ারম্যান এ জে এম মঈন উদ্দিন পলাশ সাংবাদিকদের জানান, “ব্রীজটি নির্মাণের জন্য আমি চেষ্টা চালাচ্ছি। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি ব্রীজ। জরুরী ভিত্তিতে ব্রীজটি নির্মাণ করা একান্ত  প্রয়োজন। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।”

নথুল্লাবাদ ইউনিয়ের চেয়ারম্যান মো: জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, “আমার জানামতে জনগুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজটি নির্মাণের জন্য ষ্টিমিট করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই ব্রীজটি নির্মাণের ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।”

ঝালকাঠির প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, “এ বিষয়টি সদর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার ভালো বলতে পারবেন। তিনি লোকেশান জানেন। আপনারা তার সাথে কথা বলেন, তিনি আমাকে বিষয়টি জানাবেন।”

ঝালকাঠি সদর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল বাকী চৌধুরী জানান, “ব্রীজটি আইবিআরপি প্রকল্পে প্রস্তাবিত রয়েছে। ইতিমধ্যে ব্রীজটির সয়েল টেষ্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। এলজিআরডি সদর দপ্তর অনুমোদন দিলে অচিরেই ব্রীজটির কাজ শুরু হবে।

 

রাণীনগরে আন্তঃজেলা চোর চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগরে আন্তঃজেলা চোর চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৫ আগষ্ট) গভীর রাতে উপজেলার সদরের রেলগেট এলাকা থেকে তাদের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার কাঠালতলী গ্রামের মামুনের ছেলে আব্দুল হাকিম (২০) ও চকরামপুর মধ্যপাড়া গ্রামের আত্তাব আলীর ছেলে আব্দুল্লা মিলন (২৩)।

রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ জানান, প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার রাতে পুলিশের টহল চলছিলো। গভীর রাতে দুইজন লোক রেলগেট এলাকায় ঘোরাফেরা করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে হাকিম ও মিলনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মটরসাইকেল, দুইটা প্লাস, একটি কাচি ও একটি টায়ারলেবার উদ্ধার করা হয়। 

ওসি জানান, গ্রেফতার দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা সদরের গ্রামীণ মিডিয়া ইলেকট্রনিক্স শো-রুমে হওয়া চুরির সাথে জড়িত আছে বলে স্বীকার করেছেন। তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নওগাঁ, মহাদেবপুর ও আদমদিঘী থানায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 


ঝালকাঠিতে জাতীয় শোক দিবস পালিত

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি : ঝালকাঠিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে। 

 ১৫ আগষ্ট রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে পুস্পার্ঘ অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঝালকাঠি আইনজীবি সমিতি, জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কাষ্টম ও ভ্যাট, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ, গণপূর্ত বিভাগ, ফায়ার ও সিভিল কার্যালয়, জেলা আনসার ভিডিপি, ইসলামী ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ; ঝালকাঠি, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি পরিষদ, জেলা শিক্ষা অফিস, জেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তর, ঝালকাঠি জেলা ধ্রুবতারা ইয়ূথ ডেভেলেপমেন্ট ফাউন্ডেশন (ডিওয়াইডিএফ) ও ঝালকাঠির একাধিক গণমাধ্যম সংগঠন। 

এর আগে জেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহরের টাউন হলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পন করা হয়। এদিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুপুরে চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগীতা, জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে দোয়া ও মলিাদ মাহফিল, হামদ্ ও নাত ও  বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে নওগাঁয় বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন

সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : নওগাঁয় পালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। আজ রোববার (১৫ আগষ্ট) সকাল নয়টায় শহরের মুক্তির মোড়ে অস্থায়ী বেদিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ। এরপর জেলা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, সিভিল সার্জন, খাদ্য বিভাগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, এক মিনিট নীরবতা এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা আওয়ামী লীগ ছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
 


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি একদল মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা!

নিকোলাস বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : শোকতপ্ত ১৫ আগষ্ট। হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী। এ বছরই আমরা তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী পালন করছি। তাই এবারের জাতীয় শোকদিবস খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিরোধী পক্ষের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রতি বছর ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের স্মরণে দিনটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে সারাদেশে জাতীয় শোকদিবস হিসেবে পালন করা হয়। শোকদিবসের অংশ হিসেবে এ দিনে কালো পতাকা উত্তোলন সহ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখা হয়।

১৯২১ সালের ১৭ মার্চ বাংলার অবিসংবাদিত নেতা এদেশের মহান স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এদেশের মুক্তির সংগ্রামে তিনি অপরিসীম ত্যাগস্বীকার করেন। দীর্ঘ চরাই-উৎরাই পার হয়ে তিনি এদেশকে পরাধীনতার গ্লানী থেকে মুক্ত করেন এবং সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি বেশীদিন আমাদের মাঝে বেঁচে থাকতে পারেননি। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন কুচক্রী মহলের রোষানলে পড়ে তিনি মাত্র ৫৪ বৎসর বয়সে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকদের ‍নির্মম বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হয়ে শহীদ হন। ঘাতকদের ‍নির্মমতা ও জঘন্য হত্যাকাণ্ড সর্বোকালের চরম পৈশাচিকতাকে হার মানিয়েছে!

জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎ বার্ষিকী। শোকতপ্ত ১৫ আগষ্ট জাতির জন্য এক অন্ধকারময় অধ্যায়। ঐদিন ঘাতকদের বুলেট তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্য-সদস্যাসহ শিশু রাসেলকেও রেহাই দেয়নি। ইতিহাসের ওই নিষ্ঠূরতম হত্যাকান্ডের শিকার সকল শহীদদের প্রতি এদিন গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ উপলক্ষ্যে তাঁদের আত্মার চিরকল্যাণে বিশেষ প্রার্থনাসভা ও শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করা হচ্ছে।

সারাদেশের ন্যায় গোপালগঞ্জের বানিয়ারচরেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় শোকদিবস পালন সহ ঐতিহ্যবাহী কাঙালী ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। আজ থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগের কথা! দেশে তখন হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের শাসনকাল চলছে। ঐ সময় রাজনৈতিক ডামাডোলে দেশ প্রায়ই উত্তাল হয়ে উঠতো। তখন থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রকাশের এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ হয়ে উঠে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বানিয়ারচরের (১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড) ঐতিহ্যবাহী কাঙালী ভোজ! হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান হিসেবে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া বাংলাদেশের অন্যতম পুন্যভূমি।

এই গোপালগঞ্জ জেলারই অন্তর্গত মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নের আওতাধীন বানিয়ারচরের কয়েকজন সাধারণ মানুষ গত প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর ধরে ১৫ আগষ্ট জাতির জনকের শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্থানীয় উদ্যোগে শোকদিবসের অনুষ্ঠান ও বিশেষ কাঙালী ভোজের আয়োজন করে আসছে। ঐসময় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আজকের মত এতটা স্বচ্ছল ছিল না। তবুও এলাকায় জাতীয় শোকদিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। কোন কিছু আয়োজনের মূলে থাকে আর্থিক সমর্থন। তখন এই সমর্থন পাওয়াটা ছিল অত্যন্ত কঠিন। গ্রামাঞ্চলে শোকদিবসের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে কাঙালী ভোজ অর্থ্যাৎ আর্থিক সংস্থান এখানে বড় বেশী প্রয়োজন।

বানিয়ারচর গ্রামের মাঝামাঝি গোপালগঞ্জ-টু-টেকেরহাট সড়কের পাশে রয়েছে একটি সুপরিসর বাজার। প্রতি বছর বাজারটি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারা দেওয়া হয়। বানিয়ারচর গ্রামের বাসিন্দা সদ্য-প্রয়াত তুফান বিশ্বাস নিয়মিতভাবে এই বাজারের ইজারা নিতেন। তখন এলাকায় এর জন্য তেমন কোন প্রতিদ্বন্ধিতা ছিল না।

গ্রামের মুরব্বি যথাক্রমে অনিল মণ্ডল, অধীর কুমার সাহা, নীরু মণ্ডল প্রমূখ ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে সবিস্তারে জানা যায় যে, প্রায় ৩৫ বছর আগে যখন এলাকায় জাতীয় শোকদিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয় তখন তুফান বিশ্বাস তার ইজারাকৃত বাজারে ঐ আগষ্ট মাসের প্রথম দু’সপ্তাহের আদায়কৃত অর্থ অনিল মণ্ডলের হাতে তুলে দেন কারণ তিনি তখন এলাকার জনপ্রতিনিধি ছিলেন্। এভাবে শুরু হয় জাতীয় শোকদিবস পালনের প্রথম তহবিল গঠন। পরবর্তীতে এই তহবিল বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে অনুদান সংগ্রহ করা হয়। তাই এর পিছনে রয়েছে এখানকার খেটে খাওয়া মানুষের ঘাম ও ভালোবাসা। তবে এখন এর জন্য নিজস্ব তহবিল সৃষ্টি করা হয়েছে।

তুফান বিশ্বাস অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন ছিলেন না বটে কিন্তু তিনি ছিলেন স্বশিক্ষায় শিক্ষিত। সমাজ, ধর্ম ও রাজনীতি সহ সর্বক্ষেত্রে তার ছিল সমান পদচারণা। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবী, ধর্মভীরু, দয়ালু ও আদর্শ পিতা। তিনি আজীবন কর্মকে ধর্মজ্ঞান করতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রয়াত তুফান বিশ্বাস ছিলেন বর্তমান ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের  ঐতিহ্যবাহী কাঙ্গালী ভোজ ও জাতীয় শোকদিবস আয়োজক কমিটির সভাপতি। সর্বোশেষ ২০১৯ সালে পালিত জাতীয় শোকদিবস অনুষ্ঠানে তিনি স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলেও ২০২০ সালের জাতীয় শোকদিবসে শারিরীক অসুস্থ্যতার কারণে আর অংশহগ্রহন করতে পারেননি। উল্লেখ্য যে, গত ৩ জুন ২০২১ খ্রীষ্টাব্দে তুফান বিশ্বাস ৯৩ বৎসর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে পরলোকগমন করেন। আমরা তার আত্মার চিরকল্যাণ কামনা করি।।

 

রানীনগরে গাড়ল পালনে সফল আব্দুল মান্নান

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : নওগাঁর রানীনগরে গাড়ল পালন করে সফলতার মুখ দেখছেন উদ্যোক্তা আব্দুল মান্নান। বর্তমানে তার খামারে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রাায় ৫০ টি গাড়ল রয়েছে। উদ্যোক্তা আব্দুল মান্নানের বাড়ি উপজেলার মালশন গ্রামে।

মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন আব্দুল মান্নান। তিনি একজন চাউলের ব্যবসায়ী। পাশাপাশি পশু পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গাড়ল পালনের আগে ছোট একটা প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন কিভাবে সফল হওয়া যায়। তার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতেই স্বল্প পরিসরে শুরু করেন গারল পালন। মালশন গ্রামের মাঠে দেখা মিলবে তার খামারটি।

কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই ২০১৬ সালে মেহেরপুর জেলা থেকে ৪০টি গারল কিনে খামার শুরু করেন। এতে তার খরচ হয় প্রায় লাখ টাকা। আর খামারসহ অবকাঠামো তৈরিতে খরচ হয় প্রায় লাখ টাকা। এই পুঁজি দিয়ে শুরু করে গাড়লের খামার। তার খামারে চারজন কর্মচারী কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কর্মচারীদের বেতন দেয়া হয় -১২ হাজার টাকা।

ঘাসের চাহিদা মেটাতে আড়াই বিঘা জমিতে লাগানো হয়েছে নেপিয়ার ঘাস। দিনের বেশির ভাগ সময় মাঠে চরে বেড়ায়। এতে খাবারের খরচ অনেকটাই কম হয়। দিনে একবেলা দানাদার খাবার দেয়া হয়। যেখানে গমের ভূষি, ভুট্টা, এ্যাংকর খৈল থাকে। বর্তমানে গো খাদ্যের দাম তুলনামূলক বেশি।

গো খাদ্যের দাম বাড়ায় পশু খামারিরা অনেকটা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে। যদি দানাদার খাবারের দাম কম হয় তবে অনেক বেকাররা আবারও খামারের দিকে আগ্রহী হবে।

উদ্যোক্তা আব্দুল মান্নান বলেন, কোন ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়াই খামার শুরু করেছিলাম। প্রথমে যে খামারটি করেছিলাম মাচা না থাকায় বর্জ্যে ঘরের মধ্যে গ্যাস হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া ঠান্ডাও লেগেছিল। এতে মাসের মধ্যে রোগবালাই হয়ে অনেক গাড়ল মারা গিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৩টি থাকে। পশু ডাক্তার দেখিয়ে কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।

কারণ গাড়ল পালনে যে পরিবেশ প্রয়োজন ঠিকমতো তা ছিল না। একারণে রোগে আক্রমণ করে। এজন্য প্রথম দিকে লোকসান গুনতে হয়। পালন করা থেকেই এখন বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়েছে। কোন মৌসুমে কি ধরনের পশু নিতে হবে কখন কি ধরনের ভ্যাকসিন দিতে হবে তা পালন করা থেকে অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে খামারটির অবকাঠামো পরিবর্তন করায় গাড়ল বসবাস করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করছে। খামারে বর্তমানে ৫০টি গারল আছে। এর মধ্যে বাচ্চা আছে ১৪টি।

তিন একর জমির ওপর প্রজেক্ট করেছি। যেখানে ছাগল গরু পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে ছাগলের চেয়ে গাড়ল পালন অনেকটাই সহজ বলে মনে হয়েছে। যে কোনো পরিবেশে গাড়ল পালন করা সম্ভব। দানাদার খাবারের দাম যদি কমানো হয় অনেক বেকাররা খামার করতে আগ্রহী হবে।

খামারের কর্মচারী আব্দুল মতিন কুদ্দুস বলেন, তারা প্রায় তিন বছর থেকে খামারে কাজ করছেন। সারা বছরই এখানে কাজ করা যায়। অন্য কোথাও কাজ করার প্রয়োজন হয় না। এখানে কাজ করে যে বেতন পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার ঠিকমতো চলে যায়।

 

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget