Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf


নওগাঁ পৌর নির্বাচন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী নির্মল কৃষ্ণ সাহার প্রচারণা

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করেছেন। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই প্রচারণা পরিচলনা করেন। এ সময় দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্মল কৃষ্ণ সাহা বলেন, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিলের ইচ্ছে ছিল আধুনিক পৌরসভা গড়ে তোলা। কিন্তু দীর্ঘ ১৭ বছর বিরোধী দল থেকে পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় কোন উন্নয়ন হয়নি। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিলের ইচ্ছে বাস্তবায়নে কাজ করবেন।

আগামী ৩০ জানুয়ারী নওগাঁ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়াও বিএনপি’র নজমুল হক, জাতীয়পার্টির ইফতারুল ইসলাম বকুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আতিকুর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল প্রতিদ্বিন্দ্বীতা করছেন।

 

বাগমারার জোঁকা বিলের শতশত কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কার্যালয়ে

মোঃ সাইফুল ইসলাম(বাগমারা)রাজশাহী : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের জোঁকা বিলের মাছ চাষ করা কে কেন্দ্র করে গঠিত কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কতিপয় সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় বর্তমানে উভয় পক্ষই মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যে কোন সময় ওই ঘটনায় জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে। এতে প্রাণহানিরও আশংকা রয়েছে। ওই বিলের প্রায় শতাধিক সদস্য তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উত্থাপন করেন। তারা অচিরেই বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের দাবী জানিয়েছেন।

এদিকে সোমবার(১১ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জোঁকা বিল নিয়ে চলমান সমস্যার একটা মিমাংশা বৈঠকের দিন আগে থেকেই ধার্য্য করা হয়েছিল। সেই কথা মতো বিল কমিটির লোকজনসহ দুই শতাধিক জমির মালিক মিমাংসা বৈঠকে উপস্থিত হয়। এক পক্ষ হাজির হলেও হাজির হননি জোঁকাবিল মৎস্য প্রকল্পের সভাপতি নরদাশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদসহ তার পক্ষের লোকজন।

এর আগেও কয়েকবার মিমংসার দিন থাকলেও কেউ আসেননি। এ ঘটনায় বিল কমিটির অন্য সদস্যসহ স্থানীয় জমির মালিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। চলমান সমস্যার সমাধানে হাজির না হয়ে সমস্যাকে আরো জটিল আকারে নিয়ে যাচ্ছে সভাপতিসহ তার অনুসারীরা। সেই সাথে সঠিক ভাবে বিলের হিসাব-নিকাশ প্রদান না করে প্রতিদিনই মাছ বিক্রয় করছে তারা।

মাছ চাষ প্রকল্পের বেশ কয়েকজন সদস্যসহ জমির মালিকরা বলেন কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ আমাদেরকে কোন টাকা পরিশোধ না করে নিজেই তার অনুসারীদের নিয়ে আত্মসাৎ করে চলেছে। জোঁকা বিলের জমির মালিক কামরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, রহিদুল ইসলাম, কুবাদ আলী সহ অনেকে বলেন, তিন বছরে ৩০ বার বিলের টাকা ভাগ-বাটোয়ারার কথা থাকলেও ৩ বছরে মাত্র ১১ বার টাকা সদস্যদের মাঝে বন্টন করা হয়েছে। বাকি টাকা নিজের কাছে রেখেছে। শুধু তাই নয় সাবেক সভাপতি আনিছুর রহমান হত্যা কান্ডের মামলায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নামে তার কাছে ৯ লাখ টাকা রেখে দিয়েছে। যে টাকা এখনও কাউকে দেয়া হয়নি।

প্রতিবছর প্রায় ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার মাছ বিক্রয় হয় এই জোঁকা বিল থেকে। জমির মালিকসহ যাদেরকে কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তাদের কাউকে টাকা পরিশোধ করা হয়নি। বিলের দখল নিজের কাছে রাখতে সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে বিলের মেয়াদ শেষের পথে তার পরও টাকা পরিশোধ না করায় অনিশ্চিতায় মধ্যে পড়েছে জমির মালিকসহ স্থানীয় লোকজন। পাওনা টাকা চাইতে গেলেই ধরে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে সভাপতি সহ তার লোকজন। এ ঘটনায় থানা সহ মহামান্য আদালতে মামলা মোকদ্দমাও করেন ভুক্তভোগীরা।

রবিবার (১০ জানুয়ারী) চলমান বিরোধ নিষ্পত্তি লক্ষ্যে রাজশাহী পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত আবেদন করেন জমির মালিকসহ কমিটি থেকে বাদ দেয়া সদস্যরা। বর্তমানে জোঁকা বিল নিয়ে যে বিরোধ চলছে তা যে কোন সময় সংঘর্ষে রুপ নিতে পারে তাই অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারে দ্রুত একটা কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়। এর আগে প্রশাসনের রহস্য জনক কারনে আনিছুর রহমানকে জীবন দিতে হয়েছিল এই মাছ চাষকে কেন্দ্র করে।

একই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত পূর্বক সকল সদস্যের প্রাপ্ত অংশ পরিশোধসহ নতুন কমিটি গঠনের ব্যবস্থা করা আবশ্যক। এতে জোঁকা বিলে মাছ চাষ করতে গেলে বিলের সকল হিসাব-নিকাশ পরিশোধের মাধ্যমে আবারও নতুন কমিটি দিয়ে এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার ব্যবস্থা করা জরুরী। এতে জোকা বিলের হাজারো জমির মালিক সহ অপূরনীয় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে এলাকার নিরীহ জনগণ। পাশাপাশি বিলের মৎস্য চাষের সাথে জড়িত সকল সদস্য যেন তাদের ন্যয্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত না হয় এবং আইন শৃংখলার অবনতি না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানানো হয়েছে। অন্যদিতে নির্দিষ্ট সময়ে বিলের পানি অপসারণের ব্যবস্থা না করলে হাজার হাজার বিঘা জমিতে কৃষক তাদের ধানের আবাদ করতে পারবেনা।

নরদাশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য মাস্টার আব্দুর রশিদকে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ ৪২সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটিতে সভাপতি তার নিজস্ব লোকজনকে রেখে যারা নেতৃত্ব দিতে পারবে এমন লোকজনকে কৌশলে বাদ দেয়া হয়েছে। তাদেরকে নিয়েই সভাপতি লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। এতে করে ওই বিলের যারা বেশির ভাগ জমির মালিক তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়তে থাকে। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকার ঘটাতে যে কোন সময়ে আবারও একটা রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের সৃষ্টি হতে পারে। বিলের জমির মালিকরা অভিযোগ করেন কমিটি গঠনের পর থেকে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কোন সভা আহ্বান করেননি। সকল সদস্যদের মাঝে লভ্যাংশের টাকাও ভাগ করে দেননি।

সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কতিপয় সদস্যকে নিয়ে মাছ বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। হিসেব চাইতে গেলেই মামলা-হামলা ও প্রাণনাশের ভয় দেখানো হয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। হাট-মাধনগর গ্রামের আফাজ উদ্দিন সরকার, বাবুল হোসেন, আতাউর রহমান, সাহেব আলীসহ প্রায় অর্ধ-শতাধিক ওই বিলের জমি মালিক এসব অভিযোগ করেন। কমিটির অনিয়মের বিষয়ে প্রতিবাদ করায় তাদের বাড়িঘরে একাধিক বার হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ সব ঘটনার জের ধরে সম্প্রতি কয়েকটি বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বাড়িঘর ভাংচুর করে। ওই দিন বাসুদেবপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের বাড়িতে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ভয়ভীতি দেখায় ও বাড়িতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে বলে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আরিফা বেগম ও জাহাঙ্গীরের মা সাহারা অভিযোগ করেন। হামলাকারীদের ভয়ে জাহাঙ্গীরসহ বেশ কয়েকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও জানান তাদের পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে তারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

এ ঘটনায় জোঁকা বিল মৎস্য চাষ প্রকল্পের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকার কারণে মিমাংশা বৈঠকে উপস্থিত হতে পারিনি। এ ব্যাপারে আমি ইউএনও অফিসে লিখিত আবেদন করেছি। এর আগেও ডেকেছে সে সময় আমি ঢাকায় চিকিৎসা শেষে বাড়ি আসি। তাই সে সময়েও উপস্থিত হতে পারিনি।
এ ব্যাপারে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ বলেন, জোঁকা বিলের দুই পক্ষের মধ্যে চলমান সমস্যার নিরসনের লক্ষ্যে উভয় পক্ষকে ডাকা হলে এক পক্ষ না আসায় মিমাংসা সম্ভব হয়নি। এর আগেও তারা মিমাংসা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল।

নওগাঁর সাপাহারে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর সাপাহারে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে চলতি মৌসুমে সরিষা চাষ করছেন কৃষকেরা। চারদিকে হলুদের সমারোহ! মাঠের দিকে তাকাতেই যেন চক্ষু জুড়িয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছরে সাপাহার উপজেলায় মোট ৩ হাজার ২শ' হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হচ্ছে। গত বছর এ উপজেলাতে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিলো। গতবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকার ফলে  ফলন ভালো ও অধিক লাভবান হওয়ায় এ বছরে গত বছরের তুলনায় ২শ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ করছেন চাষীরা।
অনুকূল আবহাওয়া থাকলে চলতি বছরে প্রতি হেক্টর জমিতে ৬০ মন সরিষা উৎপাদন হতে পারে ববলছেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।  
এলাকার কৃষকেরা জানান, গত বছরে সরিষার চাষ করে ভালো মূল্য পাওয়া গেছে। যার জন্য চলতি বছরেও সরিষার চাষে ঝুঁকে পড়েছেন তারা। গত বছরের তুলনায় এ বছরেও ভালো দাম পাওয়া যেতে পারে বলে চাষীরা ধারণা করছেন ।
চলতি মৌসুমে সরিষার রোগ বালাই তেমন নেই বললেই চলে। বিষয়টি নিয়ে উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতাউর রহমান সেলিম জানান, বর্তমানে সরিষার আপাততঃ কোন রোগ বালাই নেই। শীতকালীন ফসল হবার ফলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারনে সরিষায় তেমন কোন রোগ নেই। তবে ছত্রাকনাশক হিসেবে ম্যানকোজেভ গ্রুপের বালাইনাশক ব্যাবহার করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার সরিষা চাষীরা।

 

নওগাঁর সাপাহারে খাদ্যের নিরাপত্তা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : মুজিব বর্ষে কোভিট-১৯ এর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উপজেলা পর্যায়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে “খাদ্যের নিরাপত্তা শীর্ষক সেমিনার” অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সাপাহার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী, অনুষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সে নিরাপদ খাদ্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন সরকারের খাদ্যমন্ত্রী বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। বিষেশ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল কাইয়ুম সরকার।
এসময় উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস সরকার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: রুহুল আমিন, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আশীষ কুমরা দেবনাথ, ওসি তারেকুর রহমান সরকার, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন হোটেল মালিক, কর্মচারী ও খামারীগন সহ অসংখ্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য শোনেন।

নওগাঁর রাণীনগরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার অটোভ্যানগাড়ী পেলো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরিবার

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে একটি অটোচার্জার ভ্যানগাড়ী পেলো এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরিবার। সোমবার (১১ জানুয়ারি) উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরিবারের নিকট ভ্যানগাড়ী তুলে দেন জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ। উপজেলার খট্টেশ্বর গ্রামের সরদার পাড়ার মৃত আমজাদ ফকিরের ২ছেলে ও ২মেয়ের মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়ে মাফিয়া খাতুন বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বাবা আমজাদ ফকিরই ছিলো এই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তিনি পায়ে চালিত ভ্যান গাড়ী চালিয়ে পরিবারের ভোরন-পোষন করতেন। এছাড়া মা মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতেন কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ২তারিখে ওই ভ্যানগাড়িটি চুরি হয়ে যায়। গত ১২সেপ্টেম্বর আমজাদ ফকির হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর থেকে ওই পরিবারটি খেয়ে-না খেয়ে দিনাতিপাত করে আসছে। সম্প্রতি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া মেয়ে মাফিয়া বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানালে জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে প্রায় ৫০হাজার টাকায় একটি নতুন ব্যাটারি চালিত অটো চার্জার ভ্যান তৈরি করে ওই পরিবারের কর্মক্ষম ছেলের হাতে তুলে দেন। এতে করে ভ্যান চালিয়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে পরিবারটি স্বচ্ছল ভাবে চলবে। বিতরন অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ দুলু সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিত্বে পুষ্পমাল্য অর্পন, এক মিনিট নিরাবতা ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল মালেক, সহ-সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা ও সাবেক সাংসদ শাহিন মনোয়ারা হক সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget