নওগাঁর মান্দায় পুকুর খননে বাধা দেওয়ায় সংবাদ সম্মেলন
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের আন্দইল বিলে নিজের অনাবাদি জমিতে পুকুর খননে প্রভাবশালীদের বাধার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জমির মালিক ও ভুক্তভোগী। আজ শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শাঁটইল গ্রামের সূর্যকান্তের ছেলে উজ্জ্বল কুমার।
লিখিত বক্তব্যে উজ্জ্বল কুমার বলেন আমি জমির প্রকৃত মালিকদের কাছ থেকে ৩০ একর অনাবাদি জমি ১০বছরের জন্য লিজ নিয়ে সেখানে পুকুর খনন করছিলাম। হঠাৎ করেই একটি প্রভাবশালী মহল স্থানীয় মৎস্যজীবীদের ভুল বুঝিয়ে আমার পুকুর খনন কাজে বাধা সৃষ্টি করছে। মৎসজীবীদের অভিযোগ আমি নাকি সরকারের খাস জলাশয়ে পুকুর খনন করছি। তাদের এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কারন আমি সরকারি কোনো জমিতে পুকুর খনন করছি না এবং অতীতেও বিলে আমি একটি পুকুর খনন করেছি সেটিও ব্যক্তি মালিকানাধিন জমিতে।
তার দাবি বিলে কিছু খাস জলাশয় থাকলেও সেটা আমার প্রকল্প এলাকা থেকে অনেক দূরে। মৎস্যজীবীরা অন্যায় ভাবে তার কাজে বাধা দিচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন এবিষয়ে হাইকোর্টের একটি রায় আছে আমার পক্ষে, স্থানীয় মৎস্যজীবীদের বিলে কোন জমি নেই তবুও তারা আমার খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এবং এ কাজে ব্যবহৃত ভেঁকু মেশিন ভাংচুর করে আমার কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে বলে তিনি দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জমির মালিক বরুন বাঘ, কাজল, ইসরাফিল, সৈয়দ আলী, মাহাবুবসহ প্রমুখ।
এবিষয়ে শালদহ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক নির্মল কুমার হালদার বলেন, সরকারের খাস খতিয়ান ভুক্ত আন্দইল বিলের উন্মুক্ত জলাশয়ে আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে বর্ষা মৌসুমে মৎস্য আহরণ করে প্রায় তিন হাজার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। তিনি বলেন এভাবে যদি উজ্জ্বল কুমার বিলের মাঝে বিশাল দীঘি খননের কাজ করতেই থাকে তাহলে আমরা পরিবার নিয়ে না খেয়ে মারা যাবো। এটা উন্মুক্ত জলাশয় এটা উন্মুক্ত হিসেবেই রাখতে হবে। তাই আমাদের দাবি এখানে কোন দীঘি খনন করা যাবে না।