সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে দুঃস্থ পুরুষ ও নারীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে দিনব্যাপী ১০ বীর ১১ পদাতিক ডিভিশন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আয়োজনে নওগাঁর পত্নীতলার উপজেলার নজিপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের চত্ত্বরে প্রত্যন্ত এলাকার শতাধিক দুঃস্থ পুরুষ ও নারীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে সেনাবাহিনী।
“শেখ হাসিনার উদ্দ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নওগাঁয় মান্দা, ধামইরহাট ও সাপাহার উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
নওগাঁ অফিস: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবীর বিন আনোয়ার বলেছেন নদী ভাঙ্গন ও মাটির ক্ষয়রোধ করার জন্য বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনকের জন্মশত বার্ষিকী “মুজিব বর্ষ” উদযাপন উপলক্ষ্যে সারা দেশে ১কোটি গাছ লাগানোর ইচ্ছে পোষন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পদাঙ্কন করে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সারা দেশের ১৭হাজার কিলোমিটার বাঁধের উপর দিয়ে ১০লাখ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এই রোপনকৃত বৃক্ষগুলো বড় হলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাসহ কার্বন ডাই অক্সাসাইডের দূষণ থেকে দেশ ও পৃথিবীকে রক্ষা করবে। পাখিদের জন্য খাবার সরবরাহ করাসহ আবাস স্থল সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ন ভ’মিকা পালন করবে। তাই সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও ফাঁকা জায়গাগুলেতে সাধ্যমতো বৃক্ষ রোপন করা উচিত।
নওগাঁয় স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী “মুজিব বর্ষ” উদযাপন উপলক্ষ্যে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে এই কথাগুলো বলেন। গত শুক্রবার বিকেলে জেলা সদরের শটিকালীতলার লস্করপুর নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর বাঁধের উপর নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচির আয়োজন করে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সচিব পতœী তৌফিকা আহমেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজশাহী বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী একেএম শফিকুল ইসলাম, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মকলেছুর রহমান, নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন-অর-রশীদ, নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খাঁন, সদর নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা ইমাম উদ্দিন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল, নওগাঁ বাপাউবোর শ্রমীকলীগের (রেজি: বি-১৮৮৭) সভাপতি লিয়াকত আলী, সম্পাদক মিঠুন কুমার ভ’ষণ, নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। বছরব্যাপী জেলার বিভিন্ন বেড়িবাঁধ ও খালের পাড়ের উপর মোট ৩হাজার ৫শত ফলদ, ভেষজ ও বনজ গাছ রোপন করা হবে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খাঁন। পরে একই দিন সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি জেলার মান্দা উপজেলার আত্রাই নদীর বাঁধেও বৃক্ষ রোপন করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : “শেখ হাসিনার উদ্দ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নওগাঁয় মান্দা, ধামইরহাট ও সাপাহার উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সকালে(২৭ আগস্ট) সাড়ে ১০টায় প্রধান অতিথি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ৩১টি উপজেলার সাথে নওগাঁর এই তিনটি উপজেলাকেও শতভাগ বিদ্যুৎতায়নের শুভ উদ্বোধন করেন। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীন পক্ষে ফলক উন্মোচন করে শুভ উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ, পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, সহ-সভাপতি নিমৃল কৃষ্ণ সাহাসহ সরকারি কর্মকর্তা, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
বড় ক্লাসের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নেয়া হবে। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি গাইডলাইন তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। পরীক্ষার ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়ন বাড়ানো হতে পারে। মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজে নতুন গাইডলাইন অনুসরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে মাউশি থেকে নির্দেশ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
মাউশি সূত্র বলছে, করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশের সকল নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও কলেজগুলোতে ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনায় একটি স্বাস্থ্যবিধি নীতিমালা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে মোতাবেক আগের মতো আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হবে না।
সূত্র বলছে, ক্লাসে দূরত্ব রেখে শিক্ষার্থীদের বসানো হবে। প্রতিদিন একসঙ্গে সকল শ্রেণির ক্লাস নেয়া হবে না। কর্মঘণ্টাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন স্তরে ক্লাস নেয়া হবে। এক্ষেত্রে মৌলিক বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। সপ্তাহে একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দুই অথবা তিনদিন ক্লাস নেয়া হবে। তবে সপ্তম ও দ্বাদশ শ্রেণিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। পরীক্ষা কমাতে শ্রেণি শিক্ষকদের মাধ্যমে ক্লাস মূল্যায়ন বাড়ানো হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই করোনার ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। সেজন্য স্কুল-কলেজ খুললে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। পরীক্ষা কমাতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়ন করে বিভিন্ন বিষয়ে নম্বর দেয়া হবে। ক্লাসে মৌলিক বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে শিক্ষকদের নির্দেশনা দেয়া হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গাইডলাইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর স্বাস্থ্যবিধি-সংক্রান্ত সকল ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য নির্দেশনাগুলো স্বাস্থ্যবিধি হিসেবে নির্বাচন করা হবে। গাইডলাইন তৈরি হওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে।’
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে নাগাদ খুলে দেয়া হতে পারে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে মাউশি মহাপরিচালক বলেন, ‘এখনো স্কুল-কলেজ খোলার মতো পরিবেশে তৈরি হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। তবে আজ বৃহস্পতিবার এ- সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।’
‘স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে নানাভাবে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন করে তোলা হবে। এগুলো একটি বই আকারে তৈরি করে তা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। সেখানে প্রতিষ্ঠান খোলার আগে কী করণীয় এবং পরে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা গেলে কী করণীয় সেসব বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে।’
অন্যদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য স্বাস্থ্যবিধি গাইডলাইন তৈরি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী সপ্তাহের মধ্যে নীতিমালাটি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এটি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগের মতো আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হবে না। বিদ্যালয় খোলার ১৫ দিন আগে থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রস্তুতি শুরু করা হবে। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের করণীয় ও প্রতিদিন কীভাবে ক্লাস পরিচালনা করা হবে সেসব বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হবে।’
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত খসড়া নির্দেশনায় দেখা গেছে, বিদ্যালয় খোলার সরকারি নির্দেশনা আসার পর ন্যূনতম ১৫ দিন আগে শিক্ষক, কর্মচারী এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সদস্যদের উপস্থিতিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ক্লাস উপযোগী করে বিদ্যালয় পরিচ্ছন্ন করে তুলতে হবে। বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুলের গেটে বা প্রবেশের স্থানে হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও পানির ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে প্রবেশ করবে। থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করানো হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সচিব বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান পরিচালনা করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, সিডিসি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলো মেনে করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আমরা দিকনির্দেশনা তৈরি করেছি। সবাইকে সেগুলো মেনে চলতে হবে।’
পাঠ্যক্রম পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, আগের মতো ক্লাসে এক বেঞ্চে তিন-চারজন বসতে পারবে না, দূরত্ব বজায় রেখে পাঠদান করা হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এক বেঞ্চে দুজন শিক্ষার্থীকে বসাতে হবে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আগের মতো আর সপ্তাহে ছয়দিন ক্লাস হবে না। একটি স্তরে সপ্তাহে দুই বা তিন দিন অথবা প্রতিদিন দু-তিনটি ক্লাস নেয়া হবে। তবে ক্লাস নেয়ার ক্ষেত্রে চতুর্থ শ্রেণিকে অধিক গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্যক্রম নির্বাচন করে কোন দিন কোন বিষয়ের ক্লাস নেয়া হবে তা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও এসএমসির সদস্যদের নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
বিদ্যালয় চলাকালীন করণীয় হিসেবে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে আসতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক মুখে মাস্ক পরে আসতে হবে। বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে উপচেপড়া ভিড় করে খেলাধুলা, আড্ডা-গল্প করতে পারবে না। সামাজিক দূরত্ব রেখে হাঁটাচলা করতে হবে। নোটিশ বোর্ডে বিদ্যালয় শিক্ষক, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যোগাযোগ নম্বর লিখে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তাকে চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে।
মিরন নাজমুল , স্পেন : স্পেনে দুই শতাধিক বাংলাদেশি নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে ৬ জন এবং বার্সেলোনায় ৪ জন।
মাদ্রিদের মানবাধিকার সংস্থা ভলিয়ান্তে বাংলার দেয়া তথ্য অনুসারে, মাদ্রিদে বর্তমানে বাংলাদেশি আক্রান্তের সংখ্যা ১১৩ জন। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। পর্যটন শহর বার্সেলোনায় বাংলাদেশিদের মধ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধশতকের ওপরে।
করোনা আক্রান্ত বাংলাদেশি আটটি পরিবার লকডাউনে আছেন। যাদের প্রায় সবাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তাদের বেশির ভাগই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া করোনা সংক্রমিত হয়েছেন এমন আশঙ্কায় পরীক্ষা করিয়েছেন প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি। যাদের শতকরা প্রায় আট শতাংশ কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে।
ইউরোপের মধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত দেশের তালিকায় বর্তমানে স্পেন প্রথমে আছে। আর বৈশ্বিক পরিসংখ্যানে ৬ নম্বরে। এর মধ্যে স্পেনে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার স্পর্শ করেছে। আক্রান্ত হয়েছে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার লাখ।
রাষ্ট্রীয় সতর্কতা উঠিয়ে নেয়ার পর বর্তমানে স্পেনে দ্বিতীয় ধাপে কোভিড মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৫৯৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছে ৪৭ জন। আক্রান্তের প্রায় অর্ধেকই রাজধানী মাদ্রিদে (১৫১৩ জন)।
এদিকে অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিড-১৯ টিকা কিনবে বলে ঘোষণা দিয়েছে স্পেন। ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে অক্সফোর্ডের তৈরি টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালভাদর ইয়া। তিনি বলেন, সব ঠিক থাকলে দুই ডোজ করে টিকা প্রয়োগের হিসাব করে ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে টিকা দেয়া শুরু করা হবে।
এছাড়া সম্প্রতি সর্বোচ্চ আক্রান্ত প্রদেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কাতালোনিয়ায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ অতিক্রম করেছে। গত ১৭ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ছয় হাজার ৬৪৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন কাতালোনিয়ায়। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ৯০০ জন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এছাড়া কাতালোনিয়ায় বর্তমানে ১৩৬ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি আছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৬৬২ জন। কাতালোনিয়ায় এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। এর মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে ৫৫%, বৃদ্ধদের আবাসস্থলে ৩২%।