Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

উপ-নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধা বুলুকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন তৃনমূলের বিএনপি

আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ: নওগাঁর আত্রাই-রাণীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগাঁ-৬ সংসদীয় আসন। গত ২৭ জুলাই এমপি ইসরাফিল আলম মারা যাওয়ায় এই আসনটি শুন্য হয়। এ আসনে উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে ইত্যেমধ্যে তৃণমূলের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনগুলো দাবী তুলেছেন আগামী উপ-নির্বাচনে তাঁদের দুঃসময়ের কান্ডারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আনোয়ার হোসেন বুলু-কে প্রার্থী হিসাবে পেতে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, আত্রাই-রাণীনগর এই দুই উপজেলার বিএনপি ও এলাকাবাসীকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দল পুনঃগঠন, আন্দোলন সংগ্রাম, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের সেবা ও ত্রাণ বিতরণ, ধর্মীয় ও সামাজিক কর্মকান্ড, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাস্তবায়ন, গণসংযোগ করে আসছেন রণাঙ্গনের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। সম্মুখ সারীর যোদ্ধা হিসাবে তিনি (বুলু) এই এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদেন। যুদ্ধ পরবর্তী তার আপন বড় ভাইকে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে আলমগীর কবিরের প্রত্যেকটি নির্বাচনে প্রধান সমন্বয়ক হিসাবে কাজ করেছেন। ২০০৬ সনে আলমগীর কবির বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে এলডিপিতে যোগদিলে আত্রাই-রাণীনগরের নেতাকর্মীদের দুঃসময়ের কান্ডারী হিসাবে শক্ত হাতে নওগাঁ-৬ আসনের নেতাকর্মীদের সংগঠনের পাশ্বে দাঁড়ান আনোয়ার হোসেন বুলু। দীর্ঘ দিন ধরে নেতা তৈরির যে সকল কারখানা বন্ধ ছিল তিনি সেখান থেকে নেতৃত্ব তৈরি করেন। এর মূল্যায়ন হিসাবে ২০০৮ সনে বিএনপি থেকে দলীয় নমিনেশন এবং পরবর্তীতে বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। আলমগীর কবির দলত্যাগের পর সংগঠনকে পুনঃজ্জীবিত করে অত্র আসনের ২টি থানা, ১৬টি ইউনিয়ন, ১৪৪টি ওয়ার্ড এবং ৪৫০টি গ্রামের বিএনপি এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন করে গত ১৪ বছরে সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসাবে এলাকার কর্মীদের কাছে গ্রহন যোগ্যতার শীর্ষে রয়েছেন এই মুক্তিযোদ্ধা। যদি বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার বিচার করে দল আগামী উপ-নির্বাচনে বুলুকে দলীয় নমিনেশন দেয় তবে এই আসনটি বিএনপি পুনঃরুদ্ধার করতে পারবে বলে মনে করছেন তৃনমূলের বিএনপি। তৃনমূলের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে আলোচনায় জানা যায়, দেশে করোনা পরিস্থিতি ও বন্যা কবলিত এলাকার জনগণের ভাগ্য ও জীবনমান উন্নয়নের জন্য এবং এই আসনটি পুনঃরুদ্ধার করতে রণাঙ্গনের বীর সময়ের সাহসী সন্তান কর্মীবন্ধব জননেতা মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু এখন তাঁদের সময়ের দাবী বলে মনে করছেন তৃণমূলের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অনেকেই।

 ৬ করোনা রোগীর চিকিৎসা ব্যয় দেখানো হয়েছে ৮ লাখ টাকা, 

চলতি বছরে আরো ৫০ লাখ টাকার বরাদ্দ চেয়ে চাহদিাপত্র প্রেরণ।

রিপোর্ট :ইমাম বিমান : ঝালকাঠি সদর হাসপাতালরে সাবকে সিভিল র্সাজন শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার ও প্রধান সহকারি মতিনের বিরুদ্ধে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে র্অথ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯-২০ র্অথ বছরে বরাদ্দকৃত ২০ লাখ টাকার মধ্যে র্মাচ থেকে জুন র্পযন্ত ৬ করোনা রোগীর চিকিৎসা ব্যয় ৮ লাখ টাকা খরচ দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাউচাররে মাধ্যমে এর একটি বিশাল অংক আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভযিোগ রয়েছে। এ বিষয় অনুসন্ধানে জানাযায়, ঝালকাঠিতে এপ্রলি মাসে করোনার প্রার্দূভাবে পজটেভি সনাক্ত হলে আক্রান্তদের চিকিৎসা না দিয়ে বরিশালে রের্ফাড করা হয়েছে। এ নিয়ে রোগীদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানালওে সিভিল র্সাজনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

২০১৯-২০ র্অথ বছরে বরাদ্দকৃত ২০ লাখ টাকা গত জুন মাসে ফরেৎ পাঠানোর নির্দেশনা আসলে তখনই লুটপাটের প্রক্রিয়া শুরু করতে করোনা চকিৎিসার আইসোলশেন ওর্য়াডটি চালুর ঘোষনা দেয়া হয়। উল্লেখিত সময়ে ২০১৯-২০ র্অথ বছরে বরাদ্দের ৮ লাখ টাকার মধ্যে আনুষাঙ্গিক খাতেই খরচ দেখানো হয়েছে ৩ লাখ টাকা। যার মধ্যে জীবানুনাশক বিল উত্তোলন করা হয়েছে ৩৬ হাজার টাকা, পরিস্কার পরিছন্ন খাতে ৬৬ হাজার টাকা, চকিৎিসকদরে ঝালকাঠি থেকে বরশিাল পরবিহন খরচ বাবদ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, র্কতব্যরত থাকা অবস্থায় চকিৎিসকসহ ২১ জনরে খাবার খরচ দখোনো হয়েছে জন প্রতি ৫০০ টাকা হারে ৯ হাজার ৪৫০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এ হিসাবে ৪২০ দিনের খাবার বিল বাবদ ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, বাকি ৪ লাখ টাকা বিভিন্ন খাতে খরচ দখোনো হয়েছে। খাবার বিলের বিষয়ে র্নাস শাহারুন্নসো, রখো রানী, শপ্রিা মালোসহ একাধকি র্নাস জানান, প্রধান সহকারি মতনি আমাদরে জনপ্রতি ২ হাজার টাকা এবং রনিা মিস্ত্রি, তাছলিমাসহ আরো ৬ জনকে ৪ হাজার টাকা করে কোন স্বাক্ষর ছাড়াই টাকা দেয়। করোনা কালিন সময়ে আমরা খাবাররে খরচ পায়নি কিন্তু এ টাকা কিসের তা জানতে চাইলে মতনি আমাদরে বলনে, করোনা ডিউটির জন্য মানবিক কারনে এটা দয়ো হয়েছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, চিকিৎসকদের ঝালকাঠি থেকে বরিশাল পরবিহন খরচ বাবদ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেখানো হলওে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালরে এ্যাম্বুলেন্স চালক আনোয়ার হোসেন ও মহাসীনের মাধ্যমে জানা যায়, ঝালকাঠির র্কমরত চিকিৎসকদের সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে আনা নেয়া করা হয় বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। এ বিষয় চিকিৎসক আবুয়াল হাসানের কাছে গত র্অথবছরে করোনাকালীন যাতায়াত বাবদ কত টাকা বিল পেয়েছেন তা জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমার মনে নইে। কিভাবে বরিশাল থেকে আসা যাওয়া করেছেন প্রশ্নরে জবাবে বলেন, প্রাইভটে গাড়ি ভাড়া করে। একদিকে ডাক্তাররা প্রাইভেট গাড়ী ভারার কথা বললেও অপরদিকে এ্যাম্বুলেন্স চালক আনোয়ার হোসনে ও মহসীন জানান, র্কমরত চিকিৎসকদেরকে সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে ঝালকাঠি থেকে বরিশালে আনা নেয়া করা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমরা কোন পারিশ্রমিক পাইনি।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে র্মাচ-এপ্রলি মাসে করোনার শুরুতে পজেটিভ আক্রান্তদের চিকিৎসা না দিয়ে বরিশালে রেফার্ড করা হযেছে। এ নিয়ে রোগীদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানালেও সিভিল সার্জন কোন উদ্যোগ নেয়নি।সিভিল র্সাজন শ্যামল কৃষ্ণ বলতনে, আমাদরে আইসোলেশন ওর্য়াড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অনেকেই বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চায় তাই তাদের ওর্য়াডে র্ভতি করা হয়না। এছাড়াও সাবকে সিভিল সার্জন শ্যমল কৃষ্ণ হাওলাদারের কাছে ৮ লাখ টাকা খরচের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমি প্রধান সহকাররি সাথে কথা না বলে এই খরচ করা বরাদ্দের বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না। আপনি তার সাথে যোগাযোগ করে যা জানার জানতে পারনে।

হাসপাতালরে প্রধান সহকারি আব্দুল মতিনের বক্তব্যে জানাযায়, গত র্অথ বছরের ২০ লাখ টাকার ৮ লাখ টাকা সঠিক ভাবেই খরচ হয়েছে। বাকি টাকা ফরেত পাঠানো হয়ছে। খরচের খাতে কোন অনিয়ম বা বা ত্রুটি নেই। খাবার খরচ নিয়ে নার্সদের অভিযোগ সঠিক নয়। চিকিৎসকদের ভাড়া গাড়িতে বরিশাল-ঝালকাঠি আসা যাওয়ার ভাউচার দাখলিরে মাধ্যমে খরচরে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঝালকাঠির নবাগত সিভিল র্সাজন রতন কুমার ঢালী বলনে, আমাকে বলা হয়েছে গত র্অথ বছরে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছিল, এরমধ্যে ৭ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ৩ লাখ টাকার নাকি মাক্স, জীবানুনাশক ইত্যাদি কেনা হয়েছে। বাকি ৪ লাখ টাকা বিভিন্ন খাতে খরচ দেখানো হয়েছে বলে জানান।


নওগাঁয় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান


আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ : নওগাঁর রাণীনগরে মুজিব শতবর্ষে কৃষি উৎসব উপলক্ষ্যে স্থাপিত পারিবারিক পুষ্টি বাগান  দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বর্তমানে সারা বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের থাবায় আবদ্ধ। করোনা মহামারি, বন্যাসহ নানা আপদকালীন সময়ে যেন আমাদের দেশে সবজি উৎপাদনে কোন প্রভাব না পড়ে সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনা মোতাবেক দূর্যোগ মোকাবেলায় দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্নতা ধরে রাখতে প্রতি ইঞ্চি কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী স্থাপন করা হচ্ছে এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পুরো দেশ যখন লকডাউনে ছিলো তখন সবজি সরবরাহ ও উৎপাদনসহ নানা বিষয়ে চরম সংকটের সৃষ্টি হয়েছিলো। এছাড়াও সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ৩বারের বন্যায় সবজির ক্ষেত নষ্ট হওয়ার কারণে যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে সেই সংকট আগামীতে যেন বৃহৎ আকার ধারন না করে সেই লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষকদের তাদের ফেলে রাখা বাড়ির আঙ্গিনাসহ পতিত জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে আসছে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ২৫৬জন কৃষকের বাড়িতে এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ বাড়িতে তৈরি করা হয়েছে এই বাগান। প্রতিটি পারিবারিক পুষ্টি বাগানে উৎপাদিত নানা রকমের বিষমুক্ত সবজি দিয়ে কৃষকরা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজিগুলো বাজারজাত করে বাড়তি অর্থও আয় করতে পারবেন। যার কারণে আপদকালীন সময়ে উপজেলায় কোন প্রকারের সবজির সংকটের সৃষ্টি হবে না। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশের প্রতিটি উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরিতে কাজ করে আসছে। এতে করে কৃষকরা সবজি উৎপাদনে স্বংয়সম্পন্নতা অর্জনের পাশাপাশি আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। 

কাশিমপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় আমার বাড়ির পাশে পড়ে থাকা পতিত জায়গায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরি করেছি। এই বাগান তৈরির খরচ হিসেবে সরকারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১৯৩৫টাকা পেয়েছি। আমি অনেক উপকৃত হয়েছি। বন্যায় আমার সবজির ক্ষেত পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু এই বাগান থেকে উৎপাদিত সবজি দিয়ে আমি বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো। তাই সরকারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ যে আমাদের মতো ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের সহযোগিতা করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন বিভিন্ন আপদকালীন সময়ে কৃষকরা যেন ক্ষতির মুখে না পড়ে তাই বিকল্প পথ হিসেবে এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরি করা হচ্ছে। আমরা প্রথমে কৃষকদের উব্ধুদ্ধ করেছি। এই বাগানের উপকারিতা সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করেছি। কিন্তু বর্তমানে উপজেলার কৃষকদের মাঝে এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আমরা প্রতিটি বাগানে ১৬প্রকারের সবজির বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করেছি। আশা রাখি আগামীতে উপজেলার প্রতিটি বাড়িতেই তৈরি হবে একটি করে পারিবারিক পুষ্টি বাগান। এতে করে উপজেলায় কোন আপদকালীন সময়ে কোন সবজির সংকট সৃষ্টি হবে না বলে আশি শতভাগ আশাবাদি।

নওগাঁর মান্দায় ভিক্ষুক পূনর্বাসনে “প্রচেষ্টা” এর উদ্যোগে ছাগল বিতরণ



প্রতিনিধি নওগাঁ : নওগাঁর মান্দায় ভিক্ষুক পূনর্বাসনের জন্য লটারীর মাধ্যমে ছাগল বিতরণ করা হয়েছে।  মঙ্গলবার  (১১ আগস্ট)সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার জলছত্র মোড়ে সামাজিক উন্নয়ন ও সেবামূলক অরাজনৈতিক সংগঠন “প্রচেষ্টা” এর অফিসে এসব ছাগল বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য,গত ৩১ জুলাই (শুক্রবার) উপজেলার জলছত্র মোড়ে সামাজিক উন্নয়ন ও সেবামূলক অরাজনৈতিক সংগঠন “প্রচেষ্টা” আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৩৪ জন কৃতি শিক্ষার্থীদেরকে একটি করে ক্রেস্ট প্রদান, ২শত অসহায় মানুষদের মাঝে প্রত্যেককে একটি ছাতা, লটারীর মাধ্যমে ১ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা এবং আরো ৯ জন ভিক্ষুককে ঈদ শুভেচ্ছা স্বরূপ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মাইওয়ান ও মিনিষ্টার গ্রুপের এজিএম এবং প্রচেষ্টা’র চেয়ারম্যান আল মামুনের পক্ষ থেকে ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য দেয়া এককালীন ১০ হাজার টাকায় ক্রয়কৃত দু’টি ছাগল সংগঠনের এ্যাডমিন প্যানেলের সদস্যরা দক্ষিণ মৈনম গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে ছকে কে প্রদান করেন ।  


এসময় উপস্থিত ছিলেন,প্রচেষ্টা’র এ্যাডমিন প্যানেলের সদস্য আল আমিন রানা,রাসেদুজ্জামান রাসেদ,মেহেদী হাসান শান্ত, রাসেল, ময়নুল হক, সাদেকুল ইসলাম, সৌরভ কুমার, রিমন হোসেন জয়, শাশীম, সবুজ, সাব্বির, মিজানুর রহমান, জলছত্র বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জুয়েল রানা, ভিক্ষুকের দুই সহোদর সেকেন্দার এবং বাবু প্রমুখ।

বেনাপোলে ১০০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল সহ আটক-১

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল : যশোরের বেনাপোল বালুন্ডা গ্রাম থেকে ১০০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল সহ মোঃ শফিকুল ইসলাম(৪২) নামে এক মাদক ব্যবসীয়কে আটক করে পোর্ট থানা পুলিশ। আটক মাদক ব্যবসায়ী শফিকুল বালুন্ডা গ্রামের মৃত হাতেম আলী মোড়ল এর ছেলে।

বুধবার(১২ আগস্ট) ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বালুন্ডা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১শ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

এবিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মামুন খান জানান,পুলিশ সুপার যশোর মহোদয়ের নির্দেশে মাদক মুক্ত যশোর গঠনের লক্ষ্যে এএসপি নাভারন সার্কেল ও অফিসার ইন-চার্জ বেনাপোল পোর্ট থানার সার্বিক তত্ত্বাবধানে বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বালুন্ডা গ্রামস্থ বালুন্ডা উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে মোঃ শফিকুল ইসলামকে ১০০ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করা হয়। এ সংক্রান্তে আসামীর বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানার মামলা নং- ১১, তাং- ১২/০৮/২০২০ ইং, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর ১৪(গ) রুজু করা হয়েছে। আসামীকে যশোর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার কার্যক্রম চলছে।

বাগমারা, মোহনপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারে হুমকির মুখে পরিবেশ


  মোঃ সাইফুল ইসলাম বাগমারা রাজশাহীঃ  রাজশাহীর মোহনপুর ও বাগমারায়  নিষিদ্ধ পলিথিনে দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। পলিথিন ব্যাগে বাজার ভরে থাকা কেবলই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যর্থতা নয়। এটি বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের একটা অঙ্গীকারগত শোচনীয় ব্যর্থতার নজিরও বটে। পলিথিনের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশের উপর এর বিরুপ প্রভাব সম্পর্কে শিক্ষিত ও সচেতন মানুষরা ভালভাবেই জানেন। তাঁরাও কিন্তু বাজার থেকে সওদা কিনতে গিয়ে পলিথিন দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেন না।

    গত ১৭ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা আমাদের এটা শিখতে ও ভাবতে বাধ্য করছে। অবশ্য তার অর্থ এই নয় যে, রাজধানী ঢাকায় পুলিশের নাকের ডগায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের ব্যবসা ও সারা দেশে এর যে ব্যবহার চলছে, তা ঠেকাতে না পারার বিষয়টি অযৌক্তিক। উপরন্তু মোবাইল কোর্টকেও এই অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া আছে। কিন্তু অনৈতিক সুবিধা পাওয়ায় রাষ্টযন্ত্র গুলো কাজ করে না। কোনো জুত সই বিকল্প না থাকলেও শুধু পুলিশি কড়াকড়ির কারণে ২০০৬-০৭ সাল পর্যন্ত পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার উঠেই গিয়েছিল।

    নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যাগ আবার বাগমারা ও মোহনপুর দুই উপজেলার     বাজারে ফিরে এসেছে। সরকারের নজরদারি কম থাকায় দিনে দিনে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে নিষিদ্ধ পলিথিনে। বর্তমানে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে অবৈধ পলিথিনের পাইকারী ব্যবসা করেন খায়রুল, আলাউদ্দিন, আনারুলসহ আরো ২ /৩ জন। এই রকমি ভাবে বাগমারাতে ভবানিগঞ্জ বাজারে, ও তাহেরপুর বাজারে রয়েছে অনেক দোকানদা।       পাইকারী দোকান হতে উপজেলার সবক’টি বাজারের ষ্টেশনারী ও মুদি দোকান থেকে শুরু করে ও কাঁচা বাজার বর্তমানে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার প্রায় আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে কম টাকায় পলিথিন হাতের কাছে পাওয়া যায়,তাই তারা আবার পলিথিন ব্যবহার শুরু করেছেন। আবার অনেকেই জানান,পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়ার সেই আইন এখনও কার্যকর আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা।

    সবজি, মাছ দোকানীরা বলেন, আমরা তো পলিথিন ব্যাগ বিক্রি করিনা বড় বড় মুদির দোকান থেকে এনে কাস্টমারের সুবিধার্থে দিয়ে থাকি। কেশরহাটে সবজি ও মাছ কেনার সময় রফিকুল ইসলাম, বাগমারা ভবানিগঞ্জ বাজারে মোঃ এনামুল ইক, তাহেরপুর বাজারে রনি   নামে এক ক্রেতার কাছে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ ও আইনগত দন্ডনীয় অপরাধের কথা জানালে তিনি বলেন, আসলে ইচ্ছা করে যে নিষিদ্ধ জিনিস ব্যবহার করেছি তা নয়। বাজারে পাওয়া যায় এবং দোকানিরা পলিথিনের ব্যাগ হাতে ধরিয়ে দিয়ে থাকে। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন জিনিস আমিও ব্যবহার করতে চাইনা। সবার আগে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন বন্ধ করা প্রয়োজন। ব্যবহারের সুবিধা ও কম মূল্যের কারণে সহজেই প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। পলিলিথিন অপচনশীল দ্রব্য। পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি ও ক্ষতিকর দিকগুলো প্রকাশ হওয়ায়।

    ২০০২ সালে ১ জানুয়ারী রাজধানী ঢাকায় এবং ১ মার্চ থেকে সারাদেশে তৎকালীন সরকার ২০ মাইক্রোনের চেয়ে পাতলা ব্যাগ বাজারজাত, মজুদ করণ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সুরক্ষা আইন (সংশোধিত) ২০০২ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন মোতাবেক পলিথিন উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহারকারীদের ১ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং নূন্যতম ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে। এক’ই আইনে পলিথিন বাজারজাত কারীকে ৬ মাস কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। বর্তমানে এগুলো শুধুই আইনের কথা হয়ে আছে। ২০০২ সালে আইন করে পলিথিন নিষিদ্ধ করার বছর কয়েক পর বন্ধ না হলেও ব্যবহার অনেকটা কমে গিয়েছিলো। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবার ও ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু করা হয়েছে।কিন্তু বাগমারা  মোহনপুর  উপজেলার বাজার গুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম মাঝে মধ্যে দেখা গেলেও পলিথিনের বিষয়ে কোন নজরদারী না থাকায় এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ও পাইকারী বিক্রির পরিমাণ বেড়ে গেছে দ্বিগুণ হারে যার ফলে দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে বাগমারা,   মোহনপুরের পরিবেশ বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুকি।

    পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতি নিয়ে কথা বলেন, বাগমারা উপজেলার ও মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তারের    সাথে যোগাযোগ করা হলে  তিনি জানান, পলিথিন এমন একটি পদার্থ, যা মাটির সঙ্গে মিশতে শত শত বছর সময় লাগে। এটি মাটির অভ্যন্তরে গেলেও ক্ষয় হয় না বা মিশে যায় না। পলিথিনের রাসায়নিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া পলিথিন মাটিতে থাকলে মাটির উর্বরতা কমে যায়। মাটির অভ্যন্তরে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বিস্তারে বাধা সৃষ্টি করে। এ ছাড়াও ‘পলিথিন মোড়ানো গরম খাবার খেলে মানুষের ক্যান্সার ও চর্মরোগের সংক্রমণ হতে পারে। পলিথিনে মাছ ও মাংস প্যাকিং করলে তাতে অবায়বীয় ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া উজ্জ্বল রঙের পলিথিনে রয়েছে সিসা ও ক্যাডমিয়াম, যার সংস্পর্শে চর্মরোগ তৈরী হয়।

    বর্তমান বাগমারা,   মোহনপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই  ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শরিফ আহম্মেদ স্যার ও   সানওয়ার হোসেন স্যার জানান, এ ব্যাপারে খুব শিগগির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনের জননী। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকলে এত দিনে একটা সুবিধাজনক সমাধান সূত্র নিশ্চয়ই বের হতো এবং ভোক্তা সমাজও এত দিনে হয়তো সেই নতুন বিকল্প পণ্য ব্যবহারে অভ্যস্ত হতো।

    জানা যায়, পলিথিন বন্ধের আইন কার্যকর করা এবং ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে বেশ আগেই একজন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী সোনালি ব্যাগ উদ্ভাবন করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট সব মহলের কাছে রীতিমতো ধরনা দিয়ে চলছেন। তিনি যে সফল হবেনই, সেটাও ইতিমধ্যে হাতে-কলমে পরিষ্কার। পরিবেশমন্ত্রীসহ উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকেরা স্বীকার করেছেন যে, ড. মোবারক আহমেদ খান উদ্ভাবিত সোনালি ব্যাগের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা উজ্জ্বল। আর সেটা শুধু বাংলাদেশের চাহিদা মেটানোর দিক থেকেই নয়, এই ব্যাগ বিশ্বের আরও বহু দেশের কাছে সমাদৃত হবে। নীতিনির্ধারকদের এটাও অজানা নয়, জাপানসহ কয়েকটি উন্নত দেশ বাংলাদেশি সোনালি ব্যাগ আমদানির বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার রোল মডেল হলেও দেশের ‘স্বর্ণসূত্র’সংশ্লিষ্ট একটি শিল্পের বিকাশে কেন বিনিয়োগ মিলছেনা তা সত্যিই চিন্তার বিষয়।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget