নওগাঁর রাণীনগরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লেবু চাষ
নওগাঁ অফিস: নওগাঁর রাণীনগরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অধিক লাভজনক লেবু চাষ। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লেবু অনেক উপকারী বলে বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে এর চাহিদা। তাই লেবু চাষীরা বর্তমানে লেবুর ভালো দাম পেয়ে অনেক খুশি। অপরদিকে চলতি মৌসুমে লেবুর ফলনও চাষীদের মুখে নতুন করে হাসি ফুটিয়েছে। পাইকাররা বাগানে এসেই কিনছেন লেবু তাই বাজারজাতের বাড়তি ঝামেলা নেই।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রায় ৭হেক্টর জমিতে কৃষি অফিসের সহায়তায় ও পরামর্শে চাষ করা হয়েছে অধিক ফলনশীল রসে ভরা চায়না-৩ জাতের লেবু। কোন নির্দিষ্ট সময় নয় গাছে সারা বছরই পাওয়া যাবে এই লেবু। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এই লেবুর আবাদটি বর্তমানে উপজেলার কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রতিনিয়তই উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগ্রহী চাষীরা এই সব লেবুর বাগান দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। উপজেলার কুজাইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম, নগরব্রীজ এলাকার গোলাম মোস্তফা ও চকমনু গ্রামে সুফলা নওগাঁ নামের এক কৃষি সংগঠন লেবু চাষে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রতিনিয়তই উদ্বুদ্ধ চাষীরা এই সব বাগান দেখে নিজেরাও লেবুর বাগান তৈরির জন্য কৃষি অফিসে এসে পরামর্শ নিয়ে যাচ্ছেন।
কুজাইল গ্রামের লেবু চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে ও কারিগরি সহযোগিতায় কিছু পরিত্যাক্ত জমিতে লেবুর বাগান তৈরি করেছি। লেবু গাছ লাগানোর বছর সময় পর থেকেই ফলন পাওয়া শুরু করেছি। আমি বর্তমানে অন্যান্য আবাদের চেয়ে লেবু চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছি কারণ এর চাহিদা সারা বছর আর লেবু চাষে খরচও অনেক কম তাই লাভের পরিমান অনেক বেশি।
কৃষি সংগঠন সুফলা নওগাঁর উদ্যোক্তা আহসান হাবিব বলেন এই উপজেলার চাষী ভাইদের একঘেয়ামী ফসল চাষ থেকে ফিরিয়ে এনে সময়পুযোগি অধিক লাভজনক আবাদ হিসেবে লেবু চাষে উদ্বুদ্ধ করতেই কয়েকজন কৃষক ভাইদের সহযোগিতায় আমরা কিছু জমি লিজ নিয়ে লেবুর বাগান করেছি। আমরা ১শতটি লেবু বাগান থেকে পাইকারদের কাছে ২৫০-৩০০টাকা করে বিক্রি করছি। এছাড়াও লেবুর গাছ থেকে কলমের মাধ্যমে চারা তৈরি করে তা বিক্রি করেও বাড়তি অর্থ আয় করা সম্ভব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন একই ফসল বারবার চাষ ও অধিক কীটনাশক ব্যবহার করার জন্য জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমি ও কৃষকদের স্থায়ী ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমি উপজেলার কয়েকজন আগ্রহী চাষীদের এই লেবুর বাগান তৈরিতে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে লেবুর বাগান তৈরি করেছি। এটি অত্যধিক লাভজনক একটি ফসল। লেবু গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বলে কীটনাশকের তেমন ব্যবহার করতে হয় না। এটি মাটির উর্বতা শক্তি বৃদ্ধি করে। প্রতি মৌসুমে গাছ লাগানোর ঝামেলা নেই। একটি লেবু গাছ অনেক বছর পর্যন্ত লেবু দেয়। আর সারা বছরই সবজি হিসেবে লেবুর চাহিদা দারুন। তাই এই ফসল চাষে কম পরিশ্রম আর কম খরচে অধিক লাভ করা খুবই সহজ। এছাড়াও লেবুর বাগানে গাছের ফাঁকা জায়গায় মৌসুমি সবজি চাষ করেও বাড়তি অর্থ আয় করা সম্ভব। তিনি আরো জানান লেবু বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমও কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে চায়না-৩ জাতের একটি লেবুর বাগান তৈরি করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রায় ৭হেক্টর জমিতে কৃষি অফিসের সহায়তায় ও পরামর্শে চাষ করা হয়েছে অধিক ফলনশীল রসে ভরা চায়না-৩ জাতের লেবু। কোন নির্দিষ্ট সময় নয় গাছে সারা বছরই পাওয়া যাবে এই লেবু। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এই লেবুর আবাদটি বর্তমানে উপজেলার কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রতিনিয়তই উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগ্রহী চাষীরা এই সব লেবুর বাগান দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। উপজেলার কুজাইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম, নগরব্রীজ এলাকার গোলাম মোস্তফা ও চকমনু গ্রামে সুফলা নওগাঁ নামের এক কৃষি সংগঠন লেবু চাষে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রতিনিয়তই উদ্বুদ্ধ চাষীরা এই সব বাগান দেখে নিজেরাও লেবুর বাগান তৈরির জন্য কৃষি অফিসে এসে পরামর্শ নিয়ে যাচ্ছেন।
কুজাইল গ্রামের লেবু চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে ও কারিগরি সহযোগিতায় কিছু পরিত্যাক্ত জমিতে লেবুর বাগান তৈরি করেছি। লেবু গাছ লাগানোর বছর সময় পর থেকেই ফলন পাওয়া শুরু করেছি। আমি বর্তমানে অন্যান্য আবাদের চেয়ে লেবু চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছি কারণ এর চাহিদা সারা বছর আর লেবু চাষে খরচও অনেক কম তাই লাভের পরিমান অনেক বেশি।
কৃষি সংগঠন সুফলা নওগাঁর উদ্যোক্তা আহসান হাবিব বলেন এই উপজেলার চাষী ভাইদের একঘেয়ামী ফসল চাষ থেকে ফিরিয়ে এনে সময়পুযোগি অধিক লাভজনক আবাদ হিসেবে লেবু চাষে উদ্বুদ্ধ করতেই কয়েকজন কৃষক ভাইদের সহযোগিতায় আমরা কিছু জমি লিজ নিয়ে লেবুর বাগান করেছি। আমরা ১শতটি লেবু বাগান থেকে পাইকারদের কাছে ২৫০-৩০০টাকা করে বিক্রি করছি। এছাড়াও লেবুর গাছ থেকে কলমের মাধ্যমে চারা তৈরি করে তা বিক্রি করেও বাড়তি অর্থ আয় করা সম্ভব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম বলেন একই ফসল বারবার চাষ ও অধিক কীটনাশক ব্যবহার করার জন্য জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমি ও কৃষকদের স্থায়ী ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমি উপজেলার কয়েকজন আগ্রহী চাষীদের এই লেবুর বাগান তৈরিতে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে লেবুর বাগান তৈরি করেছি। এটি অত্যধিক লাভজনক একটি ফসল। লেবু গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বলে কীটনাশকের তেমন ব্যবহার করতে হয় না। এটি মাটির উর্বতা শক্তি বৃদ্ধি করে। প্রতি মৌসুমে গাছ লাগানোর ঝামেলা নেই। একটি লেবু গাছ অনেক বছর পর্যন্ত লেবু দেয়। আর সারা বছরই সবজি হিসেবে লেবুর চাহিদা দারুন। তাই এই ফসল চাষে কম পরিশ্রম আর কম খরচে অধিক লাভ করা খুবই সহজ। এছাড়াও লেবুর বাগানে গাছের ফাঁকা জায়গায় মৌসুমি সবজি চাষ করেও বাড়তি অর্থ আয় করা সম্ভব। তিনি আরো জানান লেবু বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমও কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে চায়না-৩ জাতের একটি লেবুর বাগান তৈরি করেছেন।