Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

 স্মার্ট ফোন কিনতে শিক্ষার্থীদের ঋণ দেয়ার প্রস্তাব

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে টানতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে দুটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও স্মার্ট ফোন কিনতে সহজ ঋণের ব্যবস্থা করার এ প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। গত ৩০ জুন ইউজিসি থেকে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

করোনাভাইরাসের প্রভাবের ফলে বর্তমানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনার বাইরে। অনলাইনে ক্লাস শুরু করতে পারেনি অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলো। গত ২৫ জুন ইউজিসির সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সভায় ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে সম্মতি জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে গত ৩০ জুন ইউজিসিতে থেকে দুটি প্রস্তাব উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাতে শিক্ষার্থীদের ফ্রি ইন্টারনেট প্রদান ও যাদের স্মার্ট ফোন নেই তাদের লোনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

ইউজিসি থেকে জানা গেছে, অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করার প্রস্তাব জানান উপাচার্যরা। সেটি আমলে নেয় ইউজিসি। এছাড়াও অনলাইন ক্লাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সার্বিক পরিস্থিতি ও সক্ষমতাসহ বিভিন্ন বিষয় জানতে একটি জরিপ চালায় ইউজিসি। সেখানে ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ডিভাইস রয়েছে বলে জরিপের ফলাফলে উঠে এসেছে। ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর হাতে স্মার্ট ফোন বা অন্যকোনো ডিভাইস নেই। এ কারণে শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি ইন্টারনেট প্যাকেজ ও ১৪ থেকে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে স্মার্ট ফোন কিনতে সহজ শর্তে অর্থ ঋণ দেয়ার প্রস্তাব জানিয়েছে ইউজিসি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তা অনিশ্চিত, তাই আমরা একটা অনিশ্চিত সমস্যার মধ্যে রয়েছি। এ পরিস্থিতিতে আমরা হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। শিক্ষার্থীদের সেসব জটের কবল থেকে রক্ষা করতে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যতটুকু সামর্থ্য রয়েছে ততটুকু নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। বর্তমানে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম আমাদের বড় একটি সম্ভাবনার দ্বার তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘শুরুতে আপত্তি জানালেও বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা অনলাইন ক্লাস করাতে সম্মতি জানানোয় আমি আনন্দিত। সামর্থ্য অনুযায়ী সবাই এগিয়ে এলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব হবে। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আনতে উপাচার্যদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ফ্রি ইন্টারনেট প্যাকেজ প্রদান ও যাদের স্মার্ট ফোন নেই তাদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি পজিটিভভাবে গ্রহণ করেছেন। আশাকরি দ্রুত এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে।’

লাম্পি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়

কৃষিবিদ জিয়াউল হক: ১৯২৯ সালে সর্বপ্রথম আফ্রিকা মহাদেশের জাম্বিয়াতে এ রোগ দেখা দেয়। ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে মহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। মশা-মাছি বাহিত রোগটি মূলত মশার মধ্যমেই বেশি ছড়ায়। আক্রান্ত গরু সুস্থ হতে দীর্ঘদিন সময় লাগে। দিন দিন গরু-বাছুর দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে মারাও যায়। একটি খামারকে অর্থনৈতিকভাবে ধসিয়ে দিতে খুরা রোগের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর রোগ এটি।

বাংলাদেশে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রথম দেখা দেয় ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে। এরপরই মাঠে নামে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তদন্ত টিম। তখন দেশের ১২ জেলায় ৪৮ হাজার গরুর মধ্যে এ রোগের লক্ষণ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। এ বছর আবার এ রোগটি দেশের বিভিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি আফ্রিকা মহাদেশে ৪০ শতাংশ গরু এ রোগে মারা গেছে বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।


আক্রান্তের সময়: রোগটি প্রধানত বর্ষার শেষে, শরতের শুরুতে বা বসন্তের শুরুতে মশা-মাছির বেশি বিস্তারের সময় ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

রোগের লক্ষণ: এলএসডি আক্রান্ত গরু প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং খাবার রুচি কমে যায়। জ্বরের সাথে সাথে নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়, দুই পায়ের মাঝে পানি জমে যায়। পশুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চামড়া পিন্ড আকৃতি ধারণ করে, লোম উঠে যায় এবং ক্ষত সৃষ্টি হয়। আর এ ক্ষত শরীরের অন্যান্য জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে। শরীরের কোথাও কোথাও ফুলে যায়। যা ফেটে টুকরা মাংসের মত বের হয়ে ক্ষত হয় এবং পুঁজ কষাণি বের হয়। পাকস্থলী বা মুখের ভেতরে সৃষ্ট ক্ষতের কারণে গরুর পানি পানে অনীহা তৈরি হয় এবং খাদ্য গ্রহণ কমে যায়।

যেভাবে ছড়ায়: এ রোগে আক্রান্ত গরু থেকে বিভিন্ন উপায়ে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হলো মশা ও মাছির আক্রমণ। মশা ও মাছিকে এ ভাইরাসের প্রধান বাহক হিসেবে দায়ী করা হয়। অন্যান্য কীট-পতঙ্গের মাধ্যমেও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। আক্রান্ত গরুর লালা গরুর খাবারের মাধ্যমে এবং খামার পরিচর্যাকারী ব্যক্তির কাপড়ের মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়াতে পারে। আক্রান্ত গাভির দুধেও এ ভাইরাস বিদ্যমান। তাই আক্রান্ত গাভির দুধ খেয়ে বাছুর আক্রান্ত হতে পারে। গ্রাম-গঞ্জের প্রাণি চিকিৎসকগণ এক সিরিঞ্জ ব্যবহার করে বিভিন্ন গরু-ছাগলকে টিকা দেয়। এতেও সিরিঞ্জের মাধ্যমে এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসে আক্রান্ত ষাঁড়ের সিমেন প্রজননে ব্যবহার করলেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। শুধু গরু, মহিষ ও ছাগল এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।

প্রতিকার: যেকোনো রোগের চিকিৎসা সহজ হলেও এ রোগের চিকিৎসা সহজ নয়। এর আগেও রোগটির আক্রমণ হলেও এ রোগের ভ্যাকসিন সহজলভ্য নয়। তবে খামারের ভেতরের এবং আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে মশা-মাছির উপদ্রব কমিয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আক্রান্ত গরুর খামারের শেড থেকে আলাদা করে অন্য স্থানে মশারি দিয়ে ঢেকে রাখলে অন্য গরুতে সংক্রমণ হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আক্রান্ত গাভির দুধ বাছুরকে খেতে না দিয়ে মাটি চাপা দেওয়া উচিত। আক্রান্ত গরুর ব্যবহার্য কোনো জিনিস সুস্থ গরুর কাছে না আনা বা খাবার অন্য গরুকে খেতে না দেওয়া। ক্ষতস্থান টিংচার আয়োডিন মিশ্রণ দিয়ে পরিষ্কার রাখা।

ভিয়েতনামে দেখা মিলল বাবুই পাখির

বেনজীর আহমেদ সিদ্দিকী: ভিয়েতনামের তিয়েন গিয়াং প্রদেশের প্রশস্ত মেকং নদীর ধার ঘেঁষে বেড়ে ওঠা সবুজে ঘেরা । এ শহরের মাঝখান দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে রেল স্টেশনের কাছে এসে হঠাৎ করে পাখির কিচিরমিচির শব্দে থমকে যেতে হয়। সামান্য দূরেই নানা ধরনের পাম ও কাঁটাওয়ালা গাছে তখন বাবুই পাখি (ভিয়েতনামে বলে রং রোক) তার বাসার ফাঁক দিয়ে উঁকিঝুঁকি মারছে এবং ওড়াউড়ি করছে। এতোগুলো বাবুই পাখির সুললিত কলতানে উৎফুল্ল মন ফুড়ুৎ করে উড়ে চলে যায় ফেলে আসা শৈশব-কৈশোরের রজনীকান্ত সেনের ‘স্বাধীনতার সুখ’ কবিতায়।

একসময় বাংলাদেশের শহর ও বিশেষ করে গ্রামগুলোতে প্রচুর তাল, নারিকেল, খেজুর, সুপারি ও বাবলা গাছ ছিল। ভাদ্র মাসে তাল গাছের পাশ দিয়ে গেলে পাকা তালের মৌ মৌ ঘ্রাণে প্রাণ জুড়িয়ে আসত। ভাগ্যে থাকলে গাছ তলায় গেলে পাওয়া যেত লালচে-কালো পাকা তাল। গ্রীষ্মের দাবদাহে যখন চারপাশে মাটি ফেটে চৌচির, এমন গরমে তেষ্টা মেটাতে ভরসা হয়ে উঠত বাড়ির আশেপাশের নারিকেল গাছ। শীতের সকালে ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে খেজুরের রস খাওয়াও ছিল মুগ্ধকর। গ্রামবাংলার গৃহিণীদের বিকেলের পান খাওয়ার আড্ডা আরও বাড়িয়ে তুলতো বাড়ির পেছনের সুপারি গাছগুলো। আর রৌদ্রজ্বল দিনে বিস্তীর্ণ মাঠের আলের পাশে বাবলা গাছের নিচে কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিত কৃষক। এমনই সব দৃশ্য গ্রামবাংলাকে আরও চিরসবুজ ও মাটির কাছাকাছি করে তুলতো।

এসব উঁচু উঁচু তাল, নারিকেল, সুপারি, কাঁটাওয়ালা খেজুর ও বাবলা গাছে বাসা বাঁধতো বাবুই পাখি। উঁচু ও কাঁটাওয়ালা গাছ বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ শিকারীর কাছ থেকে নিজেকে ও বাসাকে সুরক্ষিত রাখা। বলা যায়, পৃথিবীতে বাবুই প্রজাতির সংখ্যা ১১৭। এর মাঝে বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বাবুই পাখি দেখা যায়-
১. দেশি বাবুই: প্রজনন ঋতু ছাড়া অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী পাখির কালো কালো দাগসহ পিঠ হয় তামাটে বর্ণের, নিচের দিকে দাগ নেই, শুধুই তামাটে। ঠোঁট পুরু, মোচাকার; লেজ চৌকা, প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির পিঠ হয় গাঢ় বাদামি। হলুদ বুকের উপরের দিক ফ্যাকাশে।
২. দাগি বাবুই: বুক তামাটে, তাতে স্পষ্ট দাগ।
৩. বাংলা বাবুই: প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির মাথার চাঁদি উজ্জ্বল সোনালি-হলুদ, গলা সাদা এবং তা একটি কালো ডোরা দ্বারা নিচের তামাটে-সাদা রঙের অংশ থেকে পৃথক। অন্য সময় স্ত্রী ও পুরুষ পাখির চাঁদি পিঠের পালকের মতোই বাদামি। বুকের কালো ডোরা ততটা স্পষ্ট নয়। প্রকট ভ্রূরেখা, কানের পেছনে একটি ফোঁটা। (বাংলাপিডিয়া)

বাবুই খুব সুন্দর করে শৈল্পিক বাসা বোনে বলে একে ‘তাঁতি পাখি’ নামেও ডাকা হয়। এদের বাসার গঠন বেশ জটিল আর আকৃতিও খুব সুন্দর। বাবুই পাখির বাসা দেখতে অনেকটা উল্টানো কলসির মতো। বাসা বানানোর জন্য বাবুই ভীষণ পরিশ্রম করে। ঠোঁট দিয়ে ঘাসের আস্তরণ ও কাদার মিশ্রণ ঠিক করে। যত্ন করে পেট দিয়ে ঘষে ঘষে গোলাকার অবয়ব মসৃণ করে। শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে। পরে একদিক বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা তৈরি করে। অন্যদিকটি লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ বানায়। বাবুই সাধারণত দুই ধরনের বাসা তৈরি করে। মজার বিষয় হলো, পুরুষ পাখি তার পরিশ্রম ও শৈল্পিকতার মিশ্রণে এসব বাসা তৈরি করে। একটি বাসা তৈরি হতে ১০-১৫ দিন সময় লাগে। শৈল্পিক নিদর্শনের এমন দারুণ সব বাসা বাতাসের ঢেউয়ে দুলতে দুলতে মানুষের মনে আনন্দ দেয়।

বাবুইয়ের বাসা তৈরি করার জন্য প্রয়োজন পড়ে নলখাগড়া, খেজুর পাতা ও হোগলার বন। কিন্তু বাংলাদেশে নলখাগড়া ও হোগলার বন কমে যাওয়ার পাশাপাশি তাল, নারিকেল, সুপারি, খেজুর, বাবলা গাছও অনেক কমে এসেছে। ফলে বাবুইয়ের সংখ্যাও এখন খুবই কম। বাবুই পাখির অস্তিত্বই আজ হুমকির মুখে। বাংলাদেশে বাংলা ও দাগি বাবুইয়ের প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। তবে দেশি বাবুই এখনো দেশের অনেক গ্রামের গাছে দলবেঁধে বাসা বোনে।

সময়ের পরিক্রমা, অসচেতনতা, পরিবেশে বিপর্যয়সহ নানা কারণে আজ বাবুই পাখি ও এর বাসা হারিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তিতে পাওয়া যায়, পুরুষ বাবুই পাখি সন্ধ্যা-রাতে ঘর আলোকিত ও প্রেয়সীকে আকৃষ্ট করার জন্য মিটমিট করে জ্বলতে থাকা জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে আসে। এনে বাসার দেয়ালে কাদার মাঝে গুজে রাখে এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়ে দিয়ে মুক্ত স্বাধীনতার সুখে উড়তে থাকে। বহমান কালের পরিক্রমায়, বাবুই পাখি এখন মুক্ত স্বাধীন সুখ হারিয়ে জোনাকির আলোর মতো মিটমিট করে কোনমতে টিকে আছে বাংলাদেশের গ্রামের আনাচে-কানাচে।

এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখি ভিয়েতনামের বয়স্ক লোকটির পাখির খেলা দেখানো শেষ হয়ে এসেছে। আমি বিষণ্ন মনে তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ট্যাক্সি নিলাম ক্যান হোচ গ্রামের হোম স্টের উদ্দেশ্যে। যেখানে নাকি সন্ধ্যা-রাতে জোনাকি পরম স্বাধীনতার সুখে বাবুই পাখির বাসায় নিজেই আলো জ্বেলে আসে।

 বাংলাদেশ ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে পুরস্কার পেল

আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা দুটি পুরস্কার পেয়েছে।

সোমবার ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে পুরস্কার অর্জনকারী দল দুটিকে অভিনন্দন জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার যখন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণীদের ব্লকচেইন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডাটা অ্যানালাইটিকস, মেশিন লার্নিংয়ের মতো ফ্রন্টিয়ার (অত্যাধুনিক) প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে উৎসাহিত করছে তখন প্রতিযোতিায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের দুটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত উৎসাহব্যাঞ্জক একটি খবর।

তিনি বলেন, ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির আবির্ভবে পরিবর্তন ঘটছে অত্যন্ত দ্রুত। বাংলাদেশ যে এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবে তার প্রমাণ রেখেছে আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ১২ টি দল।

রোববার তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড (আইবিসিওএল) ২০২০ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে হংকং ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডের সভাপতি ড. লরেন্স মা আইবিসিওএল-২০২০ বেস্ট প্রটোটাইপ অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী হিসেবে বাংলাদেশের ডিইউ নিমবাস দলের নাম ঘোষণা করেন।

এছাড়া আইবিসিওএল ২০২০ সিলভার মেডাল অর্জনকারী হিসেবে ডিজিটাল ইনোভেশন দলের নাম ঘোষণা করেন হংকংয়ের সিটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইসাবেল ইয়ান।

 সুশান্তকে ঘিরে কারিনার পরামর্শ

বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি। দিন যত যাচ্ছে এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা বাড়ছে। তার ভক্ত ও সিনেমাপ্রেমীদের প্রশ্ন- সুশান্ত কি আত্মহত্যা করেছেন, না কি অন্য কিছু ঘটেছে?

তার মৃত্যুর ঘটনাটি নাড়া দিয়ে গিয়েছে গোটা বলিউডকে। এ নিয়ে চলতে থাকা বিতর্ক কার্যত বি-টাউনকে ভাগ করে দিয়েছে দুটো আলাদা শিবিরে। নেপোটিজমের বিপক্ষে মুখ খুলেছেন- কঙ্গনা রানাওয়াত, প্রকাশ ঝা, শেখর কাপুর, মনোজ বাজপেয়ীর মতো ব্যক্তিত্বরা। এই বিতর্কে এক লাফে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফলোয়ারের সংখ্যা কমেছে আলিয়া ভাট, সোনম কাপুর ও সোনাক্ষী সিনহাদের। এরই মধ্যে একাধিকবার আলোচনায় এসেছে অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিও ক্লিপও। সেটা নিয়েই নতুন করে দানা বাঁধছে বিতর্ক।

কারিনাকে নিয়ে বিতর্কের মূল বিষয়টা হলো- জাতীয় টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্বে অতিথি ছিলেন অমৃতা অরোরা এবং করিনা কাপুর। অনুষ্ঠানের ‘ডাবল ট্রাবল’ রাউন্ডের নিয়ম অনুযায়ী উপস্থিত অতিথিরাই একে অন্যকে প্রশ্ন করে থাকেন। অমৃতা করিনাকে প্রশ্ন করেন, স্বামী সাইফের প্রথম পক্ষের কন্যা সারা আলি খানকে যদি কোনো একটা পরামর্শ দিতে হয়, তাহলে কী দেবেন? উত্তরে করিনা কিঞ্চিৎ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বলে ওঠেন, ‘ডোন্ট ডেট ইওর ফার্স্ট হিরো’।

না, সুশান্ত সিং রাজপুতের নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। তবে ‘কেদারনাথ’ নামক সিনেমার মাধ্যমেই সারা আলি খান বলিউডে পা রাখেন। যার নায়ক ছিলেন সুশান্ত, এই তথ্য কারোর অজানা নয়। তবে জাতীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য কেন করলেন করিনা? প্রশ্ন তুলছেন সুশান্তভক্তরা।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রতিভাবান অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৩৪ বছর। তার আত্মহত্যার রহস্য এখনও উদঘাটন করতে পারেনি ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

যদিও তার আত্মহত্যার মাত্র ৪ দিন আগে ১০ জুন আত্মহত্যা করেন সাবেক ম্যানেজার দিশা সালিয়ান। মুম্বাইয়ের মালাডের একটি বহুতল ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন দিশা। এ খবরে স্তম্ভিত হয়ে পড়া সুশান্ত সিং তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখেন, ‘এটা অনেক বিপর্যয়কর খবর!’

রোনালদোদের অসহায় আত্মসমর্পণ

প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে আট মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করে তখন উড়ছে জুভেন্টাস। জবাব দিতে বেশি সময় নিলো এসি মিলান। মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে লিড নিলো ম্যাচে। পরে আরও এক গোল করে জিতল ৪-২ ব্যবধানে।

ইতালিয়ান সিরি 'আ'তে মঙ্গলবার ৩১তম রাউন্ডের ম্যাচে এমনটাই দেখেছে ফুটবলপ্রেমীরা। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে লিড নিলেও, ম্যাচের পরের সময়ে তাদেরকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছে ইতালির ঐতিহ্যবাহী ক্লাব এসি মিলান।

পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাজিওর সঙ্গে জুভেন্টাসের ব্যবধান ছিল ১০, মিলানের কাছে হেরে যাওয়ায় কমে এলো সাতে। টানা ৭ জয়ের পর হারের মুখ দেখল তারা। লিগের ৩১ ম্যাচ শেষে জুভেন্টাসের সংগ্রহ ৭৫ পয়েন্ট।

অন্যদিকে ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো ইতালিয়ান সিরি 'আ'তে জুভেন্টাসকে হারিয়েছে এসি মিলান। যার সুবাদে পয়েন্ট টেবিলেও এগিয়ে তিন ধাপ। জুভেন্টাসের সমান ম্যাচ খেলে বর্তমানে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান পঞ্চম।

মিলানের ঘরের মাঠে হওয়া ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে স্রেফ সুযোগই তৈরি করে গেছে দুই দল। জুভেন্টাস তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো কিংবা মিলানের সুপারস্টার জ্বলাতান ইব্রাহিমোভিচের কেউই জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে পারেননি।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে দ্বিতীয় মিনিটের মাথায় প্রথম গোলটি করেন জুভেন্টাসের আদ্রিয়েন র‍্যাবিয়ট। এর মিনিট ছয়ের পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে থাকা রোনালদো। চলতি আসরে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের এটি ২৬তম গোল।


দুই গোলে পিছিয়ে পড়লেও আশা হারায়নি মিলান। আক্রমণ করতে থাকে একের পর এক। যার সুফল মেলে ৬২ মিনিটে। লিওনার্দো বনুচ্চির হ্যান্ডবল থেকে পেনাল্টি পায় মিলান। স্পটকিক থেকে দলের প্রথম গোলটি করেন ইব্রাহিমোভিচ।

এর পাঁচ মিনিটের মধ্যে আরও দুইবার জাল কাঁপান ফ্র্যাঙ্ক ক্যাসি ও রাফায়েল লিও। এগিয়ে যায় মিলান। ম্যাচের ৮০ মিনিটের সময় জুভেন্টাসের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন আন্তে রেবিক।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget