Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf

নওগাঁয় পিসিআর ল্যাব না থাকায় দ্রুত শনাক্ত হচ্ছে না রোগী, বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রামণ


নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: দেশের সীমান্তবর্তী বৃহত্তর জেলা নওগাঁয় প্রায় ৩০লাখ লোকের বসবাস। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে করোনা সংক্রমণে ইতোমধ্যে হটস্পটে পরিণত হয়েছে এই জেলা। প্রতিদিনই এই এখানে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সচেতন মহলের দাবি জেলায় করোনা পরীক্ষায় পিসিআর ল্যাব না থাকায় দ্রুত শনাক্ত করা যাচ্ছে না রোগী ফলে সংক্রামণের হার দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁয় রয়েছে ২৫০শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল আর ১৮সালে স্থাপন করা হয়েছে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে আধুনিক সদর হাসপাতালে সম্ভাব্য রোগীদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে প্রথম দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলেও বর্তমানে সপ্তাহে দুই দিন নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকায় । এর ফলে রিপোর্ট আসতে সময় লাগছে ১০-১৫দিন। লক্ষণ বিহীন করোনায় আক্রান্ত রোগী নমুনা দিয়ে মনের অজান্তেই হরহামেশাই ঘুরে বেড়াচ্ছে আর নতুন করে সংক্রামিত করছে অন্যান্য ব্যক্তিদের। এদিকে নওগাঁয় প্রতিদিন প্রায় ৭০-৮০জনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোন কোন দিন সংখ্যা এর চেয়েও অনেক বেশি। এছাড়া বেসরকারি ভাবে নওগাঁর আর কোথাও করোনা পরীক্ষার কেন্দ্র না থাকায় সদর হাসপাতালে এসে দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করে করোনা ভাইরাসের নমুনা দিতে হচ্ছে। আর ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দিনের পর দিন। জেলার ১১টি উপজেলার পাশাপাশি বগুড়া জেলার আদমদীঘি ও জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার অধিকাংশ মানুষই চলাচল করে নওগাঁয়। অন্যদিকে বগুড়া ও রাজশাহীতে করোনা পরীক্ষার কেন্দ্র থাকলেও সেগুলোতে পরীক্ষার অনেক চাপ থাকার কারণে নওগাঁর নমুনাগুলো স্বাস্থ্য বিভাগ ঢাকায় পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ নওগাঁয় যদি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র থাকতো তাহলে মানুষ সহজেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ফলাফল জানতে পারতো আর সঙ্গে সঙ্গেই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রতিরোধমূলক জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতো। এতে করে করোনা সংক্রামণ উল্লেখ্যযোগ হারে কমতো। অপরদিকে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে নওগাঁয় দ্রুত করোনা পরীক্ষার পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে লিখিত ভাবে আবেদন করা হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। নওগাঁর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রামণের প্রথম থেকেই নওগাঁয় একটি পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপনের জন্য মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।

সদর হাসপাতালে নমুনা দিতে আসা অনেক মানুষই জানান করোনা সংক্রামণ কমানোর জন্য পরীক্ষার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু হাসপাতালে এসে নমুনা দিয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয় ফলাফলের জন্য। যার কারণে এই করোনা ভাইরাস সংক্রামণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই নওগাঁয় করোনা পরীক্ষার ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপন করা অতি জরুরী।

নওগাঁ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের সভাপতি এ্যাড. ডিএম আব্দুল বারী জানান করোনা সংক্রামণের প্রথম থেকেই আমরা নওগাঁয় একটি পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপনের জন্য শান্তিপূর্ন আন্দোলন চালিয়ে আসছি। করোনা নামক এই মরনঘাতি রোগ থেকে নওগাঁর আপামর মানুষকে বাঁচাতে হলে দ্রুত নওগাঁয় পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপনের কোন বিকল্প নেই।
নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মনজুর-এ-মুর্শেদ জানান নওগাঁয় পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপনের জোর চেস্টা চালানো হচ্ছে তবে করোনা রোগীর জন্য অক্সিজেন খুবই প্রয়োজনীয় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নওগাঁয় কেন্দ্রীয় ভাবে অক্সিজেন সরবরাহ কেন্দ্র স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছে। তবুও আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছি।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন মাননীয় খাদ্যমন্ত্রীর ডিও লেটারসহ আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য নওগাঁয় দ্রুত পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপনের জন্য লিখিত ভাবে আবদেন করেছি। এছাড়াও এই বিষয়ে আমরা সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।

সরকার দ্রুত নওগাঁয় একটি পিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ স্থাপন করে লাখো মানুষকে করোনা নামক মরনঘাতক ব্যাধির সংক্রামনের হাত থেকে ৩২লাখ মানুষকে রক্ষা করবেন এমনটিই আশা নওগাঁবাসীর।

মৃত্যুর ৮দিনপর করোনা শনাক্ত; নতুন শনাক্ত ৬৭ জন

সালমান ফার্সী (সজল), নওগাঁ : নওগাঁর আত্রাইয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে মফিজ উদ্দিন (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ৮দিন পর করোনায় আক্রান্তের রিপোর্ট আসেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এদিকে দিনদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় আরও নতুন করে ৬৭ ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ করোনায় শনাক্ত হয়েছে। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৫১ জন আর মোট মৃত্যুর হয়েছে ৬ জনের।
সিভিল সার্জন ডা. আলাউদ্দিন আলাল জানান, আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিন করোনার উপসর্গ জ্বর ও পেটের সমস্যা নিয়ে ১৯ জুন আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এরপর করোনার সন্দেহ দেখা দেওয়ায় পরদিন ২০ জুন তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়ায় জ্বর ও পেটের সমস্যা ভালো হয়ে যাওয়ায় পরদিন সকালে গ্রামের বাড়ি চলে যান। ২১জুন সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। গত রবিবার ২৮জুন রাতে আসা করোনার রিপোর্টে তিনি আক্রান্ত ছিলেন এমন রিপোর্ট হাতে আসে। ইত্যে মধ্যে মফিজ উদ্দিনের সংস্পর্ষে আসা সকল ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিভিল সার্জন আরো বলেন, সরকারি নির্দেশণা মেনে চলতে অনুরোধ করেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৩ জন পুলিশ, ২ জন নার্স, ২ জন মেডিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট এবং ১ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক রয়েছেন।
নওগাঁর ডেপুটি সিভিলসার্জন ডাঃ মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, রবিবার বিকেলে ও রাতে ঢাকার আইইডিসিইআর থেকে ২৩২টি নমুনার রিপোর্ট আসে। এতে নতুন করে ৬৭ ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ করোনায় শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় সদর উপজেলায় ২৬ জন, রাণীনগরে ১ জন, আত্রাইয়ে ৩ জন, মহাদেবপুরে ৯ জন, বদলগাছিতে ৮ জন, পতœীতলায় ২ জন, ধামইরহাটে ২ জন এবং পোরশায় ১৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ২৪২ জনকে। এদের মধ্যে সদরে ৯১ জন, রাণীনগরে ৩ জন, মহাদেবপুরে ১৩ জন, মান্দায় ২১ জন, বদলগাছিতে ১৯ জন, পতœীতলায় ১৪ জন, ধামইরহাটে ২৭ জন, নিয়ামতপুরে ২ জন, সাপাহারে ৪১ জন এবং পোরশায় ১১জন। 
এই সময়ে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬৩ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৬০১ জন। এ সময় সুস্থ্য হয়েছেন ৯ জন এবং মোট সুস্থ্য হয়েছেন ২১৪ জন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে মাটির নিচে পাওয়া গেল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি

আজিজুল সঞ্চয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় মাটির নিচ থোকে উদ্ধার করা হলো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন। মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুর একটার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের আমিনপাড়া এলাকার একটি মাজারের পাশ থেকে মরিচা ধরা একটি স্ট্যান গান, একটি পাইপগান ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের ধারণা, উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে আমিনপাড়া এলাকার করিম উদ্দীন শাহ্ (র.) মাজারের পূর্বপাশে একদল কাঠুরে গাছ কাটার জন্য মাটি খুঁড়তে থাকেন। কয়েক ফুট গভীর পর্যন্ত মাটি খোঁড়ার পর একটি পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় একটি স্ট্যানগান, একটি পাইপগান ও একটি ম্যাগজিন দেখতে পান। পরে কাঠুরেরা বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান রাজিব আহমেদকে জানালে তিনি থানায় খবর দেন। পরবর্তীতে সরাইল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে এগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজিব আহমেদ বলেন, আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবা ও অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে শুনেছি আমাদের এলাকার বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছিল। কারণ যে জায়গা থেকে এগুলো উদ্ধার হয়েছে সেখানেও মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। সেজন্য আমি এগুলো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে রাখার দাবি জানাচ্ছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে এগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছিল। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশ্বনাথে জমি নিয়ে সংঘর্ষে দুই বৃদ্ধ নিহত : আহত ১৫

ছামির মাহমুদ : সিলেটের বিশ্বনাথে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে দু’পক্ষে দুই বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার মনোকুপা গ্রামের নুরুল ইসলাম ও ইউপি সদস্যের ভাই সমছু মিয়া পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দু’জনের একজন হচ্ছেন মখলিছ আলী (৬৫)। তিনি উপজেলার মনোকুপা গ্রামের বাসিন্দা ও অলংকারী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফজলু মিয়ার বড় ভাই। আর নিহত প্রতিপক্ষের অপরজন হচ্ছেন ওয়ারিছ আলী (৬০)। তিনি একই গ্রামের মৃত হারিছ আলীর ছেলে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে উভয় পক্ষে আহতদের নাম জানা যায়নি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথের মনোকুপা গ্রামের নুরুল ইসলাম ও সমছু মিয়ার মধ্যে আত্মীয়তার সুবাদে দু’পক্ষের পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত রমজান মাসে দু’পক্ষের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষও হয়েছে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষ্যের পার্শবর্তী নিজ গ্রামের আব্দুল আজিজের বাড়িতে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই আজ বিকেলে স্থানীয় বাজার থেকে আসার পথে নুরুল ইসলাম পক্ষের ওয়ারিছ আলীকে হামলা করেন প্রতিপক্ষের লোকেরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন হন।

গুরুতর আহত হন সমছু মিয়ার ভাই মখলিছ আলী (৬৫) ও প্রতিপেক্ষর ওয়ারিছ আলী (৬০)। মুমূর্ষু অবস্থায় মখলিছ আলীকে (৬৫) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর হামলায় আহত হওয়া প্রতিপক্ষের ওয়ারিছ আলী (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে একই হাসপাতালে মারা যান।

স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার রাতে সালিশ বৈঠকের কথা থাকলেও এর আগেই হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইপক্ষের দু’জন নিহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার টিউটি অফিসার উপ-পরিচালক (এসআই) দেবাশীষ শর্ম্মা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওসিসহ সকলেই ব্যস্ত। আর ঘটনার খবর পাওয়ার পরপর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

হত্যার একদিন পরও বাংলাদেশির লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের গোবড়াকুড়া সীমান্তের দুইশ গজ ভেতরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ভোরে বিএসএফের গুলিতে তিনি মারা যান।

উপজেলার সীমান্তবর্তী গোবড়াকুড়া এলাকার খলিল নামে এক ব্যক্তি জানান, আব্দুল জলিল (২৬) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন তার এক ছোটভাই নিখোঁজ রয়েছেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। লাশটি তার ভাইয়ের হতে পারে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, বিএসএফ নিহত ব্যক্তির ছবি পাঠিয়েছে। ছবি দেখে স্বজনরা তাকে জলিল বলে শনাক্ত করেছেন।

কড়ইতলী বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি ব্যক্তি মারা যান।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশের গোবড়াকুড়া সীমান্তে দু’দেশের সীমান্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তখন বিএসএফ বলেছে ওইদিন কিছু বাংলাদেশি রাতে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। বিএসএফ চ্যালেঞ্জ করলে তারা বিএসএফের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে বিএসএফ গুলি করে। তবে ওই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখনো লাশ দেখতে পারিনি। লাশ হস্তান্তর করলেই সম্পূর্ণ পরিচয় জানতে পারব। বিএসএফ জানিয়েছে ময়নাতদন্ত সম্পন্নের পর আজ যেকোনো সময় বাংলাদেশি নাগরিকের লাশ হস্তান্তর করা হবে।

 বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে প্রাণ গেল নানি-নাতনির

আরিফ উর রহমান : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নানি-নাতনি নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৪ জুন) দুপুরে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের এলেঙ্গা রিসোর্টের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ধনবাড়ি উপজেলার গোবিন্দচর গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের স্ত্রী উমেছা বেগম (৬০) ও একই গ্রামের তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী মরিয়ম আক্তর (২০)। নিহতরা সম্পর্কে নানি-নাতনি।
এ ঘটনায় অটোরিকশা চালকসহ দুইজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ একই হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, দুপুরে মধুপুর-ধনবাড়ীগামী বিনিময় পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে টাঙ্গাইলগামী একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশার যাত্রী নানি-নাতনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালকসহ দুইজন গুরুতর হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘাতক বাসটিকে আটক করতে পারলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget