Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

গাইবান্ধায় ফের বন্যা, বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি

জাহিদ খন্দকার,গাইবান্ধা : টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ঘাঘট ও যমুনা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি যে কোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

শনিবার (১১জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।

অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে জেলায় নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। ঘাঘট, কাটাখালী ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

জানা গেছে, গত সপ্তাহের বন্যার ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই গাইবান্ধায় আবার বন্যা দেখা দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত নিম্নাঞ্চল ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রামের মানুষের মধ্যে বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে। যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রামে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। জেলার ১৩টি পয়েন্টে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদ-নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতাও। এতে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে নদী ভাঙন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী জাগো নিউজকে বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী মজুত আছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে।

উলেখ্য, গত সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় । ফলে গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ ও ফুলছড়ি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। গত ৬ জুলাই বন্যার পানি বিপৎসীমার নিচে নামার তিনদিনের মাথায় আবার বন্যা দেখা দিয়েছে।

 ফুঁলে উঠেছে তিস্তা, ১৫ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৪৭ সেন্টিমিটার

জাহিদুল ইসলাম: টানা বৃষ্টি ও গজলডোবা থেকে পানি ছেড়ে দেয়ায় ফুঁসে উঠেছে তিস্তা নদী। শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল ৬টার পর হতে ১৫ ঘণ্টায় নদীর পানি ৪৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে রাত ৯টায় বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ৬০) ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অথচ এ দিন সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। সেই সঙ্গে ঢলের পানি দ্রুতগতিতে অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে।

নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি সর্বপ্রথম গত ২০ জুন বিপৎসীমার ওপরে ওঠে। যা পরের দিন ২১ জুন সকালে নেমে যায়। এর ছয়দিনের মাথায় ২৬ জুন তিস্তা নদীর পানি দ্বিতীয় দফায় পুনরায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে ২০ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে ২৮ জুন সকালে নেমে যায়।

এরপর তৃতীয় দফায় ৪ জুলাই সকালে তিস্তার পানি ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও ওইদিন সন্ধ্যায় তা নেমে গিয়েছিল। এবার শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে উজানের পানি বেড়ে গেলে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে চলে আসে। তিন ঘণ্টা পর উজানের ঢল আরও ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে যায়। এরপর সন্ধ্যা ৬টায় আরও বৃদ্ধি পায় ১৩ সেন্টিমিটার। ফলে তিস্তা ১২ ঘণ্টায় পানি ৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর (৫২ দশমিক ৮৮) দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। রাত ৯টায় তা আবারও ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রচণ্ডভাবে উজানের ঢল ধেয়ে আসা অব্যাহত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
এদিকে ওপারে দোমহনী হতে বাংলাদেশের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ভারত কর্তৃপক্ষ তিস্তা নদীর অরক্ষিত এলাকায় লাল সংকেত জারি করেছে।


উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উজানে ভয়াবহতার কারণে ভারত লাল সংকেত জারি করেছে। অপরদিকে বাংলাদেশ অংশে হলুদ সংকেত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে লাল সংকেত দেয়া হবে। তিস্তা ব্যারাজের কর্মকর্তারা নজরদারিতে মাঠে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে উজানের ঢলে তিস্তায় চতুর্থ দফায় ভয়াবহ বন্যায় তিস্তা অববাহিকায় নতুন করে ১৫ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চরবেষ্টিত গ্রামের মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পূব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাঁপানী ও ঝুনাগাছ চাঁপানীর ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, তিস্তা ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। ডিমলার কিছামত ছাতনাই, ঝাড় শিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ী,পূর্ব খড়িবাড়ী, পশ্চিম খড়িবাড়ী, তিস্তা বাজার, তেলির বাজার, বাইশ পুকুর, ছাতুনামা, ভেন্ডাবাড়ী এলাকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেখানকার মানুষজন গরু ছাগল, জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদে সরে গেছেন। প্রায় ৫ হাজার পরিবার নতুন করে বন্যা কবলিত হয়েছে।

পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান জানান, পরিস্থিতি ভালো না। উজানের ঢল প্রচণ্ডভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এবার ভয়ংকর বন্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, দুপুরের পর থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে মানুষজনকে সরিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ডিমলা উপজেলায় তিস্তা এলাকায় সরকারিভাবে ছয়টি নৌকাসহ অসংখ্য নৌকা বন্যা কবলিত মানুষজনকে সরিয়ে নিতে সহায়তা করছে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, আমরা সতর্ক রয়েছি। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তিস্তা অববাহিকার চর ও গ্রামের লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

তানভীর হাসান তানু : ঠাকুরগাঁওয়ে জমিতে আমন ধান রোপণের সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যুর হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই কৃষকের নাম আমিরুল ইসলাম (৪২)। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সোলটোহরি গ্রামের মৃত আমির উদ্দীনের ছেলে।

জানা যায়, আমিরুল তার বাড়ির পাশেই আমন ধান রোপণ করার জন্য জমিতে যান। বেলা সাড়ে ৩টার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে আমিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।


আমিনুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৫ নং দেবীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, বজ্রপাতে আমিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


তানভীর হাসান তানু: ঠাকুরগাঁওয়ে জমিতে আমন ধান রোপণের সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যুর হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এই কৃষকের নাম আমিরুল ইসলাম (৪২)। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সোলটোহরি গ্রামের মৃত আমির উদ্দীনের ছেলে।

জানা যায়, আমিরুল তার বাড়ির পাশেই আমন ধান রোপণ করার জন্য জমিতে যান। বেলা সাড়ে ৩টার সময় হঠাৎ বজ্রপাতে আমিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

আমিনুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৫ নং দেবীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, বজ্রপাতে আমিরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন এর উদ্যোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

মাহবুবুজ্জামান সেতু: নওগাঁর  নিয়ামতপুর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন এর উদ্যোগে সারাদেশের ন্যায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর আলোকে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় উপজেলা চত্বরের সামনের রাস্তায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন নিয়ামতপুর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহজাহান সাজু, সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন নাইম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমূখ। এছাড়াও  তোফাজ্জল হোসেন এবং রহিমা খাতুনসহ নিয়ামতপুর উপজেলার সকল কে জি স্কুলের শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।

 
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন এর উদ্যোগে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

এসময় বক্তারা বলেন, ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশ ব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা দিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর চরম বিপাকে ফেলেছে দীর্ঘ ৪ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারনে টিউশন ফি তুলতে পারেনি প্রায় প্রতিষ্ঠান। অনেক শিক্ষক পেশা পাল্টিয়ে লোক লজ্জা ভুলে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানের পরিচালকরা তাদের ভাড়ায় চালিত ভবনের ভাড়া বিদ্যুৎ বিল পানি বিল দিতে না পারায় দিশেহারা  হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলোর দিকে একটু সু-নজর রাখবেন।

এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

নওগাঁয় নদীতে বিলিনের পথে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ: ১৭৫৭সালে স্থাপিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আটগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বর্তমানে ছোট যমুনা নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হবার পথে। নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিনই ভাঙ্গছে কিছু না কিছু অংশ। ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের অধিকাংশ চলে গেছে নদীগর্ভে। তাই ঐতিহ্যবাহি ও ঐতিহাসিক এই বিদ্যাপিঠটিকে রক্ষার জন্য দ্রুত সরকারকে সুষ্ঠু পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাথে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কালিকাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম আটগ্রাম। গ্রামের পূর্বদিকে ছোট যমুনা নদী দক্ষিণে আত্রাই নদী এবং পশ্চিমে রয়েছে বিরাট আকারের বিল। বর্ষাকালে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী এবং গ্রামের মানুষের এপাড়া থেকে ওপাড়ায় যাতায়াতে একমাত্র ভরসা নৌকা। ছোট যমুনা নদীর তীরেই অবস্থিত আটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এই বিদ্যালয়ে ৬টি কক্ষ বিশিষ্ট ভঙ্গুর ২টি ভবন রয়েছে। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের অধিকাংশ অংশ, স্থানীয় ভাবে নির্মাণ করা সুরক্ষা প্রাচীর ইতিমধ্যেই চলে গেছে নদীগর্ভে। আর বিদ্যালয়ের দক্ষিণে রয়েছে বড় একটি ভাঙ্গন। ভাঙ্গনটি ক্রমান্বয়ে বিদ্যালয় ভবনের দিকে এগিয়ে আসছে। বর্তমানে ভাঙ্গন ভবনের কাছাকাছি আসায় বিদ্যালয় রক্ষা করা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকরা। এছাড়াও বিদ্যাপিঠটি নানা সমস্যায় জর্জড়িত। বিদ্যাপিঠটি ঐতিহাসিক হলেও এখনো নির্মিত হয়নি শহীদ মিনার। এক কথায় বলা যায় আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই এখনো স্পর্শ করেনি বিদ্যালয়টিকে। নদী ভাঙ্গনের পর যে খেলার মাঠটি অবশিষ্ট রয়েছে সেটাও ব্যবহারের যোগ্য নয়। কক্ষ সংকটের কারণে ৬টি ভঙ্গুর শ্রেণিকক্ষের মধ্যে ৫টি কক্ষে গাদাগাদি করে পাঠগ্রহণ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। নেই একটি ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব। নেই সুরক্ষা প্রাচীর। এই প্রাচীর না থাকার কারণে যে কোন সময় শিক্ষার্থীরা সবার অজান্তে নদীতে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক খেলার উপকরনগুলো থাকার কথা থাকলেও নেই এই বিদ্যাপিঠে। নিরানন্দ শিক্ষা গ্রহণ করতে হয় অবহেলিত এই অঞ্চলের শিশুদের। কিন্তু এই সব সমস্যাগুলো দূর করার কোন সুদৃষ্টি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। কর্তৃপক্ষরা শুধু আসে আর বস্তাভরা আশ্বাস দিয়ে যায়। আশ্বাসগুলো কখনই বাস্তবতার আলো দেখতে পায় না। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল উদ্দিন জানান, ১একর ২৪ শতক জমির উপর ঐতিহাসিক পলাশী যুদ্ধের সময় ১৭৫৭সালে বিদ্যাপিঠটি প্রতিষ্ঠিতা করেন তৎকালীন জমিদার। বিদ্যালয়টি পিছিয়ে পড়া এলাকার শিশুদের মাঝে এখনোও যথেষ্ট সুনামের সঙ্গে সেবা দিয়ে আসছে। তিনি আরও জানান বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ৮/১০শতক জমির অংশ নদীতে চলে গেছে। পানির স্রোত এতো বেশি যে ভাঙ্গন ক্রমেই বেড়ে এগিয়ে আসছে বিদ্যালয়ের প্রধান ভবনের দিকে। ভাঙ্গনের কারনে বর্তমানে ভবনটি ধসে পড়ার আশংকার মুখে রয়েছে।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা নদীর পাড়ে বনজ গাছ রোপন করে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারছি না। এছাড়াও নানা সমস্যায় বিদ্যালয়টি জর্জড়িত হলেও এখন এটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য জরুরী ভাবে উত্তর ও পূর্ব পাশ দিয়ে স্থায়ী ভাবে নদীর তীরে প্যালাসাইট, গাইড ওয়াল ও ব্লক দিয়ে সুরক্ষা প্রাচীর দিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। তা না হলে ভাঙ্গনে বিদ্যালয়টি যে কোন সময়ে নদীতে বিলিন হয়ে যাবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা মাসিক সমন্বয় কমিটির আগামী সভায় বিদ্যালয় ভাঙ্গনের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান খান বলেন এই বিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থার উপর একটি প্রতিবেদন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনটি অনুমোদন পেয়ে অর্থ বরাদ্দ দিলেই ঐতিহাসিক এই বিদ্যাপিঠটিকে স্থায়ী ভাবে রক্ষা করার কাজ শুরু করা হবে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget