Latest Post
92 অন্যান্য 51 অর্থনীতি 24 আইন ও আদালত 76 আন্তর্জাতিক 588 এক ঝলক 3 কক্সবাজার 1 কবিতা 22 কিশোরগঞ্জ 4 কুড়িগ্রাম 6 কুমিল্লা 1 কুষ্টিয়া 3 কৃষি 107 কৃষি ও প্রকৃতি 10 ক্রিকেট 1 খাগড়াছড়ি 73 খেলাধুলা 45 গণমাধ্যম 12 গাইবান্ধা 1 গাজীপুর 17 চট্টগ্রাম 5 চাঁদপুর 5 চাঁপাইনবাবগঞ্জ 2 চুয়াডাঙ্গা 14 জয়পুরহাট 1 জাতীয় 3 জামালপুর 1 জোকস 6 ঝনিাইদহ 246 ঝালকাঠি 12 ঝিনাইদহ 4 টাঙ্গাইল 44 ঠাকুরগাঁও 39 ঢাকা 1 থী 3 দিনাজপুর 4784 দেশজুড়ে 42 ধর্ম 3414 নওগাঁ 14 নাটোর 2 নারায়ণগঞ্জ 1 নিহত ২ 1 নীলফামারীর 2 নেত্রকোনা 1 নোয়াখালী 3 পঞ্চগড় 4 পিরোজপু 2 প্রকৃতি 2782 প্রথম পাতা 23 প্রবাস 1 ফরিদপুর 17 ফিচার 8 ফুটবল 1 ফেনী 94 বগুড়া 2 বলিউড 58 বাগমারা 82 বিএমএসএফ 31 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 53 বিনোদন 51 বেনাপোল 2 ব্রাক্ষণবাড়িয়া 1 ব্রাহ্মণবাড়িয়া 51 ভিডিও 18 ভোলা 8 ভ্রমণ 59 ময়মুনসিংহ 1 মাগুরা 1 মাদারীপু 2 মাদারীপুর 1 মানিকগঞ্জ 1 মেহেরপুর 495 যশোর 5 রংপুর 103 রাজনীতি 3 রাজবাড়ী 95 রাজশাহী 3 লক্ষ্মীপুর 24 লাইফস্টাইল 2 লালমনিরহা 41 শিক্ষা 1 শ্রীপুর 891 সকল জেলা 2 সাতক্ষীরা 9 সিরাজগঞ্জ 3 সিলেট 63 সুনামগঞ্জ 31 স্বাস্থ্য 4 হবিগঞ্জ 1 হলিউড 10 bmsf


নওগাঁর পত্নীতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাইয়ের মৃত্যু

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় ট্রাকের ধাক্কায় ধান বোঝায় ট্রলি উল্টে গিয়ে দুই ভাই নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার পত্নীতলা - সাপাহার সড়কের ঘড়াইল নামকস্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর ট্রাকটি পালিয়ে গেছে।

নিহত দুই ভাই উপজেলার চকমমিন গ্রামের মৃত এজাহার আলীর ছেলে মাহাবুব (৪২) এবং আনোয়ার হোসেন (৪০)।
পতœীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল চক্রবর্তী জানান, সকালে ট্রলি নিয়ে পত্নীতলার দিকে যাচ্ছিল দুই ভাই। পথে পতœীতলা- সাপাহার সড়কের ঘড়াইল নামকস্থানে আসলে বিপরীত দিকে থেকে আসা একটি ট্রাক ধান বোঝায় ট্রলিটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলিটি উল্টে গিয়ে ঘটনাস্থলেই দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।

ওসি জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে । ঘটনার পর ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ায় ট্রাকটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।  

নওগাঁর সাপাহারে গৃহবধু জেসমিনের মাথা ন্যাড়াকারী স্বামী ও শাশুড়ী আটক

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে স্ত্রীর মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে নির্যাতনকারী লম্পট স্বামী রফিক ও শাশুড়ী রাজিয়া বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।  শুক্রবার ভোরে পত্নীতলা থানার আলপাকা গ্রাম হতে শাশুড়ী  রাজিয়ার মেয়ে জামাই বাড়ী হতে তাদের আটক করা হয়।

স্থানীয় থানা সূত্রে জানা গেছে, ঈদের এক দিন আগে স্বামীর অনৈতিক কার্যকলাপে রাজি না হওয়ায় স্বামী রফিক ও তার মা রাজিয়া বেগম গৃহবধু জেসমিনকে শারিরীক নির্যাতনের পাশা পাশি তার মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে রাখার পর থেকে স্বামী রফিক ও তার মা রাজিয়া বেগম পলাতক ছিলো। গত বৃহস্পতিবার সাপাহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তাদের উপর মামলা দায়ের হলে শুক্রবার ভোরে পতœীতলার ওই গ্রাম হতে মা ছেলে কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। গৃহবধু নির্যাতনকারী স্বামী ও শাশুড়ী আটকের বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই নিশ্চিত করেছেন। নির্যাতনের শিকার গৃহবধু জেসমিন বর্তমানে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

আম সংগ্রহের উদ্বোধন
নওগাঁয় ৪ লাখ ২০ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের হওয়ার সম্ভাবনা

তন্ময় ভৌমিক, নওগাঁ: নওগাঁর পোরশায় সরকারি ভাবে নিরাপদ আম সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার মিনা বাজারের এলাকায় এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হামিদ রেজা। 

উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের আয়োজনে এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম, পোরশা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সামাদ শাহ চৌধুরীসহ অন্যন্যারা।

পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম জানান, গত ২৫ মে সরকারি ভাবে গোপালভোগ আম সংগ্রহ শুরু করার নির্ধারিত দিনক্ষণ থাকলেও আম পরিপক্ক না হওয়ায় তিনদিন পর আম সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এঁটেল মাটির কারণে এখানকার আম অন্য জেলার চেয়ে সুস্বাদু ও মিষ্টি। সেখানে কোন রকম রাসায়নিক দ্রব্য ও বিষ দেন না আম চাষিরা।

এদিকে, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি ঢাকা থেকে জেলা, স্থানীয়, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, পরিবহন মালিক, আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের সাথে ইত্যে পূর্বে কয়েকবার ভিডিও কনফারেন্স করেছেন। সেই কনফারেন্সে আম ব্যবসায়ীদের আম কেনা-বেচা করতে সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা দিতে ও সারাদেশে থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামপুরসহ নওগাঁয় স্বাভাবিক ভাবে আম কিনে সারাদেশে সরবরাহ করতে পাবেন সেই নির্দেশণা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। 

সে সময় খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, যে সব জায়গা থেকে আম ও লিচু যাবে, রাস্তায় কোন ট্রাক যেন প্রতিবন্ধকতার মুখে না পড়ে, সে জন্য দৃষ্টি রাখবে সরকার। অ্যাপসের মাধ্যমে শুধুমাত্র আমের বাজারের সাথে নয়, পরিবহনের সাথেও যোগাযোগ থাকবে। সরকারী পরিবহনের সাথে, এমনকি বন্দরে ট্রাক কাভার্ড ভ্যানের সাথেও যুক্ত থাকবে। এছাড়াও ৮টি সংস্থার সাথে সংযুক্ত থাকবে। তাদের বললেই সেখানে চলে গিয়ে নিয়ে আসবে এসব পণ্য। আম নিয়ে ঢাকায় পৌঁছে দেয়ার পর খালি ট্রাক ফিরে গেলে যমুনা সেতুতে টোল ৫০ ভাগ নেয়া হবে। পাশাপাশি হাসপাতালে রোগীদের খাদ্যে কলার পরিবর্তে আম দেয়া, পুলিশ ব্যারাকে আমের বাজার গড়ে তোলা, সেনাবাহিনীতে আমের বাজার গড়ে তোলা ইত্যাদি ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে আম চাষীরা আমের নায্য মূল্য পায়। সে জন্য নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন-অর রশীদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।

সরজমিনে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আমের বাম্পার ফলন হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে অন্য বছরের মতো নওগাঁয় আম চাষিরা এখন পর্যন্ত আম বাগান বিক্রি করতে পারেনি। ফলে আম বাগান বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তাই রয়েছেন তারা। এদিকে সারাদেশে আম সরবরাহের সময় রাস্তায় পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানির কারণে সঠিক সময় মোকামে আম পৌঁছাতে না পারায় অনেক সময় তাদের লোকসান গুণতে হয় বলে আম ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। ১৯ মে সাপাহারে পুলিশের উদ্যোগে আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের সাথে পুলিশের মতবিনিময় শেষে পুলিশী হয়রানি বন্ধে শতভাগ আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান। জেলায় এই প্রথম আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের সাথে পুলিশের মতবিনিময়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আম ব্যবসায়ী ও চাষিরা বলছেন, পুলিশের সহযোগিতা পেলে জেলার বিভিন্ন জেলা থেকে আম ব্যবসায়ী আসবেন। ফলে নওগাঁর আম ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে। 

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এএফএম গোলাম ফারুক হোসেন জানান, ঠাঁঠাঁ বরেন্দ্র ভূমি হিসেবে পরিচিত নওগাঁয় অন্যান্য ফসলের চেয়ে আম চাষে বেশি লাভ হওয়ায় আম চাষ ঝুঁকে পরেছেন। জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর ও পতœীতলা উপজেলার কৃষকরা শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই আম চাষ করে থাকেন। চলতি বছর ২৪ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। যা থেকে নওগাঁয় ৪ লাখ ২০ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। 

সাপাহারের তছলিম উদ্দিন, ফারুক হোসেনসহ অন্য আম চাষিরা জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর আমও ভালো হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে নওগাঁ থেকে বিদেশেও আম রপ্তানি হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে নওগাঁয় এখন পর্যন্ত কোন আম চাষি আম বাগান বিক্রি করতে পারেনি। ফলে আম চাষিরা খরচের টাকা তুলতে পারবেন কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তাই রয়েছেন। 

জানা গেছে, জেলার সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর ও পতœীতলার আমকে কেনাবেচা হয় সাপাহারে। সাপাহারে প্রতি বছর দেড়শ’ থেকে ২শ’ আম আড়ৎঘর আছে। প্রতি বছর শতশত আম ব্যবসায়ী দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আম ব্যবসায়ীরা সাপাহারে এসে আম কিনে নিয়ে যান। প্রতি বছর মে মাসের মাঝামাঝি থেকে আম কেনা বেচা শুরু হলেও চলতি আম মৌসুমে আম না পাকায় নওগাঁয় এখনো কেনাবেচা শুরু হয়নি। 

সাপাহার আড়ৎ ব্যবসায়ী ওমর ফারুক, জহির উদ্দিন জানান, ইত্যে মধ্যে আড়ৎ ব্যবসায়ীরা তাদের আড়ৎতের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছেন। আর কয়েক দিন পর থেকে আম সংগ্রহ করে কেনা বেচা পুরোদমে শুরু হবে।

সাপাহার আম আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক নেতা ও সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইত্যে মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আম ব্যবসায়ীরা যাতে নায্য মূল্য পান এবং রাস্তায় কোন হয়রানি না করা হয় সে জন্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশণা দিয়েছেন। এই নির্দেশণা প্রশাসন বাস্তাবায়ন করলে তাদের কোন সমস্য হবে না। তিনি আরো জানান, জেলায় এই প্রথম আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের মত বিনিময়কে আমরা সাধুবাদ জানাই। এর আগে কখনও পুলিশের কোন কর্মকর্তা এ ভাবে এগিয়ে আসেননি। 

সাপাহার আম আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ইনাম রিফাদ উদ্দিন জানান, সাপাহার থেকে সারাদেশে আম সরবরাহের সময় রাস্তায় পুলিশের চাঁদাবাজি ও হয়রানিতে সঠিক সময় নির্দিষ্ট স্থানে আম পৌঁছানো সম্ভব হয় না। ফলে অনেক সময় তাদের লোকসান গুণতে হয় বলে জানিয়েছেন আম ব্যবসায়ী নেতারা। 

পোরশা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সামাদ শাহ চৌধুরী জানান, পোরশায় আমপানসহ কয়েকটি ঝড়ে আমের ক্ষতি হলেও অন্য জেলাতে আম না থাকায় নওগাঁর আম ব্যবসায়ীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। 

পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হামিদ রেজা জানান, আম ব্যবসার জন্যে অনলাইন, পরিবহণ, ট্রেনসহ সরকারি ভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আম চাষিরা আমের ভালো দাম পাবেন।

সাপাহার আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কার্তিক সাহা জানান, প্রতি বছর শুধু সাপাহারে ৭শ’ কোটি টাকা থেকে সাড়ে ৭শ’ কোটি টাকার আম কেনা বেচা হয়। তবে এ বছর আরো বেশি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। 

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, ঝড়ে নওগাঁয় ৩ভাগ আমের ক্ষতি হয়েছে।  যে সকল জেলায় আম নেই সেই সব জেলায় আম সরবরাহ করা সম্ভব ও ভালো দাম পেলে ক্ষতি পুষিয়ে আম ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে। 

নওগাঁ চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি ইকবাল হোসেন শাহারিয়া জানান, চলতি আম মৌসুমে গত বছরের তুলনায় আম বেশি চাষ হওয়ায় নওগাঁয় প্রায় ৮শ’ কোটি টাকার আম কেনা-বেচার সম্ভাবনা রয়েছে। 

পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া জানান, আম চাষিদের জন্যে সরকারি ভাবে ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তামূলকসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাপাহারে পুলিশী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে; যাতে শুধু নওগাঁ নয়; রাজধানীসহ সারাদেশে আম সরবরাহ করতে পারেন আম চাষিরা সে জন্যে পুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে। এছাড়াও রাস্তায় বিভিন্ন ভাবে আম চাষি ও ব্যবসায় যে হয়রানি বন্ধে শতভাগ আশ্বাস দেন।

নওগাঁ জেলা প্রশাসকের নিকট বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের চেক হস্তান্তর
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের জেলা কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য দরিদ্র ও নিম্ম
আয়ের পরিবারের মাঝে চেক হস্তান্তর করেন নওগাঁ এরিয়া ম্যোনেজার মো. আজিজুর রহমান।
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: বর্তমানে সারা বিশ্ব মরনঘাতক করোনা ভাইরাসের থাবায় আবদ্ধ। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের থাবায় বেকার ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে কোটি কোটি মানুষ। আর এই করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি জনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্থ্য দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের পরিবারের পাশে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন। সংস্থাটি ২লক্ষ ৫০হাজার টাকার চেক ও ২লক্ষ নগদ টাকা প্রদান করে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন দেশের এই সব ক্ষতিগ্রস্থ্য দরিদ্র ও নিম্ম আয়ের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য নওগাঁ জেলা প্রশাসকের নিকট প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২লক্ষ ৫০হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। চেকটি জেলা প্রশাসকের নিকট হস্তান্তর করেন সংস্থাটির নওগাঁ এরিয়া ম্যোনেজার মো. আজিজুর রহমান। এবং জেলার নওগাঁ সদর, মান্দা, রানীনগর, নীয়মতপুর মেট ৪টি শাখার মাধ্যমে ২শ পরিবারকে নগদ ৫শ টাকা হারে ১লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। সংস্থাটি মোট ৩লক্ষ ৫০হাজার টাকার অর্থ সহায়তা প্রদান করে।

নওগাঁর ধামইরহাটে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু

ধামইরহাট (নওগাঁ) : নওগাঁর ধামইরহাটে বজ্রপাতে এক যুবক মারা গেছে। জানা গেছে, গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার উমার ইউনিয়নের অন্তর্গত অমরপুর গ্রামের পশ্চিম মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু ইছা তার দুলাভাই আব্দুল কাদের এর অমরপুর গ্রামে বেড়াতে যায়। বিকেলে প্রচন্ড ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। আবু ইছা ও তার বোন মহিষা বেগম (২৭) কে নিয়ে গরু নেয়ার জন্য অমরপুর গ্রামের পশ্চিম মাঠের পুকুর পাড়ে যায়। এসময় আকস্মিক বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলে আবু ইছা মারা যায় এবং গুরুতর আহত অবস্থায় মনিষা বেগমকে তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। আবু ইছা উপজেলার উমার ইউনিয়নের অন্তর্গত বিহারীনগর গ্রামের আবু কালামের ছেলে।

নওগাঁর ধামইরহাটে কালবৈশাখী ঝড় শিলাবৃষ্টিতে ফসল গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি

ধামইরহাট (নওগাঁ) : নওগাঁর ধামইরহাটে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ইরি বোরো ধানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যয় ঘটে। পাকা ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে দির্ঘ সময় ধরে উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় ও বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়। প্রচন্ড ঝড়ের কারণে উপজেলার হাজার হাজার গাছপালা উপুড়ে পড়ে। উপজেলা ক্যান্টিন চত্ত্বরে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বড় বড় গাছ বিদ্যুতের তারে উপুড়ে পড়ে। এছাড়া রাস্তাঘাট ও ব্যক্তি মালিকানা বাগানে শত শত গাছ পড়ে যায়। ঝড়ের সাথে প্রচন্ড বৃষ্টি বর্ষণ হয়। এতে নিচু এলাকার পাকা ইরি বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যায়। এতে অনেক কৃষক ক্ষতির সম্মুখিন হন। এছাড়া ঝড়ের কারণে আম ও লিচু গাছ থেকে মাটিতে পড়ে যায়। ঝড় বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতের তারের উপর গাছ পড়ে এবং আবিলাম নামকস্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থা বিরাজ করছে।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা বলেন, উপজেলা পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে ধামইরহাট পৌরসভা, ধামইরহাট ও জাহানপুর ইউনিয়নে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিপাত হয়। এতে প্রায় ৭ হেক্টর জমির ধান শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়। এছাড়া ২ হেক্টর নিচু জমির ধান পানিতে তলিয়ে যায়। অনেক বাগানের আম ও লিচু ঝড়ে পড়ে গেছে।

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

আজকের দেশ সংবাদ . Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget