সালমান ফার্সী (সজল), নওগাঁ অফিস : নওগাঁয় বাজারগুলোতে শীতকালীন শাকসবজিতে ভরে গেছে, কমেছে দামও। প্রথম দিকে দাম কিছুটা বেশি হলেও এখন সবজির সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও কমতে শুরু করেছে। সবজি বিক্রেতারা বলছে, শীত যত বাড়বে, সরবরাহও তত বাড়বে আর কমবে দামও। মঙ্গলবার(০৮ ডিসেম্বর) নওগাঁর পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম দিকে ফুলকপি প্রতিপিস ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে শিমের দাম ছিল ৫০ টাকা কেজি। এখন সেটা ৩০ টাকায় নেমে এসেছে। গাজর ছিল ৬০ থেকে ৬৫ এখন ৪০ টাকা কেজি। করলা ছিল ৬০ টাকা, এখন পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকায়। লাউ প্রতিপিস ছিল ৩০ টাকা এখন ২০ টাকায়। মূলা ছিল ১০ টাকা কেজি, এখন ০৪ টাকা কেজিদরে মূলা বিক্রি হচ্ছে। পালং শাক ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ১০ টাকায় নেমে এসেছে।
বাজারে নতুন আলু ছিল প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। এখন তা ৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ধনেপাতা ছিল ৬০ টাকা, এখন তা বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। পাতা পিঁয়াজ ছিল ৩০ টাকা এখন ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। এক সপ্তাহ আগেও যে মরিচ ছিল ৬০ টাকা কেজি, আজ সকালে তা বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলায় চলতি শীত মৌসুমে মোট সাত হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে শাকসবজির আবাদ হয়েছে। এ বছর শাকসবজির আবাদ ভালো হয়েছে। একদিকে কৃষকরা যেমন ভালো দাম পাচ্ছে অন্যদিকে ক্রেতারাও কিনতে পারছে।
এ জেলায় উপজেলাভিত্তিক শীতকালীন শাকসবজির আবাদ এবং উৎপাদনের পরিমাণ হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় এক হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে, রানীনগরে ২১৫ হেক্টর, আত্রাইয়ে ৩৫৪ হেক্টর, বদলগাছিতে ৮৯০ হেক্টর, মহাদেবপুরে এক হাজার ২০০ হেক্টর, পতœীতলায় ৮৯৫ হেক্টর জমিতে, ধামইরহাটে ৮২২ হেক্টর, সাপাহারে ৩৮৫ হেক্টর, পোরশায় ৩৭৭ হেক্টর, মান্দায় এক হাজার ১৩৫ হেক্টর, এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৬৫২ হেক্টর জমিতে শাকসবজি উৎপাদিত হবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।