Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে গৃহবধূকে বাঁচানোর আকুতি, ছুটে গেল পুলিশ

এমদাদুল হক মিলন, দিনাজপুর : দিনাজপুরে লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে পরিবারের লোকজন নিয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করেছেন স্বামী। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ বর্তমানে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর আগে নির্যাতনের মুখে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ওই নারীকে বাঁচানোর আকুতি জানান স্বজনরা। ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই হাজিপাড়ার আব্দুল হামিদের মেয়ে লায়লার সঙ্গে দিনাজপুর সদর উপজেলার সুইহারী মাঝাডাঙ্গা এলাকার তাজিমুল ইসলামের ছেলে তারেক রহমানের এক লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের বাবা যৌতুক বাবদ নগদ দুই লাখ টাকা এবং প্রায় এক লাখ টাকার ফার্নিচারসহ যাবতীয় মালামাল দেন। বিয়ের পরে তাদের ঘরে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।


কিন্তু কিছুদিন ধরে শাশুড়ি ইসমত আরা, শ্বশুর তাজিমুল ইসলাম, ননদ তামান্না বেগম, দেবর সালজার আলী ও মামি শাশুড়ি কুসুমের প্ররোচনায় এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে চাপ দেন স্বামী। এই টাকা না দেয়ায় শুরু হয় নির্যাতন। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়। পরে আবারও শুরু হয় নির্যাতন। একপর্যায়ে ১৫ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ মিলে গৃহবধূকে নির্যাতন করেন।

পরে গৃহবধূ ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে দরজা লাগিয়ে নিজেকে বাঁচান। পরদিন সকালে ঘর থেকে বের হলে আবারও নির্যাতন শুরু হয়। এ সময় কিল-ঘুষি ও লাথি মারলে গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা ভয় পেয়ে মেয়ের পরিবারকে মোবাইলে জানান তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে মেয়ের ভাই ও ভাবি ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করতে চাইলে শ্বশুরের পরিবারের সদস্যরা বাধা দেন। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল দেন গৃহবধূর ভাই। এরপর গৃহবধূকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে গোসল করার সময় সেনা সদস্যের মৃত্যু

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় বন্ধুদের নিয়ে কুলিক নদীতে গোসল করতে গিয়ে বেলাল পারভেজ আশিক (২৪) নামে এক সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।

তিনি উপজেলার দক্ষিণ বাঁশবাড়ী (ভান্ডারা) গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য মোস্তফা কামালের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে আশিক তার বন্ধুদের নিয়ে লেহেম্বা ইউনিয়নের খঞ্জনা গ্রামে কুলিক নদীতে গোসল করতে নামে। গোসল করার এক পর্যায়ে নদী পার হওয়ার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে তারা। নদী পার হওয়ার সময় পানির স্রোতে হারিয়ে যান আশিক। তাৎক্ষণিকভাবে তার বন্ধুরা খোঁজাখুঁজি করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

খবর পেয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে নদী থেকে তার মরদেহ উদ্বার করে।

রাণীশংকৈল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, আশিক ২ বছর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন।

 হজের সুযোগ পাচ্ছেন ১০ হাজার মানুষ

হজের আর বেশি দিন বাকি নেই। ইলেক্ট্রনিক্স পদ্ধতিতে এবার হজে অংশগ্রহণকারীদের নিবন্ধন গ্রহণ করেছে সৌদির হজ কর্তৃপক্ষ। আবেদনের তথ্য মতে জানা যায়, সৌদিতে বসবাসকারী ১৬০ দেশের মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে এবারের হজ। এতে সুযোগ পাচ্ছেন ১০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুমিন মুসলমান।

গণমাধ্যম সৌদি গেজেট, গলফ নিউজের তথ্য মতে, এ বছর সৌদিতে বসবাসরত ১৬০ দেশের মুসলিম নাগরিকরা হজে অংশগ্রহণ করবে। এতে বিদেশিদের মধ্য থেকে ৭০ শতাংশ লোক হজে অংশগ্রহণ করবে। আর সৌদির স্থানীয়দের মধ্য থেকে ৩০ শতাংশ লোক হজে অংশ নেবে। সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১০ হাজার মানুষ এবারের হজে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। তবে বাইরের কোনো দেশ থেকে হজ উপলক্ষে কেউ সৌদিতে আসার সুযোগ পাবে না।


ব্যাপক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে একাধিক ঘোষণার মাধ্যমে হজে অংশগ্রহণকারীদের দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়ম-কানুন আরোপ করা হয়েছে।

সূত্র মতে, আগামী ২৮ জুলাই থেকে শুরু হবে হজ। ইলেকট্র্রনিক স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে সৌদি আরবে বসবাসরত ১৬০ দেশের বাসিন্দাদের আবেদনের ভিত্তিতে হজে অংশ নেয়ার সুযোগ প্রদান করা হবে।

মোট হজ পালনকারীদের ৩০ শতাংশ হবেন সৌদি নাগরিক। সামরিক বাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরতরা এবারের হজে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন বলে জানা যায়। সৌদির হজ ও ওমরা মন্ত্রী ড. মোহাম্মাদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন সংবাদ মাধ্যমগুলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে আল আরাবিয়া ও সৌদি গেজেটের তথ্য মতে, গত ১০-১৫ জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে হজে অংশগ্রহণকারীদের আবেদন নেয়া হয়েছে। গণমাধ্যম দুটিতে উঠে এসেছে হজে অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ কিছু দিকনির্দেশনা। যেসব শর্ত মেনে এবার হজে অংশগ্রহণ করতে হবে। আর তাহলো-

- এবারের হজে অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত ও নিশ্চিত করতে প্রত্যেককেই একটি করে স্মাট কার্ড দেয়া হবে।
- কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রত্যেককেই প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামাদিসহ একটি ব্যাগ সরবরাহ করা হবে।
- হজের প্রতিটি রোকন স্থলে (পয়েন্টে) পর্যাপ্ত পরিমাণ জমজমের পানি সরবরাহ করা হবে।
- কাবা শরিফ তাওয়াফে ও সাফা-মারওয়ায় সাঈ-তে যথাযথ নিরাপত্তার জন্য ২ মিটার দূরত্বে জীবাণুমুক্ত করণ ব্যবস্থা রাখা হবে।
- মিনা-মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে প্রত্যেক হাজির জন্য কমপক্ষে ৯ মিটার স্থান বরাদ্দ থাকবে।
- মিনায় আবাসিক স্থাপনাগুলো হজ যাত্রীদের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, হজ চলাকালীন নির্ধারিত সময়ে পবিত্র নগরী মক্কার হজ পালনের স্থান ঐতিহাসিক মিনা-মুজদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করলেই ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা গুণতে হবে। জরিমানার এ বিধান ১৯ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

উল্লেখ্য যে, শুধু ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সিরা এবার হজের অনুমতি পাবেন। এ সব লোকদের মধ্যে যারা দীর্ঘস্থায়ী কোনো রোগে আক্রান্ত নন, তারও অনুমতির আওতায় থাকবে। তবে ৬৫ বছরের বেশি এবং যাদের কোনো সংক্রামক ব্যাধি আছে, তাদের হজে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে না।

হজ শুরু হওয়ার আগে অবশ্যই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেউ কোভিড-১৯ আক্রান্ত কি না, সে বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। হজ শেষে প্রত্যেককেই বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

পরীক্ষা ছাড়াই সনদের দাবিতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের সমাবেশ আজ

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০১৭ ও ২০২০ সালে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের লিখিত ও ভাইভা গ্রহণ না করে আইনজীবী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশের দাবিতে আজ বার কাউন্সিলের সামনে সমাবেশ করবেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।

রোববার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বাংলামোটরে বার কাউন্সিলের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হবে। কাফনের কাপড় পরে তারা সমাবেশ করবেন।

এর আগে গত ৭ জুলাই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এরপর সমাবেশের ডাক দেন। গত ৩০ জুন আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক ও সনদদানকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রতি এই আহ্বান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এর আগে, সনদের গেজেট দেয়ার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও বার কাউন্সিলের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। গত ৮ জুলাই থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে যান তারা।

জানা গেছে, দীর্ঘ পাঁচ বছরে একটি মাত্র এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় এবং বর্তমান করোনা ভয়াবহতার কারণে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বর্তমানে ১২ হাজার ৮৪৮ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। এছাড়াও ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরবর্তী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য অপেক্ষায় আছেন।

শিক্ষানবিশরা বলেন, আমরা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণ এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়ার প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০১৭ সালের ২১ জুলাই এবং ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তীর্ণ হই। দীর্ঘ প্রায় তিন বছর বার কাউন্সিল কর্তৃক এনরোলমেন্ট পরীক্ষা সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি, উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কোনো পরীক্ষা হয়নি। তবে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণ পরীক্ষার প্রিলিমিনারি সম্পন্ন হওয়ার পর বর্তমান করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারির কারণে লিখিত পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে যায়। এমন অবস্থায় শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের বিষয় মানবিকভাবে বিবেচনা করে লিখিত পরীক্ষা মওকুফ করে অথবা লিখিত ও ভাইভা উভয় পরীক্ষা মওকুফ করে ২০১৭ ও ২০২০ সালে এমসিকিউ উত্তীর্ণদের গেজেট প্রকাশ করে সনদের প্রদানের জন্য দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে শিক্ষানবিশ আইনজীবী আইনুল ইসলাম বিশাল বলেন, আইন অনুযায়ী গেজেট বা প্রজ্ঞাপন দ্বারা ২০১৭ ও ২০২০ সালে প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণদের সনদ প্রদান করতে কোনো বাধা নেই।


শিক্ষানবিশ আইনজীবী সুমনা আক্তার লিলি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইনের ছাত্র ছিলেন। কিন্তু আজ আমরা জাতির পিতার বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত, তিন বছর একটি পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছি। বার কাউন্সিলের বর্তমান কমিটি যেহেতু এখন পর্যন্ত কোনো এনরোলমেন্ট পরীক্ষা পুরোপুরি সম্পন্ন করতে পারেনি এবং বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লিখিত পরীক্ষা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনিশ্চিত সেহেতু ২০১৭ ও ২০২০ সালে প্রিলিমিনারি উত্তীর্ণদের লিখিত ও ভাইভা মওকুফ করে গেজেট প্রকাশ করে ২০২০ সালেই সনদ প্রদান করা হোক।

বিএসএমএমইউ ফিভার ক্লিনিকে সেবা নিয়েছেন ২৭৩৫৫ রোগী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে ফিভার ক্লিনিকে ডাক্তার দেখানো, করোনা ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা এবং প্রয়োজনে করোনা সেন্টারে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএসএমএমইউ ল্যাবরেটরিতে ৩৩ হাজার ৬৩ জন রোগীর নমুনা করোনা শনাক্তের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৩২ হাজার ৩৪৮ রোগীর পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গত ১ এপ্রিল বেতার ভবনে করোনাভাইরাস ল্যাবরেটরি চালু করা হয়। এ পর্যন্ত ফিভার ক্লিনিকে ২৭ হাজার ৩৫৫ জন রোগীকে সেবা প্রদান করা হয়েছে।


সম্প্রতি চালু হওয়া ৩৭০ শয্যার করোনা সেন্টারে বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৩৭০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওই সময় পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ২১৮ জন রোগী। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৭০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ২৪ ঘণ্টাই চালু রয়েছে বিএসএমএমইউর ৩৭০ শয্যার করোনা সেন্টারের চিকিৎসাসেবা প্রদান ও রোগী ভর্তি কার্যক্রম। গত ৪ জুলাই থেকে বিএসএমএমইউতে ৩৭০ শয্যার করোনা সেন্টারে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিকে আজ বিএসএমএমইউ অডিটোরিয়ামে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া করোনা সেন্টারে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী সম্মুখযোদ্ধা চিকিৎসক, শিক্ষক, রেসিডেন্টবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বেতার ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্থাপিত করোনাভাইরাস ল্যাবরেটরিতে রোগীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল প্রতিদিন আইইডিসিআরকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। রোগীরা বিএসএমএমইউয়ের ওয়েবসাইটে (www.bsmmu.edu.bd) প্রবেশ করে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ফিভার ক্লিনিক ও করোনাভাইরাস ল্যাবরেটরির সেবাসমূহ নিচ্ছেন।


বিএসএমএমইউয়ের বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে রোগীদের সুবিধার্থে হেল্প লাইন, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরিচালিত ‘বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন’ ইতোমধ্যে চালু করা হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া গত ৫ এপ্রিল বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন সেবা কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন।

সাড়ে ৩ বছরেও হয়নি উপবৃত্তির অর্থ লোপাটের বিচার

দেশের ২২ জেলায় শিশুদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালে। অর্থ হাতিয়ে নিয়েও কিছু অসাধু শিক্ষক-কর্মকর্তা পার পেয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু সাড়ে তিন বছরেও সে নির্দেশনার বাস্তবায়ন হয়নি।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের অক্টোবরে বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। পরে বিষয়টি তদন্তে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১১ জন উপসচিবের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি বিভিন্ন সময়ে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের মোট ২২টি উপজেলায় অনুসন্ধান করে সিরাজগঞ্জ, মাদারীপুর ও কুমিল্লা জেলার বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা অর্থ আত্মসাতের ঘটনার মূল হোতা বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।


পরে ২০১৬ সালের ২৯ নভেম্বর অভিযুক্ত এসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রণালয় তার প্রতিবেদনে জানায়, ভবিষ্যতে উপবৃত্তির টাকা বিতরণের সময় প্রতি জেলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে দুজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স টিম গঠন করে টাকা বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু প্রায় সাড়ে তিন বছর পার হলেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

সম্প্রতি কেরানীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদা সুলতানাসহ কয়েকজন কর্মচারী শিশুদের উপবৃত্তির ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে উচ্চমান সহকারীকে বদলি ও অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ শুরু করেছে ঢাকা বিভাগীয় অফিস। এখন আবার ২০১৬ সালে শিক্ষক-কর্মকর্তার মাধ্যমে ২২ জেলায় উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ বলেন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তি দেয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়টি আমার জানা নেই। তখন আমি দায়িত্বে ছিলাম না। যদি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তবে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget