Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডিএনসির অভিযানে ৪ জন আটক- ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ জনের সাজা


ডেস্ক রিপোর্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের মাদকবিরোধী অভিযানে প্রকাশ্যে মাদক সেবনের অপরাধে ৩ জন ও ৬ গ্রাম হেরোইনসহ ১ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।


মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান খান ৪ জন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া জেলায় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান, আনিছুর রহমান খান।


আটককৃতরা হচ্ছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ফকিরপাড়ার মৃত সোনামিয়ার ছেলে মো. আজম (৪০), জয় নগর মীরপাড়ার মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে মীর মো. মাসুদ রানা রঞ্জু (৪০), শিবগঞ্জ শেখ টোলার মৃত আফসার আলীর ছেলে সেনাউল (৩৬) ও একই উপজেলার সাবেক লাভাঙ্গা গ্রামের মৃত আজহার মন্ডলের ছেলে মো. রবিউল ইসলাম (৩২)।


জানাগেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) জেলা কার্যালয়ের সদস্যরা ২৩ এপ্রিল ও ২৪ এপ্রিল শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ গ্রাম হেরোইনসহ হাতেনাতে রঞ্জুকে আটক করা হয়।


অপরদিকে ডিএনসির আরেকটি অভিযানে প্রকাশ্যে মাদক সেবনের অপরাধে আজম, রবিউল ও সেনাউলকে আটক করা হয়। পরিদর্শক ইন্সপেক্টর মো. রায়হান আহমেদ খানের নেতৃত্বে এস আই আসাদুর রহমান, এস আই খন্দকার সুজাত আলী, সিপাই আল আমিন, সিপাই হাবিবা খাতুন, সোহেল রানা, জাহিদুল ইসলামসহ ডিএনসির সঙ্গীয় ফোর্স অভিযানগুলো চালায়।


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেরোইনসহ আটক রঞ্জু মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়।


৩ মাদকসেবীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিন মিয়া ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন।

ভালুকায় খাদ‍্য-ব্যবসায়ী হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিলেট থেকে গ্রেপ্তার

তাপস কর,ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় খাদ্য ব্যবসায়ী হত্যা মামলার প্রধান আসামি পলাতক মেহেদী হাসান আরাফাতকে(২১) সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করেছে ভালুকা থানা পুলিশ। তার ৫ দিনের রিমান্ডের জন‍্য আবেদন আজ শনিবার  আদালতে পাঠানো হয়। গতকাল শুক্রবার সিলেটের  কোতোয়ালি থানাধীন লাল বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মেহেদী হাসান আরাফাত ওরফে কালা মিয়া ভালুকার ধীতপুর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে। 

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত সোমবার সন্ধ্যার আগমুহূর্তে উপজেলার ধীতপুর গ্রামে ছুরিকাঘাতে পোল্ট্রি খাদ্য ব্যবসায়ী আসাদুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। আসাদুল উপজেলার ভাওয়ালিয়াবাজু গ্রামের শামছুদ্দিনের ছেলে। তিনি ভাওয়ালিয়াবাজু বাজারে পোল্ট্রি খাদ্যের ব্যবসা করতেন।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়,  ঘটনার দিন সময়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে আসাদুল ইসলাম ভাওয়ালিয়াবাজু থেকে অটোযোগে ধীতপুর গ্রামে গিয়ে নামেন। ওই সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা তার ওপর হামলা চালিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আসাদুলের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং আসাদুলকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ আসাদুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। 

ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার আসাদুল ইসলামের ছোট ভাই নাজমুল হক বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলার ধীতপুর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মেহেদী হাসান আরাফত ওরফে কালা মিয়া (২১), ঝন্টু মীরের ছেলে রবিন (১৭) ও তাজুল ইসলামের ছেলে সাব্বীর আহাম্মেদকে (১৭) আসামি করা হয়। এদিকে, মামলা দায়েরের পর পরই থানা পুলিশ তৎপর হয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার এবং মামলার এজাহার নামীয় দুই আসামি রবিন ও সাব্বীর আহাম্মেদকে গ্রেপ্তার করে। তবে, ঘটনার পরপরই আত্মগোপনে চলে যান মামলার প্রধান আসামি মেহেদী হাসান আরাফত ওরফে কালা মিয়া। 

মেহেদী হাসান আরাফাত ওরফে কালা মিয়াকে গ্রেপ্তারকারী ভালুকা মডেল থানার এসআই ইকবাল হোসেন জানান, আত্মগোপনে থাকা মামলার ওই আসামিকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সিলেট কোতোয়ালি থানাধীন লাল বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আসাদুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

পাকা বোরোধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিলেন নওগাঁ জেলা  যুবলীগ
 

তৌফিক আহম্মেদ (তাপস), নওগাঁ : নওগাঁয় কৃষকের ধান কেটে মাড়াই করে দিয়েছেন জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়নের আনন্দবাজার সড়কের পাশে ধান কাটা হয়।


এতে নেতৃত্ব দেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায়। ধান কাটা-মাড়াইয়ে প্রায় ২৫ জন যুবলীগের নেতাকর্মী অংশ নেয়।


জানা গেছে, ওই এলাকার কৃষক নজরুল ইসলামের এক বিঘা জমিতে বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের সময় হয়েছে। শ্রমিকদের মজুরি দেয়ার মতো সামর্থ্য নেই তার। পরে তিনি যুবলীগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য আশ্বস্ত করা হয় তাকে। শনিবার সকালে বিমান কুমার রায় প্রায় ২৫ জন যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে কৃষক নজরুল ইসলামের জমিতে হাজির হন। দুপুর পর্যন্ত ধান কেটে পরে কৃষকের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মাড়াই করে দেন।


এ বিষয়ে কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, জমির ধান পেকে গেছে। গত কয়েকদিন থেকে আবহাওয়াও খারাপ যাচ্ছে। ঝড় বৃষ্টির ভয় করছিলাম। বৃষ্টি শুরু হলে ধানের ক্ষতি হয়ে বিপাকে পড়তে হবে। বর্তমান বাজরে শ্রমিকদের মজুরিও বেশি। পরে যুবলীগের নেতাকর্মীরা কোন মজুরি ছাড়াই ক্ষেত থেকে ধান বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে মাড়াই করে দিয়েছেন।


নওগাঁ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায় বলেন, কৃষকরা কষ্ট করে তাদের সোনার ফসল ফলান। আর সেই ফসল যদি প্রাকৃতিক কোনো কারণে নষ্ট হয়ে যায় তার কষ্টের অন্ত থাকে না। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে কৃষকদের সুবিধার জন্য ধান কেটে দিয়েছি।


তিনি আরও বলেন, শ্রমিক সংকট থাকায় অনেক কৃষক তাদের পাকা ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। যদি কোনো কৃষক শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে না পারেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদেরকে আমরা যুবলীগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করবো

ইন্দোনেশিয়ান সাবমেরিন ”কেআরআই নানগালা” নিখোঁজ

সার্বিক পরিস্থিতি

তৌফিক আহম্মেদ (তাপস) :

২৩ এপ্রিল, ২০২১। সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ান নিখোঁজ সাবমেরিন কেআরআই নানগালা ৪০২ (KRI Nanggala 402) এর ৫৩ জন ক্রুকে উদ্ধার করতে বাকি রয়েছে কয়েক ঘন্টার সময়।  ঘটনার শুরু গত ২১ এপ্রিল, বুধবারে। স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে ইন্দোনেশিয়ান নৌবাহিনীর সাবমেরিন কেআরআই নানগালা ৪০২ এর সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয় কমান্ড সেন্টার। তার ঠিক কিছুক্ষণ পূর্বেই সাবমেরিনটিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল অতল সাগরে ডুব দেওয়ার। 

★নানগালা ৪০২ এর পরিচয়

>মূলত একটি নৌ-মহড়াতে অংশ নিচ্ছিল ইন্দোনেশিয়া নৌবাহিনীর নানগালা ৪০২ সাবমেরিন। এটির লক্ষ্য ছিল লাইভ টর্পেডো ফায়ারিং অনুশীলন সফল ভাবে সম্পন্ন করার। সেই লক্ষ্যেই বেলা ৩টার সময় ডুব দেয় সাবমেরিনটি। এরপরেই নিয়মিত যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয় কর্তৃপক্ষ। সাবমেরিনটির অতীতে তাকালেই বোঝা যাবে যে এটি বেশ পুরোনো একটি সাবমেরিন। তৎকালীন পূর্ব জার্মানির কিয়েল এ Howaldt Deutsche Werke শিপইয়ার্ডের অধীনে ১৯৭৭-৮১ সালের মধ্যে নির্মিত হয় এই সাবমেরিনটি। এটি একটি টাইপ ২০৯ সাবমেরিন। ইন্দোনেশিয়ান নৌবাহিনীতে এটি কমিশন পায় একই বছর, ১৯৮১ সালে। অর্থাৎ ২০২১ সালে এর বয়স দাঁড়িয়েছে ৪০ বছর। যা সাবমেরিনের হিসাবে একটু বেশিই বলা চলে। যদিও ২০০৯ হতে ২০১২ সাল অবধি দক্ষিণ কোরিয়ার অধীনে এই জাহাজটিকে আপগ্রেড ও রিফিট (Upgrade and Refit) করা হয়েছে। সেসময় সাবমেরিনের অনেক অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন করা হয়। 

★দূর্ঘটনা 

>সাবমেরিনটি শেষবার সমুদ্রে ডাইভ দিয়েছিল জাভা হতে ৯৬ কিলোমিটার উত্তরে। আপাতত সেই অঞ্চলটিই প্রাথমিক উদ্ধার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্র হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। ডাইভ লোকেশনের আশে পাশের সাগরে তেল লিক হওয়ার চিহ্নও পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়ান নৌবাহিনী প্রধান দুটি সম্ভাবনার কথা বলেন। এক, কোন দুর্ঘটনায় সাবমেরিনটির তেল রিজার্ভ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দুই, সাবমেরিনাররা ইচ্ছাকৃত ভাবে তেল লিক করছে, যা সাবমেরিনটিকে ভাসিয়ে রাখার একটি ক্ষীণ চেষ্টা ও উদ্ধারকারী দলকে সংকেত দেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে পরীলক্ষিত হচ্ছে। 

★বিধ্বস্ত সাবমেরিনের সম্ভাব্য অবস্থা  

>ইন্দোনেশিয়ান নৌবাহিনীর মতে সাবমেরিনটি খুব সম্ভবত ৬০০-৭০০ মিটার গভীরতায় অবস্থান করছে। কিন্তু এই সাবমেরিনটির অপারেটিং ডেপথ মাত্র ২০০-২৫০ মিটার। অর্থাৎ এটি স্বাভাবিক অবস্থায় সর্বোচ্চ ২০০-২৫০ মিটার গভীরতায় যেতে সক্ষম। অপারেটিং ডেপথ ২০০-২৫০ মিটার হলে মোটা দাগের হিসাবে এর ক্রাশ ডেপথ ধরা যায় ৪০০-৫০০ মিটার। অর্থাৎ এই গভীরতা অবধি সাবমেরিনটি কোন ভাবে টিকে থাকতে পারবে। কিন্তু ৬০০-৭০০ মিটার গভীরে সাবমেরিনটির হাল (মূল কাঠামো) কতক্ষণ পানির চাপ সহ্য করতে পারবে বা আদৌ পারবে কি না সেটিই এক জ্বলন্ত প্রশ্ন। এছাড়াও একটি বিধ্বস্ত সাবমেরিনের ভেতরকার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। বিধ্বস্ত সাবমেরিনে অবধারিত ভাবে ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতি থাকে। কিন্তু সাবমেরিনের অধিকাংশ কার্যক্রম বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় সাবমেরিন ক্রুরা এখন নিতান্তই অসহায়। সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হল মারাত্নক অক্সিজেন স্বল্পতা। কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী  সাবমেরিনটিতে সর্বোচ্চ ২৩ এপ্রিল রাত ৩টা (২৪ এপ্রিল, শনিবার)  পর্যন্ত বেঁচে থাকার মতো অক্সিজেন রয়েছে। এর বেশি দেরি হলে মৃত্যু অবধারিত। এছাড়াও তাপ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া চালু না থাকায় তাপমাত্রা কত তা বলা যাচ্ছে না। প্রচন্ড ঠান্ডায় হাইপোথার্মিয়া হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। 

★আদৌ কি উদ্ধার করা সম্ভব?

>দুঃখজনক ভাবে ইন্দোনেশিয়ান নৌবাহিনীর ৫টি সাবমেরিনের বহর থাকলেও তাদের কোন সাবমেরিন উদ্ধারকারী জাহাজ নেই। সাবমেরিন উদ্ধারের জন্য বিশেষায়িত জাহাজ নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ভারত, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া তাদের সর্বাত্নক সহোযোগিতার আশ্বাস দিয়ে একটি বিশেষায়িত উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে ও আন্ডার ওয়াটার সার্চ এন্ড ফাইন্ডিং এ পারদর্শী দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। আজ ২৩ই এপ্রিল বিশ্বমোড়ল আমেরিকাও সাহায্যস্বরুপ ঘটনাস্থলে বিমান পাঠিয়েছে। (সম্ভবত সাবমেরিন হান্টার পি-০৮ পোসেইডন এই দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছে। কারণ সাধারণ বিমানের খুব একটা কার্যকারিতা এ পরিস্থিতে নেই) কিন্তু ওই অঞ্চলের সাগরতল ঠিক সমান নয়। উচু নিচু সাগরতলের কোন খাদের আড়ালে সাবমেরিনটির অবস্থান হলে তা খুজে পাওয়া যাব কিনা তাই সন্দেহ।  

অস্ট্রেলিয়ান দলের মধ্যে আছেন ‘সাবমেরিন ইন্সটিটিউ অফ অস্ট্রেলিয়া’ এর সচিব ফ্র্যাঙ্ক ওয়েন। প্রাক্তন সাবমেরিনার ও অস্ট্রেলিয় উদ্ধারকারী সংস্থার নির্মাতা ওয়েন বলেন, “বেশিরভাগ উদ্ধারকারী ব্যবস্থাই সর্বোচ্চ ৬০০ মিটার গভীরতায় কার্যক্রম চালাতে সক্ষম। এর বেশি গভীরতায় হয়তো এসব যান যেতে পারে। কিন্তু উদ্ধারকারী অন্যান্য যন্ত্রাংশের পক্ষে এত গভীরে সচল হওয়া সম্ভব নয়। ফলে ঐ গভীরতায় পৌছাতে পারলেও উদ্ধার করা সম্ভব নয়।“ 

এছাড়াও উদ্বেগের ব্যাপার হলো নানগালা ৪০২ এ ‘রেসকিউ সিট’ ফিট করা নেই। সাবমেরিনের ক্রু উদ্ধার করার সময় উদ্ধারকারী যান সাবমেরিনের হ্যাচের ওপরে বসে একটি পানিরোধী পথ তৈরি করে। এরপর সেই পথ দিয়ে ক্রুরা উদ্ধারকারী যানে চলে আসেন। কিন্তু আলচ্য সাবমেরিনটিতে হ্যাচের পাশে কোন রেসকিউ সিট নেই। তাই উদ্ধারের সময় উদ্ধারকারী যান কতটুকু সফল হতে পারবে তাও একটি প্রশ্ন। কারণ এত গভীরতায় হিসাবে সামান্য ভুল হলেই উদ্ধারকারীরও সলিল সমাধি হবে। 

★হ্যাচ খুলে সাবমেরিনাররা বের হয়ে আসছেন না কেন?

>এটি একটি অবাস্তব কিন্তু বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন। তাই লেখাতে এর উত্তরও সংযুক্ত করছি। প্রথমত, সাবমেরিনের হ্যাচ কোন সাধারণ দরজা নয় যে এটি চাইলেই খোলা যাবে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত এই হ্যাচ খুলতে সাবমেরিনের মূল ব্যাটারি হতে শক্তি প্রয়োজন। দুর্ঘটনায় হ্যাচ কোনভাবে জ্যাম হয়ে গেলে মানুষের কথা না হয় বাদই দিলাম, শুধু শারীরিক শক্তি দিয়ে হাতির পক্ষেও হ্যাচ খোলা সম্ভব নয়। যদিও হ্যাচের জন্য রিজার্ভ পাওয়ার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ৭০০ মিটার গভীরতায় হ্যাচ খুললে সাবমেরিন আরো বিধ্বস্ত হওয়া বাদে আর কিছু হবে না। কারণ এই গভীরতায় পানির চাপে সাবমেরিনের হাল বেকে যায়। মানুষের পক্ষে এই চাপ সহ্য করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়।

★শেষকথা

>যদিও পরিস্থিতি খুবই আশংকাজনক তবুও আশা রাখতে বাধা নেই। আশা করি ৬টি দেশের সম্মিলিত উদ্ধার কার্যক্রম সফল হবে। ইতোমধ্যে সাগরপৃষ্ঠ হতে মাত্র ১০০-২০০ মিটার গভীরতায় প্রচন্ড চৌম্বক শক্তি সম্বলিত একটি বস্তুর নিশানা মিলেছে। যদি ৭০০ মিটারের ধারণা ভুল প্রমাণ করে এটিই সেই সাবমেরিন হয় তাহলে উদ্ধারকাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। আশা করি কেআরআই নানগালা ৪০২ এর ৫৩জন সাবমেরিনারই সুস্থ ভাবে তাদের পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন।  

উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীও চিনের তৈরি টাইপ ০৩৫ (ন্যাটো কোডঃ মিং ক্লাস) সাবমেরিন ব্যবহার করছে। টাইপ ০৩৫ এর জি ক্লাস ভার্সনের সাবমেরিনগুলো ১৯৮৯ হতে ১৯৯৯ সালের মাঝে তৈরি হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে এই ক্লাসের দুটি সাবমেরিন বিএনএস জয়যাত্রা ও বিএনএস নবযাত্রা ২০১৭ সালে কমিশন লাভ করে। এ দুটি সাবমেরিন এখনো সফল ভাবে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে বর্তমানে বাংলাদেশেরও কোন সাবমেরিন রেসকেইউ প্ল্যাটফর্ম নেই।  

লেখাঃ তৌফিক আহম্মেদ (তাপস)

এম,এস,এস (অর্থনীতি)  

তথ্যসূত্রঃ গার্ডিয়ান, বিবিসি, রয়টার্স, ইউএসএনআই।


সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে হত্যা জড়িত থাকা মূলহোতা সহ ৩ জন আটক

রাহাদ হাসান মুন্না,তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের জৈতাপুর গ্রামে এক গৃহ বধূকে ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত থাকা মূলহোতা গোলাপ সহ ৩ জনকে আটক করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল ) ভোর সকালে  সুনামগঞ্জ র‌্যাব-৯ সিপিসি ৩ ক্যাম্পের সদস্যরা জামবাগ জৈতাপুর গ্রাম থেকে আটক করেছে তাদের।

আটককৃতরা হলেন,জৈতাপুর গ্রামের মৃত নাজির হোসেনের ছেলে গোলাপ মিয়া (৩৫), তার সহযোগী আকরম আলীর ছেলে সোহাগ মিয়া (২২) এবং একই গ্রামের আমির হোসেনের স্ত্রী ও নিহত নারী আজমিনা বেগমের শাশুড়ি হেলেনা বেগম (৪৫)।

নিহত গৃহবধূর স্বামী দিনমুজর শ্রমিক জামালগঞ্জের একটি হাওরে ধান কাটার জন্য এক সপ্তাহ ধরে রয়েছেন।তার অবর্তমানে ৫ বছরের ১ ছেলে ও ২ বছরের এক মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়িতে থাকতেন তার স্ত্রী আজমিনা বেগম। 

র‌্যাব জানায়,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামীরা হত্যাকান্ডের ঘটনায়  জড়িত থাকার স্বীকার করেছে তারা। র‌্যাব-৯ এর উপ-পরিচালক কমান্ডার সঞ্চিন আহমেদ জানান, গৃহবধূ আজমিনা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অপরাধে উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের জৈতাপুর গ্রামে থেকে মূলহোতা সহ  ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার স্বীকার করেছে তারা আটককৃত তিন আসামীকে তাহিরপুর থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।

উল্লেখ্যঃ গত বুধবার উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের জৈতাপুর গ্রামে নিজ ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গৃহবধূ আজমিনাকে ধর্ষণ করেন এখই গ্রামের মৃত নাজির হোসেনের ছেলে গোলাপ মিয়া।ধর্ষণে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে গোলাপ মিয়াকে জুতা পেটা করেন ওই নারী।পরে ঘটলা স্থলে টিউবওয়েলের হাতল দিয়ে মথায় ও শরীরে আঘাত করেন গোলাপ মিয়া সেখানেই আজমনিার মৃত্যু ঘটে।ওই নারীকে ঘুম করতে না পেরে বাড়ির আঙিনার রান্না ঘরের লাখড়ি রাখার মাছার নিছে ফেলে রেখে যান গোলাপ মিয়া সহ তার সহযোগিরা।

 


বাগমারায় জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত-১,আহত ১৫
মোঃ সাইফুল ইসলাম (রাজশাহী) বাগমারাঃ  রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের মাধাইমুড়ি গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় হাবিল উদ্দিন কাজী (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। ওই ঘটনায় নিহতের পরিবারের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে । আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৫ জনকে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, নিহতের পিতা আজিমুদ্দীন কাজী (৬৫), চাচা আব্দুর রাজ্জাক (৫০), ছেলে সৈকত (১৬), প্রতিবেশী আব্দুস সাত্তারের ছেলে জুয়েল রানা (২৫), মুনছুর রহমান (৪৬) । এছাড়াও নিহতের ছোট ভাই হাফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজনকে বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, নিহতের পিতা আজিমুদ্দীন কাজী ১৯৭৩-৭৪ সালে একই গ্রামের মৃত আসতুল্লাহর কাছ থেকে জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছিল। অন্যদিকে তার বোন ছবেজানের নিকট থেকে ১৯৮৩ সালে আবারও জমি ক্রয় করেন আজিমুদ্দীন কাজী। সেই জমির অংশীদার দাবী করে তা ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হন আসতুল্লাহ। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে আদালত আজিমুদ্দীন কাজীর নামে রায় দেয় ।

এর মধ্যে আসতুল্লাহ মৃত্যুবরণ করলে ২০১৯ সাল থেকে ছেলেরা এবং তারই ভাই সেফাতুল্লাহসহ তার ছেলে একটি ভূয়া দলিল করে জমিটি নিজেদের বলে দাবী করে। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ সহ স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এরই মাঝে তারা বিভিন্ন সময় আজিমুদ্দীনসহ তার পরিবারের কারো না কারো লাশ ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২২এপ্রিল) নিহত হাবিল কাজী এবং তার একমাত্র ছেলে সৈকত বিকেলে পান বরজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন এমন সময় তাদের পথ আটকিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ মৃত আসতুল্লাহর ছেলেসহ সেফাতুল্লাহ ও তার ছেলে এবং তাদের পরিবারের নারী সদস্যরা। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিষয়টি তখন থেমে যায়। পরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাবিল কাজী সন্ধ্যার পর যখন বাড়ি থেকে বের হয় আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা অবস্থায় লাঠিসোটা, লোহার রড, হাসুয়া, কোদালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেফাতুল্লাহ এর নেতৃত্বে হামলা চালায় তার উপরে। সেই সময় তাকে একা পেয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা । পরে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে হাবিল মারা যায় বলে জানা গেছে।

এসময় হাবিলের উপর হামলার খবর পেয়ে হাবিলের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে তাদের উপরেও হামলা করে তারা। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয় বলে জানা যায়। তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পৌঁছায় বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোস্তাক আহমেদ  । এছাড়াও ঘটনাস্থলে আসেন রাজশাহী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব। এদিকে দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাইকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। অন্যদিকে যারা এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত তারা সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, নিহতের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলেই আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget