Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁয় ৬ কেজি গাজা ও ফেন্সিডিল সহ আটক ৩

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁয় প্রথক প্রথক স্থানে ৬ কেজী গাজা ও ৭০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার ভোড়রাতে বদলগাছী উপজেলার মথুরপুর গ্রামের আবুল হোসেন এর ছেলে রাসেল হোসেন(২৫) এবং বেলাল হোসেন এর ছেলে সাজু (২৫) ও ধামরহাট উপজেলার জাহানপুর গ্রামের আবু তাহের এর ছেলে মামুনকে আটক করা হয়। আটককৃত আসামীদের নওগাঁ পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নন মিয়া বিপিএম নির্দেশনায় প্রেস ব্রিফিং করে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আসামীদের জেল হাজতে প্রেরন করেন।

নওগাঁয় বাণিজ্যিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে অধিক পুষ্টিগুন সম্পন্ন কচু ও কচুর লতির চাষ ॥ রপ্তানি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে

আব্দুর রউফ রিপন, রাণীনগর (নওগাঁ): নওগাঁর রাণীনগরে চলতি মৌসুমে কচু চাষে সফলতা পেয়েছেন উপজেলার অনেক কৃষক। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-আইরনসহ অন্যান্য পুষ্টিগুন সম্পন্ন সর্বাধিক পরিচিত সবজি হচ্ছে কচু। কচু মূলত গরীবের সবজি হিসেবে বেশি পরিচিত। মুখি কচু চাষে কোনো ঝুঁকি না থাকায় উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অধিক লাভজনক কচু ও কচুর লতি চাষ। মুখি কচু চাষে উৎপাদন খরচ খুব কম হওয়ায় লাভের পরিমাণ অনেক বেশি।

 
নওগাঁয় বাণিজ্যিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে অধিক পুষ্টিগুন সম্পন্ন কচু ও কচুর লতির চাষ ॥ রপ্তানি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে
কৃষি অফিস সূত্রে জানা, বর্তমানে উপজেলার প্রায় ৮হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে কচুর চাষ হচ্ছে। মুখিকচু হিসেবে পরিচিত স্থানীয়ভাবে লতিরাজ জাতের কচু অনেকের কাছেই জনপ্রিয় সবজি হয়ে উঠেছে। ক্রমাগত চাহিদা বৃদ্ধি ও ভালো বাজারমূল্য পাওয়ায় উপেজলার বির্স্তীণ এলাকাসহ এ অঞ্চলের কচু চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় উপযুক্ত ভূমি, অনুকূল আবহাওয়া ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় সার্বিক সহযোগিতায় কচুর চাষ ভালো হয়েছে। শ্রমিক যতœ ও চাষাবাদে স্বল্প ব্যয় হওয়ায় অনেক কৃষক কচু ও কচুর লতির চাষকে বাণিজ্যিক ভাবে গ্রহণ করেছেন। কম উৎপাদন খরচ ও ভালো মুনাফার কারণে উপজেলায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মুখিকচু চাষ। উপজেলায় সাদা ও লাল রঙ্গের কচুসহ বিভিন্ন জাতের কচুর চাষ করছেন কৃষক। প্রায় সব জাতের কচুই পানিমগ্ন এলাকায় ও লতিরাজ কচু কিছুটা উচু জমিতে ভালো হয়। ধান চাষের চেয়ে প্রায় ৫গুন বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কচু চাষে খুব অল্প পরিচর্যা করতে হয়। তাই এর চাষে ঝুঁকিও অনেক কম। এছাড়া ঝড়ে হেলে পড়া কিংবা শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতির কোন আশঙ্কা নেই। কচু গাছের বহুমুখি ব্যবহার হয়। প্রথমতো কচুর পাতা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়, কচুর শক্ত শরীর ও কচুর লতি পুষ্টিকর তরকারি হিসেবে এবং কচুর গাছ থেকে মূল বা চারা হিসেবেও বিক্রি করা যায়। তাই একজন কৃষক অনায়াসে এক বিঘা জমিতে কচুর আবাদ থেকে প্রতি মৌসুমে প্রায় ১লাখ টাকা লাভ করতে পারেন কোন ঝুঁকি ছাড়াই। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে কচুকন্দ ও কচুর লতি ৪০-৪৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং আগামীতে এই দাম আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যান্য সবজির চেয়ে কচুর স্বাদ ও পুষ্টিগুন বেশি থাকায় এর চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। এতে কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। গরু, ছাগল কচু খায় না এবং তা দেখাশোনার জন্য বাড়তি কোনো শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। মুখি কচু চাষে কোনো ঝুঁকি নেই। কৃষক জমিতে মুখি কচু রোপন করে তুলনা মূলক কম সময়ে অথ্যাৎ ৪৫দিনের মধ্যে বিক্রি করতে পারেন। কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষকরা রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব (গবর) সার করছেন। জানুয়ারী মাসের প্রথমার্ধে লতিরাজ জাতের কচু পাওয়া যায়। এই কচু চাষ মধ্য এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে মধ্য ডিসেম্বর ৮মাস পর্যন্ত চলে। প্রতি বিঘা জমি হতে ৮০ থেকে ১শত মণ পর্যন্ত কচু উৎপাদন হয়।

 
উপজেলার নগর ব্রিজ এলাকার কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন ঝামেলা কম ও কম খরচে কচুতে আমি চলতি মৌসুমে অনেক লাভ করেছি যা অন্য কোন ফসল থেকে সম্ভব নয়। তাই আগামীতে আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে দ্বিগুন জমিতে কচু চাষ করবো। আমরা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের কাছেও কচু, কচুর লতি ও মূল (চারা) বিক্রি করছি। এতে করে লাভ অনেকটাই বেশি পাচ্ছি। বাজারজাতের বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন বর্তমানে উপজেলার কৃষকরা অধিক লাভজনক কচু চাষের দিকে ঝুঁকছেন। কচু পরিবেশ বান্ধব, বিষমুক্ত ও পুষ্টির শস্য। কৃষি বিভাগ আগ্রহী কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল কচুর চারা সরবরাহ করাসহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এছাড়াও কচু চাষে জমির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি পায়। কৃষকরা কচু চাষের পর ওই জমিতে অন্যান্য ফসলও চাষ করতে পারবেন। তবে দিন দিন বাজারে অধিক পুষ্টিগুন সম্পন্ন কচুর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়াই এর চাষের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি অফিস কচু চাষে আগ্রহী কৃষকদের অধিক ফলনশীল কচুর চারা সরবরাহ করা থেকে শুরু করে সার্বিক সহোযিগতা দিয়ে আসছে।

নওগাঁর রাণীনগরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জীবানুনাশক ট্যানেলের উদ্বোধন

নওগাঁর রাণীনগরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ৩টি জীবানুনাশক ট্যানেলের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাণীনগর থানা প্রাঙ্গনে এই ট্যানেলের আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ১লাখ ৭৩হাজার টাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গন, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন ও রাণীনগর থানা প্রাঙ্গনে এই ৩টি জীবানুনাশক ট্যানেল নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের নির্দেশনায় ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রকৌশলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই ট্যানেল নির্মাণ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন, উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা, রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল হক, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের সভাপতি আসাদুজ্জামান পিন্টু প্রমুখ। ১নং খট্টেশ্বর রাণীনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের সভাপতি আসাদুজ্জামান পিন্টু বলেন উপজেলার এই ৩টি প্রাঙ্গন খুবই গুরুত্বপূর্ন। প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে শত শত মানুষকে এই ৩টি স্থানে বিভিন্ন জরুরী কাজে আসতে হয়। সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের সার্বিক নির্দেশনায় ও উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই ৩টি জনগুরুত্বপূর্ন স্থানে জীবানুনাশক ট্যানেল নির্মাণ করা হলো যাতে করে সাধারন মানুষরা কাজ শেষ করে এই সব স্থান থেকে করোনা ভাইরাসের জীবানু থেকে নিজেকে মুক্ত করে বাড়ি ফিরতে পারেন। করোনা ভাইরাসের এই সংকটময় সময়ে আগামীতেও আমাদের এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর প্রাণ গেল নামাজের বিছানায়

রানীনগর,নওগাঁ: নওগাঁর রানীনগরে নামাজরত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে সামছুন নাহার (৩৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করেছেন পাষন্ড স্বামী। ঘটনার পর ঘাতক স্বামী সিরাজুল ইসলামকে (৪৮) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা।
 রোববার বিকেলে উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের আতাইকুলা সরদার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সিরাজুল ইসলাম গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০বছর আগে সিরাজুল ইসলাম উপজেলার এনায়েতপুর মঙ্গলপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে সামছুন নাহারকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এর মধ্যে তাদের একবার বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। পারিবারিক সমঝোতায় পুনরায় তাদের বিয়ে হয়। এরপর দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে তিন ছেলের জন্ম হয়।

রোববার বিকেলে সামছুন নাহার ঘরে আসরের নামাজ পড়ার সময় সিরাজুল ইসলাম পেছন থেকে তাকে ছুরিকাঘাত করেন। সামছুন নাহারের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সিরাজুল পালিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
অপরদিকে ছুরিকাঘাত করে সিরাজুল নদীতে ঝাঁপিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশে সোর্পদ করে।

নিহতের শ্বশুর আবেদ আলী বলেন, ছেলের আলাদা সংসার। সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। তারই ধারাবাহিকতায় ক্ষোভের বসে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।

রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল হক বলেন, ঘটনার পর এলাকাবাসী সিরাজুল ইসলাম আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বিপদে প্রতিবেশীকে টাকা ধার, ফেরত চাওয়ায় পিটিয়ে হত্যা!

সায়ীদ আলমগীর,কক্সবাজার : কক্সবাজারে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ঋণগ্রহীতার পরিবারের লোকজনের পিটুনিতে এক শ্রমজীবী নারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ওই নারীকে পিটিয়ে আহত করা হয়।

শনিবার (১১ জুলাই) ভোরে গুরুতর অবস্থায় ওই নারীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। কক্সবাজার পৌরসভার দক্ষিণ কলাতলীর বড়মিয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।


নিহত কুলসুমা বেগম (৪০) কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কলাতলীর বড়মিয়া পাড়ার জোড়া হাম্বা এলাকার মৃত নুরুল আবছারের স্ত্রী। তিনি তিন ছেলে এক মেয়ের জননী ছিলেন।

তার বড় ছেলে জাহেদুল ইসলাম সুমন (২৩) বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। পাঁচ বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের নিয়ে কলাতলীর বড়মিয়া পাড়ার জোড়া হাম্বা এলাকায় একটি জমির পাহারাদার হিসেবে বাস করছিলেন মা। আমরা মাছ শিকার করি। মা বাসাবাড়িতে কাজসহ শ্রম বিক্রি করে সংসার চালাতেন। সেখানে বাস করতে গিয়ে স্থানীয় রকিম আলীর পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হয আমাদের।

পরিচয়ের সূত্রে মাস তিনেক আগে বিপদের কথা বলে মায়ের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার চান প্রতিবেশী রকিম আলী। না থাকলে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে হলেও দিতে বলেন। প্রতিবেশীর বিপদ দেখে এনজিও থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ এবং নিজের কানের দুল বন্ধক দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা এনে মোট ২০ হাজার টাকা ধার দেন রকিম আলীকে। কথা ছিল কিস্তি ও বন্ধকের সুদ রকিম আলী চালাবেন। কিন্তু ধার পাওয়ার পর রকিমদের চরিত্র পাল্টে যায়। তারা কিস্তিও চালান না; টাকাও শোধ দেন না।

সুমন আরও বলেন, এ নিয়ে তাদের পরিবারের সঙ্গে আমাদের মনোমালিন্য চলছিল। শুক্রবার বিকেলে রকিম আলীর স্ত্রী তৈয়বা বেগমকে বাড়ির কাছে পেয়ে টাকা খোঁজার পর মায়ের সঙ্গে বাগবিতণ্ড হয়। যা দুজনের মাঝে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। এর জেরে রকিম আলীর ছেলে হাবিব উল্লাহ ও আবদুল্লাহ এসে আমাকে আমাকে মারধর করেন। রাতে সবাই যার যার মতো ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ মায়ের মোবাইলে একটা কল আসে। মা রকিম আলীর বাসায় যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যান। এরপর সারারাত মাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভোর ৬টার দিকে রকিম আলীর বড় মেয়ে শাহেনা ফোন করে বলেন, আমার মা সদর হাসপাতালে। দ্রুত সেখানে এসে দেখি মায়ের মরদেহ পড়ে আছে। তার সারা শরীর এবং মুখে আঘাতে চিহ্ন। খবর পেয়েছি রকিম আলী আমার মাকে হাসপাতালে আনেন। শরীরে জখম দেখে হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ তথ্য দেয়ার জন্য রকিম আলীকে তাকের কক্ষে যেতে বললে কৌশলে পালিয়ে যান।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান বলেন, বিষয়টি সদর থানার ওসিকে অবহিত করেছে নিহতের পরিবার। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রীর

কুমিল্লার দেবীদ্বারে ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও চারজন। শুক্রবার (১০ জুলাই) রাত ৮টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের হোসেনপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মৃত আফসার উদ্দিনের ছেলে আবু তাহের (৬৫) ও তার স্ত্রী জোবেদা খাতুন (৬০)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত ৮টার দিকে পাঁচ যাত্রীসহ একটি অটোরিকশা উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের পিরোজপুর থেকে উইলসন কোল্ড স্টোরেজের পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে ওঠার সময় কুমিল্লাগামী একটি মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে ট্রাকের ভেতরে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। পরে আহতাবস্থায় পাঁচজনকে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক এক নারীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে অন্যদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহতরা হলেন- উপজেলার ডালকরপাড় গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে আলাউদ্দিন(২২), গুনাইঘর গ্রামের আয়েত আলীর ছেলে মাছুম মিয়া (২০), সাইচাপাড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. ফারুক (৩০), ও খলিলপুর গ্রামের রনিন্দ্র চন্দ্র রায়ের ছেলে তাপস চন্দ্র রায় (২৫)।

হাইওয়ে পুলিশের মিরপুর ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. আবদুর রব বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ঘাতক ট্রাকটি আটক এবং দুর্ঘটনা কবলিত দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করে দেবীদ্বার থানায় নিয়েছে। ট্রাকের চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget