নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় মসজিদে দানের টাকা ঘোষণা দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলা ও মারপিটে তোফাজ্জল হোসেন (৪০) নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোর রাতে রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনায় মূলহোতা আবদুল জলিল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর মান্দা সদর ইউনিয়নের উত্তর বাদলঘাটা গ্রামে মারপিটের এ ঘটনাটি ঘটে। হামলাকারি আবদুল জলিলগংদের হামলায় নিহত তোফাজ্জল হোসেনের বড় ভাই মকলেছার রহমান (৪২) গুরুত্বর আহত হওয়ায় তাকেও রামেকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত তোফাজ্জল হোসেন উপজেলার উত্তর বাদলঘাটা গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় দুই ব্যক্তি মসজিদের উন্নয়ন কল্পে ৮শ’ টাকা দান করেন। জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের জানিয়ে দেন মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মকলেছার রহমান। অনেকেই কথাটি শুনতে পাননি। এনিয়ে আবদুল জলিল ও তার ছেলে শাকিল হোসেনগং বিবাদে জড়ায়। কিন্তু স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় সেখানে পরিস্থিতি শান্তা হয়। পরে মকলেছার রহমান ও তার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন বাড়ি ফেরার পথে গ্রামের আবদুল জলিল ও তার ছেলে শাকিল হোসেনগং দেশিয় অস্ত্র শাবল, লাঠিসোডা নিয়ে তোফাজ্জল হোসেন ও মকলেছার রহমানের উপর হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রামেকে স্থানান্তর করা হয়। শনিবার ভোর রাতে রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফাজ্জল হোসেন মারা যান। ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আসাদ আলী জানান, স্থানীয় দুই ব্যক্তি মসজিদের উন্নয়ন কল্পে ৮শ’ টাকা দান করেন। জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের জানিয়ে দেন সাধারণ সম্পাদক মকলেছার রহমান। কিন্তু মসজিদে এ সময় ফ্যান চালু থাকা ও তবারক বিতরণের কারণে অনেকেই ঘোষণার কথাটি শুনতে পান আবার কেউ কেউ তা শুনতে পাননি। এ নিয়েই আবদুল জলিল ও তার ছেলে শাকিল হোসেনগং বিবাদে জড়িয়ে যান।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, বর্তমানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ মুলহোতা আবদুল জলিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মকলেছারের ভাই হেলাল হোসেন বাদি হয়ে মামলার দায়ের করেছেন। অন্য আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।