Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

 

ভবানিগঞ্জ পৌর নির্বাচনে ভাবির কাছে ননদের হার

মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারাঃ  রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে এবার ননদ ও ভাবির ভোটযুদ্ধে ভাবিই বিজয়ী হয়েছেন। পৌরসভার সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডের (১, ২ ও ৩) থেকে নির্বাচিত হলেন ভাবি রোনা বিবি। এ নিয়ে টানা দুবার তিনি নির্বাচিত হলেন। তবে ননদ নারগিস বিবি মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেননি।

গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফায় পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফলে বেসরকারিভাবে সংরক্ষিত ১ নম্বর আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন রোনা বিবি। তিনি অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৯৬৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পলিনা খাতুন পেয়েছেন ৯৬৪ ভোট। আর ননদ নারগিস বিবি জবা ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৭৫৯ ভোট।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কসবা গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে নারগিস বিবির সঙ্গে আবদুল হামিদ নামের এক ব্যক্তির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জামাই-মেয়ে আবুল কালামের বাড়িতেই থাকেন। ২০১০ সালের নির্বাচনে কসবা গ্রামের আবদুল হামিদের স্ত্রী নারগিস বিবি সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই বছর তাঁর ভাবি প্রার্থী ছিলেন না।

২০১৫ সালের নির্বাচনে নারগিস বিবির সঙ্গে অন্য তিন প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন বড় ভাই মাহাবুর রহমানের স্ত্রী রোনা বিবি। ওই বছরের নির্বাচনে ভাবির কাছে হেরে যান ননদ নারগিস বিবি। ভাবি নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন। তবে হাল ছাড়েননি ননদও। তিনি পাঁচ বছর এলাকার লোকজনের পাশে থেকেছেন বিভিন্নভাবে। নিজের মাঠ গুছিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি অতীতের ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

এবারের নির্বাচনেও সংরক্ষিত ওয়ার্ড (১, ২ ও ৩) থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন ননদ-ভাবি। তাঁরাসহ ওই ওয়ার্ডে মোট পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে সব আলোচনার শীর্ষে ছিলেন ননদ-ভাবি। ননদ জবা ফুল ও ভাবি অটোরিকশা প্রতীকে নির্বাচন করেন। প্রতীক নিয়ে তাঁরা দুজনেই প্রচারণা চালিয়েছেন সমানতালে। সকাল হলেই একই বাড়ি থেকে দুই প্রার্থী প্রচারণায় নেমে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে প্রচারণায় যোগ দেন কর্মী, সমর্থক ও দুজনের স্বামী। ওয়ার্ডের আলাদা আলাদা এলাকায় প্রচারণা শেষে একই বাড়ি ফেরেন। কখনো মুখোমুখি হলেও তাঁদের মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দেয়নি। পরস্পরের বিরুদ্ধে কোনো অপপ্রচারে লিপ্ত হননি তাঁরা। এভাবে তাঁদের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন বলে প্রার্থী ও ভোটারদের বক্তব্য।

রোনা বিবির স্বামী মাহাবুর রহমান বলেন, বোন তাঁর মতো নির্বাচন করছেন এবং তিনি স্ত্রীকে নিয়ে নিজের মতো কাজ করেছেন। ভোটাররা দ্বিতীয়বারের মতো তাঁর স্ত্রীকে বেছে নিয়েছেন।

জয়ী রোনা বিবি বলেন, কারও প্রতি তাঁর কোনো রাগ নেই। তিনি আগের মতোই লোকজনের পাশে থেকে সেবা করতে চান।

নওগাঁর বদলগাছীতে মাঠ দিবস উপলক্ষে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : ‘কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত প্রদর্শনী’ বিষয়ে নওগাঁর বদলগাছীতে মাঠ দিবস উপলক্ষে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার দাউতপুর গ্রামের মাঠে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আয়োজন করে। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন- জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মনজুর রহমান।
এসময় বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামছুল আলম খান ও এসএম জহির রায়হান, ইউপি সদস্য সাজেদা বেগম, কৃষক নুর ইসলাম ও জিল্লুর রহমান সহ অন্যরা। এসময় স্থানীয় কৃষক ও কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্বল্প সময়ে কন্দাল জাতীয় ফসল উৎপাদনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।


 


স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর বেনাপোল শাখা উদ্বোধন
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল : ইন্স্যুরেন্স ডেভেলফমেন্ট এন্ড রেগুলেটরী অথোরিটি(IDRA)কর্তৃক নিবন্ধিত এবং গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সম্পূর্ণ ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত ব্যতিক্রম সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেনাপোলে অভিষেক ঘটলো নন্দিত "স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড" এর।

শনিবার(১৬ জানুয়ারী) বেলা ১২টার দিকে বেনাপোল স্থলবন্দরের ৭ নং গেটের সামনে রশিদ সর্দার বিল্ডিং(নীচতলায়) এ অবস্থিত ইন্স্যুরেন্সটির অফিস কার্যালয়ে এই অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অভিষেক অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা থেকে আগত স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর-মোঃ হেমায়েতুল ইসলাম।

স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে অভিষেক অনুষ্ঠানে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী কর্তৃক গ্রাহক সেবার সকল বিষয় সম্পর্কে এবং বীমা প্রিমিয়ামের দিকগুলি তুলে ধরেন অত্র কোম্পানীর খুলনা বিভাগীয় সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর- মাসুদুর রহমান।
ইন্স্যুরেন্স সুবিধা সমূহ:- এক কালীন প্রিমিয়াম পরিশোধযোগ্য,দ্বি-বার্ষিক প্রদান পরিকল্প,প্রত্যাশিত মেয়াদি বীমা পরিকল্প তিন কিস্তি,প্রত্যাশিত মেয়াদি বীমা পরিকল্প চার কিস্তি,নিশ্চয়তা সহ পেনশন বীমা পরিকল্প,দেনমোহর বীমা,হজ্ববীমা,মেয়াদান্তে লাভসহ টাকা ফেরৎ পরিকল্প(নিশ্চিত বোনাস সহ),সাধারন মেয়াদি বীমা পরিকল্প,স্বদেশ মাসিক সঞ্চয়(এসএমএস),গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স বা গোষ্টি বীমা এবং শিশুর নিশ্চিত আর্থিক নিরাপত্তা পরিকল্পের কথা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি বলেন,প্রিমিয়ার প্রতিযোগীতার বাজারে স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড অন্যতম প্রিমিয়াম প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ করবে। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ইন্স্যুরেন্সের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেনাপোল তথা শার্শা উপজেলার গ্রাম বাংলার মানুষের সেবায় কাজ করবে "স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড"।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঐ কোম্পানীর বেনাপোলের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট-মোঃ শাহজালাল,যশোর জোনের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর-মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোল এর সভাপতি-মোঃ সাহিদুল ইসলাম শাহীন,সাধারন সম্পাদক- আইয়ুব হোসেন পক্ষী, দপ্তর সম্পাদক- আরিফুল ইসলাম সেন্টু,সহ: দপ্তর সম্পাদক-লোকমান হোসেন রাসেল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক-মোঃ রাসেল ইসলাম,সহ:প্রচার সম্পাদক- সেলিম রেজা তাজ,বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক- আজিজুল হক সহ কোম্পানীর কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ।

বহুমুখী সমস্যা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সংকটের মুখে মৃৎ শিল্প
সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : আমাদের দেশের প্রাচীনতম শিল্প হচ্ছে মৃৎ শিল্প। মৃৎ শিল্পীরা তাদের হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞানের মধ্যদিয়ে তৈরি করে থাকেন হরেক রকমের পণ্য। আজ কালের বিবর্তনে নওগাঁর আত্রাইয়ে মৃৎপণ্যের চাহিদা কমেছে, এতে করে আর্থিক কষ্টে দিনাতিপাত করছে মৃৎ শিল্পীরা।

‘মৃৎ’ মানে মাটি আর ‘শিল্প’ মানে নিজ হাতে তৈরি কোন সুন্দর জিনিস। এই মৃৎ শিল্প আবহমান গ্রাম-বাংলার মাটি ও মানুষের কথা বলে। বর্তমানে মৃৎ শিল্পীদের দুঃখ-কষ্টের মাঝে দিন কাটলেও নওগাঁর আত্রাইয়ের মৃৎ শিল্পীরা এখনও স্বপ্ন দেখেন কোনো একদিন আবারও কদর বাড়বে মাটির পণ্যের।

নওগাঁ জেলার ছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী দাঁড়িয়ে থাকা আত্রাই উপজেলার রায়পুর ও ভবানীপুর পালপাড়া মৃৎ শিল্পের কারণে যেন শিল্পীর তুলিতে আকাঁ একটি স্বর্ণালী ছবি। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প। বহুমুখী সমস্যা আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সংকটের মুখে পড়েছে শিল্পটি। তারপরও পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য এখনও ধরে রেখেছে অনেকেই।

আত্রাই উপজেলার রাইপুর, মিরাপুর, সাহেবগঞ্জ, বহলা, পাঁচুপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য কুটিরের নয়নাভিরাম মৃৎ শিল্পীদের বাসস্থান। এক সময় এই গ্রামগুলো মৃৎ শিল্পের জন্য খুবই বিখ্যাত ছিল। বিজ্ঞানের জয়যাত্রা, প্রযুুক্তির উন্নয়ন ও নতুন নতুন শিল্প সামগ্রীর   প্রসারের কারণে এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও অনুকূল বাজারের অভাবে এ শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বসবাসকারী মৃৎ শিল্পীদের অধিকাংশই পাল সম্প্রদায়ের। প্রাচীনকাল থেকে ধর্মীয় এবং আর্থ-সামাজিক কারণে মৃৎ শিল্পে শ্রেণীভুক্ত সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা মৃৎ শিল্পকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে।

বর্তমান বাজারে এখন আর আগের মতো মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা না থাকায় এর স্থান দখল করে নিয়েছে দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজষপত্র। ফলে বিক্রেতারা মাটির জিনিসপত্র আগের মতো আগ্রহের সঙ্গে নিচ্ছে না। তাদের চাহিদা নির্ভর করে ক্রেতাদের ওপর। সে কারণে অনেক পুরোনো শিল্পীরাও পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছে। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মাটির জিনিসপত্র তার পুরোনো ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে। ফলে এ পেশায় যারা জড়িত এবং যাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন মৃৎ শিল্প তাদের জীবন যাপন একেবারেই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। দুঃখ-কষ্টের মাঝে দিন কাটলেও আত্রাইয়ের মৃৎ শিল্পীরা এখনও স্বপ্ন দেখেন কোনো একদিন আবারও কদর বাড়বে মাটির পণ্যের। সেদিন হয়তো আবারও তাদের পরিবারে ফিরে আসবে সুখ-শান্তি। আর সেই সুদিনের অপেক্ষায় আজও দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলার ভবানীপুর পালপাড়া গ্রামের জিতেনন্দ্রনাথ পাল বলেন, বাপ-দাদার কাছে শেখা আমাদের এই জাত ব্যবসা আজও আমরা ধরে রেখেছি। নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায় এক সময় মাটির তৈরি জিনিসের ব্যাপক চাহিদা ছিল কিন্তু বর্তমানে বহুমুখী সমস্যা আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আজ সংকটের মুখে পড়েছে আমাদের এই মৃৎ শিল্পটি।

এ ব্যাপারে উপজেলার রায়পুর গ্রামের বিপ্লব কুমার পাল বলেন. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন মাটি সংগ্রহে অনেক খরচ করতে হয় আমাদের। এ ছাড়াও জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে মিল না থাকায় প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে হচ্ছে আমাদের। আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিল্পকর্মে প্রশিক্ষিত করে মৃৎশিল্পের সময়োপযোগী জিনিসপত্র তৈরিতে এবং বিদেশে এ পণ্যের বাজার সৃষ্টিতে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।

এদিকে উপজেলার সচেতন মহল ও বিশিষ্টজনরা মনে করছেন মৃৎশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এর বাজার সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা খুবই জরুরি।

এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছানাউল ইসলাম বলেন, আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিল্পীদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারলে মৃৎশিল্পের বিদেশে বাজার তৈরি করা সম্ভব। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃৎশিল্পের প্রসারে জন্য আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে চোরাই কয়লা ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার -১
মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,হাওরাঞ্চল,সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে আবারও বেড়েছে চোরাচালান। সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারীরা সিন্ডিকেডের মাধ্যমে সীমান্তের চাঁরাগাঁও,বালিয়াঘাট,টেকেরঘাট ও লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে মদ,গাঁজা,ইয়াবা,কয়লা ও আতপ চালসহ অস্ত্র পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।
বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে ১মেঃ টন চোরাই কয়লা ও ৪৯ পিছ ইয়াবাসহ ১জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারীদের কখনোই গ্রেফতার করা হয়না। আর ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম- মোঃ খোকন মিয়া(৩০)। সে উপজেলা দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। আজ ১৪ই জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার হওয়া চোরাচালানীকে পুলিশের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- প্রতিদিনের মতো গতকাল ১৩ই জানুয়ারী বুধবার রাত ৮টায় সীমান্তের লাকমা এলাকা দিয়ে সোর্স ইসাক মিয়া,লেংড়া বাবুল ও ইয়াবা কালামের মাধ্যমে ভারত থেকে কয়লা ও ইয়াবা পাচাঁর করা হয়। পরে মাছের বরফের সাথে লুকিয়ে নিয়ে ইয়াবার চালান নিয়ে মোটর সাইকেল দিয়ে খোকন মিয়া চানপুর যাওয়ার পথে টেকেরঘাট ক্যাম্পের নায়েক আব্দুর রাজ্জাক আটক করে। অপরদিকে রজনী লাইন ও পাহাড়তলী এলাকা দিয়ে চোরাচালানী আব্দুল হান্নান,মহিবুর,নজরুল ও তাজুল ইসলাম ভারত থেকে প্রায় ৫ মেঃটন চোরাই কয়লা পাচাঁর করে বড়ছড়া শুল্কস্টেশনে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখে। এখবর পেয়ে শুল্কস্টেশনের বারুদ খানা এলাকা থেকে  ১ মেঃটন কয়লা জব্দ করে বিজিবি। অন্যদিকে চাঁরাগাঁও শুল্কস্টেশন দিয়ে প্রতিরাতে ভারত থেকে আতপ চাল পাচাঁর করছে সোর্স শফিকুল ইসলাম ভৈরব ও রমজান মিয়া। তাদের পাচাঁরকৃত ৫০কেজি ওজনের ৭০বস্তা অবৈধ চাল সম্প্রতি আটক করেছিল বালিয়াঘাট ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা। এঘটনার পর কিছুদিন ভারত থেকে চাল পাঁচার বন্ধ থাকলেও আবার শুরু হয়েছে। এছাড়া লাউড়গড় সীমান্তের জাদুকাটা নদী দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আমিনুল,নুরু মিয়া,শহিদ মিয়াগং প্রতিদিন লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে পাথর ও কয়লাসহ মদ,গাঁজা,ইয়াবা, নাসির উদ্দিন বিড়ি পাচাঁর করছে। আর এই সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে সম্প্রতি বিজিবি ও চোরাচালানীদের মধ্যে হয়েছিল বিরাট সংঘর্ষ ও গুলাগুলি। এঘটনার পেক্ষিতে থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে বিজিবির পক্ষ থেকে। তারপরও সোর্স পরিচয়ধারীদেরকে গ্রেফতার না করার কারণে পুরো সীমান্ত এলাকার চোরাচালান কখনো বন্ধ হয়না। তাই এব্যাপারে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার জানান- ইয়াবাসহ বিজিবির হাতে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকের মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।         


 

তাহেরপুর পৌরসভার আবারো ও নৌকার মাঝি চূড়ান্ত হলেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ

মোঃ সাইফুল ইসলাম,বাগমারা (রাজশাহী):  রাজশাহী বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে আবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার   আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উদীয়মান তরুণ  রাজনীতিবিদ বর্তমান মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

সূত্রে জানা গেছে ১৩ই জানুয়ারি ২০২১ (বুধবার) বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয় ‌। ওই সভায় বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ কে দলের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়।

এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে এলাকার জনসাধারণের কাছে  দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করছি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাহেরপুর পৌরসভার সৎ যোগ্য প্রার্থীই হচ্ছেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তাকে তাহেরপুর পৌরসভার আবারো মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করাই মানোনীনয় প্রধানমন্ত্রী ও বাগমারা আসনের মাননীয় সংসদ ইন্জিঃ মোঃ এনামুল হক কে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। তাই আগামীতে এই ধারনের নেতা যেন তাহেরপুর পৌরবাসির জন্য আবারো    নির্বাচিত করা হয়  এটাই স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।  আগামী ১৪ ফ্রেরুয়ারী নৌকা মার্কা কে বিজয় করবেন এমনটাই ব্যক্ত তাহেরপুর পৌরবাসি।                              

প্রসঙ্গত, তাহেরপুর পৌরসভা নির্বাচন আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ইং তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget