Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

বঙ্গোপসাগর থেকে বছরে ৯৬০ কোটি ডলারের সম্পদ আহরণ
 

বিশেষ প্রতিনিধি : ব্ল ইকোনমি থেকে বিপুল আয়ের অপার সম্ভাবনা হাতছানি দিচ্ছে। কিন্তু কাজে লাগানো যাচ্ছে খুব সামান্য। সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হওয়ার পর বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশ বছরে ৯৬০ কোটি ডলারের সম্পদ আহরণ করছে। যদিও সম্ভাবনা আকাশচুম্বী। কোনো কোনো পরিসংখ্যানে বছরে আড়াই লাখ কোটি ডলারের সম্পদ আহরণ সম্ভব বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সমুদ্র সম্পদ আহরণে সমন্বিত পদক্ষেপের অভাবে বিপুল সম্ভাবনা হাতছাড়া হচ্ছে। বিশেষ করে সমুদ্র খাতে বিনিয়োগ সীমিত। বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করছেন, খাতে সরকারের নীতি বিনিয়োগের অনুকূল নয়। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশের অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সমুদ্র সম্পদ আহরণের প্রতি জোর দেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক আদালতে রায়ের মাধ্যমে ২০১২ সালে মিয়ানমার এবং ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হয়েছে। ফলে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হওয়ার প্রায় বছর পরও সমুদ্র সম্পদ আহরণে তেমন অগ্রগতি হয়নি। ছিটেফোঁটা কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তার বাস্তবায়নের গতি খুবই ধীর। কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে সমুদ্র সম্পদ আহরণে সব উদ্যোগ বলতে গেলে থেমে গেছে।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য মোতাবেক, বিশ্বের ধনী দেশগুলোর ৯০ ভাগই ২০২২ সাল নাগাদ মহামারির পূর্বের অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরে যাবে। পর্যাপ্ত টিকা প্রাপ্তির কারণে ধনী দেশগুলোর অর্থনীতি এত বেশি দ্রুত বেড়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তবে নিম্নআয়ের দেশগুলোর উত্তরণের গতি অনেক ধীর। ফলে মহামারি পরবর্তী বিশ্বে ধনী উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্য অনেক বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের মতো নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্যে সমুদ্র সম্পদ আহরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করা মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে ওঠায় সহায়ক।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম ইউনিটের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘এখনও বাংলাদেশের জিডিপির মাত্র থেকে শতাংশ ব্লু ইকোনমি থেকে আসে। এটার পরিমাণ বার্ষিক ৯৬০ কোটি ডলার। তবে এই খাত থেকে আয়ের সম্ভাবনা অবারিত। স্কাই ইজ দ্য লিমিট।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো আয় হয়। সমুদ্রের শুধু মাছ রপ্তানি থেকেই ১০-১২ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব

সম্ভাবনাময় সমুদ্র খাত থেকে আয় অর্জনে সমস্যা কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেকে সমুদ্র অর্থনীতি সম্পর্কে খুব ভালো জানেন না। তারা বিনিয়োগ করতে চান না। আবার কেউ কেউ মনে করেন, রাষ্ট্রীয় পলিসি খাতে বিনিয়োগে সহায়ক নয়।

সমুদ্র-যোগাযোগ পথ সমুদ্র পরিবহণ, মৎস্য সম্পদ, খনিজ সম্পদ, জ্বালানি নিরাপত্তা, জাহাজ নির্মাণ জাহাজ ভাঙা শিল্প, দক্ষ জনবল সরবরাহ, পর্যটন পরিবেশ সংরক্ষণ করে সমুদ্র সম্পদ আহরণ করা যায়।

বাংলাদেশের বার্ষিক বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে আগত ২৫০০ বাণিজ্যিক জাহাজের সাহায্যে চট্টগ্রাম মোংলা বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। বিদেশি জাহাজগুলোকে প্রায় ৬০০ কোটি ডলার ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে। সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ব্যয় কমানো সম্ভব।

বাংলাদেশের মিঠা পানিতে যেখানে ২৫০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়, সেখানে বঙ্গোপসাগরে রয়েছে প্রায় ৪৭৫ প্রজাতির মাছ। তার মধ্যে ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি রয়েছে। সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের ওপর প্রত্যেক্ষ পরোক্ষভাবে নির্ভর করছে উপকূলীয় প্রায় ৩০ লাখ মানুষের জীবিকা। বড় ট্রলারের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে ৫০ থেকে ৬০ হাজার ছোট নৌকা ব্যবহার করে জেলেরা মাছ ধরছেন।

জানতে চাইলে মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব . মশিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে স্বল্প, মধ্য দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এখন এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে বড় ট্রলারের অভাব এবং গভীর সমুদ্রে মাছ ধরায় দক্ষতা না থাকায় পর্যাপ্ত মাছ আহরণ করা যাচ্ছে না। তিনি দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বলেন, ‘সামুদ্রিক টোনা মাছের চাহিদা অনেক বেশি। মাছ খুব দ্রুত বিভিন্ন সাগরে ঘোরাফেরা করে। এগুলো গভীর সমুদ্র থেকে আহরণ করতে হয়। কিন্তু আমরা এসব মাছ আহরণ করতে পারছি না।

বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী অঞ্চল থেকে প্রচুর লবণ উৎপাদন করা সম্ভব। বঙ্গোপসাগর থেকে গ্যাস হাইড্রেট যা থেকে মিথেন গ্যাস উৎপাদন সম্ভব, পলিমেটালিক ম্যাঙ্গানিজ নডিউলস যাতে কপার, ম্যাগনেশিয়াম, নিকেল, কোবাল্টসহ মূল্যবান ধাতু রয়েছে। গ্যাস হাইড্রেট, পলিমেটালিক ম্যাঙ্গানিজ নডিউলস ছাড়াও পলিমেটালিক সালফাইড এবং কোবাল্ট সমৃদ্ধ ফেরোম্যাঙ্গানিজ ক্রাস্ট বাংলাদেশের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং

হীসোপানে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা তা যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসেছে। সমুদ্র সৈকতে প্রাপ্ত জিরকন, ইলেমেনোইট, ম্যাগনেটাইট, রিউটাইলসহ বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ সম্পদ পাওয়া গেছে। এসব খনিজ সম্পদের উত্তোলন ব্যবহার প্রয়োজন। সমুদ্রসীমা নির্ধারণের ফলে সমুদ্রের ব্লকগুলোতে গ্যাস অনুসন্ধানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশে ব্লু ইকোনমিতে বেসরকারি বিনিয়োগ পর্যাপ্ত নয়। এটার কারণ কি জানতে চাইলে আমেরিকান চেম্বার ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, ‘ব্লু ইকোনমিতে কিছু কিছু বেসরকারি বিনিয়োগ হচ্ছে। বিশেষ করে মাছ ধরার ট্রলার, সমুদ্র ভ্রমণে পর্যটন, মালামাল পরিবহণ, আরও অনেক খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে। তবে বিনিয়োগে মানুষকে আগ্রহী করে তোলার জন্য ব্র্যান্ডিং ঠিকমতো হচ্ছে না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে পলিসির বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ‘বিস্তৃত সমুদ্র তলদেশ উপরিভাগ থেকে সর্বোচ্চ সুযোগ কাজে লাগাতে সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ বেসরকারি খাতের অর্থায়নে সমুদ্রের নৈকট্য পরিমাপসহ জরিপ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি, দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হাতে নিতে হবে।

 

পাট থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ‘হোমিকরসিন’– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে অনন্য উপহার

আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : পাটের সুদিন ফেরেনি এখনও। ফোটেনি কৃষকের মুখে কাঙ্ক্ষিত হাসি। তবে বাংলাদেশের অণুজীব বিজ্ঞানীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে পাটের বীজ। তারা এর থেকে আবিষ্কার করেছেন সম্পূর্ণ নতুন অ্যান্টিবায়োটিক, যা জীবনরক্ষাকারী ওষুধ শিল্পে আনবে নতুন দিগন্ত। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান

আর নয় পলিথিন, সোনালি আঁশ ফিরিয়ে দিন- বর্তমান প্রবন্ধটি লিখতে গিয়ে এ শ্লোগানটির কথা মনে এলো। ১৯৯৭ সাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের ৪০ বছর পূর্তি। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে আমাকে। অনুষ্ঠানের ব্যানার ও ফেস্টুনে ব্যবহারের জন্য শ্লোগান তৈরি করছি আমরা। বর্তমানে কাতারের দোহা কর্নেল মেডিকেল কলেজে কর্মরত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অনুজীব অনুপ্রাণ বিজ্ঞানী ড. মো. রুবায়েত হাসান তখন মাস্টার্সের ছাত্র। তার দেওয়া অনেকগুলো শ্লোগানের মধ্যে সোনালি আঁশের ছন্দময় শ্লোগানটি আমাদের মনে ধরলো। ব্যানার, ফেস্টুন ছাড়াও পাটের তৈরি কনফারেন্স ব্যাগের গায়ে আমরা লিখেছিলাম শ্লোগানটি। ২৫ বছর আগের শ্লোগানটি এখন মনে করিয়ে দেওয়ার সংযোগটি হচ্ছে- অতি সম্প্রতি নেচার রিসার্চ থেকে প্রকাশিত সায়েন্টিফিক রিপোর্টে পাট থেকে প্রাপ্ত নতুন অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে বাংলাদেশের একগুচ্ছ প্রতিভাবান বিজ্ঞানীর অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণাপত্র: A plant endophyte Staphylococcus hominis strain MBL_AB63 produces a novel lantibiotic, homicorcin and a position one variant.

পলিথিনের বদলে সোনালী আঁশ দিয়ে তৈরি সামগ্রী ব্যবহারের দিকে আমরা যাইনি। গত ২৫ বছরে তার ভয়াবহ ফলাফল আমরা প্রত্যক্ষ করছি। পলিথিনের বর্জ্যে শহর-গ্রাম-জনপদের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, নদী-খাল-বিল-হাওরের তলদেশ ঢেকে ফেলেছে পলিথিন। বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মারাত্মক অনুষঙ্গ বর্জ ব্যবস্থাপনার দিকে সরকার, নীতিপ্রণেতা এবং লুটেরা পুঁজিবাদী ব্যবস্থা নজর দেয়নি। ফলে বাংলাদেশের মানুষ সৃষ্ট এক ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

আরেক ভয়াবহ দূষণের কবলেও পড়েছে বাংলাদেশ। তা হলো- অ্যান্টিবায়োটিক দূষণ। অনাগত কাল থেকে রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীব বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে মানুষ ব্যবহার করে আসছে বিভিন্ন ছত্রাক ও উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিবায়োটিক। ১৯২৮ সালে অ্যালেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিয়াম ছত্রাক থেকে আবিষ্কার করেন সংক্রমণবিরোধী অব্যর্থ মহৌষধ, পেনিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক। এ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে মারাত্মক সব সংক্রমণের বিরুদ্ধে আধুনিক কালের অ্যান্টিবায়োটিকের জয়যাত্রা শুরু। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের অযাচিত ও অপরিণামদর্শী বহুল ব্যবহারের কারণে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর বিরুদ্ধে রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াসমূহ গড়ে তোলে প্রতিরোধ। একের পর এক আরও শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক আসে বাজারে। তারাও অকার্যকর হয়ে পড়ে অচিরে।     

এমন এক প্রেক্ষাপটে সোনালী আঁশের পাটবীজের এক বিশেষ এন্ডোফাইট স্টাফিলোকক্কাস হোমিনিস থেকে নিঃসৃত ল্যান্টিবায়োটিক গ্রুপের নতুন এক অ্যান্টিবায়োটিক হোমিকরসিন এবং তার ভিন্ন একটি রুপ হোমিকরসিন ১ প্রথমবারের মত আবিষ্কার করেছেন গত তিন বছর সময় ধরে একনিষ্ঠ গবেষণারত বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের একটি দল। নতুন এ অ্যান্টিবায়োটিকের নাম হোমিকরসিন তারা দিয়েছেন ব্যাকটেরিয়া (Staphylococcus Hominis) এবং পাট (Corchorus)- জাত উৎসের কথা বিবেচনা করে। জ্যেষ্ঠ দুইজন বিজ্ঞানী ড. হাসিনা খান এবং ড. মো. আফতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে  অধ্যাপক মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং শাম্মি আখতারসহ একগুচ্ছ নবীন বিজ্ঞানী এ অনন্য ফলাফলটি নিয়ে এসেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ ও জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের (বিসিএসআইআর) গবেষণাগারে তিন বছর ধরে গবেষণা চলে। এই  গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে আরও বলবো। তার আগে পাটের এন্ডোফাইট ও ল্যান্টিবায়োটিক নিয়ে দুটো কথা বলবো।

এন্ডোফাইটস হলো- মূলত ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া গোষ্ঠীভুক্ত অণুজীব যারা প্রধাণত বীজের মাধ্যমে  উদ্ভিদের দেহে প্রবেশ করে এবং আন্তঃকোষীয় স্থান জাইলেমে উপনিবেশ স্থাপন করে। এরা সাধারণত উদ্ভিদে আপাত কোনও রোগের লক্ষণ সৃষ্টি করে না বরং উদ্ভিদের সাথে এক পরষ্পর উপকারী সহজাত সম্পর্ক বজায় রেখে চলে। এন্ডোফাইটগুলি মূলত উদ্ভিদ ও ফসলের কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং বিকাশ এবং ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এসব কারণে এন্ডোফাইটের প্রতি প্রাণবিজ্ঞানীদের নজর পড়েছে। যদিও উদ্ভিদে বসবাসকারী এসব এন্ডোফাইট সম্পর্কে এখনও অনেক কিছুই অজানা, তবে এ কথা জানা গেছে যে উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং সুরক্ষা ছাড়াও এন্ডোফাইটিক ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক মানুষের নানাবিধ রোগ চিকিৎসার জন্য কার্যকরী জৈব যৌগিক পদার্থের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। উল্লেখ করার মত এমন পদার্থের মধ্যে রয়েছে রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীব বা ক্যান্সার-বিরোধী যৌগ, বিভিন্ন উপকারী অ্যালকালয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, অ্যানজাইম এবং রঞ্জক। এসব বিবেচনায় গবেষকরা বিভিন্ন ধরনের এন্ডোফাইটে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল পেপটাইডের (AMP) সন্ধান শুরু করেন। এসকল অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল পেপটাইডের মধ্যে অন্যতম এক উদাহরণ হলো ল্যান্টিবায়োটিক। এরা সাধারণত গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া যেমন, ব্যাসিলাস, এন্টারোকক্কাস, মাইক্রোকক্কাস, স্ট্রেপ্টোকক্কাস, স্ট্যাফিলোকক্কাস, অ্যাক্টিনোমাইসেটিস এবং এন্ডোফাইটিক ছত্রাকের দ্বারা নিঃসৃত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড। তবে এন্ডোফাইটিক ব্যাকটেরিয়া-জাত ল্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে এ গবেষণার আগে কোন তথ্য জানা যায়নি।

এ গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা পাটের এন্ডোফাইট ব্যাকটেরিয়া Staphylococcus hominis strain MBL_AB63 থেকে নিঃসৃত পাঁচটি নতুন ল্যান্টিবায়োটিক খুঁজে পান। তাদের মধ্য থেকে দুটো ল্যান্টিবায়োটিক, যথাক্রমে, Homicorcin এবং এর একটি ভিন্ন রূপ Homicorcin 1- এর বিশুদ্ধিকরণ, অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে তাদের কার্যকারিতা দেখা, প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে এদের তুলনামূলক চিত্র, নতুন এ পেপটাইড অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রিয়া কৌশল জানা এবং কেন এরা উচ্চতাপ কিংবা উচ্চমাত্রার অম্ল বা ক্ষারেও সক্রিয় থাকে- তার অনুপুঙ্খ অনুসন্ধান তারা করেছেন। বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন একগুচ্ছ জিন, যাদের থেকে সংশ্লেষিত হয় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড লেন্টিবায়োটিক গোত্রের উল্লেখিত অ্যান্টিবায়োটিক। এসব জিনের গোটা ক্রমবিন্যাস নির্ধারণ করে বিজ্ঞানীরা দেখলেন অতীতে প্রকাশিত পেপটাইড অ্যান্টিবায়োটিক Epicidin 280-এর সাথে সাতটি অ্যামিনো অ্যাসিড ব্যতিত পুরো সাদৃশ্য রয়েছে তাদের নতুন আবিষ্কৃত দুটো অ্যান্টিবায়োটিকের। 

বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত হোমিকরসিন অ্যান্টিবায়োটিকের বিশেষ গুরুত্বের বিষয়ে একটু বলতে হবে। প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে মারাত্মক রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং তার ফলে বিশাল জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ে পূর্বে বলেছি। নব আবিষ্কৃত অ্যান্টিবায়োটিকটি একটি পেপটাইড (ছোট প্রোটিন) হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ গড়ে তোলার সম্ভাবনা অনেক কম।  প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের বিপরীতে, এ পেপটাইড অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর গঠন কাঠামোতে প্রাকৃতিক অ্যামিনো অ্যাসিডের স্থলে কৃত্তিম অ্যামিনো অ্যাসিড বা ভিন্ন কোন যৌগ প্রতিস্থাপন করে তার গাঠনিক বৈশিষ্টের পরিবর্তন করা সম্ভব। এর ফলে এ পেপটাইড অ্যান্টিবায়োটিকের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি কিংবা তাদের দ্রবণীয়তা বাড়ানো এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলি আরও উপযোগী করা যাবে। আশা করা যাচ্ছে, হোমিকরসিন ল্যান্টিবায়োটিক অদূর ভবিষ্যতে অ্যান্টিবায়োটিকের সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

আমাদের বিভাগে পাট নিয়ে একনিষ্ঠ গবেষণা শুরু করেন অধ্যাপক হাসিনা খান ১৯৯৮ সাল থেকে। গড়ে তোলেন পাট গবেষণার জন্য একটি আধুনিক ল্যাব। পাটের জীবন রহস্য নিয়ে কিছু মৌলিক গবেষণা সম্পন্ন হয়ে যায় এই ল্যাবে। এর মধ্য দিয়ে সংযোগ হয় হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগে কর্মরত বাংলাদেশি বিজ্ঞানী অধ্যাপক মাকসুদুল আলমের সাথে ২০০৮ সালে। এর আগের বছর পেঁপেঁ গাছের জেনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছেন।

২০০৯ সালে মাকসুদুল আলম বাংলাদেশের পাট গবেষণা কেন্দ্রের অধীনে পাটের মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্পে মুখ্য গবেষক হিসেবে যোগ দেন।  তার নেতৃত্বে  বাংলাদেশের তোষা পাটের (Corchorus olitorius 04) জেনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন হয় ২০১০ সালে। এ অর্জনে অধ্যাপক হাসিনা খান ও তার গবেষক দল অবদান রাখেন। পরে ২০১২ সালে মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে পাটের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ছত্রাক (macrophomina phaseolina) এবং তার পরের বছর ২০১৩ সালে  সাদা পাটের (Corchorus capsularis CVL1) জেনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন হয়। গভীর বেদনা ও পরিতাপের কথা বরেণ্য বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন অকালে। পাটের জীবন রহস্য আবিষ্কারের স্বপ্নযাত্রায় সে সময়কার খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। এ বিশাল কাজে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে ত্বরিৎ আর্থিক সহায়তা অবারিত করেছিলেন। আরো সুখের কথা বাংলাদেশ সরকার বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম ও হাসিনা খানকে বিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের জন্য রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে তাদের এবং বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সম্মানিত করেছেন।

আমাদের বিভাগের অধ্যাপক মো. রিয়াজুল ইসলাম নুকাসিন নামের ল্যান্টিবায়োটিক নিয়ে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। উচ্চমানের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নাল বিশেষ করে ২০১২ সালে অত্যন্ত নামী জার্নাল অব দ্য আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটিতে তার গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় নুকাসিন অ্যান্টিবায়োটিকের সুনির্দিষ্ট বিক্রিয়া কৌশল নিয়ে। পাটের ল্যান্টিবায়োটিক নিয়ে অধ্যাপক হাসিনা খানের কাজের সাথে তার গবেষণা সংযোগ ঘটে যায়।

অধ্যাপক মো. আফতাব উদ্দিন এ নিবন্ধে উল্লেখিত পাটের অ্যান্টিবায়োটিক হোমিকরসিন বিশুদ্ধকরণ, অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা, নতুন এ অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রিয়া কৌশল জানা এব পেপটাইড অ্যান্টিবায়োটিকের জিনগত বৈশিষ্ট্য খোঁজা ইত্যাদি কাজে গত তিন বছর ধরে একনিষ্ঠ গবেষণায় রত ছিলেন। জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগে তার নিজস্ব ল্যাব ছাড়াও প্রাণরসায়ন বিভাগে অধ্যাপক হাসিনা খানের ল্যাব এবং বিসিএসআইআর ল্যাবে তিনি দিনরাত এ গবেষণা কাজ করে গেছেন। 

আসলে বিজ্ঞান গবেষণা সাধনার বিষয়। এমন সাধনায় নিবিষ্ট ছিলেন অধ্যাপক আফতাব উদ্দিন। শুধু তাই না, নবীন গবেষক বিশেষ করে প্রাণরসায়ন বিভাগের শাম্মি আক্তারকে তিনি তার অভিযাত্রার যোগ্য সহযোগী করতে পেরেছেন। সেজন্যই গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীদের তালিকায় অধ্যাপক আফতাব উদ্দিনের নাম সর্ব প্রথমে এবং তার পরেই শাম্মি আক্তারের নাম।

শাম্মি বর্তমানে জাপানের কিয়ুশু বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণায় রত আছেন। যাকে বলে ফ্রন্টিয়ার গবেষণা, তেমন কঠিন ও জটিল তাদের গবেষণাপত্রের সংক্ষিপ্ত বাংলা তর্জমা শাম্মি আক্তারই আমার জন্য করে দিয়েছেন। মাহবুবা ফেরদৌস, বদরুল হায়দার এবং আল আমিন প্রাণরসায়ন বিভাগের এ নবীন বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন কাজে অবদান রেখেছেন এ গবেষণায়।

গবেষণায় গুরুর প্রয়োজন পড়ে। নবীন বিজ্ঞানী শাম্মি আক্তার, মাহবুবা ফেরদৌস, বদরুল হায়দার ও আল আমিন নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। অধ্যাপক হাসিনা খান, অধ্যাপক আফতাব উদ্দিন এবং অধ্যাপক রিয়াজুল ইসলামকে গুরু হিসেবে তারা পেয়েছেন। তাদের সম্মিলিত বিজ্ঞান সাধনায় বাংলাদেশ পেয়েছে এক অনন্য অ্যান্টিবায়োটিক হোমিকরসিন

এ প্রসঙ্গে ১৯৫৫ সালের পয়লা অক্টোবর তারিখে বিশ্বখ্যাত নেচার জার্নালে প্রকাশিত Ramnacin: a New Antibiotic from a Streptomyces sp.- শীর্ষক গবেষণাপত্রটির কথা মনে এল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা মাস্টার্সে আমার গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক বরেণ্য বিজ্ঞানী অধ্যাপক কামালুদ্দিন  আহম্মদ  ছিলেন  রমনাসিনের মুখ্য আবিষ্কারক। আমাদের প্রাণরসায়ন বিভাগের অদূরে রমনা পার্ক থেকে স্ট্রেপ্টোমায়সিসটি সংগৃহীত ছিল বলে কামাল স্যার এ ব্যাকটেরিয়া নিঃসৃত অ্যান্টিবায়োটিকটির নাম দিয়েছিলেন রমনাসিন। ৬৬ বছর পর প্রাণরসায়ন বিভাগের কৃতি শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা পাটবীজ থেকে অমূল্য রত্ন হোমিকরসিন অ্যান্টিবায়োটিক খুঁজে পেলেন। সে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হলো- নেচার রিসার্চ থেকে প্রকাশিত সায়েন্টিফিক রিপোর্টে। কি অসাধারণ সংযোগ! ২০০৪ সালে আমাদের প্রিয় শিক্ষক অধ্যাপক কামালুদ্দিন আহম্মদ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন পরপারে। তার সৃষ্ট বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে নিরাশ করেননি।

বিকল্প পদ্ধতিতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা: দীপু মনি

আজকের দেশ সংবাদ ডেস্ক : এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হবে সে বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে বলে

রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনাসভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে নেওয়া যায়, কিংবা অন্য কোনোভাবে সেটি করা যায় কিনা, সেটি চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’


তিনি বলেন, ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতিও ছিল, কিন্তু সীমান্ত এলাকায় করোনা বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছি। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।  অনলাইনে শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টি চলমান রয়েছে।  নতুন পদ্ধতি বের করার চেষ্টা করছি।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পড়ালেখা যেন বাড়িতে চালিয়ে যেতে হবে।  এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না যাতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়।  নিজেরা নিজেদের পড়াশোনার সঙ্গে সংযুক্ত রাখতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, তোমরা বাসায় বসে নিয়মিত পড়ালেখা করে সিলেবাস শেষ করবে। সেই সঙ্গে সুস্থ থাকতে হবে।

‘জীবন থেকে এক বছর চলে গেলেও কিছু হবে না, তার চেয়ে সুস্থ থাকাটা বড় বিষয়’ বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির৷ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।

মসজিদের জমির মোতাওয়াল্লী লেদ মিস্ত্রী - গ্রামবাসীর মধ্যে দাঙ্গা সৃষ্টির আশস্কা

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার সরতা (পশ্চিম পাড়া) ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ওয়াকফ এস্টেটের ৯৯ শতাংশ জমির নতুন করে মোতাওয়াল্লী নিয়োগ করায় গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। যেকোন সময় গ্রামবাসীর মধ্যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির আশস্কা দেখা দিয়েছে। 

মসজিদ কমিটির আবেদন কোন প্রকার বিবেচনা না করে তদন্ত ছাড়ায় অর্থের বিনিময়ে মোতাওয়াল্লী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে ওয়াকফ প্রশাসকের বিরুদ্ধে। নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার সারতা (পশ্চিম পাড়া) জামে মসজিদ। 

এই মসজিদে ১৯৫৩ সালে ৯৯ শতাংশ জমি ওয়াকফ করেন মোসাম্মদ সুনবী বেওয়া। ওয়াকফ দলিলে উল্লেখ থাকে উক্ত জমি থেকে প্রাপ্ত অর্থ মসজিদের আলোক দান, আজান, কোরআন শরিফ পাঠ ও মোশাফিরগনের খাবার, গড়ীবদের দান-খয়রাত এবং মসজিদ সংস্কারের কাজে ব্যায় করিয়া যদি কোন প্রকার অর্থ থেকে থাকে তাহলে তা মোতাওয়াল্লী গ্রহণ করতে পারবেন। 

তৎকালিন মোতাওয়াল্লী মোসাম্মদ সুনবী বেওয়ার মৃত্যুর পাল পালাক্রামে বদর উদ্দীনকে মোতাওয়াল্লী নিয়োগ করা হয়। এবং বদর উদ্দীনের মৃত্যুর পর দীর্ঘ ১০ বছর কোন প্রকার মোতাওয়াল্লী ছাড়ায় ভোগদখল করেছেন তার ওয়ারিশগণ। কিন্তু মোসাম্মদ সুনবী বেওয়া মৃত্যুর পর থেকে তারা কোন প্রকার অর্থ মসজিদে দেন নেই। 

এ বিষয়ে মসজিদ কমিটি একটি লিখিত আবেদন করেন ওয়াকফ প্রশাসক বরাবর। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ওয়াকফ স্টেটটি তদন্ত অন্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলেও অর্থের বিনিময়ে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়ায় গ্রাম থেকে ৯ কি মি: দুরে মহাদেবপুর সদরে স্থায়ীভাবে বসবাসরত ও শহরে লেদ মেশিনের মিস্ত্রি রেজাউল করীমকে মোতাওয়াল্লী নিয়োগ করেন ওয়াকফ প্রশাসন। 

ওয়াকফ দলিলে মোতাওয়াল্লী হওয়ার শর্তে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ যে মোতাওয়াল্লী সেই ব্যাক্তি হতে পারবেন যে গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করবেন এবং ধর্মভিরু ও ইমানদার ব্যাক্তি হবেন। কিন্তু সেই শর্তও মানা হয়নি এই মোতাওয়াল্লী নিয়োগের ক্ষেত্রে। 

এমতাবস্থায় একজন বে-নামাজি ও গ্রামের বাহিরে বসবাসরত ব্যাক্তিকে মোতাওয়াল্লী নিয়োগ করায় গ্রামবাসির মঝে দাঙ্গা-ফাছাদের আশস্কা দেখা দিয়েছে। 

সরতা পশ্চিম পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মদজিদ কমিটির সভাপতি ছামছুদ্দিন আহম্মেদ জানান, মোতাওয়াল্লী মোসাম্মদ সুনবী বেওয়ার মৃতুর পর কোন প্রকার অর্থ তারা মসজিদে দেন নাই এবং এখন পর্যন্ত তারা কোন অর্থ মসজিদে দিতে সম্মত হন নি। তাই বিষয়টি তদন্তের জোর সুপারিশ জানাচ্ছি। তদন্ত অন্তে যেকোন সিদ্ধান্ত মসজিদ কমিটি মেনে নিবেন বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি। 

নওগাঁ জেলা ওয়াকফ হিসাব নিরীক্ষক নুরুজ্জামান জানান, আমি দুপক্ষের আবেদনই ওয়াকফ প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করেছি। এবং এ বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত অন্তে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশও করেছি। কিন্তু মসজিদ কমিটির আবেদনটি আমলে না এনে প্রশাসক মহোদয় এক তরফা রেজাউল করিমকে মোতাওয়াল্লী নিয়োগ করেন। এতে আমার কিছুই করার নেই। 

বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক ঢাকার সহকারী প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্থানীয় কর্মকর্তার প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই মোতাওয়াল্লী নিয়োগ করা হয়েছে। এতে কোন প্রকার আপত্তি থাকলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে পূনরায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাপাহারে কালের আবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও বেত শিল্প

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রাচীন শিল্পগুলো বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। যান্ত্রিক যুগে হারিয়ে যাচ্ছে নানান শিল্প ও শিল্পকর্ম। এরই ধারাবাহিকতায় নওগাঁর সাপাহারে সময়ের সাথে সাথে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বেতশিল্প। 

বর্তমানে বেতের তৈরি পণ্যের আর কদর নেই বললেই চলে। যার ফলে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে বেতশিল্প। একসময় মাঠে চাষ হতো বেত গাছ। এছাড়াও যত্রতত্র ভাবে হামেশাই চোখে পড়তো বেতগাছ। আর সে সময়গুলোতে গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থালি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত ও বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করতেন। বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত প্রায় সবখানেই চোখে পড়তো বেতের তৈরী আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে এসব চিরচেনা চিত্র।বর্তমান সময়ে বেত শিল্প প্রায় বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।

  
প্লাস্টিক ও অন্যান্য বিভিন্ন  সামগ্রীর কদর বেড়ে যাওয়ার ফলে এসব কুটির শিল্পের চাহিদা এখন আর নেই বললেই চলে। এছাড়াও পর্যাপ্তহারে  বেতের চাষ না হওয়ায় কাঁচামালের ঘাটতির কারনেও দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়ছে এসব কুটির শিল্প। বাজার দখল করেছে প্লাস্টিক ও এ্যলুমিনিয়ামের তৈরী নানা জাতের আসবাব পত্র। প্লাস্টিক পণ্য টেকসই ও স্বল্পমূল্যে পাওয়ায় সাধারণ মানুষ চাহিদা হারিয়ে ফেলেছে এসব কুটির শিল্প হতে। 

প্রবীণরা বলছেন, এক সময় দেশের বিস্তীর্ণ জনপদে চাষ হতো বাঁশ ও বেত। যা দিয়ে  তৈরি হতো গৃহস্থালী ও সৌখিন আসবাব পত্র। ঘরের কাছের ঝাড় থেকে তরতাজা বাঁশ-বেত কেটে গৃহিনীরা তৈরি করতেন হরেক রকমের পণ্য। এসব বিক্রি করেই চলতো তাদের জীবনযাপন। তবে এখনো মাঝে মধ্যে গ্রামীণ উৎসব ও মেলাগুলোতে বাঁশ ও বেতজাত শিল্পীদের তৈরি খোল, চাটাই, খলুই, ধামা, টোনা, পাল্লা, মোড়া, বুক সেল্ফ, ঝাড়নি, চালন ইত্যাদি  চোখে পড়ে।


হস্তশিল্পের কদর কমে গেলেও বেড়েছে বাঁশের দাম। আর বেত তো চোখে পড়েনা বললেই চলে। যার ফলে বাঁশ ও বেতের তৈরী জিনিস পত্রের দাম স্বভাবতই একটু বেশি হবার ফলে ক্রেতাবিমূখ সময় পার করছেন বিক্রেতারা। অপরদিকে প্লাস্টিক, সিলভার ও মেলামাইন জাতীয় হালকা টেকসই সামগ্রী নাগরিক জীবনে গ্রামীণ হস্তশিল্পের পণ্যকে হটিয়ে দিয়েছে।


উপজেলা সদরে মহুরীপট্টি এলাকায় বাঁশের পণ্য কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, বাঁশ-বেতের জিনিস বর্তমানে তেমন কোন কাজে আসেনা। তবে একটি খইচালা কিনতে এসছেলাম। তবে এটির দাম শুনে তো কেনার সাধ হারিয়ে গেছে।

 
বাঁশ ও বেতের কারিগর নারান টপ্য বলছেন, বর্তমানে বেতের কাজ আর নেই বললেই চলে। তবে বাঁশের কিছু জিনিসপত্র বানাই। আর এগুলো বাজারে বিক্রি করতে আসলে ক্রেতা সংকটে পড়তে হয়। দাম বেশির কারন জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, বর্তমানে পূর্বের তুলনায় বাঁশের দাম বেশি হবার ফলে জিনিসের দাম একটু বাড়তির মুখে। আমরা কম দামে কাঁচামাল কিনতে পারলে আমাদের তৈরীকৃত জিনিসও কম দামে বেঁচতে পারবো।

 
সবমিলিয়ে বাঁশ-বেতের জিনিপত্রের চাহিদা কমে যাওয়ায় একদিকে যেমন সংকটে পড়েছেন কারিগররা অপরদিকে মানুষ হারাতে বসেছে প্রাচীন ঐতিহ্য। এভাবে প্রাচীন ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে গেলে আগামী প্রজন্ম এগুলোর সম্পর্কে জানতে পারবেনা। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে বাঁশ-বেতের উৎপাদন বাড়িয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যগুলো টিকিয়ে রাখা হোক এমনটাই আশাবাদী সচেতন মহল।

সাংবাদিক নির্যাতনকারী দলিল লেখকের নেতারা জামিন নিতে এসে গেলেন কারাগারে
 

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : নওগাঁর মান্দায় প্রসাদপুর সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় এজাহারভুক্ত চারজন আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

রোবাবার বিকেল ৩টার দিকে ২নং আমলী আদালত নওগাঁ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিকাশ কুমার বসাক এ নির্দেশ দেন। 

আসামীরা হলেন- প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি এরশাদ আলী (৫০), সাধারন সম্পাদক বাবুল আক্তার(৪৫), সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন রানা (৩০) ও খাদেমুল ইসলাম (৫৫)।

 আসামীপক্ষের আইনজীবি ছিলেন- অ্যাডভোকেট হারুনুর রশীদ এবং রাষ্ট্রপক্ষের ছিলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মামুনুর রশীদ। পরবর্তী শুনানী হবে আগামী ০৯/০৮/২০২১ ইং। 

শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের দাওইল গ্রামের তদন্তে প্রাপ্ত গ্রেফতার দলিল লেখক সমিতির সদস্য মিজানুর রহমান নামে একজনকে আটক করে পুলিশ রোববার দুপুরে জেল হাজতে পাঠায়। বর্তমানে পাঁচজন আসামী রয়েছে জেলহাজতে। 

উল্লেখ্য, জেলার মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতি সাধারণ মানুষদের সাথে প্রতারণা করে দীর্ঘদিন থেকে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করে। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে হয়রানি শিকার ও জমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ করে দেন তারা। 

গত ৮জুন দৈনিক যুগান্তর ও জাগোনিউজের জেলা প্রতিনিধি আব্বাস আলীর বড় ভাই আসাদ আলী তার পারিবারিক জমি রেজিস্ট্রি করতে প্রসাদপুর দলিল লেখক সমিতিতে যান। সেখানে দলিল লেখকের সাধারন সম্পাদক বাবুল আক্তারের সঙ্গে আলোচনা করে একটি দলিল ১২ লাখ টাকা মূল্যে করতে চান। যেখানে ১০ দশমিক ৫ টাকা হারে ১২ লাখ টাকার দলিলে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা খরচ হবে বলে জানানো হয়। যা সরকারি মূল্যের চাইতে অতিরিক্ত চাঁদা দাবী করা হয়। 

বিষয়টি আসাদ আলী তার ছোট ভাই সাংবাদিক আব্বাস আলীকে জানালে তিনি স্বশরীরে সাধারন সম্পাদক বাবুল আক্তারের সঙ্গে দেখা করে খরচ কিছু কম করার অনুরোধ জানান। কোন কম হবে না বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন। দলিল রেজিষ্ট্রিতে সরকারি খরচের বিষয় জানতে চাইলে তারা আব্বাস আলীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী আচরণ করে দলিল লেখক সমিতি চত্বর থেকে বের করে দেয়। 

পরে তিনি বিষয়টি সাব-রেজিস্ট্রিারের সঙ্গে আলোচনা করতে তার এজলাস কক্ষে যান। এসময় দলিল লেখক সমিতির সাধারন সম্পাদক বাবুল আক্তার ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন রানার নেতৃত্বে ১০-১২ জন এজলাস কক্ষ থেকে টেনে হিচড়ে বের করে বারান্দায় শরীরের বিভিন্নস্থানে কিলঘুষি মেরে আহত করে কাছে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। 

যার মধ্য জমি রেজিষ্ট্রি বাবদ নগদ তিন লক্ষ টাকা, ভিডিও ক্যামেরা ও একটি ল্যাপটপ ছিল। পরে কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্বাস আলী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget