Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে সাড়ে ৫ মাসে ৯২৮ জন আটক

শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাকোশপোতা গ্রাম থেকে অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশের সময় নারী ও শিশুসহ ৫ জনকে আটক করেছে বিজিবি। 

বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এই নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত ৯২৮ জনকে আটক করলো বিজিবি। 

মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান এক ই-মেইল বার্তায় জানান, বৃহস্পতিবার যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার লাউতাড়া গ্রামের মৃত হাজু শীলের স্ত্রী ফুলমতি শীল (৬৫), একই গ্রামের সুরঞ্জন শীলের স্ত্রী মিতা শীল (৩২), তার ছেলে জয় শীল (০৯), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার পূর্ব ঝিলের ডাঙ্গা গ্রামের দেবাশীষ মন্ডলের স্ত্রী বনানী মন্ডল (২৭) ও তার ছেলে দেব মন্ডল (০৮)। 

বিজিবির প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনস্ত খোসালপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার নেপা গ্রামের বাকোশপোতা নামক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। 

বিজিবি সুত্রে জানা গেছে, করোনা মহামারির মধ্যেও সীমান্তে অবৈধ পারাপার থেমে নেই। ওপারে কাটাতারের বেড়া না থাকায় দালালদের মাধ্যমে অবৈধ পথে প্রায় প্রতিদিন মানুষ যাতায়াত করছে। অবৈধ পারাপারকারীদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক বিজিবির হাতে আটক হচ্ছে বলে সীমান্তে বসবাসকারীরা অভিযোগ করেন।

 

ধামইরহাটের ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুজ্জামান হোসেন আর নেই

তৌফিক তাপস নওগাঁ : নওগাঁর ধামইরহাটের ৪নং উমার ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুজ্জামান হোসেন (৫৬) আর নেই। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজেউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,এক ছেলে,তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুম নুরুজ্জামান হোসেন উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত আলহাজ্ব মনছের মন্ডলের ছেলে। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে উপজেলার মধ্যে একমাত্র বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি ইউপি সদস্য ছিলেন। 

তিনি সৌখিন মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ঘোড়ায় চড়ে তিনি বাড়ী থেকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আসা যাওয়া করতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ধামইরহাট উপজেলা ঘোড়া মালিক সমিতির উপদেষ্টা ছিলেন। 

তাঁর ছোট ভাই প্রধান শিক্ষক মো.এমরান হোসেন বলেন, শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে রাজশাহীতে মেয়ে জামাইয়ের বাড়ী থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন। প্রথমে তার করোনা পজেটিভ হলেও পরে নেগেটিভ আসে। কিন্তু ফুসফুসের সমস্যার কারণে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। 

শুক্রবার সকাল ১০টায় উমার ইউনিয়নের অন্তর্গত চকিলাম বিজিবি ক্যাম্পের নিকটে ভাংগাদিঘী ঈদগাঁ মাঠে তাঁর জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান মো.আজাহার আলী,উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায়।

 

ঝিনাইদাহ চার মাসের ব্যবধানে পুলিশ কর্মকর্তা দুই  ভাইয়ের মৃত্যু

শাহিনুর রহমান, পিন্টু, ঝিনাইদাহ : একই তারিখে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ একটি পরিবার। তাই চান্দুয়ালী গ্রামে এখন শোকের মাতম। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে পুলিশ কর্মকর্তা দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে হতবাক ও বাকরুদ্ধ গ্রামবাসি। বড় ভাই এসআই শফিউদ্দীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান গত ১৭ ফেব্রয়ারি। ঠিক চার মাস পর ছোট ভাই এএসআই শামিম উদ্দীন মারা গেলেন ১৭ জুন বৃহস্পতিবার। এসআই শফিউদ্দীন ও এএসআই শামীম উদ্দীন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চান্দুয়ালী গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দীন মন্ডলের ছেলে। মামাতো ভাই চান্দুয়ালী গ্রামের ইব্রাহীম জানান, বড় ভাই এসআই শফিউদ্দীন নড়াইল সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি গত ১৭ ফেব্রয়ারি মারা যান। সেই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতে ঠিক তিনমাস পর কুষ্টিয়া পুলিশে কর্মরত এএসআই শামীম উদ্দীন করোনা পরবর্তী ফুসফুস ক্যন্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। আজ বৃহস্পতিবার  (১৭ জুন) দুপুরে চান্দুয়ালী বাজার সংলগ্ন বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় মানুষের তিল ধরণের ঠাঁই ছিল না। আত্মীয় স্বজন পাড়ার প্রতিবেশি ছাড়াও গ্রামবাসি এএসআই শামীম উদ্দীনের মৃতদেহ দেখার জন্য ছুটে আসেন। তার খালাতো ভাই স্কুল শিক্ষক গোবিন্দপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর জানান, এএসআই শামীম উদ্দীন খুবই  ভদ্র ছিলেন। তার একটি শিশু সন্তান রয়েছে। মাত্র চার মাসের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে পরিবারটি শোকে মুহ্যমান

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে সোর্সদের চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট: অবৈধ মালামাল জব্দ

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ, তাহিরপুর : চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত। এই উপজেলার লাউড়গড়, চাঁনপুর, টেকেরঘাট, বালিয়াঘাট, বীরেন্দ্র নগর ও চারাগাঁও সীমান্ত এলাকায় রয়েছে ১টি করে বিজিবির ক্যাম্প। এসব ক্যাম্পের সোর্স পরিচয় দিয়ে কিছু সংখ্যক লোক চোরাচালানীদেরকে নিয়ে সীমান্ত এলাকায় তৈরি করেছে সিন্ডিকেড। তারা সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন মদ, গাঁজা, হেরুইন, ইয়াবা, কাঠ, কয়লা, পাথর, ঘোড়া, গরু, চাল, বিড়ি ও অস্ত্র পাচাঁর করে। পরে পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামাল থেকে পুলিশ, বিজিবি ও সাংবাদিকসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নাম ভাংগিয়ে সোর্সরা বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করে।
চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে সীমান্ত এলাকার অনেক সোর্স হয়েগেছে জিরো থেকে হিরো। তবে সোর্সের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে ইয়াবা, মদ, কয়লা ও অস্ত্রসহ চাঁদাবাজি মামলা। বিভিন্ন সময় সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে আংশিক অবৈধ মালামাল পরিত্যক্ত অবস্থায় আটক করা হয়। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারীদেরকে কখনোই গ্রেফতার করা হয়না। যার ফলে সোর্সরা সীমান্ত এলাকায় সারাবছর নিরাপদে দাপটের সাথে তাদের চোরাচালান বাণিজ্য জমজামাট ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- প্রতিদিনের মতো গতকাল বুধবার (১৬ জুন) রাত ১২টায় উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী ইয়াবা কালাম মিয়া ও চোরাচালানী খোকন মিয়া ভারত থেকে মদ, কাঠ ও বরশির চিপ পাচাঁর করে। পরে সেই অবৈধ মালামাল সোর্স ইয়াবা কালামের বাড়ির সামনে অবস্থিত সমসার হাওরের পাড়ে রাখা ইঞ্জিনের নৌকায় বোঝাই করার সময় বিজিবি অভিযান চালিয়ে ১.৫ ঘনফুট কাঠ ও ৩হাজার পিচ ভারতীয় বরশির চিপ জব্দ করে। কিন্তু সোর্স কালাম, চোরাচালানী খোকন মিয়াসহ তাদের নৌকা আটক করেনি।
এঘটনার পর রাত অনুমান ১টার সময় পাশর্^বর্তী চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা তেতুলগাছ, লালঘাট ও এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে পৃথক ভাবে সোর্স পরিচয়ধারী শফিকুল ইসলাম ভৈরব, বাবুল মিয়া ও রমজান মিয়া ভারত থেকে চাল, কয়লা ও মদ পাচাঁর করে। পরে পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামাল চোরাচালানী খোকন মিয়ার ইঞ্জিনের নৌকায় বোঝাই করে সমসার হাওর দিয়ে পাটলাই নদীপথে নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা নিয়ে যায়। কিন্তু এব্যাপারে বিজিবির পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে এর আগে জংগলবাড়ি নামকস্থান থেকে ৩০হাজার টাকা মূল্যের ২০ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করেছে বিজিবি। কিন্তু মদের মালিক সোর্স পরিচয়ধারী লেংড়া জামালকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এছাড়া টেকেরঘাট সীমান্তের লাকমা, টেকেরঘাট, বুরুঙ্গাছড়া, বড়ছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী লেংড়া বাবুল, জিয়াউর রহমান জিয়া, কামাল মিয়া ও ইসাক মিয়া, চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, চানপুর, রাজাই, কড়াইগড়া, বারেকটিলা এলাকা দিয়ে সোর্স রফিকুল ইসলাম, আবু বক্কর ও আলমগীরসহ লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, শাহ-আরোফিন মোকাম, সাহিদাবাদ ও পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী নুরু মিয়া, জজ মিয়া, নবীকুল, শহিদ মিয়া, এরশাদ মিয়া, আমিনুল মিয়াগং প্রতিদিন ভারত থেকে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য, অস্ত্র, গরু, ঘোড়া, পাথর, কয়লা, কাঠ, বিড়ি ও তক্ষক পাচাঁর করছে। উপরের উল্লেখিত সোর্সদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে মদ, বিড়ি, কয়লা ও অস্ত্র পাচাঁরসহ চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে।
এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে- সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের সাবেক বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলম প্রায় ৬বছর সুনামগঞ্জে কর্মরত ছিলেন। তিনি যোগদানের প্রথম দিকে তাহিরপুর সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য ভাল ভূমিকা রাখেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তিনি পাল্টে যান। বাড়তে থাকে সোর্সদের সংখ্যা ও সীমান্ত চোরাচালান। আর সেই সীমান্ত চোরাচালান নিয়ে সংবাদ প্রকাশের কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে তিনি হয়রানী করেন অনেক সাংবাদিককে। কিন্তু সম্প্রতি সুনামগঞ্জ সদরের সীমান্ত এলাকার এক নিরীহ কৃষকের গৃহপালিত গরুকে ভারতীয় চোরাই বলে বিজিবি আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চাইলে তার প্রতিবাদ করায় গুলি করে হত্যা করে ওই কৃষককে। এঘটনার প্রেক্ষিতে মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে বির্তকিত বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলমকে অন্যত্র বদলি করে দেয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। পরে তার স্থলে এসে যোগদান করেন বর্তমান বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এসহান। তিনি যোগদানের পর সীমান্ত এলাকার চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য শুরু করেন নতুন অভিযান। সেই অভিযানের কারণে মহাবিপদে পড়ে যায় সোর্স ও চোরাকারবারীরা। কিন্তু তাদের অবৈধ কাজ বন্ধ করেনি। তাই সীমান্ত চোরাচালান চিরতরে প্রতিরোধ করতে সোর্স পরিচয়ধারীদের শীগ্রই গ্রেফতারের জন্য সুনামগঞ্জ বিজিবি অধিনায়কসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সীমান্ত এলাকার সর্বস্তরের সচেতন জনসাধারণ।       
এব্যাপারে চারাগাঁও ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধারী শফিকুল ইসলাম ভৈরব বলেন- এলাকার মানুষ ভারত থেকে কয়লা ও চালসহ বিভিন্ন মালামাল এনে সংসার চালায়। এসব বিষয় নিয়ে লেখালেখি করলে কিছুই হবেনা। গত কয়েকদিন আগে সোর্স কালাম মিয়া ও খোকন মিয়াকে নিয়ে আমরা কয়লা নিয়েছি। আমাদের কোন সমস্যা হয়নি। কারণ আমাদের সাথেও সাংবাদিক আছে। কোন সমস্যা হলে তারা সবাইকে ম্যানেজ করবে। লাউড়গড় সীমান্তের সোর্স এরশাদ মিয়া বলেন- বিজিবি আমাকে ভাল জানে তাই ডেকে তাদের সাথে নিয়ে যায়। তবে এখন আর তেমন কিছু হয়না। শুধু ঠেলাগাড়ি দিয়ে পাথর আনে এলাকার গরীব মানুষ।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহসান সাংবাদিকদের বলেন- জব্দকৃত অবৈধ মালামাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে। সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।     


নওগাঁর সাপাহারে আমের বাজার জমলেও দামে সন্তুষ্ট নয় চাষীরা

সালমান ফার্সী (সজল), নওগাঁ : উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ আমবাজার নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী সাপাহার। ইতিমধ্যে নানান জাতের আম কেনা বেচার মধ্যে দিয়ে বিস্তীর্ন এলাকাজুড়ে জমে উঠেছে আমের বিশাল হাট। মৌসুমের শুরু থেকে আমের দাম তুলনামূলক ভাবে কম হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন আম বিক্রেতারা। গত বছরের তুলনায় এবছরে আমের উৎপাদন যেমন বেশি ঠিক তেমনিভাবে আমের বাজারমূল্য অনেকটা কম বলে অভিযোগ আমচাষীদের।
চলতি বছরে এই উপজেলায় ৯হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১লক্ষ মেট্রিকটন। প্রায় ১৫শ’ কোটি টাকার আম বানিজ্য হতে পারে এই উপজেলার আমবাজার থেকে। কিন্তু চলমান সময়ে আমের বাজারদর নিম্নমূখী হবার ফলে আমচাষীদের মনে হতাশার বীজ বপন হয়েছে ।
গতকাল বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে সরেজমিনে আমবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সারি সারি ভ্যানের উপর নানা জাতের আমের পসরা নিয়ে বসে আছেন আম বিক্রেতারা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাত হলো ল্যাংড়া, নাগফজলী, হিমসাগর, আ¤্রপালি অন্যতম। আম কেনার জন্য বাইরের ব্যাপারী থাকলেও ক্রেতারা পাচ্ছেন না ন্যায্যমূল্য। প্রতিমণ ল্যাংড়া বিক্রয় হচ্ছে ৮শ থেকে ১২শ, নাগফজলী ১হাজার থেকে ১২শ’, হিমসাগর ১৫ শ’-১৭শ , আ¤্রপালী ২ হাজার থেকে ২৪শ টাকা । চলতি বাজারমূল্য তুলনামূলকভাবে অনেক কম বলছেন আম বিক্রেতারা।
জেলার বিখ্যাত জাতের আম আ¤্রপালি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত সময়  ২২জুন আ¤্রপালী জাতের আম বাজারজাত করার নির্দেশনা রয়েছে। তবে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের অনুমতিক্রমে পরিপক্ক আম বাজারজাত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস। গত বছরে আম¤্রালি জাতের আম সন্তোষজনক মূল্যে বিক্রয় হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরের শুরুতেই এই প্রজাতির আমের বাজার মূল্য দেখে অনেকটা হতাশ আম বিক্রেতারা।
আম বিক্রয় করতে আসা আমচাষী সিহাব উদ্দীন জানান, প্রায় ১০মণ ল্যাংড়া আম বিক্রয় করতে এসেছি। আমার আমের কালার একটু খারাপ থাকার জন্য প্রতিমণ আম বিক্রয় করলাম সাড়ে ৭শ’ টাকা । অথচ এই জাতের আম গত বছরে ২৪/২৫ শ টাকা দরে বিক্রয় করেছি। এভাবে বাজারদর কম থাকলে আমরা চাষীরা সার বিষের দোকানের বাঁকী পরিশোধ কিভাবে করবো আর সংসার চালাবো কিভাবে?
অপর আম বিক্রেতা হাববিুর রহমান বলেন, এই বছরে আমের দাম নেই। কম আম বিক্রি করতে আসলে অনেক সময় ভ্যান ভাড়া দিতেই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে।  
সবমিলিয়ে চলতি বছরে আমের বাজারদর না বাড়লে কৃষকেরা অনেকটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে মনে করছেন এলাকার অভিজ্ঞমহল।

নওগাঁর রাণীনগরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মত বিনিময়

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় আগামী ২০ জুন মুজিব শতবর্ষের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দ্বিতীয় পর্যায়ের ৩৩ টি ঘর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেছেন ইউএনও সুশান্ত কুমার মাহাতো।  
 

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন)  সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাণীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতোর সভাতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাণীনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তন্ময় ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুকুমল কুমার প্রামানিক, প্রচার সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, কার্য নির্বাহী সদস্য ছানোয়ার জাহান আল মামুন, আওরঙ্গজেব হোসেন রাব্বী সহ প্রেস ক্লাবের অনান্যরা।

এছাড়াও রাণীনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ, সহ-সভাপতি কাজী আনিছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, রাণীনগর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওহেদুল ইসলাম মিলন, সদস্য সাহাজুল ইসলাম সহ প্রেস ক্লাবের অনান্য সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget