Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

বহুমুখী সমস্যা ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সংকটের মুখে মৃৎ শিল্প
সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : আমাদের দেশের প্রাচীনতম শিল্প হচ্ছে মৃৎ শিল্প। মৃৎ শিল্পীরা তাদের হাতের নৈপুণ্য ও কারিগরি জ্ঞানের মধ্যদিয়ে তৈরি করে থাকেন হরেক রকমের পণ্য। আজ কালের বিবর্তনে নওগাঁর আত্রাইয়ে মৃৎপণ্যের চাহিদা কমেছে, এতে করে আর্থিক কষ্টে দিনাতিপাত করছে মৃৎ শিল্পীরা।

‘মৃৎ’ মানে মাটি আর ‘শিল্প’ মানে নিজ হাতে তৈরি কোন সুন্দর জিনিস। এই মৃৎ শিল্প আবহমান গ্রাম-বাংলার মাটি ও মানুষের কথা বলে। বর্তমানে মৃৎ শিল্পীদের দুঃখ-কষ্টের মাঝে দিন কাটলেও নওগাঁর আত্রাইয়ের মৃৎ শিল্পীরা এখনও স্বপ্ন দেখেন কোনো একদিন আবারও কদর বাড়বে মাটির পণ্যের।

নওগাঁ জেলার ছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী দাঁড়িয়ে থাকা আত্রাই উপজেলার রায়পুর ও ভবানীপুর পালপাড়া মৃৎ শিল্পের কারণে যেন শিল্পীর তুলিতে আকাঁ একটি স্বর্ণালী ছবি। তবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প। বহুমুখী সমস্যা আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সংকটের মুখে পড়েছে শিল্পটি। তারপরও পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য এখনও ধরে রেখেছে অনেকেই।

আত্রাই উপজেলার রাইপুর, মিরাপুর, সাহেবগঞ্জ, বহলা, পাঁচুপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য কুটিরের নয়নাভিরাম মৃৎ শিল্পীদের বাসস্থান। এক সময় এই গ্রামগুলো মৃৎ শিল্পের জন্য খুবই বিখ্যাত ছিল। বিজ্ঞানের জয়যাত্রা, প্রযুুক্তির উন্নয়ন ও নতুন নতুন শিল্প সামগ্রীর   প্রসারের কারণে এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও অনুকূল বাজারের অভাবে এ শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বসবাসকারী মৃৎ শিল্পীদের অধিকাংশই পাল সম্প্রদায়ের। প্রাচীনকাল থেকে ধর্মীয় এবং আর্থ-সামাজিক কারণে মৃৎ শিল্পে শ্রেণীভুক্ত সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরা মৃৎ শিল্পকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে।

বর্তমান বাজারে এখন আর আগের মতো মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা না থাকায় এর স্থান দখল করে নিয়েছে দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈজষপত্র। ফলে বিক্রেতারা মাটির জিনিসপত্র আগের মতো আগ্রহের সঙ্গে নিচ্ছে না। তাদের চাহিদা নির্ভর করে ক্রেতাদের ওপর। সে কারণে অনেক পুরোনো শিল্পীরাও পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছে। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মাটির জিনিসপত্র তার পুরোনো ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে। ফলে এ পেশায় যারা জড়িত এবং যাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন মৃৎ শিল্প তাদের জীবন যাপন একেবারেই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। দুঃখ-কষ্টের মাঝে দিন কাটলেও আত্রাইয়ের মৃৎ শিল্পীরা এখনও স্বপ্ন দেখেন কোনো একদিন আবারও কদর বাড়বে মাটির পণ্যের। সেদিন হয়তো আবারও তাদের পরিবারে ফিরে আসবে সুখ-শান্তি। আর সেই সুদিনের অপেক্ষায় আজও দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা।

এ ব্যাপারে উপজেলার ভবানীপুর পালপাড়া গ্রামের জিতেনন্দ্রনাথ পাল বলেন, বাপ-দাদার কাছে শেখা আমাদের এই জাত ব্যবসা আজও আমরা ধরে রেখেছি। নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায় এক সময় মাটির তৈরি জিনিসের ব্যাপক চাহিদা ছিল কিন্তু বর্তমানে বহুমুখী সমস্যা আর পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আজ সংকটের মুখে পড়েছে আমাদের এই মৃৎ শিল্পটি।

এ ব্যাপারে উপজেলার রায়পুর গ্রামের বিপ্লব কুমার পাল বলেন. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এখন মাটি সংগ্রহে অনেক খরচ করতে হয় আমাদের। এ ছাড়াও জ্বালানির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে মিল না থাকায় প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে হচ্ছে আমাদের। আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিল্পকর্মে প্রশিক্ষিত করে মৃৎশিল্পের সময়োপযোগী জিনিসপত্র তৈরিতে এবং বিদেশে এ পণ্যের বাজার সৃষ্টিতে জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।

এদিকে উপজেলার সচেতন মহল ও বিশিষ্টজনরা মনে করছেন মৃৎশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এর বাজার সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা খুবই জরুরি।

এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছানাউল ইসলাম বলেন, আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিল্পীদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারলে মৃৎশিল্পের বিদেশে বাজার তৈরি করা সম্ভব। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃৎশিল্পের প্রসারে জন্য আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে চোরাই কয়লা ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার -১
মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,হাওরাঞ্চল,সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে আবারও বেড়েছে চোরাচালান। সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারীরা সিন্ডিকেডের মাধ্যমে সীমান্তের চাঁরাগাঁও,বালিয়াঘাট,টেকেরঘাট ও লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে মদ,গাঁজা,ইয়াবা,কয়লা ও আতপ চালসহ অস্ত্র পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।
বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে ১মেঃ টন চোরাই কয়লা ও ৪৯ পিছ ইয়াবাসহ ১জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারীদের কখনোই গ্রেফতার করা হয়না। আর ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম- মোঃ খোকন মিয়া(৩০)। সে উপজেলা দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে। আজ ১৪ই জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার হওয়া চোরাচালানীকে পুলিশের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- প্রতিদিনের মতো গতকাল ১৩ই জানুয়ারী বুধবার রাত ৮টায় সীমান্তের লাকমা এলাকা দিয়ে সোর্স ইসাক মিয়া,লেংড়া বাবুল ও ইয়াবা কালামের মাধ্যমে ভারত থেকে কয়লা ও ইয়াবা পাচাঁর করা হয়। পরে মাছের বরফের সাথে লুকিয়ে নিয়ে ইয়াবার চালান নিয়ে মোটর সাইকেল দিয়ে খোকন মিয়া চানপুর যাওয়ার পথে টেকেরঘাট ক্যাম্পের নায়েক আব্দুর রাজ্জাক আটক করে। অপরদিকে রজনী লাইন ও পাহাড়তলী এলাকা দিয়ে চোরাচালানী আব্দুল হান্নান,মহিবুর,নজরুল ও তাজুল ইসলাম ভারত থেকে প্রায় ৫ মেঃটন চোরাই কয়লা পাচাঁর করে বড়ছড়া শুল্কস্টেশনে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখে। এখবর পেয়ে শুল্কস্টেশনের বারুদ খানা এলাকা থেকে  ১ মেঃটন কয়লা জব্দ করে বিজিবি। অন্যদিকে চাঁরাগাঁও শুল্কস্টেশন দিয়ে প্রতিরাতে ভারত থেকে আতপ চাল পাচাঁর করছে সোর্স শফিকুল ইসলাম ভৈরব ও রমজান মিয়া। তাদের পাচাঁরকৃত ৫০কেজি ওজনের ৭০বস্তা অবৈধ চাল সম্প্রতি আটক করেছিল বালিয়াঘাট ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা। এঘটনার পর কিছুদিন ভারত থেকে চাল পাঁচার বন্ধ থাকলেও আবার শুরু হয়েছে। এছাড়া লাউড়গড় সীমান্তের জাদুকাটা নদী দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আমিনুল,নুরু মিয়া,শহিদ মিয়াগং প্রতিদিন লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে পাথর ও কয়লাসহ মদ,গাঁজা,ইয়াবা, নাসির উদ্দিন বিড়ি পাচাঁর করছে। আর এই সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে সম্প্রতি বিজিবি ও চোরাচালানীদের মধ্যে হয়েছিল বিরাট সংঘর্ষ ও গুলাগুলি। এঘটনার পেক্ষিতে থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে বিজিবির পক্ষ থেকে। তারপরও সোর্স পরিচয়ধারীদেরকে গ্রেফতার না করার কারণে পুরো সীমান্ত এলাকার চোরাচালান কখনো বন্ধ হয়না। তাই এব্যাপারে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার জানান- ইয়াবাসহ বিজিবির হাতে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকের মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।         


 

তাহেরপুর পৌরসভার আবারো ও নৌকার মাঝি চূড়ান্ত হলেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ

মোঃ সাইফুল ইসলাম,বাগমারা (রাজশাহী):  রাজশাহী বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে আবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার   আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উদীয়মান তরুণ  রাজনীতিবিদ বর্তমান মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

সূত্রে জানা গেছে ১৩ই জানুয়ারি ২০২১ (বুধবার) বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয় ‌। ওই সভায় বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ কে দলের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়।

এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে এলাকার জনসাধারণের কাছে  দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করছি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাহেরপুর পৌরসভার সৎ যোগ্য প্রার্থীই হচ্ছেন অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তাকে তাহেরপুর পৌরসভার আবারো মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করাই মানোনীনয় প্রধানমন্ত্রী ও বাগমারা আসনের মাননীয় সংসদ ইন্জিঃ মোঃ এনামুল হক কে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। তাই আগামীতে এই ধারনের নেতা যেন তাহেরপুর পৌরবাসির জন্য আবারো    নির্বাচিত করা হয়  এটাই স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।  আগামী ১৪ ফ্রেরুয়ারী নৌকা মার্কা কে বিজয় করবেন এমনটাই ব্যক্ত তাহেরপুর পৌরবাসি।                              

প্রসঙ্গত, তাহেরপুর পৌরসভা নির্বাচন আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ইং তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

 

নওগাঁর সাপাহারে উৎপাদিত বল সুন্দরী বরই কৃষিতে নতুন চমক
সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকা হিসেবে খ্যাত সাপাহার উপজেলায় আম চাষের পাশাপাশী স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা আয়ে সুমিষ্ট মৌসুমী ফল উন্নত জাতের বরই কৃষকের ভাগ্যে উন্নয়নে নতুন চমক সৃষ্টি করেছে। ইতোমধ্যে বাগান থেকে ফল সংগ্রহ ও বাজারজাত করণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে বাজারদর ভালো থাকার ফলে সন্তোষ প্রকাশ করছেন এলাকার বরই চাষীরা। স্বল্পমেয়াদে অধিক ফলন  ও লাভবান হবার ফলে বরই চাষে এলাকার চাষীদের অধিক আগ্রহ দেখা গেছে।
উপজেলা  কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, চলতি বছরে এ উপজেলায় মোট ৫১ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের বরই। যার মধ্যে ১২ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে কাশ্মীরি ও ৩৯ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে বল সুন্দরী জাতের বরই। চলতি বছরে প্রতি হেক্টরে ৫ থেকে ৬ মেট্রিক টন বরই উৎপাদন হতে পারে।এছাড়াও এ অঞ্চলে কাশ্মিরী , বাউকূল, আপেল কূল, বলসুন্দরী জাতের বরইও চাষ হচ্ছে। সবচেয়ে সুস্বাদু চাহিদা বেশি হবার ফলে এ উপজেলায় বলসুন্দরী জাতের বরই বেশী চাষ হচ্ছে। ফল চাষে মুনাফা অধিক ও মাটির গুণগত মান ভালো থাকায় এ উপজেলার কৃষি খাতে নতুন সম্ভাবনার আরেক নাম বরই চাষ সংযুক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে সাপাহার উপজেলা আমের বানিজ্যিক রাজধানী হিসেবে সারা দেশে পরিচিতি লাভ করেছে। আম বাগানে সাথী ফল বাগান হিসেবে বরই চাষ সহ নতুন করে বরই বাগান তৈরীতে স্থানীয় কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছেন। তিনি আরো জানান, আম চাষ ব্যাপক লাভ জনক হলেও আম বাগান করার পর প্রায় দু বছর পর আম পাওয়া সম্ভব কিন্তু বরই স্বল্প সময়ে পাওয়া সম্ভব এবং এটি একটি লাভ জনক চাষ পদ্ধতি বটে। তাই অধিক লাভের আশায় কৃষকেরা বরই চাষে ব্যাপক ভাবে ঝুঁকে পড়েছে।
ঠাঁঠাঁ এই বরেন্দ্র অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটির গুণগত মান ভালো হবার ফলে বরই চাষ কৃষকদের জন্য লাভ জনক ও  অনুকূল। বর্তমান সময়ে অনেক চাষী আম বাগানের মধ্যেই বরই চাষ করছেন বলে জানান এলাকার চাষীরা। স্বল্পমাত্রার পরিচর্যায় সহজে বরই চাষ করা যায় বলছেন এলাকার অনেক বরই চাষী।
বরই চাষী সিরাজুল জানান, এ বছর প্রথম বরই বাগান করেছেন তিনি। আবহাওয়া ভালো হবার ফলে চলতি বছরে বরইয়ের উৎপাদন অনেক ভালো। বাজারে এ বছরে বলসুন্দরী জাতের বরই প্রতিমন বিক্রয় হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ শ’ টাকা। এরকম বাজার স্থিতিশীল থাকলে বরই চাষে অনেক লাভবান হওয়া সম্ভব।
বরই চাষী মামুন জানান, তিনি একজন ফল চাষী । তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বরইবাগান দেখে এসে নিজেই বরইয়ের বাগান করার প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে কুড়ি একর জমিতে বরইয়ের বাগান করেছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বরই অধিক লাভজনক চাষ বলেও তিনি জানান।
বরই বাগানে তেমন কোন পরিচর্যা করতে হয়না। প্রথমে গাছ লাগানো এবং জমি তৈরীর পর কীটনাশ ও যৎসামান্য পরিচর্যা ছাড়া কঠিন কোন পরিচর্যা করতে হয়না বলছেন বাগান পরিচর্যাকারীরা।
তবে সবমিলিয়ে ঠাঁঠাঁ বরেন্দ্রখ্যাত এ অঞ্চল বরই চাষে কৃষিখাতে একটি নতুন সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন এলাকার অভিজ্ঞমহল।

নওগাঁয় জমি চষের সময় পাওয়ার টিলারের চাপায় চালকের মৃত্যু
সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর শহরের সুলতানপুুরে জমি চাষের সময় পাওয়ার টিলারের চাপায় টিলার চালকের মৃত্যু হয়েছে। বৃস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ শহরের সুলতানপুর এলাকার লস্করপুর মাঠে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষের সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত টিলার চালক সদর উপজেলার একই এলাকার মৃত মকলেসুর রহমানের ছেলে বকুল সরদার (২২) বলে জানা গেছে।

 
নওগাঁয় ব্রী ধান ৮৯ এর বীজ উৎপাদন

তৌফিক আহম্মেদ (তাপস): নওগাঁর দুবলহাটীতে উপসহকারী কৃষি অফিসার এস,এম সাব্বির হোসেনের প্রচেষ্টায় কৃষক পর্যায়ে উচ্চফলনশীল ব্রী ধান ৮৯ এর বীজ উৎপাদন হচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল ধান বীজ উৎপাদন হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সরেজমিন পর্যবেক্ষন করে জানা যায়, সদর উপজেলার দুবলহাটী ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক এবং কৃষক মোঃ বিদ্যুৎ হোসেনকে উপসহকারী কৃষি অফিসার এস,এম সাব্বির হোসেন ব্রী ধান ৮৯ এর ফলন এবং এর বীজ বাজারে চাহিদা সম্পর্কে জানানোর পর তারা বীজ উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে উপসহকারী কৃষি অফিসার এস,এম সাব্বির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে ব্রী ধান ৮৯ এর ভিত্তি বীজ সংগ্রহ করে বপন এবং পরে রোপন করেন।
এ বিষয়ে বীজ প্রত্যয়ন অফিসার ড. আব্দুল আজিজের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কৃষক পর্যায়ে বীজ উৎপাদন খুব কমই হয়ে থাকে। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বীজ উৎপাদনে দক্ষ করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। কৃষক পর্যায়ে বীজ উৎপাদন হলে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন। আমরা কৃষক পর্যায়ে উন্নত বীজ উৎপাদনে সার্বিক সহযোগিতা করছি এবং কৃষকদের উৎসাহিত করছি।
উপসহকারী কৃষি অফিসার এস,এম সাব্বির হোসেন বলেন, আমি সব সময়ই দেশের কথা ভাবি এবং কৃষকরা কম খরচে কোন ফসল ফলালে কৃষকের উৎপাদন বাড়বে এবং গরীব কৃষকরা লাভবান হবেন, এ চিন্তা থেকেই নতুন এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের বিভিন্ন ফসলের বীজ কৃষকদের দিয়ে উৎপাদন করানোর চেষ্টা করি।  ব্রী ধান ৮৯ এর চাল চিকন এবং ভাত খেতেও সুস্বাদু। অন্যান্য চিকন জাতের ধানের তুলনায় ব্রী ধান ৮৯ এর রোগ বালায় কম উৎপাদন খরচ কম এবং তুলনামূলক ফলন অনেক বেশী তাই কৃষক পর্যায়ে এর বীজ উৎপাদন করে বাজারজাত করণ করলে কৃষক অনেক লাভবান হবেন।  


যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget