Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

 

স্যার’ সম্বোধন না করায় সাংবাদিককে জরিমানা করার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএমএসএফ

রিপোর্ট : ইমাম বিমান : ‘স্যার’ বলে সম্বোধন না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরগঞ্জে এক সাংবাদিককে ভ্রাম্যমান আদালতে আর্থিক ভাবে জরিমানা করার প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ সাংবাদিক বান্ধব সংগঠন " বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম " বিএমএসএফ।

২৮ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় যৌথ এক বিবৃতিতে সাংবাদিক বান্ধন সংগঠন " বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম " বিএমএসএফ সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর জানান, দেশের চতুর্থ স্তম্ভে থেকেও গনমাধ্যম কর্মী তথা সাংবাদিক আজও অবহেলিত রয়েই গেছে। আর এ অবহেলার কারনেই দেশের সাংবাদিকরা আজ বিভিন্ন স্থানে সত্য প্রকাশ করায় রাজনৈতিক, সরকারি দপ্তর সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান মামলা, হামলার শিকার হয়, কখনও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তাকে ভাই বলে সম্মোধন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিদিনের সংবাদ-এর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আকিব হৃদয়কে তারা আটক করে। পরে পুলিশের গাড়িতে উঠিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে সেখানে একটি রুমে আবদ্ধ করে গালাগালি ও খারাপ আচরণ করা হয়। কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজের সামনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দুর রহমান সাহেল, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মাহমুদুল হাসান, মো. ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা জুলহাস হোসেন সৌরভ সাংবাদিক আকিব হৃদয়ের সংবাদ সংগ্রহের জন্য ব্যবহারিত মটর সাইকেলের ইস্যূতে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। যা সংবাদিককে ভয় প্রদর্শনের একটি অন্তরায় বলা যায়। তাই " বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম " বিএমএসএফ সাংবাদিকের সাথে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তার এহনো অশুভ আচরনের তীব্র নিন্দা জানায়।

প্রসংঙ্গত গতকাল ২৮ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজের সামনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় সাংবাদিক আকিব হৃদয় ঐ স্থান থেকে তার ব্যবহারিত মটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় মটরসাইকেল থামানোর জন্য সিগন্যাল দিলে আকিব মটরসাইকেলটি রেখে জেলা প্রশাসন কর্মকর্তাকে ভাই কেমন আছেন বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়েযান। ঐ কর্মকর্তাকে কেন ভাই বললেন এ জন্য সাংবাদিক আকিব হৃদয়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তারা মটর সাইকেলের উস্যূতে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে বলেন, আপনি সাংবাদিক তাই আপনাকে বেশি করলাম। ভবিষ্যতে আমাদেরকে স্যার বলবেন! এই বলে আকিবের হাতে সড়ক আইন-২০১৮ এর একটি ভাউচার ধরিয়ে দেয়া হয়। শুধু জরিমানাই ঐ কর্মকর্তার ক্ষিপ্ততা না কমলে আকিবকে আটক করে জেলা প্রশাসন কার্যলয়ে নিয়ে সেখানের একটি কক্ষে ঢুকিয়ে গালমন্দ সহ খারাপ আচরন করেন।

এবিষয়ে প্রতিদিনের সংবাদ কার্যালয় থেকে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসন কর্মকর্তা জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, তার গাড়ির লাইসেন্স ছিল না, তাই সড়ক আইন-২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শার্শায় তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের ৫দফা দাবীতে মানববন্ধন

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল : বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের শার্শা উপজেলা শাখার আয়োজনে ৫ দফা দাবী পূরণের লক্ষে স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন করেছে। 

সোমবার বেলা ১১ টার সময় শার্শা উপজেলা চত্বরে এই কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।

উক্ত স্মারক লিপি ও মানববন্ধন  কর্মসূচীতে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ শার্শা উপজেলা শাখার সকল সদস্য বৃন্দ উপস্থিত থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর ৫ দফা দাবী আদায়ের নিমিত্তে স্মারক লিপি তুলে দেন এবং উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।

এসময় দাবী আদায়ের লক্ষে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শার্শা উপজেলা শাখার সভাপতি  মো: শহিদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা ৫ দফা দাবীতে বলেন, ১। ৩য় শ্রেণি কর্মচারীদের নূন্যতম গ্রেড ১১ তম প্রদান করতে হবে এবং শিক্ষার্থী সংখ্যা অনুপাতে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। ২। পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/অফিস সুপার করতে হবে এবং পেশাগত উন্নয়ন কম্পিউটার সহ অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর ট্রেণিং এর দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। ৩। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত চাকুরীবিধি -২০১২ দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডিতে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। ৪। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্ততে দ্রুত উচ্চতর পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে এবং ৫। সকল এম,পি,ও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে। 

জাতির জনকের কণ্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতি গঠনে যুগোপযোগী শিক্ষানীতি উপহার দেয়েছেন। এই শিক্ষানীতির আলোকে দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত চাকুরী বিধিমালা -২০১২ জারি করা হলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটি দাবীও।

বর্ণিত দাবীসমূহ অনতিবিলম্বে মেনে নেওয়ার জন্য জোর দাবী জানান বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের শার্শা উপজেলা শাখার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবরা।

 

নওগাঁয় শীতে ফুটপাতে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতার ভীড়

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁয় সন্ধ্যা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত কুয়াশা আর উত্তর থেকে আসা হিমেল বাতাসে নওগাঁয় বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতের তীব্রতার কারণে এখন সব শ্রেণীর মানুষ ভিড় করছেন পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে। ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেট গুলোতেও গরম কাপড়ের চাহিদা এখন তুঙ্গে। তবে বেশি ভীড় দেখা যায় ফুটপাতের পুরনো শীতবস্ত্রের দোকানে।

ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন নওগাঁর এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিম্ন আয়ের মানুষরা ভিড় করছেন ফুটপাতের এসব দোকানে। আর এ পুরনো গরম কাপড়ের দোকান বসছে নওগাঁর শহরের বালুডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায়, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড থেকে শুরু করে তাজের মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়কের দুই ধারে, চুড়ি পট্টি ও তরকারি বাজার সড়কে।

কম দামের কারণে পুরাতন কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের আগ্রহ অনেক বেশি। এসব ফুটপাতের দোকানে ছেলে মেয়েদের জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি, ব্লেজার, লেদার জ্যাকেট, সোয়েটার, হাফ সোয়েটার, মুজা, শীতের টুপি ও ছোট বাচ্চাদেরসহ সবকিছু রয়েছে।

এসব ফুটপাতের প্রতিটি দোকানেই এখন শীতের পোশাকে ঠাসা। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দরের মধ্যে শীতবস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে এই দোকানগুলোতে। পাশে মার্কেট থাকলেও দামে কিছুটা সস্তা হওয়ায় প্রতিদিন ধনী-গরিবসহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার নারী-পুরুষরা ভিড় করছেন দোকানগুলোতে।

নিম্ন আয়ের ক্রেতা মকলেছ জানান, আমরা দিন আনি দিন খাই এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। আমাদের মতো গরিব মানুষ শীতে গরম কাপড় কিনতে পারে না। তাই ছেলেমেয়েদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করতে হয়। ফলে অনেকটা সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। তাই ফুটপাতের দোকান থেকে বাচ্চাদের জন্য কিছু গরম কাপড় ক্রয় করছি।

পুরাতন কাপড় বিক্রেতা মিঠুন জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে এ বছর কয়েক লট মাল আনা হয়েছে। ভালো বিক্রিও হচ্ছে। ক্রেতারা প্রচুর আসছেন। কোনো কোনো লটে অনেক ভালো কাপড় থাকে। সেই ভালো কাপড় খুঁজে নিতে ক্রেতাদের থাকে বাড়তি আগ্রহ।

নওগাঁর বদলগাছীতে বানিজ্যিকভাবে সৌখিন কবুতরের খামার করে সাফল্য অর্জন করেছেন এক যুবক

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা সদরে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যুবক বানিজ্যিকভাবে সৌখিন কবুতর পালন করে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন। সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা এবং অভাবনীয় সাফল্য। তার এই সৌখিন কবুতরের খামার দেখে অনেকেই এমন খামার গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
বদলগাছি উপজেলা সদরের জিয়ল মহল্লার ঐ যুবক আজ থেকে ৪ বছর আগে তার বাড়িতে মাত্র ৫টি সৌখিন কবুতর নিয়ে শুরু করেন কবুতর পালন। এরই মধ্যে সেই কবুতর থেকে এখন তার একটি পূর্নাঙ্গ খামারে রয়েছে ৫শ কবুতর । সিরাজী, লাক্কা, বিউটি, ম্যাকপাই, জার্মানী শীল, লালচিলা, হাউজ প্রিজন, বারামবাগ, ময়নাকাড়ি, কালো বেরিয়ার, হলুদ বার্ক হোমার, বাগদাদ, ককা, আউল, হলুদ সিরাজী, কালো সিরাজী, লাল সিরাজীসহ প্রায় একশ জাতের দামী দামী কবুতর রয়েছে তাঁর এই খামারে। বাড়ির দু’টি ঘরে সারি সারি খাঁচা। মোট একশটি খাঁচায় এসব কবুতর শোভা পাচ্ছে। কবুতরের বিভিন্নরকমের ডাকে মুখরিত হয়ে রয়েছে পুরো বাড়ি। বাড়ির কাছাকাছি গেলেই এসব কবুতরের ডাক শোনা যাবে। কোন খাঁচায় ডিম, কোন খাঁচায় সদ্য প্রস্ফুটিত বাচ্চা আবার কোন খাঁচায় বেড়ে উঠা বাচ্চা দেখা যাচ্ছে। মা কবুতর নিজেদের খাবার পাশাপাশি বাচ্চাদের খাওয়াতে ব্যস্ত। মায়ের মমতায় ভরা এ এক অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। খামারটি এখন বেশ লাভজনক। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা আয় করছেন এই খামারী।
খামারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন প্রতিদিন গম, ভুট্টা, হিন্টি, সরিষা, মসুর ইত্যাদি খাবার হিসেবে দেয়া হয় এসব কবুতরকে। আর খাবার দিয়ে নানাভাবে পরিচর্যা করে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে সময় কাটাচ্ছে খামারীর কলেজ পড়–য়া পুত্র। এ কাজে সহযোগিতা দিয়ে আসছেন তার স্ত্রীও।
প্রতিবেশীসহ এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে কবুতর প্রেমীরা এই খামার দেখতে আসেন। দেখে খুশি হন। এমন কি এই খামারের লাভের কথা শুনে নিজেরাও খামার গড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন অনেকেই।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সৌখিন কবুতর প্রেমীরা এই খামারে কবুতর ক্রয় করতে আসেন। পুলিশ বিভাগের অনেক কর্মকর্তা তাঁর এই কবুতরের খামার থেকে বাচ্চা এবং বড় কবুতর ক্রয় করে থাকেন। এই খামার থেকে  ১০ হাজার থেকে  ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত এক জোড়া কবুতর বিক্রি হয়ে থাকে।  
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মহির উদ্দিন বলেছেন এসব সৌখিন কবুতর পালন অত্যন্ত লাভজনক। কবুতর পালণ করে যে কারও সংসার নির্বাহ করা সম্ভব। তিনি বলেন যারা এসব খামার গড়ে তুলতে আগ্রহী তাদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদানসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করতে প্রস্তুত প্রাণীসম্পদ বিভাগ।
হাঁসমুরগীর খামারের মত এসব সৌখিন কবুতরের খামার গড়ে তুলে একদিকে যেমন শখ মেটানো এবং পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া সম্ভব বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

বিলুপ্তির পথে নওগাঁর ঐতিহ্যবাহি খেজুর পাটি

সালমান ফার্সী, (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর পোরশায় এখন খুব কম দেখা যায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহি হাতে তৈরি খেজুর পাটি। কিন্তু এক সময় এ এলাকার মানুষের কাছে খেজুর পাটির ব্যাপক চাহিদা ছিলো। চাহিদা কমায় সময়ের বিবর্তনে তা বিলুপ্তির পথে এই পাটি। আশির দশকে খেজুর পাটি উপজেলার সাধারন মানুষের ঘরে ঘরে নিত্য প্রয়োজনে ব্যবহার হতো।
খেজুর পাটিতে ধান শুকানোর কাজ করতো অনেকে। আদিবাসী নারী-পুরুষরা বৃষ্টি বাদলে ছাতার বদলে খেজুর পাটির তৈরী ঘোমটা বৃষ্টি আটকানো ঢাল হিসাবে ব্যবহার করত। বর্তমান আধুনিকতায় মানুষের জীবন মানের পরিবর্তনের ফলে খেজুর পাটি হারিয়ে গেছে।
মানুষের পারিবারিক ব্যবহার্য্য উপকরন ঐতিহ্যবাহী খেজুর পাটির স্থান দখল করে নিয়েছে আধুনিক শীতলপাটি, নলপাটি, পেপসি পাটি, বিভিন্ন ধরনের চট ও কার্পেট, মোটা পলিথিন সহ নানা রকমের উপকরন। এই উপকরন গুলো সহজেই বাজারে পাওয়া যাওয়ায় মানুষ খেজুর পাটির পরিবর্তে এসব আধুনিক উপকরন ব্যবহারে দিন দিন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে হারিয়ে গেছে খেজুর পাটির কদর। খেজুর পাটির চাহিদা কমে গেলেও উপজেলার আদিবাসী গ্রাম মধুপুর, মঠবাড়ি, কাঠপুকুর, সরাইগাছি সহ বিভিন্ন গ্রামে বসবাসরত
আদিবাসী নারীরা আজও অবসর সময়ে খেজুর পাটি তৈরির কাজে ব্যাস্ত থাকে। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী খেজুর পাটিকে তারা নিজস্ব সংস্কৃতিতে আজও আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। এব্যাপারে কথা হয় সরাইগাছি আদিবাসী পাড়ার সেনচেরি পাহান, আলোমতি পাহান, বিশোমনি, জলেশ্বরী ও জিরুয়া পাহান জানান, আগের মতো আর খেজুর গাছও নেই, খেজুরের পাতাও পাওয়া যায় না। ফলে পাটি তৈরীর প্রধান উপকরন খেজুর পাতার অভাবে খেজুর পাটি বিলুপ্ত হতে চলেছে। এ পাটি তৈরীকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন খেজুর গাছ ও পাতা। সরকারের বন বিভাগ খেজুর গাছ লাগানোর জন্য জনসাধারনকে উদ্বুদ্ধ করলে একদিকে যেমন বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া খেজুর গাছ রক্ষা পাবে।
অপর দিকে পাটি তৈরীর সাথে জড়িত আদিবাসী ও অন্যান্যরা এ পাটি ব্যবহার সহ বিক্রি করে কর্মস্থানের সৃষ্টি করতে পারে বলে তারা মনে করছেন।

শার্শার বিল থেকে ভারতীয় ফেনসিডিল সহ আটক-১
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল : যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া থেকে ৩৮০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল সহ সোহাগ হোসেন (৩৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ সদস্যরা।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বাগআঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাকে ভারতীয় ফেনসিডিল সহ হাতেনাকে আটক করে। আটক সোহাগ শার্শা থানার ইছাপুর গ্রামের মোঃ কিতাব আলী বিশ্বাসের ছেলে।

বাগআঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে বিপুল পরিমান ফেনসিডিল এনে ইছাপুর বিলের (মাঠের) মধ্যে অবস্থান করছে। এমন সংবাদে সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩৮০ বোতল ফেনসিডিল সহ সোহাগকে আটক করা হয়। আটকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হবে।

 

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget