Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁয় নারী নির্যাতন ও ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

সালমান ফার্সী(সজল) নওগাঁ :  সারাদেশব্যাপী ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে। সুজন- সুশাসনের জন্য নাগরিক কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নওগাঁ জেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচির পালিত হয়েছে।আজ (১০অক্টবর) শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় গোস্তহাটির মোড়ে ঘন্টাকালব্যাপী এ মানববন্ধন পালিত হয়।
সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক নওগাঁ জেলা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক মোফাজ্জল হোসেন এর সভাপতিত্বে বক্তব রাখেন নওগাঁ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ডলি আক্তার, নওগাঁ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো:মাহামুদুল নবী বেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক পারুল আক্তার প্রমূখ সহ আরো অনেক বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা অবিলম্বে দেশব্যপী ধর্ষন বন্ধ, ধর্ষকদের বিচার ও শাস্তি প্রকাশ্যে নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন ।


রাজশাহী বাগমারায় বিটপুলিশং কার্যালয় উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাগমারাঃ  রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে  বিট পুলিশিংকার্যালয়ের উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ ই অক্টোবর ) বিকাল ৪ টায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদ এর সভাপতিত্বে আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বিট পুলিশিং কার্যালয় উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন দেব, বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বাগমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান, ও থানার  তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আফজাল হোসেন,  হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের  অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম, এসআই, মোঃ আতাউর রহমান, এ,এস,আই মোঃ হেলাল।

জনসাধারণকে বিট পুলিশিং কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন করতে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন দেব। তিনি বলেন,   পুলিশের সেবা মানুষের দ্বার গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সারা দেশে বিট পুলিশং কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।   তিনি আরও বলেন,   মাদক ব্যবসায়হি,  মাদকসেবনকারী ও চোরাকারবারীদের ধরতে পুলিশ প্রশাসনের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এবং কোথাও অন্যায় ও অত্যচার হলে সরাসরি স্থানীয় পুলিশকে ডাকবেন। সেখানে কোন প্রতিকার না হলে আমাকে ফোনে জানাবেন।  বক্তব্য শেষে তিনি জন সাধারণের সঙ্গে বিট পুলিশিং এর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। বিট পুলিশিং নিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান, হাটগাঙ্গোপাড়াপুলিশতদন্ত কেন্দ্রর অফিসার ইনর্চাজ মোঃ রফিকুল ইসলাম, পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আতাউর রহমান, এএসআই মোঃ হেলাল, এএসআই মোঃ রায়হান। এবং অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ৫নং আউচপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদ, ইউপি সদস্য মোঃ মুনসুর রহমান,  মোঃ বাহারউদ্দিন বাহার এবং   ইউনিয়নের নবগঠিত ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান হারেছ সহ প্রমুখ। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারী ইউপি সদস্য মোছাঃ  নুরন্নাহারবিবি,  মোছাঃ মাজেদা বিবি, মোছাঃ সালমা খাতুন, ইউপি সদস্য মোঃ লোকমান হাকিম প্রাং,  মোঃ আমজাদ হোসেন, মোঃ সিরাজদ্দিন, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রেজাউল ইসলাম রেজা   সহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল  ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।এছাড়া  স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ এবং অত্র ৫নং আউচপাড়া ইউনিয়নের সকল জনসাধারণগন।

ঝালকাঠিতে হুজুরের বাড়ী নিয়ে প্রতারনামূলক বিয়ে ও গর্ভপাতের অভিযোগ



 ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে হুজুরের বাড়ী নিয়ে বিয়ে করে খাদিজা বেগমের সাথে ৩ বছর বসবাস করে দুই বার গর্ভপাতসহ ইন্টারভ্যাল প্লান্ট করিয়ে বসবাসের পর অলি ডাকুয়া (৪৩) নামে এক ল্ম্পট এখন বিয়ে অস্বীকার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক সপ্তাহ পূর্বে বিদেশ থেকে তার ১ম  স্ত্রী ঝুমুর বেগম দেশে আসলে তার সাথে বসবাস, ২য় স্ত্রী  খাদিজাকে অস্বীকারসহ নানা রকম হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর তিনি খাদিজা কে ঝালকাঠি সদর থানায় পাঠালে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাছে পাঠায় বলে জানা যায়। 
    খাদিজা বেগম অভিযোগে জানায়, ২০১২ সালে তার গ্রামের শফিকুল মাঝির সাথে বিয়ের পর ৭মাসের অন্তঃস্বত্তা অবস্থায় তাকে ফেলে স্বামী খুলনা গিয়ে আরেকটি বিয়ে করে সেখানেই বসবাস করেন। পরবর্তীতে একটি পুত্র সন্তান হলেও স্বামী কোন খোজ খবর না নেয়ায় সে সন্তানসহ বাবা-মায়ের সাথে ধানসিড়ি ইউনিয়নের চরকাঠি আবাসনে আশ্রয় নেয়। সেখানে একই আবাসনের বাসিন্ধা পূর্বে একাধিক বিয়ে করা অলি ডাকুয়া তাদের ঘরে যাওয়া আসা শুরু করে। ইতিমধ্যে তার অবাধ্য হয়ে ১ম স্ত্রী ঝুমুর বেগম (৩৫) বিদেশে যাওয়ায় তাকে তালক দিয়েছে বলে জানিয়ে খাদিজা কে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। দীর্ঘদিন অলি ডাকুয়া তাকে ফুসলানোর পর একটু নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় তার প্রস্তাবে রাজী হলে ৩বছর পূর্বে খাদিজা কে নিয়ে হুজুরের বাড়ী দরবারে গিয়ে ধর্মীয় মতে বিয়ের নাটক করে। 
     সে আভিযোগে আরো জানায়, পরবর্তীতে অলি ডাকুয়ার কাছে ১ম স্ত্রী ঝুমুর বেগমের তালাকনামা দেখতে ও নিজেদের হুজুরের বাড়ির গিয়ে বিয়ের কাবিন রেজিষ্ট্রি করতে অনুরোধ করলেও সে নানারকম তালবাহানা করতে থাকে। ইতিমধ্যে সে দুই বার অন্তঃস্বত্তা হলে অলি ডাকুয়া তাকে বরগুনা ও ঝালকাঠিতে নিয়ে গর্ভপাত করিয়ে খাদিজার হাতে ইন্টারভ্যাল প্লান্ট করিয়ে আনে। গত এক সপ্তাহ পূর্বে প্রথম স্ত্রী ঝুমুর বেগম দেশে ফিরলে ল্ম্পট অলি তাকে নিয়ে সংসার শুরু করে ও খাদিজাকে চেনে না দাবী করে নানারকম গালাগাল শুরু করে। তাদের এ সম্পর্কের বিষয় আবাসনের বাসিন্ধারা, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সকলেই অবগত হলেও অলি এখন এভাবে প্রতারনা করলে তার আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ খোলা থাকবে না বলে অসহায় খাদিজা জানায়।
    এ বিষয়ে অলি ডাকুয়ার বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল (০১৬৪৬৫৭৩০৬০) নাম্বারে একাধিক বার কল দেয়া হলেও তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে।
   এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ফারুখ হোসেন জানায়, ধানসিড়ি ইউনিয়নের খাদিজা বেগমের একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপপরিদর্শক ইসরাত জাহানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 

যশোরের শার্শার নাভারনে ৭দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

বেনাপোল প্রতিনিধি: “হারবে ধর্ষক, জিতবে দেশ, ধর্ষণ মুক্ত বাংলাদেশ “এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নারীর প্রতি সহিংসতা, হত্যা,ধর্ষণের দ্রæত বিচারের দাবিতে শার্শার নাভারন-সাতক্ষীরা মোড়ে ৭দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বুধবার(৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমানের উদ্যোগে শার্শার নাভারন সাতক্ষীরা মোড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে ৭দফা দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।

এসময় মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন, নাভারণ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আসাদ, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিযয়ক সম্পাদক আসিফ উদ-দৌলা সরদার অলোক, মানবাধিকার হেল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান, যশোর জেলা সেবক সংগঠনের সভাপতি মতিয়ার রহমান, নাভারণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী, নাভারণ মহিলা কলেজের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম বুলি, শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বদ্ধনাথ কুমার,সালমা খাতুন, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনি,সীমান্ত প্রেসক্লাব বেনাপোলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাসেল ইসলামসহ আরও অনেকে।

এসময় বক্তারা বলেন, সারা দেশের ধারাবাহিক ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে কোনো না কোনো ক্ষমতাবান ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সম্পৃক্ত। নিপীড়ন ও ধর্ষণকারীরা জানেন তাদের কোনো বিচার হবে না, শাস্তি হবে না। এ কারণেই তারা যা খুশি তাই করছেন। বিগত বছর চেয়ে চলতি বছরে ধর্ষণ অনেক গুন বেড়ে গেছে।বক্তরা নোয়াখালী বেগমগঞ্জ, সিলেট-খাগড়াছড়িসহ সারাদেশে ধর্ষণের সাথে জড়িতদের অতিদ্রæত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।

সাতদফা দাবি সমুহ (১) ধর্ষণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করা।
(২) ধর্ষণ প্রতিরোধে প্রতিটি জেলায় র্যাব, বিজিবি, পুলিশের যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা। (৩) ধর্ষন জনিত ঘটনা বা অপরাধের জন্য আলাদা দ্রæত ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং ৩০-৬০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারকার্য সম্পাদনা নিশ্চিত করা। (৪) ধর্ষিতার বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং তার পরিবারকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করা। (৫) ইতিপূর্বে সকল ধর্ষন মামলার রায় ৬মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা। (৬) ধর্ষন ও অপরাধ প্রতিরোধে নির্জন রাস্তায় সচল সিসিটিভি স্থাপন করা।(৭) ধর্ষণ কারী ও তার পরিবারকে সামাজিক ভাবে বয়কট করা।এবং আশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।


নওগাঁর রাণীনগরে গৃহবধুর রহস্য জনক মৃত্যু

সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগরে মর্জিনা বিবি (৪৫) নামে এক গৃহবধুর রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধুর মৃত্যু হলে ওই রাতেই রাণীনগর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চকাদিন আলোপাড়া গ্রামে। এ ঘটনার পর থেকে গৃহবধুর স্বামী পলাতক রয়েছে। এদিকে শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মর্জিনার ভাই এনামুল হক জানান, তার বোন মর্জিনাকে একই গ্রামের পূর্বপাড়ায় শাহাবুর আলীর সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর থেকে তাদের পরিবারে দ্বন্দ্ব চলছিল। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাতে ভগ্নিপতি শাহাবুর আলীর খবর দেয় যে তার বোন অসুস্থ্য। এমন খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখেন ততক্ষনে বোন মর্জিনা মারা গেছে। এর কিছু পরেই শাহাবুর আলী পালিয়ে যায়। তবে মর্জিনা আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে না শারীরিক সমস্যায় মারা গেছে তা কেউ বলতে পারছেনা। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।

লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা এসআই মিজুনুর রহমান বলেন, মৃত্যের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পারিবারিক বরাদ দিয়ে বলেন, গৃহবধুর নাকি হার্ডের সমস্যাও ছিল।

এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি মো. জহুরুল হক বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানতে লাশ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

নওগাঁয় আমন ধানে পোকার আক্রমন দিশেহারা কৃষক


নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ : আমন ধানে পোকার আক্রমন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নওগাঁর কৃষকরা। কীটনাশক ব্যবহার করেও মিলছে না সমাধান। কৃষি বিভাগের লোক মাঠে না পেয়ে। বাধ্যহয়েই পরামর্শ নেওয়ার জন্য ছুটছেন কীনাশকের দোকানগুলোতে। কীটনাশক দোকানগুলো হাতে তুলে দিচ্ছেন নাম সর্বস্ব কোম্পানির ৪ থেকে ৫টি করে কীটনাশক ফাইল ও পাউডার। কৃষি বিভাগ কৃষকের মোবাইলে যোগাযোগ করতে অথবা লিখিত অভিযোগ করতে বলছেন।
কৃষি সম্প্রসারন অধিপ্তরের তথ্য মতে, চলতি আমন মৌসুমে জেলার ১১টি উপজেলায় মোট ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানে চাষ করা হয়েছে। তারমধ্য হাইব্রীড জাতের ২৫০ হেক্টর, উন্নত ফলনশীল (উফশী) জাতের ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ১শ ৭০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ২৯ হাজার ৮০ হেক্টর।
পোরশা উপজেলার বাকইল গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালাম ও হুমায়ন কবির বলেন, ৪ থেকে ৫ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। ২ থেকে ৩ একর জমির ধান প্রায় নষ্ট হয়ে খড় হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগের লোকজন এলাকায় না আসায় কারণে আমরা কোন পরামর্শ নিতে পারছি না। কীটনাশকের দোকানদারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ স্প্রে করে কোন উপকারে আসছে না। এ রকম সমস্যা এই এলাকার অনেক কৃষকের।
নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ৯ বিঘা জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধানের চাষ করেছি। মাজরা পোকার আক্রমনে ধানের মুজি কেটে দিচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ না পেয়ে। দোকানে গেলে কাটটাপ গ্রুপের কিটনাশক ওষুধ স্প্রে করতে বলছে কিন্তু তাতে কোন লাভ হচ্ছে না। গোড় গামর হতে বসেছে ধান। এসময় পোকার আক্রমনে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
একই এলাকার কৃষক ফজলুল ও রশিদ বলেন, ২০ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন। ধান লাগানোর কিছু দিন পর থেকে মাজরা পোকার আক্রমন শুরু হয়। আক্রমনের পর থেকেই বিভিন্ন কোম্পানির ঔষুধ ব্যবহার করছি। ঔষুধ স্প্রে করলে এক সপ্তাহ ভালো থাকে তারপর আবার ধান মরতে শুরু হরে। কোম্পানির প্রতিনিধীরা যেসব ঔষুধ দিচ্ছে এমন ঔষুধ বাজারে আমরা কখনো দেখিনি।
মহাদেবপুর উপজেলার ইশ্বরপুর গ্রামের কৃষক শরিফ হোসেন ও আলীপুর গ্রামের ইয়াসিন আলীসহ এলাকার একাধীক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, আমন ধানে পোকার আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। কৃষি বিভাগের লোকজনদের মাঠে পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে কীটনাশক বিক্রেতাদের পরামর্শ নিয়ে ধানে ওষুধ স্প্রে করে কোন কাজ হচ্ছে না।
চকরাজা গ্রামের কৃষক সুলতান বলেন, ৪বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। প্রতি সপ্তাহে ধানে ওষূধ স্প্রে করি। আবহাওয়া কারণে মাঝ খানে একদিন ঔষুধ দিতে পারিনি। দুই দিন পরে এসে দেখি পোকার আক্রমনে অর্ধেক ধান মরে গেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ না পেয়ে। দোকানে গেছে (মানজা প্লাস, সবিক্রন, এমিস্টার টপ ফাইল ও এসিকার পাউডার) চার প্রকার ঔষুধ দিয়ে স্প্রে করতে বলেন। চার বিঘা জমিতে একবার ঔষুধ স্প্রে করতে ৩ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।  
শ্যামপুর গ্রামের কৃষক সজিদ কুমার সাহা ও অখিল কুমার সাহা বলেন, আমন ধানের এবার মাজরা পোকার আক্রমন এমন ভাবে শুরু হয়েছে। তিন বার ঔষুধ স্প্রে করার পর পোকার আক্রমন থেকে ফসল রক্ষা করা যাচ্ছে না। আমাদের তিন ভাইয়ের দেড় বিঘা জমির ধানের আশা ছেড়েই দিয়েছি। লাগানো চাড়া সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে, নতুন করে ধানের গোড়া থেকে চারা গজিয়ে ফসল করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুন চন্দ্র রায় বলেন, মাজরা পোকার আক্রমন ফসলকে বাঁচাতে আমরা ধানে পারচিং করতে বলছি। লাউটিং ও ভিরতাকো জাতীয় ওষুধ স্প্রে করলে সহজেই এ পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ মো. শামছুল ওয়াদুদ বলেন, নওগাঁ জেলায় আমন ধানে কোথাও কোন প্রকার পোকার আক্রমন নেই। পোকার আক্রমন থাকলে কৃষককে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। কৃষি অফিসের লোকজনদের মাঠে পাওয়া যাচ্ছেনা এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন কৃষক যেন মোবাইল করে জানান তাহলে কৃষি অফিসের লোক গিয়ে পরামর্শ দিয়ে আসবে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget