Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গাছ থেকে পড়ে কৃষকের মৃত্যু

তাপস কর,ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গাছ থেকে পড়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। জাম পারতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে এই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উস্থি ইউনিয়নের উস্থি গ্রামে। নিহত কৃষকের নাম মো. খোকা মিয়া (৫০)।


স্থানীয়রা জানান, খোকা মিয়া আজ রবিবার সকাল বেলায় তাদের জাম গাছে উঠেন। পরে জাম পাড়ার সময় গাছের ডাল ভেঙ্গে নিচে পড়ে গুরুত্বর আহত হন। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।


সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার সাজ্জাদ রহমান জানান, সংকটাপন্ন অবস্থায় খোকা মিয়াকে নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জরুরি বিভাগেই তিনি মারা যান। সংবদটি পেয়ে এলাবাসীর মঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সেই শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনার তদন্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
তাপস কর, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে স্কুল শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনার তদন্তের দাবিতে সংবাদ সন্মেলন করেছে দফতরির পরিবার। দফতরি রাকিব খানকে চাকরিতে পুর্ণবহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দফতরি রাকিব খানের পরিবার।
তাদের দাবি মারধরের ঘটনা সম্পুর্ণ ভুয়া, মিথ্যা, বানোয়াট এবং রাকিব খান ও তার পরিবারের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ থেকে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা সাজান শিক্ষিকা নিলুফা খানম।
আজ রবিবার (৩০ মে) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. ফেরদৌস বলেন, গফরগাঁও উপজেলার বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি রাকিব খান ও প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানম সম্পর্কে আপন চাচাত ভাই-বোন। নিলুফা খানমকে মারধরের ঘটনা সম্পুর্ণ মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট।
তিনি দাবি করেন, দফতরি মো. রাকিবের বাবা আলাল উদ্দিন মারা যাওয়ার পর থেকে রাকিবের সম্পত্তিতে চোখ পড়ে নিলুফা খানমের। পরিবারের সম্পত্তির ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। বিষয়টি স্থানীয়রাও অবগত রয়েছেন।
এ ঘটনা জেরে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে স্কুল বন্ধ করে রাকিব এবং নিলুফা বাড়িতে আসার ২ঘন্টা পর পূর্বের জেরে রাকিব এবং নিলুফার মধ্যে বাগবিতণ্ড হয়।
পরে এই ঘটনাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে নিলুফা খানম স্কুল পরিস্কার করার কথা বলায় রেগে দপ্তরি রাকিব খান তাকে মারপিট করেছে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে দফতরি রাকিব খানের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নিলুফা খানমের পরিকল্পনায় রাকিব খান ও তার বড় ভাই নাদিম খানের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার এবং চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয় রাকিব খানকে। ঘটনার সঠিক তদন্ত না করেই রাকিব খানকে চাকুরিচ্যুত করা হয় বলেও অভিযোগ তাদের।
এক প্রশ্নের উত্তরে মো. ফেরদৌস বলেন, স্কুলে কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। দুপুর ১২ টার দিকে স্কুল বন্ধ করে রাকিব এবং নিলুফা বাড়িতে আসার ২ ঘন্টা পর পূর্বের জেরে রাকিব এবং নিলুফার মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। তবে, কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
সংবাদ সম্মেলনে রাকিব খানের ভাই নাদিম খান বলেন, নিলুফা খানমের বাবা হাফিজ উদ্দিন মাস্টারের গাছ নাদিম খানের ঘরের উপরে পরে। এ ঘটনা থেকেই নিলুফা খানমের সাথে তাদের বিরোধ দেখা দেয় বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানমের সাথে যোগাযোগ করা তাকে মারধর করা হয়েছে দাবি করে লাইন কেটে দেন। এরপর ফোন দিলে তার নাম্বারটি বন্ধ দেখায়।
এ বিষয়ে গফরগাঁও প্রাথমিক সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সবুজ মিয়া বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর মো. রাকিব খানকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আবারও যদি কেউ তদন্তের দাবি করেন, তাহলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করার কথাও বলেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ২ টার দিকে গফরগাঁওয়ের বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীলুফা খানমকে মারধর করার অভিযোগ করেন নিলুফা খানম।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুর ২টায় ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানম বাদী হয়ে দফতরি মো. রকিব খান ও বড় ভাই নাদিম খানকে আসামি করে মামলা করেন। এর আগে ওই দিন ভোররাতে বটতলা থেকে রাকিব খানকে আটক করে পুলিশ। ওই দিন সন্ধ্যার পর আদালতের নির্দেশে রাকিব খানকে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, নিলুফা খানম স্কুলের দফতরি মো. রাকিব খানকে স্কুল পরিস্কার করতে বলেন। এ সময় রাকিব ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বন্ধে কোনোরকম কাজ করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক নিলুফাকে। একপর্যায়ে স্কুলের মাঠেই প্রধান শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ করেন নিলুফা খানম।

 নওগাঁয় একটি ক্ল-লেস হত্যাকান্ডের ১ মাস ১০ দিন পর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ : ভিকিটিমের পরিচয় সনাক্ত : মুল হোতাসহ ৬ জন গ্রেফতার

নওগাঁ’র সম্পূর্ন ক্ল-লেস একটি হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং মুল দুই আসামীসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার ও লাশ বহনকারী একটি পিকআপ জব্দ করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরো জানান গত ১৯ এপ্রিল ঐ এলাকার গ্রামপুলিশ আব্দুল আজিজের মাধ্যমে রানীনগর থানার পুলিশ সংবাদ পায় যে, উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের মারিয়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে হলুদ রঙের ড্রামে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ ভাসছে। সকাল সাড়ে ৮টায় থানা পুলিশ, পিবিআই নওগাঁ ও সিআইডি ক্রাইম সিন রাজশাহী স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে। তার অনুমান বয়স ৩৫ বছর। লাশের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পুলিশের ধারনা ১৮ এপ্রিল থেকে ১৯ শে এপ্রিল’২১ ভোরবেলার মধ্যে যে কোন এক সময় কে বা কারা তাকে হত্যা করে এখানে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নানের নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ তদন্ত শুরু করেন। তদন্তের এক পর্যায়ের নিহতের পরিচয় উদঘাটিত হয়। নিহত ব্যক্তির নাম মোঃ শহিদুল ইসলাম। সে আত্রাই উপজেলার বাউল্যাপাড়া গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর পুত্র। তার পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয় উক্ত শহিদুল ইসলাম গত ১৭ এপ্রিল২০২১ তারিখে ট্রাক্টরের ট্রলি কেনার জন্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নওগাঁ শহরের উদ্দেশ্যে যান। কিন্তু ঐ দিন সন্ধ্যার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং আর বাড়িতে ফিরে যান নি। পুলিশী তদন্তের এক পর্যায়ে গত ২৮ মে’২০২১ তারিখে পুলিশ এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে আত্রাই উপজেলার বাজেধনেশ্বর গ্রামের মমতাজ সরদারের পুত্র মোঃ আলম সরদার (৩৫) ও বাউল্যাপাড়া গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেনের পুত্র মামুনুর রশিদ ঋতু (২১) এবং মান্দা উপজেলার বড়পই গ্রামের ইয়াছিন দেওয়ানের পুত্র মোঃ জুয়েল রানা (৩৮) ও মৃত বয়েন উদ্দিনের পুত্র মোঃ বুলবুল হোসেন (৪৫)’কে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখিত আসামীদের পুলিশ রিমান্ডে এনে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পুলিশ ঐদিনই এই হত্যাকান্ডের মুল হোতা মান্দা উপজেলার দূর্গাপুর মধ্য পাড়ার মৃত আব্দুস সামাদ ওরফে লাটুর পুত্র মোঃ সজিব (২৩) এবং দূর্গাপুর সোনারপাড়া গ্রামের মোঃ বাহার আলীর পুত্র মোঃ সোয়েল রানা (২৫)’কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেখিয়ে দেয়া মতে ভিকটিমের লাশ বহনকারী ঢাকা-মেট্রো-ন-১৪-৮৪৫৫ নম্বরের একটি পিক-আপ ভান উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। তারা স্বকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে যে উক্ত শহিদুল ইসলামকে জনৈক মোঃ আঃ জব্বারের ভাড়া বাসায় হত্যা করে ড্রামে ভরে রাত অনুমান ১১টায় লাশ পিকআপ ভ্যানে করে ঘটনাস্থলে ফেলে আসে। পুলিশ ২৯ মে’২০২১ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। পরে আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে নিজেদেরকে জড়িয়ে স্বেচ্ছায় ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তিমুলখ জবানবন্দী প্রদান করেছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের উদ্বোর্ধতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

জিয়ার হত্যার রাজনীতি দেশের ইতিহাসে কালো অধ্যায় : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়াউর রহমানের হত্যার রাজনীতি দেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে সশস্ত্রবাহিনীর হাজার হাজার জওয়ান এবং অফিসারকে হত্যা করে খুনতন্ত্র কায়েম করেছিলেন, দিনের পর দিন কারফিউ দিয়ে দেশে কারফিউতন্ত্র কায়েম করেছিলেন তবুও নিজে রক্ষা পাননি।’

রোববার (৩০ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘সকালে জিয়াউর রহমানের চল্লিশতম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে ফুল দিতে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যে ভাষায় বিষোদগার করেছেন সেজন্য আমাকে বলতে হচ্ছে- জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা নয়, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের তিনি দেশে-বিদেশে পুনর্বাসিত করেছিলেন, দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার না হওয়ার জন্য সংসদে ইনডেমনিটি বিল পাস করেছিলেন। অর্থাৎ স্বাধীনতার মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শুধু হত্যা করা নয়, সেই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের পুনর্বাসিত করা এবং হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার জন্য সবকিছুই করেছিলেন জিয়াউর রহমান।’

‘জিয়াউর রহমান এবং তার পরিবার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী’ বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, ‘যে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে তিনি ক্ষমতা দখল করেছিলেন তাদের হাতেই জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। আমরা কোনো হত্যাকাণ্ডই সমর্থন করি না এবং এভাবে যিনি মানুষ হত্যা করেন তিনি যে রক্ষা পান না, সেটির প্রমাণ হচ্ছে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই- তিনি যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন, ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে এবং তার পুত্র তারেক রহমানের পরিচালনায় যেভাবে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ইতিহাসে এ ধরনের হামলা খুবই বিরল।’

‘এছাড়াও বেগম জিয়ার আমলে আহসানউল্লাহ মাস্টার, শাহ এএমএস কিবরিয়া, খুলনার মঞ্জুরুল, হুমায়ুন কবীর বালি, গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী, নামাজরত মসজিদের ইমাম, বৌদ্ধ ভিক্ষু, বহু সাংবাদিকসহ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে’, যোগ করেন ড. হাছান মাহমুদ।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনের চেষ্টা করছে’ এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে নিবন্ধিত দল এবং গত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায়- দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিরাজমান। মির্জা ফখরুল সাহেবরা এ সমস্ত কথা বলে আসলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেন। আর তারা মাঝে মধ্যে নির্বাচন-উপনির্বাচন বর্জন করেন, করবেন বলে ঘোষণা দেন। এটির কারণ, নির্বাচনে তারা ক্রমাগতভাবে হেরে যাচ্ছে। যারা নির্বাচনে যেতে ভয় পায়, তারা এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে আত্মতুষ্টি পাওয়ার চেষ্টা করেন। মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যটাও ঠিক সেরকম।’

বিএনপি মহাসচিবের অপর এক মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে দেশের সমস্ত শুভ কাজের সঙ্গে আওয়ামী লীগ যুক্ত। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৬০০ ডলার থেকে দুই হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে বহু আগে পেছনে ফেলেছি। সামাজিক ও মানবিক সূচকে আমরা ভারতকেও পেছনে ফেলেছি। অতি সম্প্রতি মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রেও আমরা ভারতকে ছাড়িয়ে গেছি। দেশ গত বারো বছরে বদলে গেছে। মির্জা ফখরুল সাহেব যদি এগুলো দেখতে না পান, তাহলে তিনি চোখ থাকতেও অন্ধ, কান থাকতেও বধিরের মতো আচরণ করছেন।’

source: https://www.jagonews24.com

 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত
ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরস সংক্রমণের পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। রোববার (৩০ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

গত বুধবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন করোনা সংক্রমণের কারণে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ১৩ জুন খোলা হবে স্কুল-কলেজ।

স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি ৫ শতাংশ আসার পরে...স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত বন্ধ রেখেছি। তাতে করে মানুষের চলাচলের প্রয়োজনীয়তা বা বাধ্যবাধকতা নাই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৫ শতাংশের মধ্যে থাকাটা স্বস্তিদায়ক।’

সংক্রমণের বতর্মান পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ খোলাটাও পিছিয়ে যেতে পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী তেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেটি তাদের বিষয়। উনি বলেছেন, এটা নিয়ন্ত্রণের পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত খুলবে না।’

তাহলে ৫ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত লকডাউন থাকবে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটি বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেবেন। যদিও আমরা বিকল্প ব্যবস্থাগুলো চিন্তা-ভাবনা করছি স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে।

তিনি বলেন, ‘সেক্ষেত্রে আমরা দেখি, অবস্থা বুঝে..., আমাদের ছাত্রসংখ্যা অনেক বেশি। যখন তারা স্কুলে আসবে তখন সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাবে। আমাদের বিধিনিষেধ থাকার কারণে কিন্তু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।’

source: https://www.jagonews24.com

নওগাঁ জেলায় সর্বাত্মক লকডাউনের সুপারিশ

তৌফিক তাপস, নওগাঁ : সারাদেশে দ্বিতীয় ধাপে করোনা পরিস্থিতি বৃদ্ধির কারনে বর্তমানে স্বাস্থ্য বিভাগ কর্ত্তৃক যে ৭টি জেলাকে সর্বাত্মক লকডাউনে আওতায় নেয়ার সুপারিশ করেছে নওগাঁ জেলা তার মধ্যে অন্যতম। সম্প্রতি অন্য জেলাগুলোর সাথে এ জেলায় করোনা পরিস্থিতি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্ত এবং মৃত্যু দুইই বেড়েছে। নওগাঁ’র জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশীদ এবং সিভিলসার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ জানিয়েছেন দেশের যে ৭টি জেলাকে সর্বাত্মক লকডাউনের আওতায় নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে তার মধ্যে নওগাঁ রয়েছে। তবে জনপ্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত সে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষনার নির্দেশনা পাওয়া যায় নি। এদিকে জেলার সিভিলসার্জন অফিসের কন্ট্রোলরুম সুত্রে জানা গেছে ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা পরিস্থিতি শুরু থেকে আজ ২০২১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত পিসিআর ল্যাবে নওগাঁ জেলা থেকে ১৫ হাজার ৭শ ১৭ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরন করা হয়েছে। এদের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে ১৫ হাজার ২শ ৫৬ ব্যক্তির। প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে জেলায় সর্বমোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২ হাজার ২শ ১৫ জন। পরীক্ষা অনুপাতে আক্রান্তের পরিমান ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরন করেছেন ৪০ ব্যক্তি। শনাক্তের তুলনায় মৃতের হার ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। জেলায় হাসপাতাল কোয়ারেনটাইনে ৯০২ জনসহ সর্বমোট হোম কোয়ারেনটাইনে নেয়া হয় ২২ হাজার ৫৭ জনকে। এদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ৮৯২ জনসহ সর্বমোট কোয়ারেনটাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২১ হাজার ১শ ২৪ ব্যক্তিকে। বর্তমানে কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ৯৩৩ জন। এ পর্যন্ত সর্বমোট আইসোলেশনে নেয়া হয় ১০১ ব্যক্তিকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৯৩ ব্যাক্তিকে। বর্তমানে আইসোলেশনে অবস্থানকৃত ব্যক্তির সংখ্যা ৭ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১ ব্যাক্তি।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget