Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

সাদা ফুলের বর্ণিল সাজে সেজেছে নওগাঁর আত্রাইয়ের সজিনা গাছগুলো

সালমান ফার্সী (সজল): ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এ বাংলাদেশ। সুজলা সুফলা, শস্য শ্যামল ভরা আমাদের এ বাংলাদেশের একেকটি ঋতুর একেক রুপে ও রঙ নিয়ে হাজির হয়। তেমনি প্রাকৃতিক সোন্দর্য নিয়ে সাদা ফুলের বর্ণিল সাজে সেজেছে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সজিনা গাছগুলো। বর্তমানে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বাড়ির আনাচে-কানাচে ও রাস্তার পাশে থাকা সজিনার গাছগুলো থোকায় থোকায় সাদা সাদা ফুলে ভরে উঠেছে। মৌ মৌ করছে চারিপাশ। সজিনা গাছের ডালের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ফুল আর ফুল। এ সময় সজিনা গাছের পাতা ঝরে পড়ে। তাই পাতা শুন্য ডালে থোকা থোকা সাদা ফুলের শোভা দেখে সকলেই মহিত হয়।

সজিনা বিশ্বের অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি বৃক্ষ। অলৌকিক গাছ হিসেবে সজিনা পরিচিত। ইংরেজিতে সজিনার নাম ‘ড্রামস্ট্রিক’ যার অর্থ ঢোলের লাঠি। নামটি অদ্ভুত হলেও এটি অতিপ্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী সবজি জাতীয় একটি উদ্ভিদ। এই সজিনা গাছ থেকে সবচেয়ে বেশি লাভবান হন বাড়ির গৃহিনীরা। তারা সজিনা মৌসুমে সজিনা বিক্রি করে হাতের খরচ হিসেবে অর্থ সঞ্চয় করেন।

এ গাছের পাতা, ফুল, ফল, ব্যাকল ও শিকড় সবই মানুষের উপকারে আসে। সজিনার পুষ্টিগুন অনেক বেশি। এ গাছের অনেক গুন থাকায়, এ গাছকে যাদুর গাছ বলা হয়। কাঁচা সবুজ পাতা রান্না করে, ভর্ত্তা করে ও বড়া ভেজে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। ফল সবজির মতো রান্না করে খাওয়া যায়, ফল পাকলে সে সব ফলের বীজ বাদামের মতো ভেজে খাওয়া যায়।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ৫হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক সজিনা গাছ আছে। প্রতি বাড়িতে কমপক্ষে ৩/৪ টি গাছ রয়েছে। এসব গাছ বাড়ির পাশে ও ক্ষেতের আইলে লাগানো হয়। গাছে ফলনও বেশি হয়। যতœ ছাড়াই এসব গাছ বেড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে ২টি জাত আছে সজিনা ও নজিনা। সজিনার ফুল আসে জানুয়ারীতে আর নজিনা ফুল আসে মার্চ মাস থেকে। তবে সব ফুল থেকে ফল হয় না। একটি থোকায় সর্বাধিক ১৫০টি মত ফুল ধরে। ফুল ৪০ সেমি. থেকে ৮০ সেমি. পর্যন্ত লম্বা হয়। ফুল ফুটার ২মাস পর ফল তোলা যায়। একটি বড় গাছে ৪০০ থেকে ৫০০ ফল ধরে। প্রতিটি ফলে ৩০-৪০টি বীজ হয়। দেশে সাধারণ ডাল কেটে ডাল রোপন করলে সজিনা গাছ তৈরি হয়। সজিনা চাষিরা উচ্চ মূল্য পাওয়ায় সজনের ডাল রোপন করতে উৎসাহিত হয়। বসতবাড়ির আশে পাশে রাস্তার ধারে ক্ষেতের আইলে লাগানো সজিনা গাছ যতœ ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে। সজিনা পুষ্টি ও ভেজষ গুন সম্পন্ন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি। সজিনার ব্যাপক চাহিদা থাকায় এই সবজিটি বাজারে মৌসুমের শুরুর দিকে উচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন জানান, অলৌকিক গাছ সজিনা। ঠান্ডা-গরম, লবণ, খরা সহিষ্ণু পরিবেশে এই গাছ বাংলাদেশের সর্বত্রই জন্ম নেয়। এ উপজেলার মাটিতে সজিনা আবাদ ভাল হচ্ছে। উপজেলার প্রতি বাড়িতে কমবেশি ৫/৬টি করে সজিনা গাছ আছে। এ বছর সজিনা গাছে ব্যাপক ফুল ধরেছে। বড় ধরণের দূর্যোগ না হলে সজিনার বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে উৎপাদিত সজিনা ঢাকাসহ পুরো দেশে চালান হয়। দিন দিন পরিত্যক্ত জায়গায় সজিনা গাছ তৈরির আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই উপজেলায় সজিনা গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষকরা সজনের উচ্চ মূল্য পাওয়ায় তারা লাভবানও হচ্ছে।


নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সালমান ফার্সী (সজল): দীর্ঘ প্রায় ৮বছর পর নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শের-এ-বাংলা সরকারি মহাবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল মালেক। উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস,এম কামাল হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: রোকেয়া সুলতানা, সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সাংসদ শাহীন মনোয়ারা হক প্রমুখ। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও নওগাঁ-৬ আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো: আনোয়ার হোসেন হেলাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রেজাউল ইসলাম। এছাড়াও সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে আলহাজ্ব মো: আনোয়ার হোসেন হেলালকে সভাপতি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলুকে সাধারন সম্পাদক ঘোষনা করা হয়। পরবর্তীতে পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হবে বলে জানান অতিথিবৃন্দরা। সর্বশেষ ২০১৪ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।

সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে মানববন্ধন

রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে মানববন্ধন করেছে টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতি। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান, দুরযাত্রা সম্পাদক জিয়াউল হাসান পলাশ, টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির আজীবন সদস্য পলাশ রায়, টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আজমীর হোসেন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম টুটুল, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ রুহুল আমিন রুবেল ও সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
মানব বন্ধনে একাত্বতা ঘোষনা করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরকে হত্যাকারীদের অবিলম্বে বিচার দাবী করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম(বিএমএসএফ) ঝালকাঠি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু।
 মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে মুজাক্কির হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।


নওগাঁয় ডিবির অভিযানে একটি শাটার গান ও ৭০ পিচ এ্যাম্পুলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

সালমান ফার্সী (সজল): নওগাঁয় ডিবি পুলিশের অভিযানে একটি ওয়ান শাটার গান ও ৭০ পিচ এ্যাম্পুলসহ নাসির আহম্মেদ স্বপন (৩৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আনুমানিক রাত ১০টার দিকে নওগাঁ শহরের চকপ্রান এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত নাসির আহম্মেদ স্বপন শহরের চকপ্রান এলাকার মৃত:নরুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে। ডিবির ওসি কে এম শামসুদ্দিন জানান, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নন মিয়া বিপিএম স্যারের দিক নির্দেশনায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শহরের চকপ্রান এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি ওয়ান শাটার গান ও ৭০ পিচ এ্যাম্পুল উদ্ধার করা হয়। সে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে মাদক ব্যবসা করে আসছিলো। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা দিয়ে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

কীটনাশক দিয়ে ধানের চারা পুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা

সালমান ফার্সী (সজল): নওগাঁর ধামইরহাটে প্রায় দেড় একর জমির বোরো ধানের চারা বিষাক্ত কীটনাশক দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার উমার ইউনিয়নের চৌঘাট কাগজকুটা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক আহাদুল ইসলাম গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার চৌঘাট এলাকার মহাসীন মন্ডলের ছেলে আহাদুল ইসলাম ও পার্শ্ববতী আলমপুর ইউনিয়নের বীরগ্রাম এলাকার মৃত নায়েব আলীর ছেলে এনামুল ইসলামের মাঝে দীর্ঘদিন থেকে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারই প্রেক্ষিতে গত ২১ ফেব্রুয়ারি কয়েকজন মিলে দেড় একর জমিতে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে ধানের চারাগুলো হলুদ হয়ে বিবর্ণ রং ধারণ করেছে। এতে ওই কৃষকের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষক আহাদুল ইসলাম বলেন, ওই জমি প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছি। প্রতিপক্ষ আমাদের জমি বর্গাচাষ করত। এক পর্যায়ে তারা জাল দলিল তৈরি করে নিজের জমি বলে দাবি করে। এ নিয়ে গত কয়েক বছর থেকে বিরোধ চলে আসছে। প্রতিপক্ষ আমার ক্ষতি করতে জমিতে কীটনাশক ছিটিয়ে ধানের চারা পুড়িয়ে দিয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এনামুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭২ সালে আমরা ওই জমি কিনেছি। গত সাত বছর জমিতে চাষাবাদ করেছি। কিন্তু মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকায় এ বছর চাষাবাদ করতে গেলে তারা বিভিন্নভাবে বাধা দেয়। এতে আমরা জমি থেকে সরে আসি। তবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জমি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জমিতে কীটনাশক দেয়ার অভিযোগটি ভিত্তিহীন।’
ধামইরহাট উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ নিতে ভুক্তভোগী কৃষক সোমবার আমার কাছে এসেছিলেন। সার্বিক বিষয়টি তুলে ধরে তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। একজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থল পরির্দশনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদে দীর্ঘ ৮বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন

সালমান ফার্সী (সজল): নওগাঁর আত্রাই ও রাণীনগর এই দুই উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ আসন। বিগত চারদলীয় সরকারের শাসনামলে প্রথমে সূচনা ঘটে সর্বহারা নামক সন্ত্রাসী বাহিনীর। বেশ কয়েক বছর ধরে চলে এই সন্ত্রাসী বাহিনীর অবর্ননীয় নারকীয় তান্ডব। প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে মানুষ জবাই করা ছিলো এই বাহিনীর প্রধান হাতিয়ার।
এই বাহিনীর সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে জবাই করা হয় বর্তমান সাংসদ আনোয়ার হোসেন হেলালের ছোট ভাই ও তৎকালীন সময়ে রাণীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলামকে। এছাড়াও সর্বহারাদের হাতে দুই উপজেলার অনেক মানুষ জবাই হয়। এরপর সর্বহারাদের নিধন করতে চারদলীয় সরকার জেএমবি নামক বাংলা ভাইয়ের আরেক সন্ত্রাসী দলের আর্বিভাব ঘটান। সেই সময় এই অঞ্চলের মানুষরা সন্ধ্যার পর বাড়ির বাহিরে বের হতে পারতেন না। অনেক স্ত্রী তার স্বামীকে হারিয়েছে, অনেক ছেলে-মেয়ে তাদের বাবাকে হারিয়েছে, অনেক মা-বাবা তাদের সন্তানকে হারিয়েছে। সেই সময় থেকে সারা দেশসহ বিশ্বের কাছে এই আসনটি রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে পরিচিতি পায়।
পরবর্তি সময়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এক সময়ের রক্তাক্ত জনপদে বইতে শুরু করে শান্তির সুবাতাস। মানুষের মৌলিক অধিকার পূরন করা থেকে শুরু করে অবহেলিত এই জনপদে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করে। বর্তমানে এই অঞ্চলের মানুষ গ্রামে শহরের সকল সুবিধা পাচ্ছেন। গত বছরের ১৭অক্টোবরের উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষ শান্তির সুবাতাসের নতুন বাহক হিসেবে নির্বাচন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান থেকে উঠে আসা রাণীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: আনোয়ার হোসেন হেলালকে।
দীর্ঘ প্রায় ৮বছর পর ২৫ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনকে ঘিরে অনেকেই তদবির,লবিং ও গ্রুপিং শুরু করছেন। ডেলিগেড ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন বিভিন্ন পদ প্রত্যাশীরা। বিভিন্ন ভাবে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে। তবে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দাবী একটি গ্রহনযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন কমিটি। যে কমিটি আগামীতে পথচলায় সাহস, শক্তি ও অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করবেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবুল হাসনাত খাঁন হাসান বলেন সর্বশেষ ২০১৪সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এরপর আর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। আগামী ২৫ফেব্রুয়ারী রাণীনগর উপজেলা ও ২৮ফেব্রুয়ারী আত্রাই উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমার রক্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মিশে আছে। যার কারণে শত বাধা উপেক্ষা করে আমি ছাত্রলীগ থেকে যুবলীগ এরপর গত সম্মেলনে দলের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হই।
আমি আশাবাদি এই সম্মেলনের মাধ্যমে রক্তাক্ত জনপদের নতুন শান্তির বাহক ও দলের নীতিনির্ধারকরা একটি বলিষ্ঠ ও কমর্ঠ্য কমিটি উপহার দিবেন। বিগত সময়ে অনেকেই পদ পাওয়ার যোগ্যতা রাখলেও তাদেরকে দলের মাঝে ঠাঁই দেওয়া হয়নি। তাই দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে যারা কাজ করে আসছেন তাদের যথাযোগ্য মূল্যায়ন করলে আগামীতে দলের বিভিন্ন কর্মকান্ডে আরো গতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আমি মনে করি।  
তিনি আরো বলেন রাজনীতি করতে এসে আনোয়ার হোসেন হেলাল অনেক অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে এই অঞ্চলের অভিভাবক। এই অঞ্চলের সকল কিছুই তার জানা আছে। তার মাধ্যমে অবশ্যই দলের অবহেলিত, নির্যাতিত, বঞ্চিত ও যোগ্য প্রার্থীরা মূলায়িত হবেন। আমি আশা রাখবো দলের সবাই একটি স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন ও নির্ভরযোগ্য উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করতে সাংসদকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন এবং দলের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারক ব্যক্তিদের ও আনোয়ার হোসেন হেলালের উপহার দেওয়া কমিটিকে সমর্থন করে আগামীর দিনগুলোতে দলের হয়ে কাজ করবেন।





 

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget