নওগাঁর সাপাহারে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী হত্যা, ঘাতক স্বামী আটক
সাপাহার (নওগাঁ) : নওগাঁর সাপাহারে বাল্যবিয়ের শিকার এক গৃহবঁধুকে স্বামী শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। নিহত গৃহবঁধু উপজেলার উত্তর পাতাড়ী গ্রামের জাকারিয়া মন্ডলের মেয়ে ও তিলনী সরলী গ্রামের সাহেব আলীর স্ত্রী। এবিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হলে পুলিশ ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে।
গ্রামবাসী সুত্রে জানা গেছে প্রায় তিন বছর পূর্বে উপজেলার তিলনী সরলী গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে সাহেব আলীর সাথে পাশ্ববর্তী উত্তর পাতাড়ী গ্রামের জাকারিয়ার মন্ডলের নাবালিকা কন্যা তাজরিমিন এর বিবাহ হয়। বিয়ের পর পরই তাদের সংসারে একটি মেয়ে শিশুর জম্ম হয়। অপ্রাপ্ত বয়সে সন্তান জম্ম দেয়ার কারণে মেয়ের শরীর স্বাস্থ্য পরবর্তীতে ভেঙ্গে যায়, ফলে স্বামী সাহেব আলীর সাথে স্ত্রী তাজরিমিনের প্রায় মণমালিন্য লেগেই থাকে। প্রায় ৪ মাস আগে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদের সৃষ্ঠি হলে স্ত্রী তাজরিমিন বাবার বাড়ী চলে যায়। এমতাবস্থায় স্বামী সাহেব আলী গত ১লা জুলাই নিজের ভুল স্বীকার করে স্ত্রীকে নিজ গৃহে ফিরে নিয়ে আসে। এর পর পরই ৩/৪দিনের মাথায় গত রবিবার বিকেলে আবারো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ শুরু হলে পাষান্ড স্বামী সাহেবআলী স্ত্রী তাজরিমিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে শয়ন ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এর পর গ্রাম পুলিশ মারফত সংবাদ পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনা স্থলে গিয়ে নিহত তাজরিমিনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এর পর পর রাতেই নিহত তাজরিমিনের বাবা বাদী হয়ে সাপাহার থানায় মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে সোমবার ভোরে পুলিশ সাহেবআলীর বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করে ঘাতক স্বামী সাহেবআলীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। এবিষয়ে সাপাহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।