Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

রাক্ষুসে সাংবাদিক নিপাত যাক;  গণমাধ্যম মুক্তি পাক   -----বিএম‌এস‌এফ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকৃতি তার রীতিতে অটল। আজ নয়তো কাল। সাংবাদিকতা অঙ্গনে আবার রাক্ষুসে সাংবাদিক! এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। সারাদেশে রাক্ষুসে সাংবাদিকের কমবেশী অস্তিত্ব রয়েছে। এটাকে সমুলে বিনাশ করা উচিত, নয়তো এরা ছোটবড় সাংবাদিকদের গিলে ফেলবে। দেশের রাক্ষুসে সাংবাদিক নিপাত যাক; গণমাধ্যম মুক্তি পাক। দেশে প্রতিনিয়ত রাক্ষুসে সাংবাদিকের ঈন্ধনে পেশাদার সাংবাদিকরা ঝুঁকিতে রয়েছেন। এমন সব রাক্ষুসে সাংবাদিকদের ঈন্ধণে ওসি প্রদীপের দ্বারা ৬টি মামলার শিকার হয়েছিলেন কক্সবাজারের সাংবাদিক ফরিদ মোস্তফা। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দৈনিক সংবাদের কামাল হোসেনকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছিল। সেখানেও বিএমএসএফের প্রতিনিধিদল সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে রাক্ষুসে সাংবাদিকের ঈন্ধনের বিষয়টি পরিস্কার হয়ে ওঠে। একই এলাকায় যুগান্তরের ষ্টাফ রিপোর্টার হাবিব সারওয়ার আজাদকে ইয়াবা নাটকে ফাঁসানোর অপচেষ্টার পেছনেও ছিলো রাক্ষুসে সাংবাদিকদের সরাসরি হস্তক্ষেপ।  

গাজীপুরের এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি আবুবকর সিদ্দিকের ওপর হামলার পেছনে ছিলো সেখানকার একদল রাক্ষুসে সাংবাদিকের ঈন্ধণ। কুমিল্লার মুরাদনগরে সমকালের প্রতিনিধি শরীফ চৌধুরীকে প্রকাশ্যে নিজ ঘর থেকে টেনে হিচড়ে উঠানে নামিয়ে জবাই করতে উদ্যত হয়েছিলো চেয়ারম্যান গ্রুপ। শরীফের মুক্তিযোদ্ধা পিতা-মাতা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত, লাঞ্ছিত করে। এমনকি তাকে ডাকাতি, হত্যা মামলারও আসামী করা হয়েছিলো। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে সাংবাদিক নির্যাতন ঘটনার কারণ গবেষণা করতে গিয়ে পেছনে ঈন্ধনদাতা হিসেবে রাক্ষুসে সাংবাদিকের যোগসাজসের অগনিত  প্রমান মিলেছে।

এমনি এক ঘটনার অনুসন্ধানে ঝালকাঠিতে মিলেছে চোখ কপালে ওঠারমত চিত্র। সম্প্রতি ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস সিকদারের নামে আইসিটি এ্যাক্টে মামলা করেছে এক রাজনৈতিক দলের নেতা। মামলা দায়েরের পরে তাকে প্রেসক্লাবের পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এমন সময় তার বিপদে সহকর্মীরা অধিকাংশই পাশে নেই। অনেকেই তাকে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার রয়েছে। এদের সকলেই আককাস সিকদারের দ্বারা হামলা, হামলা, লাঞ্ছিত কিংবা হয়রাণী অথবা চাকরীচ্যুতির শিকার। 

কে এই আককাস সিকদার! জনশ্রুতি রয়েছে চা দোকানী থেকে পত্রিকার হকার পরবর্তী বিএনপির ছাত্রদল থেকে টপকিয়ে এলডিপি নেতা এবং তৎপরবর্তী আইনজীবি এই আককাস সিকদার। হয়তোবা তিনি ভাবতেন ক্ষমতা চিরস্থায়ী। তার সহকর্মীদের অধিকাংশের দাবী আক্কাস সিকদার কোন সংবাদের ঘটনা ঘটলেই নানারকম ফন্দি-ফিকির চালিয়ে থাকতেন।  হয়তো উকিল বেশে, নয়তো সাংবাদিক কখনো প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি পদ ব্যবহার করে টার্গেট করা সাংবাদিকের পত্রিকা বা টিভি চ্যানেলের কার্যালয়ে নামে বেনামে নানা কল্পিত অভিযোগ পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মিকে চাকুরিচ্যুত করার পাঁয়তারা চালাতেন। কিংবা ওই সকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিপক্ষের লোকজন দ্বারা বিনা পয়সায় মামলা ঠুকে দিয়েছেন। এছাড়াও আক্কাস সিকদারের অনুমতি ছাড়া কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির নিউজও নাকি করা যেত না। নিউজ করতে গেলেই  ভুক্তভোগী সাজিয়ে থানায় কিংবা আদালতে দায়ের করাতেন। 

প্রেসক্লাব সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকদের পক্ষে না দাঁড়িয়ে তিনি এসব হয়রানির নেপথ্যের প্রকাশ্যে ইন্ধন দিতেন। বাদ পড়েনি জুনিয়র-সিনিয়র কেউ। তার সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ায় প্রেসক্লাবের সদস্যপদ পর্যন্ত হারাতেও হয়েছে। যমুনা টিভি, একুশে টিভি সহ কমপক্ষে দেড়ডজন সাংবাদিকের নামে মামলার তিনি নেপথ্য ভূমিকা পালন করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিককে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুলিয়া দিয়েছেন বহুবার। সমকালের জিয়াউল হাসান পলাশ ও যমুনা টিভির দুলাল সাহাকে এক ঠিকাদারের মিথ্যা মামলায় নিজে উকিল সেজে মামলা দায়েরে সহযোগিতা করে হাজত খাটিয়ে ছেড়েছেন। একুশে টিভি ও যায়যায়দিনের তৎকালীন জেলা প্রতিনিধি আজমীর হোসেন তালুকদারকে স্বস্ত্রীক শিশু সন্তানসহ হাজত খাটাতে প্রকাশ্যে ঈন্ধন দিয়েছেন ওই আক্কাস সিকদার। পরবর্তীতে বৈশাখি টেলিভিশনের শফিউল আজম টুটুলকে হয়রাণী, দিনকালের ওমর ফারুক, ভোরের অঙ্গীকারের এমদাদুল হক স্বপন, আমাদের সময়ের এসএম রাজ্জাক পিন্টু, বাংলা টিভির নজরুল ইসলাম, দৈনিক দক্ষিনাঞ্চলের এইচএম মিজানুর রহমান, নলছিটির মনিরুজ্জামান মনির, যায়যায়দিনের কাঠালিয়া প্রতিনিধি এইচএম বাদল ও সাংবাদিক রাজীব তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা এবং মোহনা টিভির রুহুল আমিন রুবেল, আজকের পরিবর্তনের রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু ও সাংবাদিক বশির আহমেদ খলিফাকে লোক মারফত ডেকে এনে রাস্তায় লোক জড়ো করে প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহত এবং লাঞ্ছিত করে ভিডিও তার ফেসবুকে ছেড়ে মানহানি ঘটায়। এবং প্রতিপক্ষ দাঁড় করিয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করালেও পুলিশ চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। 

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে হামলাকারীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বশির আহমেদ  ঢাকার সাইবার আদালতে মামলা করলে দীর্ঘ তদন্ত শেষে আক্কাস এবং তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে বরিশাল পিবিআই চার্জশীট দাখিল করেছে। 

এদিকে হামলা কালে ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল ফোন ও টাকা কড়ি উদ্ধারে শীঘ্রই আদালতে মামলা দায়ের হচ্ছে বলে জানাগেছে। এখন সেই প্রভাবশালী আক্কাস সিকদার নিজেই ফেসবুকে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ও সেতু মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটুক্তি করার অভিযোগের মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এখন তার পাশে নেই সহকর্মীরা। এটা কি প্রকৃতির শাস্তি? এভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা/উপজেলায় রাক্ষুসে সাংবাদিক রয়েছেন। তাদেরকে চিহ্নিত করে সাংবাদিকতা অঙ্গন থেকে ঝেড়ে ফেলা উচিত; নয়তো আপনি ঝুঁকিমুক্ত সাংবাদিকতা করতে পারবেন না। বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে বলে রাখতে চাই; আমি কখনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কলম ধরিনা। তবে 'রাক্ষুসে সাংবাদিককে ছাড় দেইনা'। আপনার এলাকায় এরুপ রাক্ষুসে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জনমত তৈরী করুন। 

লেখক: আহমেদ আবু জাফর,সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, কেন্দ্রীয়


বেনাপোলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে জন্ম নেওয়ায় শিশুর নাম শেখ মুজিব


মো. রাসেল ইসলাম,বেনাপোল :  শেখ হাসিনার উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাবেন  শুনেই কৃতজ্ঞতা স্বিকারে  সন্তান সম্ভবা নারী  মনে বাসনা করেন ছেলে হলে শেখ মুজিব আর মেয়ে হলে শেখ হাসিনা নাম রাখবেন। 

তাই উপহারের ঘরে জন্ম নেয়া ছেলের নাম রেখেছেন ‘শেখ মুজিবুর রহমান।

কথা বলছিলাম যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্টথানাধীন বালুন্ডা গ্রামের হাফিজা বেগমের কথা।

জানা যায়, বেনাপোলের পাটবাড়ি গ্রামের ছেলে আসাদুল হকের বছর ১৭ আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় পাশের গ্রাম বালুন্ডার আবু তাহেরের মেয়ে হাফিজা খাতুনের সঙ্গে। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে কয়েক বছর ধরে ঘরজামাই ছিলেন আসাদুল। এরই মধ্যে একে একে জন্ম হয় তিন সন্তান।

সম্প্রতি পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার হাদিউজ্জামানের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পান আসাদুল। উপহারের ঘরে গত জুন মাসের শেষ দিকে উঠেই ২১ দিন পর ছেলেসন্তান জন্ম দেন তার স্ত্রী হাফিজা বেগম। ভূমিহীন এ পরিবারটি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে মনের আনন্দে নবজাতক সন্তানের নাম রাখেন শেখ মুজিবুর রহমান।

শার্শা উপজেলায় মোট ১২৭টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ হয়েছে। তার মধ্যে বালুন্ডা গ্রামে ১০ জন উপকারভোগী পেয়েছেন ১০টি ঘর। এ প্রকল্পের ঘরগুলোতে রান্নাঘর, গোসলখানা, টয়লেট, বিদ্যুতের ব্যবস্থা এবং জনস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বরাদ্দ একটি আর্সেনিকমুক্ত গভীর নলকূপ। যেটা পেয়ে খুশি এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষগুলো।

হাফিজা খাতুন বলেন, আগে অন্যের জমিতে থাকতাম। যে ঘরে থাকতাম তা একটু বৃষ্টি হলেই কাদা হয়ে যেত, ঝড়ের সময় আশঙ্কায় থাকতাম এই বুঝি ঘরটা উড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জমিসহ পাকাঘরে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই খুশি হয়ে তার বাবার নামেই আমার ছেলের নাম রেখেছি শেখ মুজিবুর রহমান।

বালুন্ডা আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্যান্য উপকারভোগী তানজিলা  ও সাবিনা  বলেন, ‘আমরা ঘর আর শেখ মুজিবুরকে (নবজাতক) পেয়ে অনেক খুশি।

উপকারভোগী আব্দুর সাত্তার বলেন, চার ছেলেমেয়ে নিয়ে জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। কোনোদিন ভাবিনি পাকা ঘরে শোব। হাসিনা আমাদের ঘর দেছে। কারেন (বিদ্যুৎ) আচে, টিউকল (নলকূপ) আচে, রান্নাঘর আছে সব আচে। আমি হাসিনার জন্যি নামাচ (নামাজ) পড়ি দোয়া করি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যেভাবে ঘরগুলো নির্মাণ করার নির্দেশনা দিয়েছে নকশা ঠিক রেখে আমরা সেভাবেই করেছি।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা বলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক স্যার এখানে একদিন এসেছিলেন। তিনিই  আবিষ্কার করেছেন বালুন্ডা আশ্রয়ণ প্রকল্পের একজন উপকারভোগী আছেন, যিনি এখানে আসার পরে তার একটি সন্তান হয়েছে। তিনি ওই সন্তানের নাম রেখেছেন শেখ মুজিবুর রহমান। শিশুটির নিয়মিত খোঁজ খবর রাখা হচ্ছেও বলে জানান তিনি।

এদিকে নবজাতককে বঙ্গবন্ধুর নামে নাম রাখায় তাকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন প্রতিবেশিরা। বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরাও পাঠক সমাজে বিষয়টি তুলে ধরতে প্রতিবেদন করছেন। 




নওগাঁয় শেখ কামালের ৭২ ৩ম জন্মবার্ষিকী পালিত


তৌফিক তাপস, নওগাঁ : নওগাঁয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. একেএম ফজলে রাব্বী বকু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম আল মামুন চিশতী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অল রশিদসহ অন্যরা। 

সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে বৃক্ষ রোপন ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়।




চিত্রনায়িকা পরী মণি আটক, বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার


অনলাইন নিউজ ডেস্ক : চিত্রনায়িকা পরী মণিকে আটক করেছে র‍্যাব। তাঁর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, এলএসডি ও আইস জব্দ করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে দুই সহযোগীসহ তাঁকে আটক করা হয়। রাত ৮টা ১০ মিনিটে তাঁদের গাড়িতে তুলে র‍্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে বিকেল থেকে পরী মণির বাসায় তল্লাশি চালায় র‍্যাব। অভিযান চলাকালে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘পরী মণিকে র‍্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁর বাসায় অভিযান চালাচ্ছি। বাসার ভেতর তল্লাশি করা হচ্ছে। বাসায় কোনো অবৈধ জিনিস আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাসায় অভিযান শেষে অনৈতিক কিছু পাওয়া গেলে তাঁকে আটক করা হতে পারে।’

এর আগে বিকেলে পরী মণির বাসার সামনে থাকা এক র‍্যাব কর্মকর্তা উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, র‍্যাব সদর দপ্তরের নির্দেশে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। তারা এখানে নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব পালন করছেন।

চিত্রনায়িকা পরী মণি আটক, বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার

বিকেল ৪টার দিকে পরী মণি তাঁর ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘আমি ফেসবুক লাইভে আছি। লাইভেই থাকব। লাইভ থেকে বের হব না। আমার কিছু হবে, আর তা বিশ্ব দেখবে না? মরতে তো হবেই। সবাইকে নিয়ে মরব। আপনারা বুঝতে পারতেছেন আমার অবস্থা? আমি এই ভয়টাই পাইতেছিলাম। ভাই, আপনারা কিছু দেখতেছেন না? বলতেছেন না? আচ্ছা, আমার পরিচিত লোকজন দেখতেছে না এরা কারা? একটু আসবেন? দেখবেন? এরা কারা? ঘর-দরজা ভাঙচুর করছে। আমি এখন কী করব? আপনারা সবাই দেখতেছেন। পুরো মিডিয়ার লোক দেখতেছে। কিন্তু কিছু বলতেছে না। আপনারা যারা মিডিয়ার লোকজন আছেন, তারা একটু বাঁচাতে আসবেন? আমি মরে যাচ্ছি একদম। একজন কালো পোশাক, লাল পোশাক পরে এসেছেন। শুধু বলতেছে আমরা পুলিশ। তারা বাড়ির মেইন গেট-দরজা ভাঙাভাঙি করতেছে। গেট ভেঙে উপরে এসেছেন। আপনারা কেউ আসবেন? এভাবে আসার মানে কী? তারা কি আমাকে মেরে ফেলবে? আমি এই ভয়টাই পাচ্ছিলাম।

আমি বনানী থানায় ফোন দিলাম। হারুণ (ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ) ভাইকে ফোন দিলাম। তখন হারুন ভাই আমাকে বললো, আমার এখান থেকে কোনো টিম যায়নি। আপনি দরজা খুলবেন না। থানায় ফোন দিলাম, আসতে বললাম। কিন্তু কেউ আসছে না। আমি লাইভ শুরু করার পর থেকে ৩০ মিনিট হয়ে গেছে। কিন্তু, পুলিশ আসছে না।

চিত্রনায়িকা পরী মণি আটক, বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার

যারা আসছে তাদের কাছে প্রথমে সালাম দিয়ে জানতে চাইলাম, আপনারা কারা? তারা শুধু বলে আমরা পুলিশ। খুলেন, তারপর দেখাইতেছি। এ কথাই তো আমি নিতে পারিনি।’

লাইভ চলাকালে পরী মণি ফোনে একজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি ফোনে বলছিলেন, ‘তোমরা দেখতে পারছো না আমার অবস্থা?’

লাইভের ৩০ মিনিটের সময় পরী মণি দরজা খুলতে যান। সে সময় বাইরে থাকা লোকজনের কাছে পরী মণি জানতে চান, ‘আপনারা কারা?’

তখন ওপাশ থেকে বলা হয়, ‘আমরা র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে আসছি। আপনাকে বলা হচ্ছে, দরজা খোলেন, কিন্তু আপনি আমাদের অসহযোগিতা করছেন। আপনি লাইভটা প্লিজ কেটে দেন।’

তখন পরী মণি বলেন, ‘কেন লাইভ কেটে দিতে হবে? আপনারা মোবাইল নিয়ে নিচ্ছেন কেন?’ সে সময় র‍্যাব থেকে বলা হয়, ‘আমরা আইনানুগভাবেই এগুলো নিচ্ছি।

তাহিরপুর সীমান্তে সোর্সরা বেপরোয়া,মদ ও নৌকা আটক


মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জ জেলা তাহিরপুর সীমান্তে সোর্সরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা উপজেলার লাউড়গড়, চাঁনপুর, টেকেরঘাট, বালিয়াঘাট, বীরেন্দ্রনগর ও চারাগাঁও সীমান্ত এলাকায় সিন্ডিকেড তৈরি করে প্রতিদিন ভারত থেকে লক্ষলক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা, চাল ও পাথর পাচাঁর করাসহ মদ, গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা ও অস্ত্র পাচাঁর করছে। পরে পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামাল থেকে সাংবাদিক, পুলিশ ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে করছে চাঁদা উত্তোলন। সোর্সরা দীর্ঘদিন যাবত সীমান্ত এলাকায় ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করলেও তাদেরকে কখনোই গ্রেফতার করা হয়না।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- গতকাল মঙ্গলবার (৩ আগষ্ট) সন্ধ্যায় টেকেরঘাট সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে ভারত থেকে মদ, গাঁজা, ইয়াবা ও কয়লা পাচাঁর করে সোর্স ইসাক মিয়া ও কামাল মিয়া। এই খবর পেয়ে বিজিবি অভিযান চালিয়ে বুরুঙ্গাছড়া এলাকা থেকে ভারতীয় ১০ বোতল অফিসার চয়েজ মদ পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। অপরদিকে লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে সোর্স আমিনুল মিয়া, জজ মিয়া, শহিদ মিয়া, নুরু মিয়া, রফিক মিয়া ও জসিম মিয়াগং ভারত থেকে কয়লা, পাথর ও বালি পাচাঁরের সময় ১শ ঘনফুট বালিসহ ২টি স্টিলবড়ি ইঞ্চিনের নৌকা আটক করে। যার সিজার মূল্য ১৪লক্ষ ৮২হাজার টাকা। কিন্তু সোর্সদের গ্রেফতার করা হয়নি।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের সাবেক বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলমের অলিখিত সোর্সরা তাহিরপুর সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত দাপটের সাথে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করছে। তবে মাকসুদুল আলম সম্প্রতি অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ার পর বর্তমান বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান সুনামগঞ্জে যোগদান করে তাহিরপুর সীমান্তে নজরদারী বৃদ্ধি করার কারণে সোর্সরা কোনটাসা হয়ে পড়েছে। কিন্তু বন্ধ হয়নি চোরাচালান ও চাঁদাবাজি। অথচ এই উপজেলা সীমান্তে ৬টি বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে। তার মধ্যে লাউড়গড় ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্যরা চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু বালিয়াঘাট ও চারাগাঁও ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা বিজিবি সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে লক্ষলক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে কয়লা, চাল, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, বরশির ছিপ ও কাঠ পাচাঁর করছে সোর্স ইয়াবা কালাম, জিয়াউর রহমান জিয়া, শফিকুল ইসলাম ভৈরব, রমজান মিয়া, মানিক মিয়া, খোকন মিয়া, শহিদুল্লাহ, বাবুল মিয়া, কদ্দুস মিয়া, আনোয়ার মিয়া, জসিম মিয়া, লেংড়া জামালগং। কিন্তু এসব সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানীদেরকে গ্রেফতার না করে বালিয়াঘাট ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা লালঘাট গ্রামের পাকা রাস্তার মাথায় অবস্থিত সোর্স কালামের বাড়ির সামনে চেয়ার নিয়ে বসে থেকে লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে কয়লা, কাঠ, বরশির ছিপ ও মাদকদ্রব্য পাচাঁরের জন্য সোর্স কালাম ও পাটলাই নদীতে চাঁদাবাজির জন্য সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়াকে সহযোগেীতা করছে। আর চারাগাঁও ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় টহল দিয়ে চলে যাওয়ার পর বাঁশতলা তেতুল গাছ, লালঘাট ও জঙ্গলবাড়ি এলাকা দিয়ে ভারত থেকে ওপেন কয়লা, চাল ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে নৌকায় বোঝাই করা হয় বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান সাংবাদিকদের বলেন- জব্দকৃত মদ ও নৌকা শুল্ক কার্যালয়ে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



শার্শায় বিরল রোগে আক্রান্ত সন্তানকে বাঁচাতে অসহায় মায়ের আকুতি

মো. রাসেল ইসলাম,বেনাপোল : শরীরে বিরল এক রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ ১০ বছর জীবনের কঠিন সময় পার করছে যশোরের শার্শা উপজেলার মোশারেফ হোসেন নামে এক যুবক। অর্থাভাবে চিকিৎসা না হওয়ায় সমাজে আজ সে প্রতিবন্ধিদের একজন। সন্তানের উন্নত চিকিৎসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সমাজের বিত্তশালী মানুষের মাঝে পিতৃহীন সন্তানের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করেছেন অসহায় মা।

সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, যশোরের শার্শা উপজেলার কণ্যাদাহ গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিন ও মা কহিনুর বেগমের মেজো ছেলে মোশারেফ হোসেন। বয়স ২৮ বছর বৎসর পূর্ণ হলে হঠাৎই শরীরে শিরা জনিত সমস্যার কারণে অদ্ভুত ভাবে হাত পা ছুঁড়তে থাকে সে। বর্তমান বয়স ৩৮ চলছে তার। প্রথম অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের সরনাপন্ন হলেও অর্থাভাবে থমকে গেছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। পিতা নেই, নেই কোন অর্থের ব্যবস্থা। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই অদ্ভুত রকমের খিচুনি আর জালাযন্ত্রনা নিয়ে দুর্বিষহ মানবেতর জীবনযাপনে কাটছে মোশারেফ ও তার মায়ের জীবন। সামান্য ভিটে ও ভাঙ্গাচোরা ঘর ছাড়া সহায় সম্বল কিছু নেই তার। অন্যের কাজ করে মায়ের কিছু রোজগার করা  অর্থ ও সামান্য প্রতিবন্ধি ভাতা দিয়েই টেনেটুনে  চালাতে হয় তাকে। ফলে, বর্তমানে কোন চিকিৎসা চলছেনা তার। সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন মোশারেফের আত্মীয় স্বজন ও গর্ভধারিনী মমতাময়ী মা। 

বিরল রোগে আক্রান্ত মোশারেফকে প্রতিবন্ধি ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।  পাশাপাশি তার উন্নত চিকিৎসার জন্যে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার কথা জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য মশিয়ার রহমান। স্বচক্ষে না দেখলে কেউ বুঝবেনা মানুষ জীবনে কতটা অসহায় হতে পারে। আমি নিজেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 

একমাত্র আর্থিক সহযোগিতাই পারে মোশারেফ হোসেনকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে। তাকে দেখে এগিয়ে আসবে অনেকে এমনটা কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

মোশারেফ হোসেন সম্পর্কে জানতে এবং আর্থিক সাহায্য করতে চাইলে পরিবারের পক্ষে যোগাযোগ নং- সাহাবুল (ভাই) ০১৯৪৭-৪৯৪১৩০


যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget