Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

বেনাপোলের শিরিনা ইয়াবা ট্যাবলেটসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার

মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল : যশোরের বেনাপোল ভবারবেড় গ্রাম থেকে ৪৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মোছাঃ শিরিনা বেগম(৪০)নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা।গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ী শিরিনা ভবারবেড় গ্রামের মুছা সরদার এর স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার(০৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ভবারবেড় গ্রামে অভিযান চালিয়ে শিরিনা এর বসত বাড়ি’র দক্ষিণ দুয়ারী ঘরের সামনে থেকে ৪৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
যশোর র‌্যাব-৬, সিপিসি-৩, যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেঃ এম সারোয়ার হুসাইন(এক্স)বিএন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবারবেড় গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৪৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট,একটি মুঠোফোন ও নগত টাকা সহ শিরিনা নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ী শিরিনাকে জব্দকৃত আলামত সহ যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর এবং ২০১৮ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬ (১) এর সারনী ক্রমিক ১০ (ক)ধারায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।


তাহিরপুর সীমান্তে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌড়াত্ব বৃদ্ধি,ইয়াবাসহ ২জন আটক

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,হাওরাঞ্চল,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে দিনদিন বেড়েই চলেছে মাদক ও কয়লা চোরাচালানীদের দৌড়াত্ব। সেই সাথে বেড়ে সহিংসতার ঘটনা। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে পাচাঁরকৃত কয়লা নিয়ে ইতিমধ্যে সীমান্তের লাউড়গড় ও চাঁরাগঁও সীমান্তে চোরাচালানী ও বিজিবির মধ্যে পৃথক ২টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। চোরাচালানীরা নিজেদেরকে বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে ওপনে মদ,গাঁজা,ইয়াবা ও চোরাই কয়লার ব্যবসা করেছে। তার পাশাপাশি বহিরাগত মাদক ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে ইয়াবা। আজ ০৪.১১.২০ইং বুধবার সকালে ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে আটককৃত ২ মাদক ব্যবসায়ীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এঘটনার প্রেক্ষিতে তাহিরপুর থানায় মামলা-৩ দায়ের করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়া মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন- জেলার মধ্যনগর থানার বাকাতলা গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪৪) ও একই গ্রামের দুলা মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদির (৪২)।
এব্যাপারে থানা-পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়-গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় র‌্যাব ৯এর সদস্যরা জেলার তাহিরপুর সীমান্তের বীরেন্দ্রনগর বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত বাগলী বাজারে ইয়াবা বিক্রির সময় ২৭৫৭ পিছ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম ও আব্দুল কাদিরকে গ্রেফতার করে। পরে রাত ১টায় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে থানায় সোপর্দ করা হয়। এঘটনার আগে বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট গ্রামের বিজিবি সোর্স পরিচয়ধারী কালাম মিয়াকে ইয়াবার চালানসহ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়ে ছিল পুলিশ। বর্তমানে সে জামিনে থেকে সীমান্ত এলাকায় ওপেন মাদক  ও চোরাই কয়লার বাণিজ্য করছে। গত এক সপ্তাহ আগে সোর্স কালাম মিয়ার পাচাঁরকৃত অবৈধ মালামালসহ ১টি নৌকা আটক করে বিজিবি। কিন্তু তার নামে কোন মামলা হয়নি। চারাগাঁও সীমান্তের জংগলবাড়ি,কলাগাঁও ও চারাগাঁও এলাকায় র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ ইতিমধ্যে পৃথক অভিযান চালিয়ে ইয়াবা,জালটাকা ও মদসহ সোর্স পরিচয়ধারী দীপকসহ একাধিক মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। কিন্তু বিজিবির নাকের ঢগার উপরে দিয়ে সব সময় সোর্স পরিচয়ধারীরা মাদক ও কয়লা চোরাচালান করার পরও নিরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে বিজিবি। তবে মাঝে মধ্যে সোর্সদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করে আংশিক চোরাই কয়লা ও কয়েক বোতল মদ জব্দ করে বিজিবি। কিন্তু চোরাচালানী কিংবা সোর্স পরিচয়ধারী মাদক ব্যবসায়ীদের কখনোই গ্রেফতার করেনা। গত রবিবার সন্ধ্যায় সোর্স লেংড়া জামালের পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে জংগলবাড়ি গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২ নারীসহ ১২ জন আহত হয়। কিন্তু এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বিজিবি। এছাড়া বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত দুধেরআউটা গ্রামে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী জিয়াউর রহমান জিয়া ও তার সহযোগী আংগুরী বেগম ইয়াবা ব্যবসা করছে দীর্ঘদিন যাবত। তাদের যন্ত্রণায় এলাকাবাসী অতিষ্ট। কিন্তু মিথ্যা মামলা-হামলার হয়রানীর ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে না। তবে ইয়াবাসহ মাদক স¤্রাজ্ঞী আংগুরী বেগমকে একাধিক বার গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া রয়েছে এখন আইনের আওতার বাহিরে। তবে ওয়ান এলিভেনের সময় পাটলাই নদীতে বিজিবির নামে চাঁদা উত্তোলন করার সময় গোয়েন্দা পুলিশ সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়াকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়ে ছিল। অন্যদিকে টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত লাকমা গ্রামের সোর্স লেংড়া বাবুল দীর্ঘদিন যাবত সীমান্ত এলাকায় ইয়াবা,মদ ও গাঁজার ব্যবসা করছে। তার ছেলে পুলিশে চাকুরী করার সুবাদে বিজিবি ও পুলিশের সাথে সোর্স বাবুলের সাথে সু-সম্পক রয়েছে বলে জানাগেছে। তবে সোর্স বাবুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র পাচাঁর ও চুরিসহ আরো একাধিক মামলা হয়েছে। তার বাড়িতে থেকে মাদক সক্ত হয়ে পড়ে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার তাহিরপুর প্রতিনিধি হাবিব সারোয়ার আজাদের ছেলে সিহাব সারোয়ার শিপু। আর মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে মসজিদের তালা ভেঙ্গে মোটর সাইকেল চুরি করে পালানোর সময় বিজিবির হাতে গ্রেফতার হয় সিহাব সারোয়ার শিপুসহ তার আরো ২ সহযোগী। বর্তমানে মাদকসক্ত সিহাব সারোয়ার শিপুসহ তার আরো ২ সহযোগী জেলহাজতে রয়েছে। কিন্তু সোর্স লেংড়া বাবুল রয়েছে আইনের আওতার বাহিরে। অপরদিকে লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী রমজান মিয়া ও শফিকুল ইসলাম ভৈরব তাদের সিন্ডিকেডের সদস্য খোকন মিয়া,শহিদুল্লা,বাবুল মিয়া,জসিম মিয়া ও হারুন মিয়াকে নিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে কয়লা,মদ,গাঁজা পাচাঁর করলেও তাদেরকে আইনের আওতায় নিচ্ছেনা প্রশাসন। তবে সোর্স রমজান মিয়ার মদ ও গাঁজা পাঁচারের বিষয় নিয়ে এলাকায় সালিশ-বিচার হয়েছে। এড়াছা টেকেরঘাট,চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারীরা একই ভাবে ইয়াবা,মদ,গাঁজা,বিড়ি,অস্ত্র ও গরু পাচাঁর করছে বলে এলাকাবাসী জানান।
এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার শাহালাম বলেন- সীমান্তের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে আমাদের বিজিবি অধিনায়কের (সিও) নিষেধ আছে,তাই কিছু বলতে পারব না। তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন- সীমান্তে র‌্যাবের হাতে ইয়াবাসহ আটক হওয়া দুই ব্যক্তিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আর সীমান্ত এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাচালানীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


নওগাঁয় প্রতারক চক্রের নারীসহ ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই
সালমান ফার্সী (সজল), নওগাঁ : স্বামী সিঙ্গাপুরে থাকে এমন কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নওগাঁর সাপাহারে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৩ নারীসহ ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নওগাঁ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। জয়পুরহাট জেলার বাসষ্টান্ড এলাকা থেকে গত সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ১ লাখ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের আজ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে এবং মূল হোতা প্রতারক রূপালি বেগম কণার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন চাইবেন জানান। এ ঘটনায় আরো জড়িত বিকাশের এজেন্টদেরও গ্রেপ্তারের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান পিবিআই।
আজ মঙ্গলবার সকালে নওগাঁর অফিসে এমন তথ্য জানান পিবিআই নওগাঁ জেলা ইউনিটের পুলিশ সুপার নয়মুল হাসান। তিনি জানান, প্রেমের ফাঁদে ফেলে সাপাহারে এক ব্যবসায়ী আবুল কালামের সাথে চার থেকে পাঁচ মাস আগে মোবাইলে প্রতারক রূপালি বেগম কণার পরিচয় হয় । এক পর্যায়ে তা দৈহিক সম্পর্কেও রূপ নেই। প্রথমে জমি ক্রয় করার কথা বলে এবং পরে স্বামী সিঙ্গাপুরে থেকে পাঠালে একত্রে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সোনালী ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় টাকা হাতিয়ে নেয়। গত ৩১ অক্টোবর আবুল কালাম আজাদকে রূপালি বেগম কনা ও তার সহযোগিরা কৌশলে জয়পুরহাট ডেকে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং কালামের মোবাইলের মাধ্যমে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে দ্রুত টাকা পাঠানোর জন্য চাপ দিতে থাকে এবং কালাম কে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ দশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে কালামের পরিবারকে টাকার জন্য চাপ দিলে পরিবারের লোকজন পিবিআই নওগাঁয় একটি অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে প্রযুক্তির সহায়তায় জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানা থেকে আবুল কালামকে উদ্ধারসহ প্রতারক চক্রের সদস্য জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী গ্রামের কামরুজ্জামানের স্ত্রী  রূপালি খাতুন কনা, তিলাকুদুল নামাপাড়া  গ্রামের কামরুল ইসলাম, শালবন গ্রামের সুরাইয়া খাতুন এবং কালাই উপজেলার নান্দাইল গ্রামের শাহারুল ইসলাম রাজু ও একই গ্রামের কালামের স্ত্রী আজেদা বেগমের গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পিবিআই ।  এ ঘটনায় সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আবুল কালামের কাছে থেকে ৩৬ লাখ টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক চক্র।
 

নওগাঁ আত্রাইয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে কুপিয়ে জখম
 সালমান ফার্সী (সজল), নওগাঁ : নওগাঁয় আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নানকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (০২ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার মধুগুড়নই নামক স্থানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, আব্দুল মান্নান ব্যক্তিগত কাজে নওগাঁ সদরে গিয়েছিলেন। কাজ শেষ করতে দেরি হওয়ায় রাতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। আত্রাই উপজেলার মধুগুড়নই নামক স্থানে রাস্তাটি একটু ভাঙা থাকায় মোটরসাইকেলের গতি কমিয়ে ধীরে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে চেয়ারম্যানের মাথায় আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। মাথায় হেলমেট থাকায় পিছলে গিয়ে বাম হাতে জখম হয়।
সাথে সাথে তিনি মোটরসাইকেল না থামিয়ে পাঁচুপুর গ্রামে একজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে থানা পুলিশে সংবাদ দিলে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেম উদ্দিন বলেন, আহত আব্দুল মান্নান বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নওগাঁয় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন মামলায় এক ব্যক্তি আটক

সালমান ফার্সী (সজল), নওগাঁ : নওগাঁয় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন মামলায় শামীম (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (০২ নভেম্বর) বিকেলে তাকে আটক করা হয়। আটক শামীম সদর উপজেলার বোয়ালিয়া (ফকিরপাড়া) গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বোয়ালিয়া (ফকিরপাড়া) গ্রামের এক গৃহবধুর স্বামী ও ছেলে বিদেশ থাকে। গৃহবধু তার স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইমুতে কথা বলত। গত ২৫ অক্টোবর রাতে গৃহবধু তার স্বামীর সঙ্গে ইমুতে কথা বলছিলেন। কথা বলার এক পর্যায়ে অন্তিম মুহুর্তের ছবি গোপনে জানালা দিয়ে শামীম নামে ওই ব্যক্তি তার মুঠোফোনে ধারন করে। এরপর গত ৩১ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে শামীম তার মুঠোফোনে ধারন করা ছবি ওই গৃহবধুকে দেখিয়ে এক লাখ টাকা দাবী করে। তার দাবীকৃত টাকা না দিলে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়ে সম্মানহানী করা হবে বলে গৃহবধুকে হুমকি দেয়া হয়। এরপর কয়েকবার গৃহবধুর কাছে টাকা দাবী করে শামীম। বিষয়টি গৃহবধু তার স্বামীকে অবগত করে। অবশেষে গৃহবধু তার নিরাপত্তা ও সম্মানের কথা ভেবে বাদী হয়ে সোমবার থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নওগাঁ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বলেন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে মামলার পর আসামীকে আটক করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শামীম এর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি জব্দ করা হয়েছে।

৪ দিনে ২শ টন কয়লাসহ বিপুল পরিমান মাদক পাচাঁর সুনামগঞ্জের চারাগাঁও সীমান্ত চোরাচালানের নিরাপদ রুঢ

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,হাওরাঞ্চল, সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের চারাগাঁও সীমান্তেকে অবৈধ কয়লা ও মাদক পাচাঁরের নিরাপদ রুঢ হিসেবে ব্যবহার করছে চোরাচালানীরা। তারা সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গত ৪ দিনে প্রায় ২শত মে.টন কয়লার সাথে বিপুল পরিমান ইয়াবা,মদ,গাঁজা,অস্ত্র ও গরুসহ বরশির ছিপ,লাকড়ি,ফালি পাচাঁর করেছে। তার মধ্যে ৩৫ বোতল মদ ও ২ মে.টন কয়লা জব্দ করেছে বিজিবি। কিন্তু কাউকে গ্রেফতার করেনি। কারণ বেশির ভাগ চোরাচালানীরা বিজিবি সোর্স পরিচয়ধারী এবং সবাই একত্রিত হয়ে সীমান্ত এলাকায় তৈরি করেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেড। তবে বেশিভাগ সোর্স পরিচয়ধারীদের বিরুদ্ধে থানায় রয়েছে মাদক,কয়লা,অস্ত্র ও চাঁদাবাজির মামলা। তারপরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোরালো কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে সীমান্ত চোরাচালান। এব্যাপারে বড়ছড়া ও চারাগাঁও শুল্কস্টেশনের ব্যবসায়ীরা জানান-জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নে অবস্থিত চারাগাঁও শুল্কস্টেশন সংলগ্ন বাঁশতলা তেতুল গাছ,১১৯৬ পিলার ও লালঘাট গ্রামের বড়ঘাট,মাঝেরঘাট,দৌড়েরঘাট ও লাকমা চাকমা হাটিসহ জংগলবাড়ি ও লামাকাটা নামক চোরাইপথ। প্রতিদিন এসব চোরাইপথ দিয়ে ভারত থেকে শতশত মে.টন কয়লা পাচাঁর করছে বিজিবি অধিনায়কের সোর্স পরিচয়ধারী মাদক ব্যবসায়ী রমজান মিয়া,শফিকুল ইসলাম ভৈরব,লেংড়া জামাল ও ইয়াবা কালাম মিয়া। তারা চোরাই কয়লার সর্দার জসিম মিয়া,হারুন মিয়া ও জানু মিয়ার মাধ্যমে শতাধিক লোক দিয়ে ভারত থেকে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করে। পরে তাদের সিন্ডিকেডের সদস্য চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী শহিদুল্লা,খোকন মিয়া ও বাবুল মিয়া পাচাঁরকৃত কয়লা ও মাদক ক্রয় করে নৌকা যোগে নদীপথে নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা উপজেলার মনতলা ব্রিজের কাছে নিয়ে বিক্রি করে। চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার শাহালাম ও এফএস জিকরুলের সহযোগীতায় সোর্সদেরকে নিয়ে নিয়ে গত ২৮.১০.২০ইং বুধবার রাত ৩টায় চোরাচালানী খোকন মিয়া ১২মে.টন ও বাবুল মিয়া ১৫মে.টন কয়লা পাচাঁর করে। পরেরদিন ২৯.১০.২০ইং বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় চোরাচালানী শহিদুল্লা ২০মে.টন ও বাবুল মিয়া ১৮মে.টন কয়লা পাচাঁর করে। তার পরেরদিন ৩০.১০.২০ইং শুক্রবার রাত ৮টায় চোরাচালানী খোকন মিয়া ও শহিদুল্লা দুজন মিলে ৩৫মে.টন আর বাবুল মিয়া ২৭মে.টন কয়লা পাচাঁর করে। আর গতকাল ৩১.১০.২০ইং শনিবার রাত ১১টায় শহিদুল্লা ও খোকন মিয়া মিলে ৪০মে.টন ও বাবুল মিয়া ২৫মে.টন চেরাই কয়লা পাচাঁর করে। পাচাঁরকৃত কয়লার মধ্যে ২মে.টন কয়লা আলোচনা সাপেক্ষে জব্দ করেছে বিজিবি। এসব নাটক করার জন্য প্রতিটন অবৈধ কয়লা থেকে সুনামগঞ্জ বিজিবি অধিনায়কের নামে ১হাজার,চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার শাহালামের নামে ৫শ টাকা,এফএস জিকরুলের নামে ৫শ টাকা ও বিজিবি সদস্যদেরকে দেওয়ার জন্য ১হাজার টাকা ও থানার নামে ৫শত টাকাসহ সর্বমোট ৫হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে সোর্স রমজান মিয়া,শফিকুল ইসলাম ভৈরব,লেংড়া জামাল ও ইয়াবা কালাম মিয়া। আর ১শত পিচ ইয়াবা থেকে ২হাজার টাকা, ১শত পিছ বরশির ছিপ থেকে ১হাজার টাকা,প্রতিকেজি গাঁজা থেকে ১৮শত টাকা, ১কার্টন মদ থেকে ৭শত টাকা,১পিছ ফালি থেকে ১২০টাকা,১ আটা লাকড়ি থেকে ৪০টাকা ও ১টি গরু থেকে ৫হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানায়। এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার শাহালম বলেন- আমি যা করছি বিজিবি অধিনায়কের (সি ও) নির্দেশেই করছি,আপনি সিও স্যারের সাথে কথা বলুন। চোরাচালানের বিষয়ে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক (সিও) মাকসুদুল আলমের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পর শুধু ব্যস্ত পাওয়া যায়। তাই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে বিজিবি অধিনায়কের সাথে সোর্স পরিচয়ধারীরা মোবাইলে যোগাযোগ করাসহ বাসায় মাছ নিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলমকে শীগ্রই অন্যত্র বদলি করে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সীমান্তের ৩ শুল্কস্টেশনের বৈধ কয়লা ব্যবসায়ীরাসহ সর্বস্থরের জনসাধারণ।


যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget