Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf


নওগাঁয় জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মাস্ক ও ক্যালেন্ডার বিতরণ

তৌফিক আহম্মেদ (তাপস)  নওগাঁ : নওগাঁয় জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে করোনা ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকতে ও স্বাস্থ্য বিধি যথাযথ মেনে চলার আহবান জানিয়ে মাস্ক ও মাহে রমজান উপলক্ষে সাহ্রী ও ইফতারের সময় সূচির ক্যালেন্ডার বিতরণ করেছে জেলা ছাত্রলীগ।

(১৩ এপ্রিল) মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শহরের জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে পুরাতন বাস টার্মিনাল, মুক্তির মোড়ে বিভিন্ন এলাকায় সর্বস্তরের সাধারন মানুষের মাঝে মাস্ক ও ক্যালেন্ডার বিতরণের সময় ব্যক্তিগতভাবে সুরক্ষিত থাকতে এবং অন্যকে সুরক্ষিত রাখতে সর্বাত্মক সতর্কতা অবলম্বনের আহবান জানানো হয়েছে।

 এসময় নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান রেজভীর সভাপতিত্বে, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুজ্জামান শিউলের পরিচালনায় জেলা ছাত্রলীগের, সদর উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


 এসময় সাধারন মানুষের মাঝে ১ হাজার মাস্ক ও ১হাজার সাহ্রী ও ইফতারের সময় সূচির ক্যালেন্ডার বিতরণ করা হয় এবং মাস্ক পরিধান, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানানো হয়েছে

বাম গণতান্ত্রিক জোটের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আতাউর শাহ্, নওগাঁ : নওগাঁয় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাম গণতান্ত্রিক জোট নওগাঁ জেলা শাখা ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নওগাঁ শাখার উদ্যোগে লর্ড লিটন ব্রিজ মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল ১১ ঘটিকায় মানববন্ধন কর্মসূচী ও বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি নওগাঁ জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোট এডভোকেট মহসিন রেজা।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই সরকার লকডাউনের নামে এক শ্রেণি পেশার মানুষদের কোটিপতি বানানো উদ্যোগ নিয়েছে, এ দেশের শিল্প কারখানা নিয়ম মেনে চললে ছোট ছোট দোকান নিয়ম মেনে কেন চলতে পারবে না, ছোট ছোট রিক্সা ভ্যান নিয়ম মেনে কেন চলতে পারবে না।

আরোও বলেন করোনা কালীন সময়ে শ্রমজীবী মানুষের জন্য কমপক্ষে ০১ মাসের খাদ্য ও নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে, বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে হবে, দৈনিক কমপক্ষে ১ লক্ষ টেস্ট করতে হবে, সর্বদলীয় কমিটি গঠন করতে হবে।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শাখা বাসদ এর আহবায়ক জয়নাল আবেদীন মুকুল, বাংলাদেশের সিপিবি নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খোকন, জেলা শাখা বাসদ এর সদস্য কালিপদর সরকার, জেলা শাখার ছাত্রমৈত্রী মিজানুর রহমান, বাংলাদেশের সিপিবি নওগাঁ জেলা শাখা সদস্য কমরেড মুমিনুল ইসলাম স্বপন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট পৌরশাখা মিজানুর রহমান প্রমূখ।

নওগাঁর মহাদেবপুর জলাবদ্ধতা নিরসনে সঠিক স্থানে কালভার্ট নির্মাণের দাবি

সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নে একটি কালভার্ট নির্মাণের স্থান নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। কৃষি মাঠের জলাবদ্ধতা যথাযথ স্থানে কালভার্ট নির্মাণের দাবিতে কয়েকটি গ্রামের শতাধিক কৃষকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই কালভার্টের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
নওগাঁ সদর উপজেলার আবাদপুর, কাশিবাড়ি, নারচী, মশরপুর, কুমুড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের শতাধিক কৃষক গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ আবেদন জানান।
লিখিত ওই আবেদনে বলা হয়, নওগাঁ সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়ন ও মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের কয়েকটি কৃষি মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের অধীনে একটি কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে স্থানে কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা কোনো কাজেই আসবে না। নির্বাচিত স্থানে কালভার্টটি নির্মাণ করা হলে সেখান দিয়ে কৃষি মাঠ ও বিলের পানি নিষ্কাশন সম্ভব নয়। এতে সদর উপজেলার হাঁপানিয়া ইউনিয়নের আবাদপুর, ডাফাইল, মোহনপুর, কাশিবাড়ি, দশপাইকা, নারচি, উল্লাসপুর, কুমুড়িয়া, চত জাফরাবাদ, ভবানীগাঁথী, মশরপুর, চন্ডিক্ষেত্র, কুষাডাঙ্গা, শতপুর, চকবিক্রমসহ প্রায় ২০টি গ্রামের আওতায় থাকা কৃষি মাঠের অন্তত ২০ হাজার বিঘা জমির জলাবদ্ধতার সমস্যা রয়েই যাবে। অথচ যে স্থানে কালভার্টটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেখান থেকে মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ ফিট দূরে কালভার্টটি নির্মাণ করা হলে খুব সহজেই পানি নিষ্কাশন হবে।
সদর উপজেলার কাশিবাড়ি গ্রামের সাইদুল ইসলাম, আবাদপুর গ্রামের আছির উদ্দিন ও গোলাম মোস্তফা, একডালা গ্রামের শাহিন, মখরপুর গ্রামের হযরত আলীসহ ১০-১২ জন কৃষক বলেন, সদর উপজেলার হাঁপানিয়া ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের আওতায় ছোট-বড় পাঁচটি কৃষি মাঠ বা বিল রয়েছে। এই সব মাঠের পানি হাপানিয়া-দুলবহাটি সড়কের লাখদহ ব্রীজ দিয়ে নিষ্কাশিত হয়ে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়। কিন্তু মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নে পাতনা মৌজায় পাতনা-নারচী সড়কের কারণে পানি আর দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হতে পারে না। ফলে সদর উপজেলার কানছগাড়ি, বড়বিল, পাটগাড়ি, কন্দরগাড়ি এবং ঠাকুরবাড়ি মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এর ফলে বর্ষাকালে এসব মাঠে কোনো ফসল আবাদ হয় না। এসব মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের একটি প্রকল্পের অধীনে মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের পাতনা এলাকায় পাতনা-নারচী সড়কের ওপর একটি কালভার্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে মহাদেবপুর উপজেলা প্রশাসনের প্রকল্প অফিসের অধীনে পাতনা এলাকার আন্দিরপুকুর তিনমাথা এলাকায় কালভার্ট নির্মাণের জন্য মাটি খননের কাজ শুরু হয়। স্থানীয় কৃষকদের দাবি পাতনা-নারচী সড়কে যে স্থানে কালভার্টটি নির্মাণ হচ্ছে সেখানকার নালাটি খুব সরু। কারণ ওই স্থানে নালাটির দুই পাশে পুকুর খনন করে নালাটি প্রায় বন্ধ করে ফেলা হয়েছে। অথচ ওই স্থান থেকে মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ ফিট উত্তরে কালভার্টটি নির্মাণ করা হলে প্রশস্ত নালা দিয়ে সহজেই পানি নিষ্কাশিত হতে পারবে। সেখানে কালভার্ট নির্মাণ করা হলে পাঁচটি কৃষি মাঠে পানি নিষ্কাশিত হয়ে বিল মনসুরের বিশাল জলাশয়ে পড়লে আর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে না।
এ বিষয়ে ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাম প্রসাদ ভদ্র বলেন, ‘যে স্থানে কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে একটি কালভার্ট নির্মান হওয়া দরকার। তবে তদন্ত করে ওই স্থানের চেয়ে আরও কোনো যৌক্তিক স্থানে কালভার্ট নির্মাণ করা হলে আমার কোনো আপত্তি নেই।’  
মহাদেবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুলতান হোসেন বলেন, ‘প্রয়োজনীয়তার তাগিদে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেখানে একটি কালভার্ট নির্মাণের প্রকল্প বাস্তাবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে স্থানীয় কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এখন কালভার্টের স্থান নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। কৃষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ স্থান নির্বাচনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একটি টেকনিক্যাল কমিটি তৈরী করে দিয়েছেন। ওই কমিটির রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে কালভার্ট নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।’


নওগাঁর সাপাহার সদর ইউনিয়ন করোনা মুক্ত রাখতে বাড়ি বাড়ি মাস্ক বিতরণ
তৌফিক আহম্মেদ (তাপস), নওগাঁ : নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সদর ইউনিয়নবাসীকে  করোনা মুক্ত রাখতে শত ভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বাড়ি বাড়ি মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলা সদরের জয়পুর গ্রামে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করা হয়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান হোসেন মন্ডল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কল্যাণ চৌধুরী, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি আলহাজ্ব শামসুল আলম শাহ্ চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার, কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ালিউর রহমান সেলিম, যুবলীগ সভাপতি নইমুদ্দিন, ছাত্রলীগ আহবায়ক রাসেল রানা, ইউপি সচিব মহিদুল হক সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য-সদস্যা,উপজেলা আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

সদর ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী করোনার দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে সংক্রমণ বিস্তার রোধে সাপাহার সদর ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে ৩৫ হাজার মাস্ক বিতরণ কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মাস্ক বিতরণ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার সকাল ৬ টা থেকে ইউনিয়নের তাজপুর, নুরপুর, ফুরকুটিডাঙ্গা, বৈদ্যপুর, বিদ্যানন্দী ও পিছলডাঙ্গা গ্রামের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসাধারনের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।

নওগাঁর সাপাহারে বিদেশী ফল রক মেলন চাষের উজ্জল সম্ভাবনা

সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর ঠাঁঠা বরেন্দ্র খ্যাত সাপাহার উপজেলার গোয়ালা আটানীপাড়া মাঠে তরুণ উদ্যোক্তা হোসনে মাহফুজ শিবলী সৌদি ও থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ফল রক মেলন ‘সাম্মাম’ চাষ করে চমক সৃষ্টি করেছে।
উপজেলায় প্রথমবারের মতো ফলটি পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করে তিনি আশাব্যঞ্জক ফলাফল পেয়েছেন । আগামীতে তিনি বাণিজ্যিক ভাবে এই রক মেলন ফল চাষাবাদের পরিকল্পনা নিয়েছেন।
হোসনে মাহফুজ শিবলী জানান, ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে তিনি অর্থনীতি বিষয়ে অনার্স সমাপ্ত করেন। পড়াশোনা শেষে দীর্ঘ দিন ধরে তিনি রাজধানী শহরেই ব্যবসা বানিজ্য করছিলেন। বরেন্দ্র ভূমি সাপাহার উপজেলায় বেশ কয়েক বছর ধরে আম সহ বিভিন্ন ফল উৎপাদনে কৃষিতে নিরব বিপ্লব শুরু হয়। অল্প সময়ে দেশের মানুষের নিকট আমের বানিজ্যিক রাজধানী হিসেবে সাপাহার উপজেলা পরিচিতি লাভ করে। প্রতিযোগিতা মুলক ভাবে এখানে ফল বাগান তৈরীর হিড়িক পড়ে যায়। এ সব দেখে তিনি নতুন কিছু করার পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে মা মাটির টানে শহর ছেড়ে নিজ এলাকায় ফিরে আসেন। উপজেলার গোয়ালা আটানীপাড়া মাঠে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া বেশ কয়েক একর জমিতে ধান চাষ না করে তিনি উন্নত জাতের আম বাগান তৈরী করেন। সেই আম বাগানের মধ্যে ১ একর জমিতে পরীক্ষামুলক ভাবে তিনি সাথী ফসল হিসেবে বিদেশী ফল ও বিদেশী সব্জীর  চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি সখের বসে চীন থেকে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে হলুদ তরমুজ বীজ ও দেশের চুয়াডাঙ্গা, বগুড়া ও ঢাকা থেকে রক মেলন বা সাম্মাম ফলের চারা সংগ্রহ করেন ও তার জমিতে রোপন করেন। বর্তমানে তার ওই ১ একর জমিতে থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ফল রক মেলন (সৌদী আরবের সাম্মাম ফল) চাইনিজ হলুদ তরমুজ, সাদা ও কালো স্কোয়াস, লাল, সবুজ, হলুদ সহ বিভিন্ন রঙ্গের ক্যাপসিকাম চাষ করা হয়েছে। তবে বাগানে সব্জীর তুলনায় বিদেশী ফল রক মেলন(সাম্মাম) আশাব্যঞ্জক ভাবে উৎপাদন হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ফল ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে বিশেষ অবদান রাখে,স্বাদ ও গন্ধেও ফলটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন রয়েছে, যা কমলার চেয়ে ২০ ভাগ বেশি। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি আছে এই ফলে। আরও আছে পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যালেনিয়াম বিদ্যমান। এ ফল মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নতুন এই ফল চাষে খরচ অন্য ফলের মতই হয়। বর্তমান বাজারে তরমুজ বঙ্গির চাইতে কয়েক গুন চাহিদা ও মুল্যে বেশী থাকায় আগামী দিনে এই বিদেশী ফল চাষে আশপাশের কৃষকদের মাঝে বেশ আগ্রহ উদ্যোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি শিবলীর ওই রক মেলন (সাম্মাম) বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, রোপনকৃত আম গাছের চারার মাঝের সারিতে হালকা মাচার উপর লতানো গাছে ধরে আছে এই খসখসে সাদা সাদা অজ¯্র রক মেলন ফল।
প্রতিটি ফল ১ কেজি থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়েছে। ইতোমধ্যে তার বাগানে রক মেলন ফল পাকতে শুরু করেছে। রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি এই ফল বাজার জাত করবেন বলেও আশা করছেন।
উপ-সহকারী উদ্ভীদ সংরক্ষন কর্মকর্তা আতাউর রহমান সেলিম বলেন বাঙ্গিজাতীয় এ বিদেশী ফলকে রক মেলন (সাম্মাম) বলা হয় ,সৌদি আরব ও আশপাশের দেশগুলোতে এ ফলের চাষ হলেও আমাদের দেশের বরেন্দ্র এলাকার মাটি ও আবহাওয়া ফলটির চাষাবাদ অনেকটা মানিয়ে নিয়েছে। তাই সাপাহার উপজেলার বরেন্দ্র মাটিতে এই ফল চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
তরুণ উদ্যোক্তা শিবলী তার অভিমত ব্যক্ত করে এ প্রতিবেদক কে জানান যে,বিদেশী এই ফল ও সব্জী চাষে যদি সরকারী ভাবে তাকে সহযোগীতা দেয়া হয় তাহলে তিনি আগামীতে বানিজ্যিক ভাবে রক মেলন চাষবাদ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করতে পারবেন। তার মতে বরেন্দ্র ভূমির এই মাটিতে বিদেশী ফলটি খুব ভালোভাবে চাষাবাদ করা সম্ভব। এটি বছরে তিন বার চাষ করা যায়। দেশের সকল বাজারে ফলটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তিনি আগামী মৌসুমের জন্য পর্যাপ্ত বীজ ও চারা উৎপাদন করবেন। কোন কৃষক বিদেশী এই ফল ও সব্জী চাষে আগ্রহী হলে তিনি তাকে সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করবেন বলেও জানিয়েছেন। 

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের ইউএনওর মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা দাবি।

তাপস কর,ময়মনসিংহ :  ময়মনসিংহের গৌরীপুররের ইউএনওর মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা দাবি করে প্রতারক চক্ত।   এব‍্যাপারে জানা যায়,উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফের সরকারি মোবাইল নম্বর ক্লোন করে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিকাশে টাকা দাবি করে একটি প্রতারক চক্র। আজ শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ইউএনও’র মোবাইল নম্বর ক্লোন ছিল। ঘটনাটি জানার পর ইউএনও সকলকে এ বিষয়ে সতর্ক করে তাৎক্ষণিক গৌরীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ইউএনও হাসান মারুফ জানান, ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ তাঁকে ফোন করে জানতে চান ল্যাপটপের টাকা কখন দিতে হবে। এমন প্রশ্নে তিনি বিব্রতবোধ করে উল্টো জানতে চান কে তাঁদের ফোন দিয়েছে। আর তখনি বুঝতে পারেন কোনো প্রতারক চক্র ইউএনও মোবাইল নম্বর বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে ক্লোন করে এ ধরনের প্রতারণার পথ বেছে নিয়েছে। এ অবস্থায় তিনি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য দপ্তরকে ওই প্রতারক চক্র থেকে সতর্ক থাকার জন‍্য নির্দেশ দেন।
জানা যায়, তাঁর সরকারি মোবাইল নম্বরটি ঘটনার দিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্লোন ছিল। এ মোবাইল নম্বর ক্লোনের পর প্রতারক চক্র অন্য একটি মোবাইল নম্বর ০১৬৩৭-৬৮৮০৮৫ ব্যবহার করে ৫৬ হাজার টাকা ল্যাপটপ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে বিকাশে অর্থ দাবি করে।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, এ ঘটনায় জড়িত প্রতারক চক্রকে  শনাক্ত পুর্বক গ্রেফতার করে আইনানুগ ব‍্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি এই ধরনের প্রতারক চক্রের হাত হইতে সকলকেই সাবধান থাকার জন‍্য বলেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget