Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

বেনাপোলে ১০০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল সহ আটক-১

মোঃ রাসেল ইসলাম, বেনাপোল : যশোরের বেনাপোল বালুন্ডা গ্রাম থেকে ১০০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল সহ মোঃ শফিকুল ইসলাম(৪২) নামে এক মাদক ব্যবসীয়কে আটক করে পোর্ট থানা পুলিশ। আটক মাদক ব্যবসায়ী শফিকুল বালুন্ডা গ্রামের মৃত হাতেম আলী মোড়ল এর ছেলে।

বুধবার(১২ আগস্ট) ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বালুন্ডা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১শ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল সহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

এবিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মামুন খান জানান,পুলিশ সুপার যশোর মহোদয়ের নির্দেশে মাদক মুক্ত যশোর গঠনের লক্ষ্যে এএসপি নাভারন সার্কেল ও অফিসার ইন-চার্জ বেনাপোল পোর্ট থানার সার্বিক তত্ত্বাবধানে বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বালুন্ডা গ্রামস্থ বালুন্ডা উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে মোঃ শফিকুল ইসলামকে ১০০ বোতল ফেন্সিডিল সহ আটক করা হয়। এ সংক্রান্তে আসামীর বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানার মামলা নং- ১১, তাং- ১২/০৮/২০২০ ইং, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর ১৪(গ) রুজু করা হয়েছে। আসামীকে যশোর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার কার্যক্রম চলছে।

বাগমারা, মোহনপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারে হুমকির মুখে পরিবেশ


  মোঃ সাইফুল ইসলাম বাগমারা রাজশাহীঃ  রাজশাহীর মোহনপুর ও বাগমারায়  নিষিদ্ধ পলিথিনে দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। পলিথিন ব্যাগে বাজার ভরে থাকা কেবলই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যর্থতা নয়। এটি বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের একটা অঙ্গীকারগত শোচনীয় ব্যর্থতার নজিরও বটে। পলিথিনের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশের উপর এর বিরুপ প্রভাব সম্পর্কে শিক্ষিত ও সচেতন মানুষরা ভালভাবেই জানেন। তাঁরাও কিন্তু বাজার থেকে সওদা কিনতে গিয়ে পলিথিন দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেন না।

    গত ১৭ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা আমাদের এটা শিখতে ও ভাবতে বাধ্য করছে। অবশ্য তার অর্থ এই নয় যে, রাজধানী ঢাকায় পুলিশের নাকের ডগায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিনের ব্যবসা ও সারা দেশে এর যে ব্যবহার চলছে, তা ঠেকাতে না পারার বিষয়টি অযৌক্তিক। উপরন্তু মোবাইল কোর্টকেও এই অবৈধ পলিথিন ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া আছে। কিন্তু অনৈতিক সুবিধা পাওয়ায় রাষ্টযন্ত্র গুলো কাজ করে না। কোনো জুত সই বিকল্প না থাকলেও শুধু পুলিশি কড়াকড়ির কারণে ২০০৬-০৭ সাল পর্যন্ত পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার উঠেই গিয়েছিল।

    নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যাগ আবার বাগমারা ও মোহনপুর দুই উপজেলার     বাজারে ফিরে এসেছে। সরকারের নজরদারি কম থাকায় দিনে দিনে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে নিষিদ্ধ পলিথিনে। বর্তমানে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে অবৈধ পলিথিনের পাইকারী ব্যবসা করেন খায়রুল, আলাউদ্দিন, আনারুলসহ আরো ২ /৩ জন। এই রকমি ভাবে বাগমারাতে ভবানিগঞ্জ বাজারে, ও তাহেরপুর বাজারে রয়েছে অনেক দোকানদা।       পাইকারী দোকান হতে উপজেলার সবক’টি বাজারের ষ্টেশনারী ও মুদি দোকান থেকে শুরু করে ও কাঁচা বাজার বর্তমানে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার প্রায় আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে কম টাকায় পলিথিন হাতের কাছে পাওয়া যায়,তাই তারা আবার পলিথিন ব্যবহার শুরু করেছেন। আবার অনেকেই জানান,পলিথিন নিষিদ্ধ হওয়ার সেই আইন এখনও কার্যকর আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা।

    সবজি, মাছ দোকানীরা বলেন, আমরা তো পলিথিন ব্যাগ বিক্রি করিনা বড় বড় মুদির দোকান থেকে এনে কাস্টমারের সুবিধার্থে দিয়ে থাকি। কেশরহাটে সবজি ও মাছ কেনার সময় রফিকুল ইসলাম, বাগমারা ভবানিগঞ্জ বাজারে মোঃ এনামুল ইক, তাহেরপুর বাজারে রনি   নামে এক ক্রেতার কাছে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ ও আইনগত দন্ডনীয় অপরাধের কথা জানালে তিনি বলেন, আসলে ইচ্ছা করে যে নিষিদ্ধ জিনিস ব্যবহার করেছি তা নয়। বাজারে পাওয়া যায় এবং দোকানিরা পলিথিনের ব্যাগ হাতে ধরিয়ে দিয়ে থাকে। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন জিনিস আমিও ব্যবহার করতে চাইনা। সবার আগে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন বন্ধ করা প্রয়োজন। ব্যবহারের সুবিধা ও কম মূল্যের কারণে সহজেই প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। পলিলিথিন অপচনশীল দ্রব্য। পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি ও ক্ষতিকর দিকগুলো প্রকাশ হওয়ায়।

    ২০০২ সালে ১ জানুয়ারী রাজধানী ঢাকায় এবং ১ মার্চ থেকে সারাদেশে তৎকালীন সরকার ২০ মাইক্রোনের চেয়ে পাতলা ব্যাগ বাজারজাত, মজুদ করণ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে। ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সুরক্ষা আইন (সংশোধিত) ২০০২ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন মোতাবেক পলিথিন উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহারকারীদের ১ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং নূন্যতম ৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে। এক’ই আইনে পলিথিন বাজারজাত কারীকে ৬ মাস কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। বর্তমানে এগুলো শুধুই আইনের কথা হয়ে আছে। ২০০২ সালে আইন করে পলিথিন নিষিদ্ধ করার বছর কয়েক পর বন্ধ না হলেও ব্যবহার অনেকটা কমে গিয়েছিলো। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবার ও ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু করা হয়েছে।কিন্তু বাগমারা  মোহনপুর  উপজেলার বাজার গুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম মাঝে মধ্যে দেখা গেলেও পলিথিনের বিষয়ে কোন নজরদারী না থাকায় এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ও পাইকারী বিক্রির পরিমাণ বেড়ে গেছে দ্বিগুণ হারে যার ফলে দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে বাগমারা,   মোহনপুরের পরিবেশ বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুকি।

    পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতি নিয়ে কথা বলেন, বাগমারা উপজেলার ও মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তারের    সাথে যোগাযোগ করা হলে  তিনি জানান, পলিথিন এমন একটি পদার্থ, যা মাটির সঙ্গে মিশতে শত শত বছর সময় লাগে। এটি মাটির অভ্যন্তরে গেলেও ক্ষয় হয় না বা মিশে যায় না। পলিথিনের রাসায়নিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া পলিথিন মাটিতে থাকলে মাটির উর্বরতা কমে যায়। মাটির অভ্যন্তরে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বিস্তারে বাধা সৃষ্টি করে। এ ছাড়াও ‘পলিথিন মোড়ানো গরম খাবার খেলে মানুষের ক্যান্সার ও চর্মরোগের সংক্রমণ হতে পারে। পলিথিনে মাছ ও মাংস প্যাকিং করলে তাতে অবায়বীয় ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া উজ্জ্বল রঙের পলিথিনে রয়েছে সিসা ও ক্যাডমিয়াম, যার সংস্পর্শে চর্মরোগ তৈরী হয়।

    বর্তমান বাগমারা,   মোহনপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই  ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শরিফ আহম্মেদ স্যার ও   সানওয়ার হোসেন স্যার জানান, এ ব্যাপারে খুব শিগগির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনের জননী। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকলে এত দিনে একটা সুবিধাজনক সমাধান সূত্র নিশ্চয়ই বের হতো এবং ভোক্তা সমাজও এত দিনে হয়তো সেই নতুন বিকল্প পণ্য ব্যবহারে অভ্যস্ত হতো।

    জানা যায়, পলিথিন বন্ধের আইন কার্যকর করা এবং ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে বেশ আগেই একজন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী সোনালি ব্যাগ উদ্ভাবন করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট সব মহলের কাছে রীতিমতো ধরনা দিয়ে চলছেন। তিনি যে সফল হবেনই, সেটাও ইতিমধ্যে হাতে-কলমে পরিষ্কার। পরিবেশমন্ত্রীসহ উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকেরা স্বীকার করেছেন যে, ড. মোবারক আহমেদ খান উদ্ভাবিত সোনালি ব্যাগের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা উজ্জ্বল। আর সেটা শুধু বাংলাদেশের চাহিদা মেটানোর দিক থেকেই নয়, এই ব্যাগ বিশ্বের আরও বহু দেশের কাছে সমাদৃত হবে। নীতিনির্ধারকদের এটাও অজানা নয়, জাপানসহ কয়েকটি উন্নত দেশ বাংলাদেশি সোনালি ব্যাগ আমদানির বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার রোল মডেল হলেও দেশের ‘স্বর্ণসূত্র’সংশ্লিষ্ট একটি শিল্পের বিকাশে কেন বিনিয়োগ মিলছেনা তা সত্যিই চিন্তার বিষয়।

 
ঝালকাঠি রাজাপুরে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ  আটক- ২ , মোটরসাইকেল জব্দ
 
রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু: ঝালকাঠির রাজাপুরে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার নৈকাঠি বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আটককৃতরা হলো চট্টগ্রামের হালি শহর এলাকার মোঃ নিজাম উদ্দিন এর পুত্র মোঃ কামাল হোসেন (৪০), রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠি এলাকার আব্দুল জলিল আকন এর পুত্র মোঃ সাইদুল আকন (৪৩)। 

পুলিশ জানায়, কামাল হোসেন পিরোজপুর জেলার দাউদপুর এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া আসার সময় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। ৪ মাস ধরে কামাল চট্টগ্রাম থেকে মাদকদ্রব্য এনে এ উপজেলায় সবরাহ করে আসছিল। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার নৈকাঠি বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। 

এসময় তাদের কাছ থেকে ৪ হাজার ৫ শত ১৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, নগদ ৭ হাজার ৫ শত টাকা, একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। রাজাপুর থানা পুলিশের হাতে এটাই প্রথম মাদকের বড় চালান আটক। 

রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদের ঝালকাঠি আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন,রাজশাহীর শ্রমিকেরা

মোঃ সাইফুল ইসলাম বাগমারা, রাজশাহীঃ 
   সারা বিশ্বের ন্যায় দেশের চলমান করোনা ভাইরাস ও বন্যার কারনে বিভিন্ন এলাকার, কোম্পানি, ইনজি বাসাবাড়ি ও   কলকারখানা থেকে অনেক শ্রমিক ছাটাই হয়েছেন। সেই সাথে অনেকে চাকরী হারিয়ে গ্রামের বাড়ির নিজের বসত ভিটায় ফিরেছেন। ছাটাই ও চাকরী হারিয়ে এই সকল ব্যক্তিগুলো এখনো কর্মহীন পড়েছে। সংসারের চহিদা মেটাতে তারা নেমে পড়েছেন শ্রমিকের কাজ করতে। অনেকেই ক্ষেতে খামারে ও কাজ পাচ্ছে না। বন্যার অনেক এলাকা পানিতে ডুবে গেছে।তাছাড়া  যেখানে কাজ পাচ্ছেন সেখানেই তারা কাজ করছেন। এই অবস্থায় দরিদ্র ও অসহায় প্রকৃত শ্রমিকগণ পড়েছেন মহাবিপদে। শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই অবস্থা হয়েছে বলে শ্রমিকরা জানান। আজ সকাল ৯টার নগরীর কোর্ট ষ্টেশন মোড়ে শতাধিক শ্রমিকদের সাইকেল, ডালি ও কোঁদাল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
কেউ একজন ব্যক্তি শ্রমিক নিতে আসলেই তার উপর সকলকেই হুমরী খেয়ে পড়তে দেখা যায়। শ্রমিকদের মধ্যে বাগমারার  হাটগাঙ্গোপাড়া গ্রামের মোহসীন আলী,    গোদাগাড়ীর ভায়াল গ্রামের আব্দুস সালাম, ডাঙ্গের হাটের ওয়াসিম আলী, ফেতনা পাড়ার বকুল, মুরারীপুরের সামসুল ও সোনাইকান্দীর জুলফিকারসহ আরো অনেক শ্রমিক বলেন, করোনা ভাইরাস শুরু হয়ে লকডাইন হওয়ায় তারা একেবারেই কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। এরপর লকডাউন উঠে গেলে কিছু কাজ তারা পেতেন। কিন্তু বিগত একমাসের অধিক সময় ধরে বন্যার কারণে  তারা বেশীর ভাগ দিন কাজ পাচ্ছেন না। ফলে প্রায়দিনই পরিবারের সদস্যদের মুখে দু-বেলা খাবার তুলে দিতে পারছেন না তারা । অতি কষ্টের মধ্যে দিনাদিপাত করছেন বলে জানান শ্রমিকরা।

পরিবার পরিজনদের মুখে খাবার তুলে দেয়ার লক্ষ্যে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তাদের কাজ প্রদান করার জন্য উপস্থিত সকল শ্রমিকগণ সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন। সেই সাথে এই দুর্দিনে তাদের খাদ্য সামগ্রী কিংবা আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন এই শ্রমিকগণ। 

পুলিশকে গণমুখী ও জনবান্ধব করতে নওগাঁর আত্রাইয়ে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু


নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) : নওগাঁর আত্রাইয়ে পুলিশকে গণমুখী ও জনবান্ধব করার লক্ষে আত্রাই থানা পুলিশ সদস্যদের নিয়ে প্রথম চালু করা হয়েছে বিট পুলিশিং কার্যক্রম ।

সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের পরিষদ রুমে আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিট পুলিশিং কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নওগাঁ পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবাদুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বাবু, শাহাগোলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন সন্দেশ, আত্রাই প্রেসক্লাবের সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসাইন সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নাজমুল হক নাহিদ, সাংবাদিক আব্দুল মজিদ মল্লিক, তপন কুমার, এসআই হাইদার আলী, ডিএসবি নুরুল ইসলাম প্রমূখ।

প্রধান অতিথির  তার বক্তব্যে বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ ও যৌতুকমুক্ত সমাজ গড়তে পর্যায়ক্রমে আত্রাইয়ের প্রতিটি  ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হবে। এবং মনিটরিং, তদারকির জন্য পুলিশ সদস্যদের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কো-অপারেট করবে। ভৌগোলিক দূরত্ব ও সুনির্দিষ্ট কাঠামোবদ্ধ কর্মসূচির অভাবে অনেক ক্ষেত্রে জনগণ পুলিশের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। পুলিশের প্রতি একটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ-জনতা সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য, প্রতিটি নাগরিকের পুলিশের সেবাপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পুলিশের সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের আদেশ অনুযায়ী আত্রাই থানার শাহাগোলা ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যক্রম উদ্বোধন করা হলো। এতে জনগণ এর সুফল পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


ঝুঁকিপূর্ণ  নওগাঁর আস্তান মোল্লা সড়ক; চলাচল স্থগিত


কাজী কামাল হোসেন,নওগাঁ : ঢেউয়ের আঘাতে প্রতিদিনই ভাঙছে নওগাঁ সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী  হাঁসাইগাড়ী বিলের নান্দনিক আস্তান মোল্লা  সড়ক। সড়কটি বন্যার পানির ঢেউয়ের আঘাতে প্রতিবছরই ভাঙনের শিকার হচ্ছে। এবছরে নওগাঁয় অতি বন্যায় ইতোমধ্যে সড়কের একাংশ ভেঙে বিলের সাথে বিলীন হয়ে গেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী সড়কটিকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় জনগণ ব্যক্তি উদ্যোগে বাঁশের খুঁটি ও কচুরিপানা দিয়ে সড়কটি রক্ষার চেষ্টা করছেন যা একেবারে অসম্ভব এবং অপ্রতুল। স্থানীয় সাংসদ সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শন করেছেন এবং রাস্তায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল স্থগিত করেছেন।

 

 

ঝুঁকিপূর্ণ  নওগাঁর আস্তান মোল্লা সড়ক; চলাচল স্থগিত

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, প্রায় এক দশক আগে প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিল এমপির উদ্যোগে হাঁসাইগাড়ী অথৈজলের মাঝে  নির্মাণ করা হয় সড়কটি । সড়কটি হাঁসাইগাড়ী, শিকারপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের সাথে নওগাঁ জেলা সদরের একমাত্র যোগাযোগের রাস্তা হলেও হাঁসাইগাড়ী বিশাল জলরাশীর মধ্যদিয়ে নির্মিত দীর্ঘ প্রায় ২০কিমি এই সড়ক এখন নওগাঁ জেলার অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। বিশাল এ বিলের বুক চিরে নির্মিত দৃষ্টি নন্দন সড়ক  এবং বিশাল জলরাশির খেলা দেখতে প্রায় ৭ কিমি অংশে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী ভীর জমাচ্ছেন। দর্শনার্থীদের এই সংখ্যা এতোটাই বেড়েছে যে, বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীর্ঘ এপথ দর্শনার্থীদের ভীড়ে পাড়ি দেয়া একেবারে অসম্ভব।

সড়কটি নির্মানের পর থেকে বিলের অথৈজলের ঢেউ প্রতিরোধে নেওয়া হয়নি কোন কার্যকর ব্যবস্থা। ফলে বর্ষায় ঢেউয়ের আঘাতে ক্রমাগত ভাঙ্গছে সড়কটির এক পাশ। যেসব স্থানে ব্লক দেওয়া ছিলো তা অনেক পুরাতন হওয়ায় নষ্ট হয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে রাস্তার মাটি। ইতিমধ্যেই ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে রাস্তার পাশের স্টিট লাইটগুলো। বিলের পানি কমার পর যদি রাস্তাটি উচু করে দুই পাশ দিয়ে মেট্টিসিন ও ব্লক দেওয়া না হয় তাহলে আগামীবছর এই রাস্তাটির কোন অস্তিত্ব থাকবে না বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাঁশ এবং কচুরিপানা দিয়ে সড়ক রক্ষার কাজে ব্যাস্ত স্থানীয় হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়ন আ'লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নওগাঁর ভীমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অহিদুল ইসলাম  বলেন, ‘প্রয়াত জননেতা আব্দুল জলিল এমপির সপ্নের সড়ক এটি। প্রতি বছর ঢেউ আর বন্যার পানিতে  ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হুমকির মুখে এই সড়কটি। দীর্ঘ দিন যাবত এলজিইডি থেকে সিসি ব্লক বা মেট্রিসিনসহ সড়ক প্রশস্থ ও মেরামতের কোন কাজ না করায় সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে।  তিনি সড়কটি সংস্কারে স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। স্থানীয় হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল  সড়কটি প্রশস্ত করাসহ সিসি ব্লক দিয়ে নির্মান করে পর্যটন বান্ধব করার দাবী জানান।

নাটোর থেকে আসা পর্যটক আব্দুল হালিম, জয়পুরহাট থেকে আসা গোলাম রাব্বানী, বগুড়া থেকে আসা আব্দুস সালাম বাবুসহ অনেকেই বলেন বিলের সৌন্দর্য্য বর্ধনসহ রাস্তাটি উচু করে পাশ দিয়ে পর্যটকদের বসার ব্যবস্থা, ঝড়-বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য ছাউনি স্থাপনসহ আধুনিক পর্যটক কেন্দ্র পরিণত করার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। কারণ এখানে আসা পর্যটকদের উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে স্থানীয় শত শত মানুষ। স্থানীয় মানুষরা কর্ম খুঁজে পেয়েছেন। তাই স্থানটিকে আরো উন্নত করা প্রয়োজন।

এলজিইডি নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মাকসুদুল আলম বলেন ভাঙ্গনের বিষয়টি সরেজমিনে দেখার জন্য স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জনসহ আমরা সড়কটির ক্ষতি গ্রস্ত অংশগুলো পরিদর্শণ করেছি। এটি সংস্কারে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমদিত হলে পানি কমে যাওয়ার খুব অল্প সময়ের মধ্যে এর সংস্কার কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আসা করছি।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget