Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

দুর্যোগ মোকাবিলা, অর্থনীতি ও উন্নয়নের চাকা একইসঙ্গে চলবে : স্বপন

জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, বিশ্বসেরা রাষ্ট্রনায়ক, পরম ধৈর্যশীল সিনিয়র পলিটিশিয়ান, প্রাজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে দুর্যোগ মোকাবিলা, অর্থনীতি ও উন্নয়নের চাকা একইসঙ্গে ঘুরবে।

তিনি বলেন, গত ১১ বছরে বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান অনেক উন্নত হয়েছে। করোনার বৈশ্বিক ধাক্কা সমগ্র বিশ্বের ন্যায় আমাদেরও গতিরোধ করেছিল। এই ভয়াল প্রতিবন্ধকতার নিকট পরাভূত হয়ে থেমে থাকলে দেশ ও জাতি বহুদূর পেছনে ধাবিত হবে। সে কারণেই প্রাজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাদের করোনা, বন্যা, আম্ফানসহ সকল দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি অর্থনীতি ও উন্নয়নের চাকার গতিময়তা অব্যাহত রাখতে সকল সুস্থ নাগরিকের ভূমিকা পালন একান্ত আবশ্যক।

রোববার (২৬ জুলাই) নিজ নির্বাচনী এলাকা জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল, কালাই উপজেলায় মোসলেমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও কাথাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন হুইপ স্বপন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া, কালাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, ক্ষেতলাল উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মণ্ডল, দুই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের, ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ মোল্লা, ক্ষেতলাল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল ইসলাম বুলু, কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেলাল তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাতুল ইসলাম কাজল, দুলাল মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত সপ্তাহে হুইপ স্বপন সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে গুন্ডুম্বা মাদরাসা, ইসমাইলপুর মাদরাসা, খোসবদন মাদরাসা ইটাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়, রায়কালি উচ্চ বিদ্যালয়, গোপীনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জামালগঞ্জ, সবদুল পাড়া, রামশালা, শিয়ালা, হরিপুর-চাঁপাগাছী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন।

ভ্যানে ধাক্কা দিয়ে দু’জনের প্রাণ নিলো মাইক্রোবাস

জাহিদ খন্দকার, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর মহেশপুর এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় দু’জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। রোববার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পলাশবাড়ী উপজেলার মহেশপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার আজমপুর গ্রামের ভ্যানচালক শাফি মিয়া (৩০), জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার জানিপুর গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে নাহিদ (৬)। ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন সঙ্গে থাকা শিশুটির দাদি মমতা বেগম।

স্থানীয়রা জানান, পলাশবাড়ী থেকে একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যান মহেশপুর এলাকায় পৌঁছালে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রবাস সামনে থেকে এটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানে থাকা এক শিশুসহ দু’জন নিহত হন। আহত হন আরও একজন।

পলাশবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসিবুর রহমান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।

চারদিকে বন্যার পানি, মাঝে উঁচু ঢিবিতে আশ্রয়

নাজমুল হোসাইন, কুড়িগ্রাম: চারদিকে পানি থৈ থৈ করছে। দুচোখ যে দিকে যায় শুধু পানি আর পানি। এই পানির মধ্যে সবুজ সমারোহের দেখা মিললেও মাটির খোঁজ পাওয়া দুষ্কর। নদীতে দুলতে দুলতে যাত্রীবাহী কিছু ডিঙি নৌকা ছুটে চলছে। অন্যদিকে পাল তোলা নৌকার চলার দৃশ্য যে কারোর মনকে নাড়া দেবে। এসব দৃশ্যের মাঝে হঠাৎ চোখ পড়ল ছোট্ট একটি ঢিবির দিকে।

বন্যার পানি থেকে মাত্র হাত দুয়েক উঁচু ঢিবিতে কয়েকটি টিনের একটি চাল। ঘেরা রয়েছে বস্তা আর ভাঙাচোড়া বাঁশের কাবারির বেড়া দিয়ে। এখানে মানুষ থাকাটা প্রায় অসম্ভব বলে মনে হবে। কিন্তু হঠাৎ বড় সিলভারের পাতিল নিয়ে এক বুক পানি ডিঙ্গিয়ে ভেজা শরীরে এক নারীকে ঢিবির দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। একটু এগিয়ে গিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। পাতিলে কী? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নারীর উত্তর- ‘খাবার পানি।’ কথা শুনেই চোখ কপালে উঠে গেল!

কোথা থেকে এই পানি নিয়ে আসলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নারীর সাদামাটা উত্তর- ‘বাহে মেলা দূর থেকে আনা নাগে।’ কৌতূহল নিয়ে ঢিবির দিকে এগিয়ে যেতেই ঘরের দৃশ্য দেখেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। যেন বানের পানিতে একঘরে হয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে একটি পরিবারকে। বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশা-কষ্ট এবং মানবেতর জীবন সব যেন একত্রিত হয়ে ভর করছে পরিবারটির ওপর। মাত্র ১২-১৫ ফুটের দৈর্ঘ্যের একটি টিনের চালের ঘরে এক মাস যাবৎ দিন কাটছে পরিবারের সাতজনের। এই চালের এক কোণে রয়েছে একটি গরু থাকার ব্যবস্থা।

বাঁশের টংয়ের ওপর স্বামী, সন্তান, নাতি, মেয়ে, জামাইসহ মানবেতর জীবন কাটছে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের রহিমা বেগমের।

রহিমা বেগম জানান, তার স্বামী খোরশেদ একজন কৃষক। বছর চারেক আগে বোর্ডের হাটে নদী ভাঙনে বসতভিটে সব হারিয়েছেন। এখন অন্যের দেয়া জায়গায় কোনো রকমে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। নিচু জায়গা হওয়ায় বানের পানিতে ঘরবাড়িতে কোমর পানি। আশপাশে কোনো উঁচু জায়গা না থাকায় ধরলা নদীর তীর ঘেঁষা একটি উঁচু ঢিবিতেই আশ্রয় নিয়েছেন। এক মাস ধরে এমন কষ্টে দিন কাটলেও আজও কোনো সাহায্য পাওয়া দূরে থাক চেয়ারম্যান-মেম্বার কেউ খোঁজ নেয়নি। এক বেলা কোনো রকমে রান্না করে তাই দিয়ে দিন পার করেন। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী এবং জামাই বেকার দিন কাটলেও কোনো রকম সংসার চলত। কিন্তু বন্যা আসায় সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন নদীতে মাছ ধরে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে সবার।

তিনি বলেন, এই ছোট্ট চালার মধ্যে সাতজন মানুষ আর একটি গরু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছি। নদী দিয়ে নৌকা গেলে কিংবা বাতাস উঠলে ভয়ে জেগে রাত পার করতে হয়। কখন যেন নদীতে ঢিবিটা ভেঙে সবাই ভেসে যাই। বৃষ্টি এলে এই কষ্ট আরও দ্বিগুণ হয়। নিজেদের খাবার জুটুক বা নাই জুটুক বিপাকে পড়তে হয়েছে দেড় বছরের নাতি আর গরুর খাদ্যের সঙ্কট নিয়ে। প্রাকৃতিক কাজ নদীতেই সারছেন তারা। সাপ কিংবা ঢিবি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা সব কিছু তুচ্ছ করে জীবন বাঁচানোর সংগ্রামে যুদ্ধ করতে হচ্ছে এই পরিবারটি।

পাঁচগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান, বন্যায় তার ইউনিয়েনের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাসভাসিদের জন্য যে ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা অপতুল।

তিনি বলেন, বন্যার সময় অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চায় না। কষ্ট করে হলেও তারা বাড়িতে থাকার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ বাড়ির আশপাশে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়।

এদিকে শনিবার (২৫ জুলাই) সকালে ওই পরিবারের দুর্দশার খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক কর্মকর্তা পরিবারটিকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে।


নওগাঁয় আউশ ধানের পরিচর্যায় ব্যস্থ সময় পার করছেন কৃষকরা

তন্ময় ভৌমিক, নওগাঁ :  নওগাঁর মাঠে কৃষকরা আউশ ধান পরিচর্যায় ব্যস্থ সময় পার করছেন। গত ইরি-বোরো ধান নায্য দাম ও কৃষি প্রণোদনা পাওয়ায় নওগাঁয় গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ১০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের প্রণোদনাসহ সহযোগিতা আরো বেশি করা হলেও আগামীতে কৃষকরা বৃষ্টি নির্ভর আউশ ধান চাষে আরো উদ্বুদ্ধ হবে এমনটাই জানালেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁয় চলতি আউশ ধান চাষ করা হয়েছে ৭১ হাজার ৩শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে। গত আউশ মৌসুমে ৬১ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছিল। চলতি আউশ মৌসুমে জেলার ১১টি উপজেলা মধ্যে মান্দায় সবচেয়ে ১৯ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়েছে। আউশ ধানের বীজ তলা থেকে ধান কাটা পর্যন্ত ১শ’ থেকে ১শ’ ১০ দিন সময় লাগে। তাছাড়া সারের পরিমাণ বোরো এবং আমন ধান চাষ থেকে আউশ ধান চাষে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ খরচ কম হয়।
চলতি আউশ মৌসুমে নওগাঁ সদরে ৪ হাজার ২শ’ ৭৫ হেক্টর, রাণীনগরে ১ হাজার ৪শ’ ২৫হেক্টর, আত্রাইয়ে ১ হাজার  ৫শ’ ৩৫হেক্টর, বদলগাছীতে ১হাজার ৫শ’ ২০হেক্টর, মহাদেবপুরে ১৫হাজার ৬শ’ ৭০হেক্টর, পতœীতলায় ৯হাজার ২শ’ ৪০হেক্টর, ধামইরহাটে ৩ হাজার ৬শ’ ৯০হেক্টর, সাপাহারে ১ হাজার ৮শ’ ১৫হেক্টর, পোরশায় ১ হাজার ১শ’ ২০হেক্টর, মান্দায় ১৯ হাজার ৭শ’ হেক্টর, নিয়ামতপুরে ১১হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে।

কৃষি বিভাগ আউশের প্রণোদনা হিসেবে জেলায় ৩০ হাজার ২শ’ ৬৮জন কৃষকদের মাধ্যে ৫ কেজি উন্নত জাতের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০কেজি এমওপি সার সরবরাহ করছেন। বন্যায় জেলায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান নষ্ট হলেও কৃষি বিভাগ আশা করছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আউশের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ধামইরহাট উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের চৌঘাট গ্রামের কৃষাণী সেলিনা বলেন, ইরি ধানের দাম ভালো পেয়েছি।  চলতি বছরে দুই বিঘা জমিতে আউশ ধান চাষ করেছি ধানের ভালো দাম পাওয়ার আশায়।

চকমহেশ গ্রামের কৃষক দুলাল হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে বীজ, সার বিনামূল্যে প্রদান করায় আমরা এ ধান চাষ করেছি। বোরো ধান কাটা-মাড়াইয়ের পরেই আউশ ধান চাষ করা হয়ে থাকে। ফলে জমি পতিত না থাকায় জমিতে আগাছা জন্মাতে পারে না। অন্যদিকে প্রাকৃতিক বৃষ্টিতেই প্রায় এই আউশ ধান চাষ সম্পন্ন হয়। এই ধান ঘরে তোলারপর আমন ধান চাষ করা হয়। বছরে বোরো, আউশ ও আমন ধান চাষ করায় কৃষকদের বেশি লাভ হয়ে থাকে।

মহাদেবপুর উপজেলার স্বরসতীপুর গ্রামের খাঁপাড়ার কৃষক আব্দুস ছাত্তার জানান, গত বছর ৪ বিঘা ধান লাগিয়েছিলেন। প্রতি বিঘায় ১৭ মণ করে ধান উৎপাদন হলেও ৫শ’ টাকা থেকে ৬শ’ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। লাভ বেশি না হলেও কিছু লাভ হয়েছিল। তবে গত ইরি-বোরো ধানের কাটা মাড়াইয়ের শুরু থেকে প্রকার ভেদে ৯শ’ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০ টাকা দরে প্রতি মণ ধান কেনা-বেচা হচ্ছে। বোরো ধানের নায্য মূল্য পাওয়ায় এ বছর  ৬ বিঘা আউশ লাগিয়েছেন। কৃষি প্রণোদনা না পাওয়ায় অভিযোগ করে বলেন, আগামীতে তাদের মতো অনেক কৃষকই সরকারি এই সহযোগিতা পাননি। সঠিক কৃষকদের এই সহযোগিতা দেওয়ার দাবি জানান। 

একই গ্রামের আদিবাসিপাড়ার কৃষক শয়ন ভুঁইয়া জানান, বোরো ধানের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর প্রথম ১ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেছেন। জমিতে পানি, চাষ, নিরানি, সার দিয়ে এ পর্যন্ত মোট খরচ ৪ হাজার টাকার মতো। এখন কাটা-মাড়াইয়ের খচর হবে ২ হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা। তাহলেই তারা ঘরে ধান তুলতে পারবেন।  
মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরু চন্দ্র রায় বলেন, কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় মহাদেবপুরে গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বেশি আউশ চাষ করেছেন। গত বছর প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়েছিল। কৃষি বিভাগের লোকজন সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছেন। কৃষকরা যতক্ষণ ফসল ঘরে না তুলছেন ততক্ষণ কৃষি বিভাগ তাদের পাশে থাকবে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ জানান, আউশ ধান চাষে তেমন সেচ ও সারের প্রয়োজন হয় না। নওগাঁয় আউশ মৌসুমে প্রায় ৩০ হাজার কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা হিসেবে সার ও ধান বীজ দেওয়া হয়েছে যাতে কৃষকরা বেশি করে আউশ ধান চাষ করেন। বন্যায় জেলায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান নষ্ট হলেও কৃষি বিভাগ আশা করছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আউশের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরপ্রশ্নে তিনি আরো বলেন, জেলার বাঁকি কৃষকদের কৃষি সুবিধা দিতে পারলে আগামিতে নওগাঁয় আরো ধান উৎপাদন চাষে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হবে। ফলে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
 

নওগাঁর ধামইরহাটে সীমান্ত পেরিয়ে লোকালয়ে হনুমান, উৎসুক জনতার ভিড়

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটে হঠাৎ একটি হনুমানের আগমণ ঘটেছে। গত তিনদিন থেকে উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের অন্তর্গত গোকুল ও সিংগারুল গ্রামে এই হনুমানটি বিচরণ করছে। এদিকে ওই হনুমানটিকে দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতা ভিড় বেড়েই চলছে।

গ্রাম দুটোর মানুষ জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ফুলবোন খেড়শুকনা এলাকা থেকে রাস্তা দিয়ে হেঁটে  একটি হনুমান গোকুল গ্রামে প্রবেশ করে। আগত বণ্য এই প্রাণীটি ঘুরছে খাবারের উদ্দেশ্যে । কখনো ডালে, কখনো রাস্তায়, কখনো বাড়ির ছাদে ওঠে ছুটাছুটি করছে। এলাকাবাসী ধারণা করছেন কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে এটি ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে  অথবা বৃষ্টিতে ভেসে দল ভেঙে দিশেহারা হয়ে চলে এসেছে। তবে হনুমারটির মধ্যে শান্তভাব বিরাজ করায় এখনো কারো ক্ষতির হয়নি। তবে অনেকে হাত বাড়িয়ে খাবার দিলে খাবার নিয়ে আবারো গাছের ডালে গিয়ে সেগুলো খাচ্ছে। বর্তমানে হনুমানটি আড়ানগর এলাকা থেকে সিংগারুল এলাকায় অবস্থান করছে।

এবিষয়ে উপজেলা বনবিট কর্মকর্তা মো.আব্দুল মান্নান বলেন, এরা প্রকৃতির বন্ধু। এই বন্ধু ন্মানুষের কখনো ক্ষতি করে না। খাবারের সন্ধানে হয়তো প্রতিবেশি ভারতে থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এদের কোন সীমারেখা নেই। বন পবিভাগের পক্ষ থেকে প্রকৃতির বন্ধুকে অযথা বিরক্ত না করতে মানুষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

নওগাঁয় আরও ৬৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, মোট আক্রান্ত ৯১৯ জন

আবু রায়হান রাসেল, নওগাঁ: নওগাঁ জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমনের হার দিন দিন বাড়ছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় প্রাপ্ত রিপোর্ট-এর ফলাফলে জানা গেছে জেলায় আরও ৬৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। 

ডেপুটি সিভিলসার্জন ডাঃ মঞ্জুর মোর্শেদ জানিয়েছেন আক্রান্তদের মধ্যে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১৪ জন, রানীনগর উপজেলায় ১ জন, আত্রাই উপজেলায় ১ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ৮ জন, বদলগাছি উপজেলায় ৫ জন, পতœীতলা উপজেলায় ১০ জন, ধামইরহাট উপজেলায় ৫ জন, নিয়ামতপুর উপজেলায় ৪ জন, সাপাহার উপজেলায় ১২ জন এবং পোরশা উপজেলায় ৮ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৯১৯ জন-এ দাঁড়ালো। 

সূত্রমতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২৬ জনকে কোয়ারেনটাইনে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ জন, রানীনগর উপজেলায় ৪ জন, আত্রাই উপজেলায় ৩ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ৬ জন, মান্দা উপজেলায় ২ জন, বদলগাছি উপজেলায় ২ জন, পতœীতলা, ধামইরহাট ও সাপাহার উপজেলায় ১ জন করে এবং পোরশা উপজেলায় ৩ জন।

এ সময় মেয়াদ শেষ হওয়ায় কোয়ারেনটাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৭ জন এবং বর্তমানে কোয়ারেনটাইনে রয়েছেন ১ হাজার ১শ ৫১ জন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget