Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

বেসরকারি ঋণ বাড়র বদলে উল্টো কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : কমানো হয়েছে ঋণের সুদহার। দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাও। পাশাপাশি রয়েছে মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা দিতে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণের চাপ। এতে করে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ বাড়ার কথা। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, ভিন্ন কথা। বাড়েনি বেসরকারি খাতের ঋণ, উল্টো কমেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহামারির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য মন্দা। নতুন করে বিনিয়োগে আসছেন না উদ্যোক্তারা। সংকটজনক পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে বিদ্যমান ব্যবসা সংকুচিত করছেন অনেকেই। এছাড়া ব্যাংকগুলোতে যে হারে ঋণ পরিশোধ হয়েছে সেই হারে ঋণ বিতরণ হয়নি। সবমিলিয়ে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাই শেষে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯৫ হাজার ২০১ কোটি টাকা। এই অঙ্ক গত বছরের জুলাইয়ের চেয়ে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি।

তবে পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুনের তুলনায় জুলাইয়ে বেসরকারি ঋণ না বেড়ে উল্টো কমে গেছে। গত জুন মাসে ঋণস্থিতি ছিল ১০ লাখ ৯৭ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। জুলাইতে তা নেমে এসেছে ১০ লাখ ৯৫ হাজার ২০১ কোটি টাকায়। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ঋণ কমেছে ২ হাজার ৯৯ কোটি টাকা বা দশমিক ১৯ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মহামারির কারণে রফতানি কমে গেছে। স্থানীয় বাজারে পণ্যের চাহিদাও কম। সবমিলিয়ে চলমান পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগে আসছেন না। অনেকে সংকটে টিকে থাকতে বিদ্যমান ব্যবসা সংকুচিত করছেন। এসব কারণে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ কমেছে। যা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। কারণ ঋণ প্রবাহ কমে যাওয়ার মানে, কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে। এটি প্রবৃদ্ধি, উৎপাদন ও সেবা খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’

তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হলে বেসরকারি ঋণ বাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। তাই যেকোনো প্রক্রিয়ায় ঋণ বাড়তে হবে। এ ক্ষেত্রে রফতানি, ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প ও উৎপাদনমুখী খাতকে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে।’ পাশাপাশি সরকারের ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা কমিয়ে রাজস্ব বাড়ানো ও বিদেশি উৎস থেকে কম সুদে ঋণ আনার পরামর্শ দেন সাবেক এ গভর্নর।

এদিকে করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং সরকারের নির্ধারিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতিতে চলতি অর্থবছরের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আগের বছরের মতো অপরিবর্তিত রেখে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মুদ্রানীতিতে বেসরকারি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা প্রসঙ্গে লিখিত বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং সরকার থেকে নির্ধারিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় নতুন বিনিয়োগ জোরদারে বেসরকারি খাতে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি পর্যাপ্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশের বেসরকারি খাতে ২০১০-১১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২০১১-১২ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি কমে হয় ১৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এর পরের ২০১২-১৩ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি ব্যাপকহারে কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশে। এরপর টানা তিন অর্থবছর প্রবৃদ্ধি বাড়ে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয় ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ; ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বেড়ে হয় ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ; আর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা আরও বেড়ে হয় ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়ায় ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সেটি আবার বেড়ে হয় ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এরপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনক হারে কমে ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ দাঁড়ায়।

২০১৯-২০ অর্থবছরের ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। কিন্তু তা অর্জন হয় মাত্র ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম।

 

খালেদা জিয়াও অপরাধী : তথ্যমন্ত্রী




নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ায় জিয়ার মতো বেগম জিয়াও অপরাধী’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রগতিশীল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব খন্দকার মোশতাক, তার প্রধান সহযোগী হচ্ছে জিয়াউর রহমান। তাই আজকে দাবি উঠেছে, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, কুশীলবদের তো বিচার হয়নি। জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পটভূমি রচনা করেছেন, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার আর কুশীলবদের মধ্যে যারা এখনও বেঁচে আছেন, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দরকার। ইতিহাসের স্বার্থেই তা প্রয়োজন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, আমি মনে করি, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার জন্য জিয়াউর রহমান যেমন অপরাধী বেগম খালেদা জিয়াও সেই অপরাধে অপরাধী।’

তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাতানো নির্বাচন করার পর বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল রশীদকে বিরোধীদলীয় নেতা বানিয়ে তার গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে দিয়েছিলেন, মন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন। এত বছর পরে বলা নেই কওয়া নেই বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ করে ১৯৯৫ সালে ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করলেন, তারপর থেকে কেক কাটা শুরু করলেন। এগুলো ফৌজদারি অপরাধ। এই অপরাধে বেগম খালেদা জিয়াও অপরাধী। কমিশন করে যেমন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলব জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচন প্রয়োজন এবং হত্যাকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া, হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করে ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন করার অপরাধে বেগম খালেদা জিয়ারও বিচার হওয়া প্রয়োজন। এটি সময়ের দাবি।’

ন্যাপ-ভাসানী দলকে শোক দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রগতিশীলদের মধ্যে যখনই অনৈক্য তৈরি হয়, তখনই প্রতিক্রিয়াশীলরা সুযোগ করে নেয়। ১৯৭৫ সালে এভাবেই প্রতিক্রিয়াশীলরা সুযোগ করে নিয়েছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে প্রগতিশীলদের অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়াশীলরা ক্ষমতা দখল করেছে, ছোবল মেরেছে। আজকে আস্ফালনকারী প্রতিক্রিয়াশীলদের দমন করতে সব স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি প্রগতিশীলদের ঐক্য প্রয়োজন।’

প্রগতিশীল ন্যাপ (ভাসানী) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও প্রধান সমন্বয়কারী মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর দৌহিত্র পরশ ভাসানীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রগতিশীল ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল আহমেদ, মনিরুল হাসান মনির, মোহাম্মদ আলী, কিশমত, মৌসুমী দেওয়ান প্রমুখ।

বক্তব্যের শুরুতেই তথ্যমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ জাতির পিতা, তার পরিবারের সদস্যদের এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে গভীর শ্রদ্ধা করতেন উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় মওলানা ভাসানীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী


নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১২ ভাদ্র)। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।

জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে গমন, পুষ্পার্ঘ অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ ও পরে কবির মাজার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে আলোচনা সভা।

বাংলা একাডেমি কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচির আয়োজন করেছে। সকালে একাডেমির পক্ষ থেকে জাতীয় কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। বেলা ১১টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে একক বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে স্বাগত বক্তৃতা করবেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। একক বক্তব্য দিবেন এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। এতে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে নজরুলের কবিতা থেকে আবৃত্তি এবং নজরুলগীতি পরিবেশনা।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।

বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীতজগৎকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।

প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তাঁর লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন এবং ধানমন্ডিতে কবিকে একটি বাড়ি দেন।

যশোরের শার্শায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে দায়ে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা


মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল : যশোরের শার্শা উপজেলার ১১ নং নিজামপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করী শাহিন হোসেন (৪০)কে ২লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বালি উত্তোলনের ব্যাবহৃত যন্ত্রপাতি আগুনে জ্বলিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ আগস্ট) বিকালে শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসনা শারমিন মিথি এর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। শাহিন বসন্তপুর গ্রামের মৃত: রবিউল ইসলামের ছেলে।

নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) রাসনা শারমিন মিথি জানান, অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে এ জরিমানা করা হয় এবং বালি উত্তোলনের ব্যাবহৃত যন্ত্রপাতি আগুনে জ্বলিয়ে ধ্বংস করা হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।এসময় ঘটনাস্থলে গোড়পাড়া ফাঁড়ি পুলিশ উপস্থিত ছিলো।

আত্রাইয়ে বিলের পানিতে যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার


নাজমুল হক নাহিদ, নওগাঁ : নওগাঁর আত্রাইয়ে বিল থেকে সোহেল রানা (২০) নামে এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের উত্তরবিল দরগাপাড়া বিল থেকে তার ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সোহেল রানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার উরুবাড়া মহিপুর গ্রামের জাকারিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত সোহেল রানা নওগাঁর মান্দা থানার তুরুকবাড়িয়া গ্রামে তার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গত মঙ্গলবার নদীতে গোসল করার সময়  নিখোঁজ হয়। পরে তার আত্মীয়স্বজন অনেক খুঁজাখুঁজি ও মাইকিং করেও তার সন্ধান পায় না। পরে বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আত্রাই উপজেলার উত্তরবিল দরগাপাড়া বিলের পানিতে ভাসমান অবস্থায় স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
 
এ বিষয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেম উদ্দিন বলেন, বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয়রা মৃতদেহটি বিলের পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং বুধবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নওগাঁয় সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে দুঃস্থ পুরুষ ও নারীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান


সালমান ফার্সী (সজল) নওগাঁ : নওগাঁয় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিনামূল্যে দুঃস্থ পুরুষ ও নারীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে দিনব্যাপী ১০ বীর ১১ পদাতিক ডিভিশন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আয়োজনে নওগাঁর পত্নীতলার উপজেলার নজিপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের চত্ত্বরে প্রত্যন্ত এলাকার শতাধিক দুঃস্থ পুরুষ ও নারীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে সেনাবাহিনী। চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রমরে উদ্বোধন করেন বগুড়া সেনাবাহিনীর ১০ বীর এর মেজর এম.কে হাবিব। এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া সেনাবাহিনীর ২১ ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স এর মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন আবিদ হাসান। উক্ত চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে প্রায় শতাধিক দুঃস্থ পুরুষ ও নারীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ঔষুধ দেওয়া হয়। এসময় ১০ বীর এর ক্যাপ্টেন আসিফুর রহমান সহ সেনাবাহিনীর অন্যান্য সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget