Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

 

নওগাঁর সাপাহারে উৎপাদিত বল সুন্দরী বরই কৃষিতে নতুন চমক
সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকা হিসেবে খ্যাত সাপাহার উপজেলায় আম চাষের পাশাপাশী স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা আয়ে সুমিষ্ট মৌসুমী ফল উন্নত জাতের বরই কৃষকের ভাগ্যে উন্নয়নে নতুন চমক সৃষ্টি করেছে। ইতোমধ্যে বাগান থেকে ফল সংগ্রহ ও বাজারজাত করণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে বাজারদর ভালো থাকার ফলে সন্তোষ প্রকাশ করছেন এলাকার বরই চাষীরা। স্বল্পমেয়াদে অধিক ফলন  ও লাভবান হবার ফলে বরই চাষে এলাকার চাষীদের অধিক আগ্রহ দেখা গেছে।
উপজেলা  কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, চলতি বছরে এ উপজেলায় মোট ৫১ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের বরই। যার মধ্যে ১২ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে কাশ্মীরি ও ৩৯ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে বল সুন্দরী জাতের বরই। চলতি বছরে প্রতি হেক্টরে ৫ থেকে ৬ মেট্রিক টন বরই উৎপাদন হতে পারে।এছাড়াও এ অঞ্চলে কাশ্মিরী , বাউকূল, আপেল কূল, বলসুন্দরী জাতের বরইও চাষ হচ্ছে। সবচেয়ে সুস্বাদু চাহিদা বেশি হবার ফলে এ উপজেলায় বলসুন্দরী জাতের বরই বেশী চাষ হচ্ছে। ফল চাষে মুনাফা অধিক ও মাটির গুণগত মান ভালো থাকায় এ উপজেলার কৃষি খাতে নতুন সম্ভাবনার আরেক নাম বরই চাষ সংযুক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে সাপাহার উপজেলা আমের বানিজ্যিক রাজধানী হিসেবে সারা দেশে পরিচিতি লাভ করেছে। আম বাগানে সাথী ফল বাগান হিসেবে বরই চাষ সহ নতুন করে বরই বাগান তৈরীতে স্থানীয় কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছেন। তিনি আরো জানান, আম চাষ ব্যাপক লাভ জনক হলেও আম বাগান করার পর প্রায় দু বছর পর আম পাওয়া সম্ভব কিন্তু বরই স্বল্প সময়ে পাওয়া সম্ভব এবং এটি একটি লাভ জনক চাষ পদ্ধতি বটে। তাই অধিক লাভের আশায় কৃষকেরা বরই চাষে ব্যাপক ভাবে ঝুঁকে পড়েছে।
ঠাঁঠাঁ এই বরেন্দ্র অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটির গুণগত মান ভালো হবার ফলে বরই চাষ কৃষকদের জন্য লাভ জনক ও  অনুকূল। বর্তমান সময়ে অনেক চাষী আম বাগানের মধ্যেই বরই চাষ করছেন বলে জানান এলাকার চাষীরা। স্বল্পমাত্রার পরিচর্যায় সহজে বরই চাষ করা যায় বলছেন এলাকার অনেক বরই চাষী।
বরই চাষী সিরাজুল জানান, এ বছর প্রথম বরই বাগান করেছেন তিনি। আবহাওয়া ভালো হবার ফলে চলতি বছরে বরইয়ের উৎপাদন অনেক ভালো। বাজারে এ বছরে বলসুন্দরী জাতের বরই প্রতিমন বিক্রয় হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ শ’ টাকা। এরকম বাজার স্থিতিশীল থাকলে বরই চাষে অনেক লাভবান হওয়া সম্ভব।
বরই চাষী মামুন জানান, তিনি একজন ফল চাষী । তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বরইবাগান দেখে এসে নিজেই বরইয়ের বাগান করার প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে কুড়ি একর জমিতে বরইয়ের বাগান করেছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বরই অধিক লাভজনক চাষ বলেও তিনি জানান।
বরই বাগানে তেমন কোন পরিচর্যা করতে হয়না। প্রথমে গাছ লাগানো এবং জমি তৈরীর পর কীটনাশ ও যৎসামান্য পরিচর্যা ছাড়া কঠিন কোন পরিচর্যা করতে হয়না বলছেন বাগান পরিচর্যাকারীরা।
তবে সবমিলিয়ে ঠাঁঠাঁ বরেন্দ্রখ্যাত এ অঞ্চল বরই চাষে কৃষিখাতে একটি নতুন সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন এলাকার অভিজ্ঞমহল।

নওগাঁয় জমি চষের সময় পাওয়ার টিলারের চাপায় চালকের মৃত্যু
সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর শহরের সুলতানপুুরে জমি চাষের সময় পাওয়ার টিলারের চাপায় টিলার চালকের মৃত্যু হয়েছে। বৃস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ শহরের সুলতানপুর এলাকার লস্করপুর মাঠে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষের সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত টিলার চালক সদর উপজেলার একই এলাকার মৃত মকলেসুর রহমানের ছেলে বকুল সরদার (২২) বলে জানা গেছে।

 
নওগাঁয় ব্রী ধান ৮৯ এর বীজ উৎপাদন

তৌফিক আহম্মেদ (তাপস): নওগাঁর দুবলহাটীতে উপসহকারী কৃষি অফিসার এস,এম সাব্বির হোসেনের প্রচেষ্টায় কৃষক পর্যায়ে উচ্চফলনশীল ব্রী ধান ৮৯ এর বীজ উৎপাদন হচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল ধান বীজ উৎপাদন হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সরেজমিন পর্যবেক্ষন করে জানা যায়, সদর উপজেলার দুবলহাটী ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক এবং কৃষক মোঃ বিদ্যুৎ হোসেনকে উপসহকারী কৃষি অফিসার এস,এম সাব্বির হোসেন ব্রী ধান ৮৯ এর ফলন এবং এর বীজ বাজারে চাহিদা সম্পর্কে জানানোর পর তারা বীজ উৎপাদনে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে উপসহকারী কৃষি অফিসার এস,এম সাব্বির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে ব্রী ধান ৮৯ এর ভিত্তি বীজ সংগ্রহ করে বপন এবং পরে রোপন করেন।
এ বিষয়ে বীজ প্রত্যয়ন অফিসার ড. আব্দুল আজিজের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কৃষক পর্যায়ে বীজ উৎপাদন খুব কমই হয়ে থাকে। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বীজ উৎপাদনে দক্ষ করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। কৃষক পর্যায়ে বীজ উৎপাদন হলে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন। আমরা কৃষক পর্যায়ে উন্নত বীজ উৎপাদনে সার্বিক সহযোগিতা করছি এবং কৃষকদের উৎসাহিত করছি।
উপসহকারী কৃষি অফিসার এস,এম সাব্বির হোসেন বলেন, আমি সব সময়ই দেশের কথা ভাবি এবং কৃষকরা কম খরচে কোন ফসল ফলালে কৃষকের উৎপাদন বাড়বে এবং গরীব কৃষকরা লাভবান হবেন, এ চিন্তা থেকেই নতুন এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের বিভিন্ন ফসলের বীজ কৃষকদের দিয়ে উৎপাদন করানোর চেষ্টা করি।  ব্রী ধান ৮৯ এর চাল চিকন এবং ভাত খেতেও সুস্বাদু। অন্যান্য চিকন জাতের ধানের তুলনায় ব্রী ধান ৮৯ এর রোগ বালায় কম উৎপাদন খরচ কম এবং তুলনামূলক ফলন অনেক বেশী তাই কৃষক পর্যায়ে এর বীজ উৎপাদন করে বাজারজাত করণ করলে কৃষক অনেক লাভবান হবেন।  



নওগাঁ পৌর নির্বাচন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী নির্মল কৃষ্ণ সাহার প্রচারণা

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করেছেন। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই প্রচারণা পরিচলনা করেন। এ সময় দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্মল কৃষ্ণ সাহা বলেন, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিলের ইচ্ছে ছিল আধুনিক পৌরসভা গড়ে তোলা। কিন্তু দীর্ঘ ১৭ বছর বিরোধী দল থেকে পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় কোন উন্নয়ন হয়নি। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিলের ইচ্ছে বাস্তবায়নে কাজ করবেন।

আগামী ৩০ জানুয়ারী নওগাঁ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়াও বিএনপি’র নজমুল হক, জাতীয়পার্টির ইফতারুল ইসলাম বকুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আতিকুর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল প্রতিদ্বিন্দ্বীতা করছেন।

 

বাগমারার জোঁকা বিলের শতশত কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কার্যালয়ে

মোঃ সাইফুল ইসলাম(বাগমারা)রাজশাহী : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের জোঁকা বিলের মাছ চাষ করা কে কেন্দ্র করে গঠিত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কতিপয় সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় বর্তমানে উভয় পক্ষই মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যে কোন সময় ওই ঘটনায় জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে। এতে প্রাণহানিরও আশংকা রয়েছে। ওই বিলের প্রায় শতাধিক সদস্য তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উত্থাপন করেন। তারা অচিরেই বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের দাবী জানিয়েছেন।

এদিকে সোমবার(১১ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জোঁকা বিল নিয়ে চলমান সমস্যার একটা মিমাংশা বৈঠকের দিন আগে থেকেই ধার্য্য করা হয়েছিল। সেই কথা মতো বিল কমিটির লোকজনসহ দুই শতাধিক জমির মালিক মিমাংসা বৈঠকে উপস্থিত হয়। এক পক্ষ হাজির হলেও হাজির হননি জোঁকাবিল মৎস্য প্রকল্পের সভাপতি নরদাশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদসহ তার পক্ষের লোকজন।

এর আগেও কয়েকবার মিমংসার দিন থাকলেও কেউ আসেননি। এ ঘটনায় বিল কমিটির অন্য সদস্যসহ স্থানীয় জমির মালিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। চলমান সমস্যার সমাধানে হাজির না হয়ে সমস্যাকে আরো জটিল আকারে নিয়ে যাচ্ছে সভাপতিসহ তার অনুসারীরা। সেই সাথে সঠিক ভাবে বিলের হিসাব-নিকাশ প্রদান না করে প্রতিদিনই মাছ বিক্রয় করছে তারা।

মাছ চাষ প্রকল্পের বেশ কয়েকজন সদস্যসহ জমির মালিকরা বলেন কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ আমাদেরকে কোন টাকা পরিশোধ না করে নিজেই তার অনুসারীদের নিয়ে আত্মসাৎ করে চলেছে। জোঁকা বিলের জমির মালিক কামরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, রহিদুল ইসলাম, কুবাদ আলী সহ অনেকে বলেন, তিন বছরে ৩০ বার বিলের টাকা ভাগ-বাটোয়ারার কথা থাকলেও ৩ বছরে মাত্র ১১ বার টাকা সদস্যদের মাঝে বন্টন করা হয়েছে। বাকি টাকা নিজের কাছে রেখেছে। শুধু তাই নয় সাবেক সভাপতি আনিছুর রহমান হত্যা কান্ডের মামলায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নামে তার কাছে ৯ লাখ টাকা রেখে দিয়েছে। যে টাকা এখনও কাউকে দেয়া হয়নি।

প্রতিবছর প্রায় ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার মাছ বিক্রয় হয় এই জোঁকা বিল থেকে। জমির মালিকসহ যাদেরকে কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তাদের কাউকে টাকা পরিশোধ করা হয়নি। বিলের দখল নিজের কাছে রাখতে সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে বিলের মেয়াদ শেষের পথে তার পরও টাকা পরিশোধ না করায় অনিশ্চিতায় মধ্যে পড়েছে জমির মালিকসহ স্থানীয় লোকজন। পাওনা টাকা চাইতে গেলেই ধরে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে সভাপতি সহ তার লোকজন। এ ঘটনায় থানা সহ মহামান্য আদালতে মামলা মোকদ্দমাও করেন ভুক্তভোগীরা।

রবিবার (১০ জানুয়ারী) চলমান বিরোধ নিষ্পত্তি লক্ষ্যে রাজশাহী পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত আবেদন করেন জমির মালিকসহ কমিটি থেকে বাদ দেয়া সদস্যরা। বর্তমানে জোঁকা বিল নিয়ে যে বিরোধ চলছে তা যে কোন সময় সংঘর্ষে রুপ নিতে পারে তাই অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে দ্রুত একটা কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়। এর আগে প্রশাসনের রহস্য জনক কারনে আনিছুর রহমানকে জীবন দিতে হয়েছিল এই মাছ চাষকে কেন্দ্র করে।

একই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত পূর্বক সকল সদস্যের প্রাপ্ত অংশ পরিশোধসহ নতুন কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করা আবশ্যক। এতে জোঁকা বিলে মাছ চাষ করতে গেলে বিলের সকল হিসাব-নিকাশ পরিশোধের মাধ্যমে আবারও নতুন কমিটি দিয়ে এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার ব্যবস্থা করা জরুরী। এতে জোকা বিলের হাজারো জমির মালিক সহ অপূরনীয় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে এলাকার নিরীহ জনগণ। পাশাপাশি বিলের মৎস্য চাষের সাথে জড়িত সকল সদস্য যেন তাদের ন্যয্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত না হয় এবং আইন শৃংখলার অবনতি না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানানো হয়েছে। অন্যদিতে নির্দিষ্ট সময়ে বিলের পানি অপসারণের ব্যবস্থা না করলে হাজার হাজার বিঘা জমিতে কৃষক তাদের ধানের আবাদ করতে পারবেনা।

নরদাশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য মাস্টার আব্দুর রশিদকে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ ৪২সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটিতে সভাপতি তার নিজস্ব লোকজনকে রেখে যারা নেতৃত্ব দিতে পারবে এমন লোকজনকে কৌশলে বাদ দেয়া হয়েছে। তাদেরকে নিয়েই সভাপতি লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। এতে করে ওই বিলের যারা বেশির ভাগ জমির মালিক তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়তে থাকে। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকার ঘটাতে যে কোন সময়ে আবারও একটা রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে। বিলের জমির মালিকরা অভিযোগ করেন কমিটি গঠনের পর থেকে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কোন সভা আহ্বান করেননি। সকল সদস্যদের মাঝে লভ্যাংশের টাকাও ভাগ করে দেননি।

সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কতিপয় সদস্যকে নিয়ে মাছ বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। হিসেব চাইতে গেলেই মামলা-হামলা ও প্রাণনাশের ভয় দেখানো হয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। হাট-মাধনগর গ্রামের আফাজ উদ্দিন সরকার, বাবুল হোসেন, আতাউর রহমান, সাহেব আলীসহ প্রায় অর্ধ-শতাধিক ওই বিলের জমি মালিক এসব অভিযোগ করেন। কমিটির অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবাদ করায় তাদের বাড়িঘরে একাধিক বার হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ সব ঘটনার জের ধরে সম্প্রতি কয়েকটি বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বাড়িঘর ভাংচুর করে। ওই দিন বাসুদেবপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের বাড়িতে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ভয়ভীতি দেখায় ও বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে বলে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আরিফা বেগম ও জাহাঙ্গীরের মা সাহারা অভিযোগ করেন। হামলাকারীদের ভয়ে জাহাঙ্গীরসহ বেশ কয়েকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও জানান তাদের পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে তারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

এ ঘটনায় জোঁকা বিল মৎস্য চাষ প্রকল্পের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকার কারণে মিমাংশা বৈঠকে উপস্থিত হতে পারিনি। এ ব্যাপারে আমি ইউএনও অফিসে লিখিত আবেদন করেছি। এর আগেও ডেকেছে সে সময় আমি ঢাকায় চিকিৎসা শেষে বাড়ি আসি। তাই সে সময়েও উপস্থিত হতে পারিনি।
এ ব্যাপারে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ বলেন, জোঁকা বিলের দুই পক্ষের মধ্যে চলমান সমস্যার নিরসনের লক্ষ্যে উভয় পক্ষকে ডাকা হলে এক পক্ষ না আসায় মিমাংসা সম্ভব হয়নি। এর আগেও তারা মিমাংসা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল।

নওগাঁর সাপাহারে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর সাপাহারে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে চলতি মৌসুমে সরিষা চাষ করছেন কৃষকেরা। চারদিকে হলুদের সমারোহ! মাঠের দিকে তাকাতেই যেন চক্ষু জুড়িয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছরে সাপাহার উপজেলায় মোট ৩ হাজার ২শ' হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হচ্ছে। গত বছর এ উপজেলাতে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিলো। গতবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকার ফলে  ফলন ভালো ও অধিক লাভবান হওয়ায় এ বছরে গত বছরের তুলনায় ২শ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ করছেন চাষীরা।
অনুকূল আবহাওয়া থাকলে চলতি বছরে প্রতি হেক্টর জমিতে ৬০ মন সরিষা উৎপাদন হতে পারে ববলছেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।  
এলাকার কৃষকেরা জানান, গত বছরে সরিষার চাষ করে ভালো মূল্য পাওয়া গেছে। যার জন্য চলতি বছরেও সরিষার চাষে ঝুঁকে পড়েছেন তারা। গত বছরের তুলনায় এ বছরেও ভালো দাম পাওয়া যেতে পারে বলে চাষীরা ধারণা করছেন ।
চলতি মৌসুমে সরিষার রোগ বালাই তেমন নেই বললেই চলে। বিষয়টি নিয়ে উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান সেলিম জানান, বর্তমানে সরিষার আপাততঃ কোন রোগ বালাই নেই। শীতকালীন ফসল হবার ফলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারনে সরিষায় তেমন কোন রোগ নেই। তবে ছত্রাকনাশক হিসেবে ম্যানকোজেভ গ্রুপের বালাইনাশক ব্যাবহার করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার সরিষা চাষীরা।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget