Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

হাওর-বাঁওড় পেরিয়ে বিথঙ্গল ও দিল্লির আখড়া!

বেনজীর আহমেদ সিদ্দিকী: ঝুমুর দেব দিদির নিমন্ত্রণে ঢাকার সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে রাত সাড়ে ১১টার বাসে চারজনের (ফারুখ আহমেদ, সুমন বসাক, হাদিরাতুল ও আমি) ছোট্ট একটি দল রওনা হলাম হবিগঞ্জের মিরপুরের উদ্দেশ্যে। গাড়ি সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে রাতের নীরবতাকে ভেদ করে লাগামহীন ঘোড়ার মতো ছুটে রাত প্রায় ২টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জে পৌঁছল। মাঝরাতে বাসস্ট্যান্ডের পাশের দোকানে চা, বিস্কুট খেয়ে ঘুম তাড়িয়ে অটোরিকশায় চেপে ঘণ্টাখানেকের মাঝে হবিগঞ্জের মিরপুর স্ট্যান্ডে চলে এলাম। ঝুমুর দিকে ফোন করে ঘুম থেকে তুলে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম তার বাসায়। বেশ সাজানো গোছানো বাসায় পৌঁছে হাত-মুখ ধুয়ে সবাই কিছুটা গা এলিয়ে দিলাম। দিদি তার মায়াবতী হাতের ছোঁয়ায় দারুণ সব নাস্তা বানিয়ে নিয়ে হাজির হলেন। অমৃতসম ঝিনুক পিঠা, তালের পিঠা, ডালের পিঠা, দধি ও মুরগি ভুনার স্বাদ এখনও জিহ্বায় লেগে আছে।

খুব সকালে মিরপুর থেকে অটোরিকশায় চেপে সবাই রওনা হলাম হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের কালাডুবা নামক জায়গার উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে খোয়াই নদীর পাড়ে কিছুক্ষণ থেমে নদী তীরবর্তী জীবনযাপন, হাঁসের দলের সাঁতার ও সকালের সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। কালাডুবায় পৌঁছে হাওরের পাশেই ‘মায়ের দোয়া’ নামক দোকানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম ও চা পান করতে করতে আগে থেকে ঠিক করে রাখা বজরা ঘাটে ভিড়ল।

বজরায় উঠে সবাই বসামাত্রই মাঝি ইঞ্জিন চালু করে দিলো। কালাডুবা হাওরের জল কেটে লাল-সাদা শাপলা ও বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদের মাঝ দিয়ে বজরা যাত্রা শুরু করল। তখন মাথার উপর বিশাল আকাশে নীল-সাদা মেঘের খেলা, এর মাঝ দিয়েই সোনালি আলোর বিচ্ছুরণ ও মৃদু ঠান্ডা বাতাস শরীরে অন্যরকম আনন্দ দিচ্ছিল। দূরে তাকাতেই দ্বীপের মতো দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ি, হিজল, করচ গাছগুলো আপনমনে ডাকছিল।

ঢেউয়ের তালে দুলতে দুলতে বজরা একসময় বিরতি নিল পলি পড়ে গড়ে ওঠা ঢিবির পাশে। আমি, সুমন দা, ঝুমুরদি ও হাদিরাতুল বজরা থেকে নেমে কাঁদা মাটিতে বাচ্চাদের সাথে খেললাম। কাঁকড়া ও এর বাসস্থান দেখলাম। বাচ্চাদের ভেলায় চড়ে জলে ভাসলাম। ওদিকে ফারুখ ভাই তখন একের পর এক সাটার টিপে অসাধারণ দৃশ্যগুলো স্মৃতিবন্দি করতে ব্যস্ত।

এরমাঝে সুমন দা বায়না ধরে বসল যে, সে এই ঢিবি ছেড়ে যাবে না। এখানেই দিনের বাকি সময়টা ছবি এঁকে কাটিয়ে দেবে। শেষে তাকে অনেক বুঝিয়ে যাত্রা শুরু করলাম বিথঙ্গল হাওরের উদ্দেশ্যে। কিছুদূর যেতেই পরিষ্কার সবুজ জলে পানকৌড়ির ডুবসাঁতার, ছোট মাছের লাফালাফি ও এদের পিঠে আলোর ঝলক দেখে মুগ্ধ হলাম। ঝুমুর দিদি বাসা থেকে বড় এক টিফিনবাক্স ভরে পায়েস, দধি ও পিঠা এনেছিলেন। ছইয়ের নিচে বসে ঢেউ আর বিস্তৃত জলরাশি দেখতে দেখতে সবাই তা উপভোগ করলাম। এভাবে ঢেউয়ের তালে দুলতে দুলতে দুপুরের দিকে এসে পৌঁছলাম অনেক প্রাচীন বিথঙ্গল আখড়ার ঘাটে।

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় বিথঙ্গল গ্রামে বিথঙ্গল বড় আখড়া বা বিথঙ্গল আখড়ায় দুপুরে পৌঁছে প্রচণ্ড রোদের মাঝে পড়লাম। আখড়ায় জুতা খুলে প্রবেশ করামাত্র পায়ের নিচে টের পেলাম আগুনে গরমের তীব্রতা। গরমের তীব্রতাকে উপেক্ষা করেই মধ্যযুগীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত আখড়াটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম। একপর্যায়ে আখড়ার একজন সেবক জানালেন, বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থস্থান হিসাবে পরিচিত এ আখড়া। রামকৃষ্ণ গোস্বামী উপমহাদেশের বিভিন্ন তীর্থস্থান সফর শেষে ষোড়শ শতাব্দিতে বিথঙ্গল গ্রামে আখড়াটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় ৫০০ বছর আগে ত্রিপুরার রাজা উচ্চবানন্দ মানিক্য বাহাদুর প্রাচীন নির্মাণ কৌশল সমৃদ্ধ দুটি ভবন নির্মাণ করে দেন। মানিক্য বাহাদুর ও তার স্ত্রী এতে প্রায়ই এসে অবস্থান করে ধর্মকর্ম করতেন।

মধ্যযুগীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত বিথঙ্গল বড় আখড়ায় ১২০ জন বৈষ্ণবের জন্য পৃথক কক্ষ রয়েছে। এখানে যথাযোগ্য ভাব-গাম্ভীর্য্যের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন উৎসবের মধ্যে আছে- আষাঢ় মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রথযাত্রা, ফাল্গুন মাসে দোল পূর্ণিমার ৫ দিন পর পঞ্চম দোল উৎসব, কার্তিক মাসের শেষদিনে ভোলা সংক্রান্তিতে কীর্তন, চৈত্রের অষ্টমী তিথিতে পূণ্যস্নান ও বারুনী মেলা ইত্যাদি।

তিনি আরও জানালেন, এ আখড়ার অন্যতম নিদর্শনের মধ্যে সুসজ্জিত রথ, পিতলের সিংহাসন, ২৫ মণ ওজনের শ্বেত পাথরের চৌকি, রৌপ্যপাত্র ও সোনার মুকুট উল্লেখযোগ্য। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিথঙ্গল বড় আখড়া পরিদর্শন করতে আসেন।

আখড়া দেখার পর পুকুরে ডুবসাঁতার দিতে দিতে মনে হলো প্রাচীন ও ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আখড়াটি পরিচর্যার অভাবে তার সত্যিকারের সৌন্দর্য দিনে দিনে হারিয়েছে। গোসল সেরে আখড়ার নানা আচার-অনুষ্ঠান দেখতে দেখতে ক্ষুধা পেয়ে গেল। বিথঙ্গল আখড়ার পাশেই হাওরের কূল ঘেঁষে গড়ে ওঠা একটি খাবারের দোকানে ছোলাভূনা, মিষ্টি ও দই-চিড়া খেয়ে আবারও নৌকায় উঠলাম। উদ্দেশ্য কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার শেষপ্রান্তে অবস্থিত দিল্লির আখড়া।

লক্ষ্মীর বাওর পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম প্রাচীন দিল্লির আখড়ায়। স্থানটি দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীরের বদান্যতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে এর এমন নামকরণ হয়েছে বলে জানা যায়। প্রায় ৪০০ বছর আগের এক মিথ নিয়ে স্থানটি আজও ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। আখড়ার চারপাশে আছে অসংখ্য হিজল গাছ। গাছগুলো এখানকার প্রচলিত মিথের অংশ। প্রায় ৩৭২ একর জমি নিয়ে গড়ে ওঠা আখড়াটি নারায়ণ গোস্বামীর হাতে প্রতিষ্ঠিত। হিজল গাছ, হাওরের সৌন্দর্যে চমৎকার একটি স্থান দিল্লির আখড়া।

প্রায় ৪০০ বছর আগে জায়গাটির পাশ দিয়ে দিল্লির সম্রাট প্রেরিত একটি কোষা নৌকা মালামালসহ ডুবে যায় এবং একজন সাপের কামড়ে মারা যায়। এ কথা শুনে পার্শ্ববর্তী বিথঙ্গল আখড়ার গুরু রামকৃষ্ণ গোস্বামী তার শিষ্য নারায়ণ গোস্বামীকে এখানে পাঠান। টানা সাত দিন তিনি এখানে রহস্যজনক নানা শক্তির সম্মুখীন হন এবং পরবর্তীতে এখানে বসবাস করা অসংখ্য দানব মূর্তিকে আধ্যাত্মিক শক্তিবলে হিজল গাছে রূপান্তর করেন। আর সম্রাটের ডুবে যাওয়া নৌকাটিও উদ্ধার করে দেন। খুশি হয়ে সম্রাট জায়গাটি আখড়ার নামে দান করে দেন। সম্রাট জাহাঙ্গীর ১২১২ সালে আখড়ার নামে একটি তামার পাত্রে ওই জমি লিখে দেন। কিন্তু ১৩৭০ সালে ডাকাতরা তা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এসব প্রাচীন আখ্যান ভাবতে ভাবতে আখড়ার ভবন, গাছে অজস্র পানকৌড়ি ও বকের বাসা, বাচ্চাকে খাওয়ানোর দৃশ্য, ভিন্ন ভিন্ন আকৃতির সারি সারি হিজল আবৃত পরিবেশ উপভোগ করতে লাগলাম। হাঁটতে হাঁটতে আখড়ার একপাশে দেখলাম মার্বেলের মতো মাটির গোল গোল বল শুকাতে দেওয়া আছে। এখানকার ভক্তরা বিশ্বাস করে আখড়ার মাটির এই মার্বেল খেলে না-কি নানা রোগ-বালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং মনের ইচ্ছা পূর্ণ হয়। তাই পুরোহিতদের হাতে গড়া ও তন্ত্রমন্ত্র পাঠ করে ফুঁ দিয়ে দেওয়া এসব মাটির মার্বেল আখড়ার ভক্তরা বিশ্বাস নিয়ে খায় এবং বাড়িতে রাখে। ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’- আমার মস্তিষ্কের যুক্তির জায়গায় বারবার ঘোরা শুরু হলো। বিভিন্ন বিষয় ভাবতে ভাবতে আখড়ার ভেতরে দেখে ফেললাম আধ্যাত্মিক সাধক নারায়ণ গোস্বামী ও তার শিষ্য গঙ্গারাম গোস্বামীর সমাধি, ধর্মশালা, নাটমন্দির, অতিথিশালা, পাকশালা ও বৈষ্ণবদের থাকার ঘর এবং আখড়ার দু’দিকের দুটি পুকুর।

প্রতিবছর চৈত্র মাসে এখানে মেলা বসে। মেলাকে কেন্দ্র করে আশেপাশের নানা অঞ্চলের মানুষের সমাবেশ দেখা যায়। এ ছাড়া প্রতি অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার রাতে এখানে ভোগ দেওয়া হয়।

হিজলের বনে তখন সূর্য তার শেষ আলো দিয়ে ডুবে যেতে শুরু করেছে। আমরা সারাদিনের অজস্র ভালো লাগার অনুভূতি নিয়ে বজরায় চেপে হবিগঞ্জে ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। ফেরার পথে বজরার ছাদে শুয়ে আকাশের নানা রং বদল দেখা এবং হঠাৎ নেমে আসা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি অপার্থিব অনুভূতি দিয়েছিল।

বছরের বিভিন্ন সময়ে বিথঙ্গল ও দিল্লির আখড়ায় যাওয়া গেলেও বর্ষা ও শরতের শেষ অবধি বা যতদিন হাওরে পানি থাকে; ততদিন পর্যন্ত এখানে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। ঢাকার সায়েদাবাদ বা মহাখালী থেকে বাস যায় হবিগঞ্জের দিকে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে শুরু করে আধা ঘণ্টা-এক ঘণ্টা পরপর বাস ছেড়ে যায়। চাইলে রাতের উপবন ট্রেনে চলে যেতে পারেন। রাত দশটায় উপবন ছাড়ে এবং শায়েস্তাগঞ্জ থামে রাত তিনটায়। সেখান থেকে অটোতে হবিগঞ্জ। হবিগঞ্জ শহরে এসে সেখান থেকে কালাডুবা ঘাট যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠতে হবে। ঘাট থেকে দরদাম করে বিথঙ্গল যাওয়ার ট্রলার বা বজরা ভাড়া করে ভেসে পড়ুন হাওরের সবুজ জলে। চাইলে কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলি বা বাজিতপুর থেকেও যাত্রা করতে পারেন। সময় দুই ঘণ্টা লাগবে।

বিশ্রামের জন্য হবিগঞ্জ শহর বা বানিয়াচংয়ের আবাসিক হোটেলে থাকতে পারেন। আর খাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ শহরই ভরসা। আখড়ার আশেপাশের ছোট্ট দোকানগুলো সাময়িক ক্ষুধা-তৃষ্ণা মেটাবে। বিথঙ্গল ও দিল্লির আখড়ায় যাত্রার সময় সঙ্গে শুকনো খাবার ও পানি নিতে ভুলবেন না।

একজন পর্যটক হিসেবে যেখানেই যাবেন, দয়াকরে আপনার দ্বারা ভ্রমণ স্থানের কোনো প্রকার সৌন্দর্যহানী যেন না ঘটে।

ডিলিট হওয়া ফোন নাম্বার ফিরে পাওয়া সম্ভব


প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বার সংরক্ষণে গুগল কনট্যাক্ট বেশ জনপ্রিয়। স্মার্টফোনে জিমেইল লগইন করলেই গুগল কনট্যাক্ট থেকে ফোনবুকে চলে আসে সংরক্ষণ করা নাম্বারগুলো।

কোন কারণে গুগল কনট্যাক্ট থেকে যদি ফোন নাম্বার ডিলিট হয়ে যায় তাহলে তা আর ফিরে পাওয়ার উপায় ছিল না এতদিন। এবার সেই উপায় নিয়ে এলো গুগল কনট্যাক্ট।


এই ফিচারের সাহায্যে সহজেই ডিলিট হওয়া কন্ট্যাক্টস রিস্টোর করা যাবে।

গুগল কনট্যাক্টের এই ফিচার অনেকটা রিসাইকেল বিনের মতো। সে জন্য এর নাম দেওয়া হয়েছে ট্রাস। যা গুগল কনট্যাক্টে নতুন ট্যাব হিসেবে যুক্ত হচ্ছে।

যে সব ফোন নাম্বার ডিলিট হয়ে যাবে সেই সব নাম্বার ট্রাসে পাওয়া যাবে। নাম্বারটি অ্যাপ নাকি ওয়েবসাইট থেকে ডিলিট হয়েছিল তাও জানা যাবে এখানে।

ডিলিট হওয়া নাম্বার ৩০ দিনের মধ্যে রিকভার করা যাবে। যেখানে ব্যবহারকারীর কাছে দুটি অপশন থাকবে Delete Forever বা Recover। এর মধ্যে থেকে একটি বেছে নিতে হবে।


গুগল জানিয়েছে, এই ফিচার প্রথমে গুগল কনট্যাক্টের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। কিছুদিনের মধ্যে একটি জি-সুইট ব্যবহারকারী এবং ব্যক্তিগত গুগল অ্যাকাউন্টে পাওয়া যাবে।

বর্ষায় অ্যালার্জির সমস্যা দূর করবেন যেভাবে


বর্ষায় যেসব সমস্যা আমাদের কাবু করে রাখে তার মধ্যে একটি হলো অ্যালার্জি। স্যাঁতস্যাঁতে চারপাশ, রোদের দেখা না পাওয়া, ভেজা জামা-কাপড় সব মিলিয়ে ঘরের ভেতরে দূষণ বাড়ে। করোনার ভয়ে ঘরের ভেতরেই থাকতে হচ্ছে বেশিরভাগ সময়। তাই ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকতে এটি সাহায্য করবে।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া মানেই করোনাভাইরাসের ভয়টা বেড়ে যাওয়া। বাড়িতে থাকা নানা আসবাবপত্রে সবচেয়ে বেশি ধুলো জমে। সেখান থেকেও বাড়তে পারে অ্যালার্জির সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে অ্যালার্জিকে অবহেলা না করে সুস্থ থাকার চেষ্টা করতে হবে। কীভাবে সুস্থ থাকবেন তা প্রকাশ করেছে এই সময়।

ঋতু পরিবর্তনের সময়ই যদি অ্যালার্জির সমস্যা হয় তবে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। অনেক সময় কোনো খাবার, কোনো বিশেষ সময়, কোনো বিশেষ কাপড়ের পোশাক, কোনো বিশেষ জিনিস থেকেও অ্যালার্জি শুরু হতে পারে। এর পাশাপাশি ধুলোবালি তো রয়েইছে। খেয়াল রাখুন মাস্কের প্রতিও।

পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি যদি সর্দির ধাত থাকে তবে নাক সব সময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। নাকের মাধ্যমেই মূলত অ্যালার্জির উপাদান শরীরের ভেতর ঢোকে। প্রয়োজনে স্টিম নিন, নাকের স্প্রে নিন। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ফেলুন।


সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ৩৩ শতাংশ অ্যালার্জির রোগী সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পান না। এর কারণ হলো সচেতনতার অভাব। বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন, অ্যালার্জির দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যা নেই। তাই যতক্ষণ না রোগ বড় আকারে দেখা দিচ্ছে, ততক্ষণ তারা চিকিৎসা করেন না।

ঘরবাড়ি পরিষ্কার না থাকলে মূলত ডাস্ট অ্যালার্জি হয়। এর কারণে হাঁচি, কাশি ছাড়াও চোখ-নাক থেকে অনবরত পানি পড়ার সমস্যা, শ্বাসকষ্ট বা ত্বকে র্যাশও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। তাই ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধের বিকল্প হিসেবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগানো যেতে পারে। প্রথমেই ঘরের পরিচ্ছন্নতা প্রয়োজন। এরপর সবুজ শাক-সবজি, গ্রিন টি, ঘি খাওয়া এবং ভেপার নেয়া যেতে পারে।

সুস্থ হয়ে উঠছেন বচ্চন পরিবারের সবাই

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বচ্চন পরিবারের সবাই হাসপাতালে ভর্তি। তবে চিকিৎসা নিয়ে এখন একটু সুস্থ আছেন অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন ও আরাধ্য বচ্চন।

অমিতাভ ও অভিষেকের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত ১১ জুলাই নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এর একসপ্তাহ পরে ঐশ্বর্য ও আরাধ্যাকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে মা-মেয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।


হাসপাতালের সূত্রে জানা গেছে, তারা প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন। সবাই চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তাদেরকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ঐশ্বরিয়ার একটু কাশি রয়েছে। তবে এখন অনেকটাই সুস্থ তিনি। আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকত হবে।

করোনাভাইরাস শনাক্তের পর ভক্তদের সঙ্গে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ রাখছেন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন।

গত শুক্রবার টুইট করে জানান, সুখের সময় হোক বা কঠিন সময়- আমার কাছের পরিজনরা, শুভাকাঙ্খীরা, আমার ভক্তরা সবসময়েই ভালোবাসা, স্নেহ এবং প্রার্থনায় ভরিয়ে দিয়েছে। হাসপাতালের এই প্রটোকল ও অনুশাসনের মধ্যে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।

ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মেসিবার্সার বিরুদ্ধে

অনেক আগেই মেসির সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়েছিলো কোচ সিসে সেতিয়েনের সঙ্গে। করোনা মহামারি শুরুর আগেই ন্যাপোলির সঙ্গে যখন ১-১ গোলে ড্র করেছিল বার্সা, তখনই মেসি সরাসরি বলেছিলেন, সেতিয়েনের অধীনে বার্সা কিছুই জিতবে না।

যদিও পরে মেসি ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলে দাবি করছেন এবং সেতিয়েনেও বলেছেন, এগুলো ‘মিস আন্ডারস্যান্ডিং’। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্য প্রমাণিত হলো। লিগের এক ম্যাচ হাতে রেখেই এবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। বরং, শেষ ম্যাচে ওসাসুনার কাছে হেরে রিয়ালকেই শিরোপাটা দিয়ে দিলো বার্সা।


করোনার পর ফুটবল মাঠে ফিরলেও আগের পারফরম্যান্স নিয়ে ফিরতে পারেনি বার্সা। টানা তিনটি ম্যাচ ড্র করা এবং সর্বশেষ ওসাসুনার কাছে হার, রীতিমত ক্ষুব্ধই করে তুলেছে দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে। তিনি সরাসরি দাবি করেছেন, বার্সা হচ্ছে একটি অধারাবাহিক এবং দুর্বল দল।

রিয়াল মাদ্রিদকে স্বীকৃতি দিয়ে মেসি বলছেন, ‘মাদ্রিদই এবারের শিরোপার দাবিদার। তারা ভালো খেলেছে।’ বিশেষ করে করোনার পর টানা ১০ ম্যাচ জিতে রিয়াল প্রমাণ করেছে, তারাই যোগ্য চ্যাম্পিয়ন।

নিজ দলের পারফরম্যান্সে যারপরনাই হতাশ মেসি। ক্ষুব্ধ কণ্ঠেই তিনি বলেন, ‘দলের খেলোয়াড়দের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে, যেন চেষ্টা করেও জেতা যায়নি। তবে অনেক ক্ষেত্রে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি। আর প্রথমার্ধে ওরা (ওসাসুনা) আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছে। অনেক দিন আগেই বলেছিলাম যে, এভাবে খেলতে থাকলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা খুব কঠিন। এমনকি নাপোলির বিরুদ্ধেও হেরে যাব আমরা।’

এমন পরিণতি কোনোমতেই চাননি মেসি। তিনি সোজাসুজি বলে দিয়েছেন, ‘এভাবে মৌসুম শেষ করতে চাইনি আমরা। তবে আমরা আগাগোড়া এমনই অগোছালো খেলেছি। খুব দুর্বল দেখিয়েছে দলকে। একই সঙ্গে নিজেদের মধ্যে জেতার কোনো তাগিদই দেখিনি। অনেক পয়েন্ট নষ্ট করেছি আমরা। এই হারেই সেগুলো প্রতিফলিত। আমাদের নিজেদেরকেই সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখতে হবে। আমরা বার্সা। আমাদের জিততে হবে সবকিছুই। মাদ্রিদের দিকে তাকালে চলবে না। ওরা নিজেদের কাজটা করেছে; কিন্তু আমরা ওদের অনেক সাহায্যও করেছি।’


চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দিকেই নজর দিতে চান মেসি। তিনি বলেন, ‘এবার সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। যা জিততে হলে আমাদের অনেক বদলাতে হবে। যদি এভাবেই খেলতে থাকি, তবে নাপোলির বিরুদ্ধেও হারতে হবে।’

 ইসরায়েলে আটক করেছে ৬৯ ফিলিস্তিনি নারী-শিশুকে

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৬৯ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে আটক করেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের বন্দি বিষয়ক রিসার্চ সেন্টারের মুখপাত্র রিয়াদ আল-আশকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার পশ্চিম তীরে এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনি নারীদের আটক করার সময় কোনো রকমের বাছবিচার করে না। এমনকি তারা বৃদ্ধা এবং অসুস্থ নারীদেরও ধরে নিয়ে যেতে দ্বিধা করে না।


আল-আশকার বলেন, ফিলিস্তিনি নারীরা যাতে কোনো ধরনের ইসরায়েলবিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রামে অংশ না নেন সেজন্য তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই নারীদের এভাবে ধরে নিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব।

এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসরায়েলবিরোধী পোস্ট দেয়ার দায়েও ফিলিস্তিনি নারীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এই মুখপাত্র বলেন, বর্তমানে ইসরায়েলের কারাগারে ৪১ ফিলিস্তিনি নারী বন্দি রয়েছেন। এদের মধ্যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে এবং বাকি ১৬ জন বিনা বিচারে আটক আছেন।

আল-আশকার জানান, ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে বর্তমানে চার হাজার ৮শ ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন যাদের মধ্যে ১৭০ জন শিশু ও বৃদ্ধ রয়েছেন।-পার্স ট্যুডে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget